
দুই দেশের মধ্যে চলছে সম্পর্কের শীতলতা। ক্রিকেটও যে এর প্রভাবমুক্ত নয়, সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে গতকাল দুবাইয়ে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। কেউ কারও সঙ্গে ন্যুনতম করমর্দন করেনি। এমনকি পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘা ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও পর্যন্ত যাননি।

ভারত-পাকিস্তান এখন মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পায় শুধু এশিয়া কাপ আর আইসিসি ইভেন্টেই। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠের লড়াই দেখতে তাই ভক্ত-সমর্থকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। কিন্তু সেই লড়াইটা যে কেবল কাগজে কলমেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একতরফা ম্যাচ জেতে তরফা।

না, প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ভারতের সামনে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান। দুবাইয়ে তাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রাখল সূর্যকুমার যাদবের দল। ১২৮ রানের লক্ষ্য ২৫ বল হাতে রেখে পেরিয়ে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রাখল তারা।

পেহেলগামে এ বছরের এপ্রিলে বন্দুকধারীদের গুলিতে পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত। রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের ওপর। এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে এক গ্রুপে রাখা নিয়ে হয়েছে কঠোর সমালোচনা। ম্যাচ বয়কটের অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল।