নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ক্রিকেটের বাইরে যা কিছু হচ্ছে সব ভুলে যাও। দিন শেষে এক দল জিতবে, আরেক দল হারবে।’
খেলাকে খেলার ভেতরই রাখতে চাইছেন ওয়াসিম আকরাম। দ্বৈরথটি যখন ভারত-পাকিস্তানের, তখন না চাইতেও যে চলে আসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। এই তো চার মাস আগেও দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্তজুড়ে ছিল যুদ্ধের উত্তেজনা। কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের অভিযান চালায় ভারতের সামরিক বাহিনী।
জবাবে পাকিস্তান চালায় ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’। নিজেদের আকাশ সীমায় থেকে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের তৎপরতায় জন্ম নেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দীর্ঘতম ‘ডগফাইটের’। বিচ্ছুরণ ঘটে এক দেশের মানুষের প্রতি আরেক দেশের মানুষের। রাজনীতির ময়দান ছাপিয়ে যা ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। এখনো ম্যাচ বয়কটের দাবি জানাচ্ছেন কেউ কেউ। সবকিছু উপেক্ষা করে এশিয়া কাপে আজ মাঠে গড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। দুই দলের মধ্যে গত এক যুগ কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না হলেও আপাত দৃষ্টিতে ক্রিকেটের বক্স অফিসে এর সমতুল্য কিছু নেই। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
এশিয়া কাপে দুই দলই শুরু করেছে দাপুটে জয় দিয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতের জন্য গা গরম করার চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। ৫৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মাত্র ২৭ বলেই। আর প্রথম ম্যাচে বোলিংটা মন্দ ছিল না পাকিস্তানেরও। পরশু ১৬১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে ওমানকে গুটিয়ে দেয় ৬৭ রানে। ব্যাটিং লাইন আপ এভাবে ধসিয়ে দেওয়ার পথে নেতৃত্ব দিয়েছে স্পিনার। ভারতের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু ছিল না।
ভারতের ব্যাটিং বনাম পাকিস্তানের পেস আক্রমণ। মর্যাদাপূর্ণ এই দ্বৈরথকে বরাবর এভাবে দেখা হতো। এবার বোধ হয় ভিন্ন হতে চলেছে কিছুটা। দুবাইয়ের উইকেটে দুই দলের বড় আস্থা তাদের স্পিনাররা। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে সেটাই মনে হবে। এই বছর স্পিনারদের কাছ থেকে সব মিলিয়ে ৬৭ উইকেটের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। ভারত সেই তুলনায় পেয়েছে ৩৫ উইকেট। এমন পার্থক্যের পেছনে বড় কারণ ভারতের ম্যাচ কম খেলা। মানের দিক থেকে অবশ্য পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম, আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেলরা।
নির্দিষ্ট দিনে কে জ্বলে ওঠেন, সেটাই দেখার বিষয়। পাকিস্তানি ওপেনার সায়েম আইয়ুব তেমনটাই বলছেন। খণ্ডকালীন থেকে পূর্ণকালীন স্পিনারে রূপান্তর হয়ে নিজেকে অলরাউন্ডারে পরিণত করছেন তিনি, ‘ফলাফল আমাদের হাতে নেই। দিন শেষে কে পারফর্ম করবে, সেটা কেউ বলতে পারে না। ম্যাচের দিন উইকেটের চিত্র কেমন দেখাচ্ছে, সেটাই আসল। যদি মনে হয় স্পিনার কাজে লাগবে, তাহলে আমরা তিন স্পিনার খেলাব।’
দুবাইয়ের উইকেট নিরপেক্ষতার কথা বলে সব সময়। শিশিরের কারণে টস জিতে আগে বোলিং নিতে চাইবে যেকোনো দল। তিন বছর আগে এখানে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সর্বশেষ আসরে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল তারা; দুটি ম্যাচই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছড়িয়েছে নাটকীয়তা।
এবারও ভিন্ন কিছু হবে বলে মনে করছেন না ভারতের ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক, ‘খেলতে এলে খেলোয়াড়েরা খেলার ব্যাপারেই মনোযোগী থাকে। ক্রিকেট খেলার বাইরে অন্য কিছু মাথায় থাকে বলে আমার মনে হয় না। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে থাকে। এবারও হবে। তাই আমরা সেটাতেই মনোযোগ দিচ্ছি।’
দুই দলের ব্যাটিং লাইন আপ বিশ্লেষণ করলে এখানেও এগিয়ে রাখতে হবে ভারতকে। এ বছর ৬ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৯.৬৪ রান করেছে তারা। সেখানে ২০ ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের রানরেট ৮.৩৪। ওমানের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও তাদের ১৬০ রানে থেমে যাওয়া খানিকটা অবাক করার বিষয়। কন্ডিশনের সুবিধার ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে পাকিস্তান। আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে তারা।
কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামও সুযোগ দেখছেন পাকিস্তানের জেতার, ‘যেহেতু গত সপ্তাহে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে, তাই পাকিস্তানের সুযোগ আছে। আমার মনে হয় না একপেশে ম্যাচ হবে। যেমনটা আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেছে ভারত। এই টুর্নামেন্টে অনেক কিছুই হতে পারে।’
সেই অনেক কিছুর মধ্যে আজ রোমাঞ্চও থাকুক, সেটা কে না চায়!
‘ক্রিকেটের বাইরে যা কিছু হচ্ছে সব ভুলে যাও। দিন শেষে এক দল জিতবে, আরেক দল হারবে।’
খেলাকে খেলার ভেতরই রাখতে চাইছেন ওয়াসিম আকরাম। দ্বৈরথটি যখন ভারত-পাকিস্তানের, তখন না চাইতেও যে চলে আসে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। এই তো চার মাস আগেও দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্তজুড়ে ছিল যুদ্ধের উত্তেজনা। কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের অভিযান চালায় ভারতের সামরিক বাহিনী।
জবাবে পাকিস্তান চালায় ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’। নিজেদের আকাশ সীমায় থেকে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের তৎপরতায় জন্ম নেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দীর্ঘতম ‘ডগফাইটের’। বিচ্ছুরণ ঘটে এক দেশের মানুষের প্রতি আরেক দেশের মানুষের। রাজনীতির ময়দান ছাপিয়ে যা ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। এখনো ম্যাচ বয়কটের দাবি জানাচ্ছেন কেউ কেউ। সবকিছু উপেক্ষা করে এশিয়া কাপে আজ মাঠে গড়াচ্ছে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। দুই দলের মধ্যে গত এক যুগ কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না হলেও আপাত দৃষ্টিতে ক্রিকেটের বক্স অফিসে এর সমতুল্য কিছু নেই। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
এশিয়া কাপে দুই দলই শুরু করেছে দাপুটে জয় দিয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতের জন্য গা গরম করার চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। ৫৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় মাত্র ২৭ বলেই। আর প্রথম ম্যাচে বোলিংটা মন্দ ছিল না পাকিস্তানেরও। পরশু ১৬১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে ওমানকে গুটিয়ে দেয় ৬৭ রানে। ব্যাটিং লাইন আপ এভাবে ধসিয়ে দেওয়ার পথে নেতৃত্ব দিয়েছে স্পিনার। ভারতের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম কিছু ছিল না।
ভারতের ব্যাটিং বনাম পাকিস্তানের পেস আক্রমণ। মর্যাদাপূর্ণ এই দ্বৈরথকে বরাবর এভাবে দেখা হতো। এবার বোধ হয় ভিন্ন হতে চলেছে কিছুটা। দুবাইয়ের উইকেটে দুই দলের বড় আস্থা তাদের স্পিনাররা। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে সেটাই মনে হবে। এই বছর স্পিনারদের কাছ থেকে সব মিলিয়ে ৬৭ উইকেটের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। ভারত সেই তুলনায় পেয়েছে ৩৫ উইকেট। এমন পার্থক্যের পেছনে বড় কারণ ভারতের ম্যাচ কম খেলা। মানের দিক থেকে অবশ্য পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম, আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেলরা।
নির্দিষ্ট দিনে কে জ্বলে ওঠেন, সেটাই দেখার বিষয়। পাকিস্তানি ওপেনার সায়েম আইয়ুব তেমনটাই বলছেন। খণ্ডকালীন থেকে পূর্ণকালীন স্পিনারে রূপান্তর হয়ে নিজেকে অলরাউন্ডারে পরিণত করছেন তিনি, ‘ফলাফল আমাদের হাতে নেই। দিন শেষে কে পারফর্ম করবে, সেটা কেউ বলতে পারে না। ম্যাচের দিন উইকেটের চিত্র কেমন দেখাচ্ছে, সেটাই আসল। যদি মনে হয় স্পিনার কাজে লাগবে, তাহলে আমরা তিন স্পিনার খেলাব।’
দুবাইয়ের উইকেট নিরপেক্ষতার কথা বলে সব সময়। শিশিরের কারণে টস জিতে আগে বোলিং নিতে চাইবে যেকোনো দল। তিন বছর আগে এখানে এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সর্বশেষ আসরে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল তারা; দুটি ম্যাচই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছড়িয়েছে নাটকীয়তা।
এবারও ভিন্ন কিছু হবে বলে মনে করছেন না ভারতের ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক, ‘খেলতে এলে খেলোয়াড়েরা খেলার ব্যাপারেই মনোযোগী থাকে। ক্রিকেট খেলার বাইরে অন্য কিছু মাথায় থাকে বলে আমার মনে হয় না। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে থাকে। এবারও হবে। তাই আমরা সেটাতেই মনোযোগ দিচ্ছি।’
দুই দলের ব্যাটিং লাইন আপ বিশ্লেষণ করলে এখানেও এগিয়ে রাখতে হবে ভারতকে। এ বছর ৬ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ৯.৬৪ রান করেছে তারা। সেখানে ২০ ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের রানরেট ৮.৩৪। ওমানের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও তাদের ১৬০ রানে থেমে যাওয়া খানিকটা অবাক করার বিষয়। কন্ডিশনের সুবিধার ক্ষেত্রে অবশ্য এগিয়ে পাকিস্তান। আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে তারা।
কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামও সুযোগ দেখছেন পাকিস্তানের জেতার, ‘যেহেতু গত সপ্তাহে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে, তাই পাকিস্তানের সুযোগ আছে। আমার মনে হয় না একপেশে ম্যাচ হবে। যেমনটা আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলেছে ভারত। এই টুর্নামেন্টে অনেক কিছুই হতে পারে।’
সেই অনেক কিছুর মধ্যে আজ রোমাঞ্চও থাকুক, সেটা কে না চায়!
অবশেষে ইতিহাস গড়ল কেপ ভার্দে। ঘরের মাঠে এসওয়াতিনিকে গতকাল ৩–০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল তারা। আইসল্যান্ডের পর জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে টিকিট কাটল বিশ্বকাপে।
৩ ঘণ্টা আগেমেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। এগিয়ে গিয়েও সোমবার জর্ডানের বিপক্ষে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে গোলটি করেন সুরভী আকন্দ প্রীতি।
৪ ঘণ্টা আগেশেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জেতার জন্য দরকার ছিল ৮ রান। নাহিদা আক্তার প্রথম বলে চার ও তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে নাটকীয় জয় নিশ্চিত করেন নাদিনে ডি ক্লার্ক। আর রোমাঞ্চ জাগিয়ে বাংলাদেশকে পুড়তে হয় হারের বেদনায়।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর এর চেয়ে চাপে আগে কখনো পড়েননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। দলে হামজা চৌধুরী-শমিত শোমের মতো উঁচু মানের খেলোয়াড় থাকলেও খুঁজে পাচ্ছেন না সঠিক কম্বিনেশন। এনে দিতে পারছেন না কাঙ্ক্ষিত তৃপ্তি।
৬ ঘণ্টা আগে