ভোটের মাঠে

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে গত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন পৃথক চার দলের প্রার্থীরা। তবে গত দুই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে নৌকা। এবার দলটির মনোনয়ন পেতে আশাবাদী বেশ কয়েকজন। নির্বাচন ঘিরে তাঁদের তৎপরতাই বেশি।

কোন কোন দলে জোট হবে? কোন নেতা কার সঙ্গে হাত মেলাবেন? মহাজোট হলে আওয়ামী লীগ কি ...

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে রংপুর-৩ আসন। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এই আসনে আওয়ামী লীগ মাত্র সাড়ে ৩ বছর এবং মাঝখানে কিছু সময় বিএনপি থাকলেও ৪৩ বছর জাতীয় পার্টির (জাপা) দখলে।

দেশের সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ছিল এ এলাকায়। ছিল এশিয়ার সবচেয়ে বড় নিউজপ্রিন্ট মিল (কাগজের কল)। হার্ডবোর্ড মিলও ছিল। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই খুলনা-৩ আসনের ভোটের মাঠ মহানগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানার আয়ত্তে থাকা এলাকায় শ্রমিকদের বেশ আধিপত্য ছিল।

আগামী নির্বাচনের আগে আলোচনায় আছেন মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তবে মাঠে এখন তাঁর সঙ্গে জল্পনা চলছে আরও দুজনকে নিয়ে। তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং আসনের সাবেক এমপি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন—এ দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-৩ আসন। একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসন প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। বর্তমানে এ আসনের এমপি আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে দলটি অনেকটাই ‘নির্জীব’। এর অন্যতম কারণ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু। আরেকটি কারণ মহাজোট।

লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ এবং সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৩। আসনটি একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। গত তিনবারের নির্বাচনে এই আসনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবু জাহির। বর্তমানে আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।

একটা সময় মুরাদনগরের ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের তেমন দাপট ছিল না। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতারাই মাঠ কাঁপিয়ে বেড়াতেন। দীর্ঘদিন মাঠ দখলে রেখেছিলেন একসময় জাপাতে থাকা এবং পরে বিএনপিতে যোগ দেওয়া কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এমনকি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লী

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে পাস করতে পারেননি সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন। গতবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, অংশ নেননি নির্বাচনেও। তবে আগামী নির্বাচনের আগে মাঠে

সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক ১৯৯১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আসনটি দখলে রেখেছেন তাঁর বড় ছেলে নাহিম রাজ্জাক।

দিন ঘনিয়ে আসছে। এ কারণে এলাকায় বাড়ছে নেতাদের পদচারণ। এরই মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি হয়ে ভোটারদের নজরে আসার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে এসব নেতার সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন কুষ্টিয়া-৩। সদর ও ইবি থানা এবং পৌর এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৩। তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান বেশ শক্ত। তবে ২০০৮ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। আগামী নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন চাটমোহরের ভোটাররা। আসনের মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ

যশোর-৩ (সদর উপজেলা) বরাবরই হেভিওয়েট প্রার্থীদের আসন। পুরোনো হেভিওয়েট প্রার্থীরা বিদায় নিলেও এখন আসনটি দখলে তৎপর নতুন হেভিওয়েটরা। এর মধ্যে রয়েছেন নৌকার টিকিটপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। আর বিএনপি নির্বাচনে

একসময় সিলেটজুড়ে নির্বাচনী মাঠে আধিপত্য ছিল জাতীয় পার্টির (জাপা)। সময়ের ব্যবধানে জাপার সেই অবস্থান আর নেই। তবে নির্বাচন এলেই সবার আগে আলোচনায় আসে প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দলের কথা। ২০০১ সালে জাপার প্রার্থীকে হারিয়ে সিলেট-৩ আসন দখলে নেয় বিএনপি।