শাহীন রহমান, পাবনা ও শুভাশীষ ভট্টাচার্য, চাটমোহর
চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৩। তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান বেশ শক্ত। তবে ২০০৮ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। আগামী নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন চাটমোহরের ভোটাররা। আসনের মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। অন্য দুই উপজেলা মিলিয়ে যে ভোট, তার চেয়ে বেশি ভোট চাটমোহরে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর থেকে কোনো সংসদ সদস্য নেই। এবার এই উপজেলার কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব-নিকাশ।
১৯৮৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ৫ বার, বিএনপি ৩ বার এবং জাতীয় পার্টি (জাপা) একবার জয়লাভ করে। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এ কারণে নিজেদের একটি বেশ ভালো অবস্থান তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আর দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দল গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি। আসনটি ফিরে পেতে বেশ বেগ পেতে হবে তাদের।
আওয়ামী লীগ থেকে এবারও মনোনয়ন চাইবেন আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকবুল হোসেন। তবে তিনিই একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী নন। মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ফসিউর রহমান, সহসভাপতি এবং চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাস্টার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাকি বিল্লাহ, চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক।
এই আসনে একমাত্র নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে চমক দেখাতে পারেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক সমাজীর পুত্রবধূ উমেদা জাবীন সমাজী।
বিএনপি নির্বাচনে গেলে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য এবং চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সদস্যসচিব এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, জেলা কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম।
এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে অন্য দলগুলোর জনপ্রিয়তা নেই। এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাঁরা বিভিন্ন সভা, সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। কুশল বিনিময় করছেন নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে। আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ। দলটির নেতা-কর্মী এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমপি মকবুল হোসেনের একটা আলাদা অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব রয়েছে।
নির্বাচনী ভাবনা জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেগুলো এর আগে কখনো হয়নি। এ কারণে জনগণ আওয়ামী লীগকেই আবার ভোট দেবে।
আওয়ামী লীগে এর বাইরে আব্দুল হামিদ মাস্টার, প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, তরুণ নেতা আতিকুর রহমান আতিক নির্বাচনী এলাকায় বেশ তৎপর। দলীয় কার্যক্রমে তাঁদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। এ ছাড়া মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ফসিউর রহমান তিন উপজেলায় ত্রাণসহায়তা এবং উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। উমেদা জাবীন সমাজী ঈদুল ফিতরের আগে থেকে মাঠে আছেন।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অনেকটা নীরবে তাঁদের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। দল আন্দোলনমুখী থাকায় কেউ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে আগেই কেন্দ্রের বিরাগভাজন হতে চাচ্ছেন না। হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘বিএনপি এখন আন্দোলনমুখী, নির্বাচনমুখী নয়। আমরা চাই নির্বাচনে যেতে, কিন্তু সেটি হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
ভোটারদের মধ্যে আরেকটি হিসাব রয়েছে। তিনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় চাটমোহর। ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর মিলিয়ে মোট যে ভোটার, তার চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার বেশি চাটমোহর উপজেলায়। চাটমোহর থেকে যদি কোনো দল যোগ্য প্রার্থী দেয়, সে ক্ষেত্রে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন সেই প্রার্থী। চাটমোহরবাসীও মুখিয়ে আছেন তাঁদের সন্তানকে এমপি নির্বাচিত করা জন্য।
চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৩। তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান বেশ শক্ত। তবে ২০০৮ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। আগামী নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন চাটমোহরের ভোটাররা। আসনের মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। অন্য দুই উপজেলা মিলিয়ে যে ভোট, তার চেয়ে বেশি ভোট চাটমোহরে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর থেকে কোনো সংসদ সদস্য নেই। এবার এই উপজেলার কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব-নিকাশ।
১৯৮৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ৫ বার, বিএনপি ৩ বার এবং জাতীয় পার্টি (জাপা) একবার জয়লাভ করে। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এ কারণে নিজেদের একটি বেশ ভালো অবস্থান তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আর দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দল গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি। আসনটি ফিরে পেতে বেশ বেগ পেতে হবে তাদের।
আওয়ামী লীগ থেকে এবারও মনোনয়ন চাইবেন আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকবুল হোসেন। তবে তিনিই একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী নন। মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ফসিউর রহমান, সহসভাপতি এবং চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাস্টার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাকি বিল্লাহ, চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক।
এই আসনে একমাত্র নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে চমক দেখাতে পারেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক সমাজীর পুত্রবধূ উমেদা জাবীন সমাজী।
বিএনপি নির্বাচনে গেলে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য এবং চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সদস্যসচিব এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, জেলা কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম।
এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে অন্য দলগুলোর জনপ্রিয়তা নেই। এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাঁরা বিভিন্ন সভা, সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। কুশল বিনিময় করছেন নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে। আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ। দলটির নেতা-কর্মী এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমপি মকবুল হোসেনের একটা আলাদা অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব রয়েছে।
নির্বাচনী ভাবনা জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেগুলো এর আগে কখনো হয়নি। এ কারণে জনগণ আওয়ামী লীগকেই আবার ভোট দেবে।
আওয়ামী লীগে এর বাইরে আব্দুল হামিদ মাস্টার, প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, তরুণ নেতা আতিকুর রহমান আতিক নির্বাচনী এলাকায় বেশ তৎপর। দলীয় কার্যক্রমে তাঁদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। এ ছাড়া মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ফসিউর রহমান তিন উপজেলায় ত্রাণসহায়তা এবং উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। উমেদা জাবীন সমাজী ঈদুল ফিতরের আগে থেকে মাঠে আছেন।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অনেকটা নীরবে তাঁদের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। দল আন্দোলনমুখী থাকায় কেউ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে আগেই কেন্দ্রের বিরাগভাজন হতে চাচ্ছেন না। হাসাদুল ইসলাম হীরা বলেন, ‘বিএনপি এখন আন্দোলনমুখী, নির্বাচনমুখী নয়। আমরা চাই নির্বাচনে যেতে, কিন্তু সেটি হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
ভোটারদের মধ্যে আরেকটি হিসাব রয়েছে। তিনটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় চাটমোহর। ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর মিলিয়ে মোট যে ভোটার, তার চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার বেশি চাটমোহর উপজেলায়। চাটমোহর থেকে যদি কোনো দল যোগ্য প্রার্থী দেয়, সে ক্ষেত্রে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন সেই প্রার্থী। চাটমোহরবাসীও মুখিয়ে আছেন তাঁদের সন্তানকে এমপি নির্বাচিত করা জন্য।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪