বর্ষাকাল

বর্ষাকালে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করাটা এমনিতেই মুশকিলের। তার ওপর যদি বন্যা ও অতিবৃষ্টি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এই সময় ময়লা, কাদা ও নোংরা পানির ভেতর দিয়ে চলাফেরা করতে হয় বলে বিভিন্ন জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ঘটে পায়ের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ক্ষতি এড়াতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন।

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় গত তিন দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন বিলের নিচু এলাকার কয়েক শো বিঘা রোপা আমনের খেত পানিতে ডুবে গেছে। অপরিকল্পিত ঘের ও বেড়ি বাঁধের কারণে এবং নদীনালার নাব্যতা না থাকায় বৃষ্টির পানি বেরোতে না পেরে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। দ্রুত পানি সরাতে না পারলে আমন খেত নষ্ট হয়ে ক্ষ

‘আমার মায়ের কবরটার অস্তিত্বও নেই। ঘর থেকে নদীর দূরত্ব মাত্র পাঁচ হাত। কয়েক দিন আগেই আমার ভাই ২-৩ লাখ টাকা খরচ করে পুরোনো ঘর ভেঙে নতুন ঘর তোলে। সেই ঘরটাও এখন যেকোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।  আমার বাবার ১০০-১৫০ শতাংশ জমি এই নদীর পেটে গেছে। আমার দাদা, দাদি, ফুফু, বাবা কবরও গেছে নদীর ভয়াল গ্রাসে।’

তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে এখন দেশের বেশির ভাগ এলাকায়। এ সময়টা মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় যে এলাকায় সেখানকার গল্পটা বলার জন্য উপযোগী। জায়গাটি কিন্তু আমাদের পাশের দেশ ভারতেই। মেঘালয় রাজ্যের এই গ্রামটির নাম মৌসিনরাম। 

চলছে শ্রাবণ মাস। ভরা বর্ষায় কয়েক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। খাল-বিল ও জলাশয় পানিতে পরিপূর্ণ। বর্ষার নতুন পানি পেয়ে মাছের ঝাঁকের বিচরণ শুরু হয়েছে। আর তাইতো জেলে ও শৌখিন মানুষদের পাল্লা দিয়ে চলছে মাছ শিকার। 

চলতি মৌসুমে চাহিদা মতো আউশ আবাদ করতে পারেননি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কৃষকেরা। আমন চাষের স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। কিন্তু সে স্বপ্নও ভেস্তে যাওয়ার পথে। ভরা বর্ষাতেও হয়নি বৃষ্টি। পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে আমন চাষ। 

চলছে শ্রাবণ মাস। বর্ষার ভরা মৌসুম। তবুও দেখা নেই বৃষ্টির। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে আছে ফসলি জমি। এমন অবস্থায় চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা।

বাদল দিনে শুধু যে বৃষ্টির শব্দ শুনে আর বৃষ্টি দেখে সময় কাটে, তা তো নয়। ভেজা আবহাওয়ার সঙ্গে হরমোনের দারুণ যোগাযোগ আছে বলে, এই সময়টাতে খেতে ইচ্ছে করে মুখরোচক খাবার। যেমন, খিচুড়ি। তবে খিচুড়ি তো আর এমনি এমনি খেতে ভালো লাগে না। তাই রান্না করতে হবে দারুণ সব অনুষঙ্গ। আচারী মসলায় গরুর মাংস বা আচারী বিফ এবং

আমরা এখন বর্ষাকালের মাঝামাঝি সময়ে আছি। তাই যেকোনো সময় হঠাৎ করে ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। বৃষ্টিতে ভিজে একবার ঠান্ডা লেগে গেলে সেটা ভোগাবে অনেক দিন। সেই ভোগান্তি এড়াতে ভেজা গায়ে বাড়িতে ঢুকেই নিতে হবে প্রাথমিক ব্যবস্থা। সেগুলো সাময়িকভাবে আপনার শরীরকে স্বাভাবিক করবে এবং পরে ঠান্ডা জ্বরের হাত থেকেও বাঁচাব

বৃষ্টি জনজীবনে স্বস্তি দিলেও কিছু জায়গায় তৈরি করে দুর্ভোগ। যদিও এর দায় বৃষ্টির নয়, মানুষের। স্বস্তির বৃষ্টি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ও মির্জাপুর ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ৯ গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের বাস 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বর্ষায় নদী, বিলসহ জলাশয়ে বাড়তে শুরু করেছে পানি। নতুন পানিতে কেউ মাছ ধরছে, আবার শিশু-কিশোরেরা মেতেছে জলকেলিতে। এদিকে বর্ষা মৌসুম ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেপল্লিতে। কেউ কেউ জাল বুনছেন, কেউ তৈরি করছেন নৌকা। 

বর্ষায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ, টাইফয়েড, সাধারণ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য মৌসুমি রোগে ভুগতে থাকে শিশুরা। হাসপাতালে ভর্তির হারও বেড়ে যায়। এর মধ্যে এবার ব্যাপকভাবে যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও আতঙ্ক। তাই এ সময় মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

বর্ষাকালে হাওর ও বিলে কিন্তু শুধু জলরাশিই নয়, দেখার আছে অনেক কিছুই। বিশাল জলরাশিতে নৌকার ওপর বসে পূর্ণিমার চাঁদের আলো শরীরে মাখার অভিজ্ঞতা আপনাকে দেবে অতুলনীয় অনুভূতি। সেই অনুভূতি পেতে সময় করে ঘুরে আসতে পারেন টাঙ্গুয়ার হাওর অথবা চলনবিলে। 

বর্ষাকাল হলেও আবহাওয়া একটু মিশ্র প্রকৃতির মনে হচ্ছে। একদিকে গরম, অন্যদিকে হঠাৎ বৃষ্টি। কোরবানির ঈদে তো কেবল সেজেগুজে ঘুরে বেড়ালেই চলে না, রান্নাঘরেই কেটে যায় দিনের বেশির ভাগ সময়। তাই বলে কি ঈদে নতুন পোশাক পরা হবে না? এই ঈদে সব দিক চিন্তা করে এমন পোশাক পরতে হবে, যা একই সঙ্গে আরাম দেবে, কাজ করতে অসুবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্ষাকালে কাঁচা মরিচের খেতে কেউ মরিচ তুলতে যেতে পারে না। কাঁচা মরিচের দাম বাড়লে সবাই চিৎকার করে। সবাইকে আহ্বান করব এখন থেকে কাঁচা মরিচ কিনে রোদে শুকিয়ে রাখেন, বর্ষাকালে যখন দাম বাড়বে তখন সেখান থেকে খাওয়া যাবে। একটু পানি লাগলেই তাজা হয়ে যায়, রান্না করে খাওয়া যায়, সহজ

সামনে আসছে বর্ষাকাল। এ সময় পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার হার বাড়তে থাকে। প্রতিবছরই এ ঘটনা ঘটে থাকে। গড় হিসাবমতে, এ সময় প্রতিদিন ৫০টির মতো করে শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কয়েক বছর (২০১৬) আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক পরিপত্র জারি করা

বিশ্বের যে দেশগুলো ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার করে থাকে সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার কীভাবে বন্যা প্রবণতা কমাতে ভূমিকা রাখে সেই সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি নিউ সায়েন্টিস্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ক