জাহাজ

সোমালি জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আব্দুল্লাহকে জলদস্যুতার কাজে ব্যবহার করা হয় কি না, সেদিকে আমরা সতর্ক নজর রাখছি। গতকাল শনিবার ভারতের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এ কথা বলেন।

ভারত মহাসাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটির সঙ্গে মালিক পক্ষের যোগাযোগের বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। দুদিন আগে দস্যুদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। তবে কী কথা হয়েছে সে ব্যাপার বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। 

এমভি আবদুল্লাহ থেকে সোমালি জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করেছিল ২০ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে। জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে এতে আলোচনার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আশ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু এরপর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও আর যোগাযোগ করেনি সোমালি জলদস্যুরা। এতে থমকে রয়েছে উভয় পক্ষে

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আর যোগাযোগ করেনি সোমালির জলদস্যুরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাযোগে এই বিরতি জলদস্যুদের কৌশল। নিজেদের গুরুত্ব বোঝাতে ও বেশি মুক্তিপণ নির্ধারণের জন্য তারা বিরতি দিচ্ছে। 

পশ্চিম ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুরা স্পিড বোটে করে বাংলাদেশি জাহাজ আবদুল্লাহকে ধাওয়া করলে নাবিকেরা জরুরি সতর্ক সংকেত পাঠিয়েছিল। কিন্তু সময়মতো তাঁদের কাছে কেউ পৌঁছায়নি। ফলে জলদস্যুরা আবদুল্লাহর ওপরে উঠে পড়ে ফাঁকা গুলি চালায় এবং ক্যাপ্টেন ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে।

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পেরিয়েছে ৯ দিন। অবশেষে যোগাযোগ করেছে দস্যুরা। তবে তারা কী বলেছে, সে নিয়ে কিছু বলছে না জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা শুধু বলছে, জিম্মি জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে আলোচনার পথ খুলেছে।

সম্প্রতি সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে নাবিকসহ মাল্টার পতাকাবাহী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতের নৌবাহিনী। এই অভিযানে জাহাজে থাকা ৩৫ জলদস্যুকেও আটক করেছে তারা। ওই জলদস্যুদের এবার ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা। 

ভারতীয় নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, প্রায় দুই দিন ধরে চলা জলদস্যু বিরোধী অভিযানের সময় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক ডজন জলদস্যুকে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আলোচনার দুয়ার খুলল। মুক্তিপণ নিয়ে দেনদরবারের জটও খুলে গেল। ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি দশার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। 

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারের প্রক্রিয়া নিয়ে উভয়সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাহাজের মালিকপক্ষও এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। দস্যুদের পক্ষ থেকেও কোনো যোগাযোগ করা হচ্ছে না। এ দিকে থেকেও যোগাযোগের সূত্র মিলছে না।

উন্নত ড্রোনের মাধ্যমেই সংখ্যাগতভাবে শক্তিশালী রুশ বাহিনীকে জব্দ করতে পারবে বলে আশা করছে ইউক্রেন। গতকাল সোমবার টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রধান কমান্ডার ওলেকসান্দার সিরস্কি চালকবিহীন ড্রোনকে ইউক্রেনের আশার আলো হিসেবে উল্লেখ করেন।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারের কোনো তৎপরতা এখনও শুরু হয়নি। ভারত মহাসাগরে টহলে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী (ইইউ নেভি) ও ভারতীয় নৌবাহিনীও দূর থেকে নজরদারি চালাচ্ছে। 

ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং এর মধ্যে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর একটি সম্মিলিত দল। বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। 

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ার ছয় দিন হলো। জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধারে দস্যু পক্ষ ও জাহাজ মালিকপক্ষের তরফে নতুন কোনো তথ্য নেই। জাহাজের সর্বশেষ অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর এক নাবিকের সঙ্গে জাহাজ মালিকপক্ষের মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা বলা

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে ১৭ নাবিকসহ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এই জাহাজ জিম্মি করে রাখা ৩৫ সোমালি জলদস্যুও আত্মসমর্পণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে ভারতের নৌবাহিনী এ তথ্য জানায়।

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ছিনতাই হওয়ার ছয় দিন হতে চলল। প্রতীক্ষিত মুক্তিপণের জন্য এখনও জলদস্যুদের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। ইইউ নেভির সর্বশেষ তথ্য বলছে, সোমালিয়ার ৩টি জায়গায় এই জলদস্যুদের আস্তানা আছে। সেসব জায়গা থেকে জাহাজ ছিনতাইয়ের কর্মকাণ্ডে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।

ভারত মহাসাগরে পূর্ব আফ্রিকার উপকূল দিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমালিয়ার জলদস্যুরা প্রথমে একটি ছোট যানে করে আসে। এক জলদস্যু জাহাজটিতে ওঠার চেষ্টা করে।