জাহাজ

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটিকে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার উপকূলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মাথায় কাছাকাছি আরেক স্থানে সরিয়ে নিয়েছে জলদস্যুরা। এরপর থেকে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। জিম্মি নাবিকদের পক্ষ থেকেও আজ শনিবার সারা দিন কোনো বার্তা আসেনি।

জিম্মি হওয়া এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি জাহাজে পাহারায় থাকা সোমালিয়ার চার জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতের নৌবাহিনী। ওই ছবিতে জাহাজের ওপরের দিকে ভারী অস্ত্র হাতে জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, ‘এমভি রুয়েন ব্যবহার করে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জাহাজ ছিনতাইয়ের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।’ তবে ভারত মহাসাগর বা এডেন উপসাগরের কোন এলাকায় এই অভিযান চালানো 

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর দখল নিতে অপর একটি ছিনতাই করা জাহাজ ব্যবহার করেছে সোমালি জলদস্যুরা। এমনটাই অনুমান করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভালফোর্স বা ইইউন্যাভফর। সংস্থাটি জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহে অন্তত ১২ জন জলদস্যু উঠেছে

সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ভারতের একটি যুদ্ধজাহাজ। একটি ভারতীয় উড়োজাহাজও টহল দিচ্ছে ওই এলাকায়।

সোমালি জলদস্যুদের কবজায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। চতুর্থ দিনের মতো নাবিকেরা জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে সাত নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল সমান ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার) দূরে নোঙর করা জাহাজটির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। 

গত বছরের ২৭ নভেম্বর জাহাজে ওঠেন। এর আগের দিন ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একই গ্রামের নারীর সঙ্গে কাবিন সম্পন্ন হয় নাবিক মো. সাজ্জাদ (২৮) হোসেনের। জাহাজ থেকে ফিরে আসার পর অনুষ্ঠান করে বউকে ঘরে তুলে আনার কথা রয়েছে। কিন্তু জলদস্যুদের হাতে এমভি আবদুল্লাহর জিম্মির খবরে দুশ্চিন্তা ভর করছে তাঁর

গত কয়েক বছরে জলদস্যুতার হুমকি ব্যাপক বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে জলদস্যুদের আক্রমণ, জাহাজ লুট বা জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমে হরহামেশাই প্রকাশ পায়। এমনকি মুক্তিপণ না পেয়ে জাহাজের নাবিকদের ক্ষতির ঘটনাও ঘটছে। এখন সাগরে জলদস্যুতা আর নির্দিষ্ট সামুদ্রিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বের আনাচে-কানাচে এই সমস

চলতি শুকনো মৌসুমে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে নাব্যতার সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে মেঘনা ও গজারিয়া নদীর দুই জায়গায় ভাটার সময় পানি তলানিতে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে করে যাত্রীবাহী লঞ্চ এবং মালবাহী জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বরিশাল নৌবন্দরেও নাব্যতার সংকট রয়েছে। সেখানে খনন চলছে।

২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর। আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মনি’। ১০০ দিন জিম্মি দশার পর জাহাজ ও তার ২৬ নাবিক মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই জাহাজে ছিলেন নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, জিম্মি দশার একপর্যায়ে জলদস্যুদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। দস্যুরা ম

জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সোমালিয়া উপকূলের ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে। জায়গাটি সোমালিয়ার গ্যারাকাড সমুদ্রতীরে বলে জানিয়েছেন 

ওদের হাতে একে ৪৭, মেশিনগান ও রকেট লঞ্চারের মতো ভারী অস্ত্রশস্ত্র থাকে। জাহাজ জিম্মি করে টাকা আদায় ওদের মূল উদ্দেশ্য। জাহাজ ধ্বংস করলে ওদের তো কোনো লাভ নেই

জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে নিরাপদে ফিরে পেতে জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনাই মূল উপায় হবে। জাহাজের মালিক ও বিমাকারী সংস্থাকে আলোচনার কৌশল ঠিক করাসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে...

মেট্রোরেলের মেশিনারিজ নিয়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি প্রিসিয়াস কোরাল’ নামে একটি বিদেশি জাহাজ। গতকাল বুধবার রাতে জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। 

২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহর পিছু নেওয়া জাহাজ থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। দস্যুরা বাংলাদেশিদের হত্যার হুমকি দিলে গুলি থেমে যায় বলে পরিবারের কাছে অডিও বার্তা দিয়েছেন জাহাজের এক নাবিক।

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ পড়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে। বাংলাদেশি জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে। আর জাহাজটিকে অনুসরণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি জাহাজ। গতকাল বুধবার ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে খবরটি জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা

মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর জাহান মনি নিজেদের কবজায় নেওয়ার পর সোমালি ডাকাতেরা জাহাজটিকে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় ছিনতাই হওয়া আরও ২২-২৩টি জাহাজ। এর মধ্যে একমাত্র জাহান মনি কর্তৃপক্ষ মুক্তিপণের মাধ্যমে আমাদের সুরক্ষিত অবস্থায় মুক্ত করে আনে। এমভি আবদুল্লাহর বেলায়ও সেটা