কোরবানি

বিভিন্ন বাজার ও কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, কামারের দোকানগুলোয় লাল আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং আওয়াজ চলছে দিনরাত

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এসব অভিযানে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ

স্টেশনের দুই পাশের সচল ও অচল রেললাইন দখল করে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসেছে পশুর হাট। প্রচুর গরু, ছাগল ও ভেড়ার পাশাপাশি ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। হঠাৎ সান্তাহার থেকে বগুড়াগামী একটি ট্রেন আসার সংকেত পেলে ইজারাদারের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গরু ও লোকজন সরিয়ে নিতে বলা হয়।

আরবি কোরবানি শব্দটির অর্থ ত্যাগ ও নৈকট্য। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিশুদ্ধ নিয়তে স্বার্থত্যাগ, আত্মত্যাগ ও সম্পদত্যাগই হলো কোরবানি। কোরবানির ক্ষেত্রে নিয়তের বিশুদ্ধতা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(কোরবানির) এসব পশুর রক্ত, মাংস আল্লাহর কাছে কিছুই পৌঁছে না। বরং তোমাদের পক্ষ থেকে তাকওয়াই...

আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশের ৬টি মহাসড়কের ১১৮ স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশ। এই ৬ মহাসড়কের পাশেই বসছে ২৩০টি পশুর হাট। এসব হাটকে কেন্দ্র করে পশুবাহী ট্রাকের যাতায়াত, সড়কে দাঁড়িয়ে পশু নামানো-ওঠানো ইত্যাদির কারণে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ...

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার দনিয়া কলেজ মাঠে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। ইতিমধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার খামারিরা ট্রাকভর্তি গরু আনা শুরু করেছেন। যদিও ঈদের সাত দিন বাকি রয়েছে।

উপজেলায় ৮২৫টি তালিকাভুক্ত খামার থাকলেও চলতি বছর স্থানীয়ভাবে ১৮ হাজার ৯৫০টি পশু প্রস্তুত হয়েছে, যা উপজেলার চাহিদা ২১ হাজার ২৩৩টির তুলনায় প্রায় ২ হাজার ২৮৩টি কম। এ ঘাটতি পূরণে আশপাশের এলাকা থেকে পশু আনার পরিকল্পনা রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের।

কোরবানির ঈদের আনন্দ যেন খাওয়াদাওয়াতেই। আর এই ঈদে গরু বা খাসির মাংসের বিভিন্ন আইটেম তৈরি হয়। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকটা দিন চলবে প্রতি বেলায় মাংসের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবারের সমাহার।

কোরবানি দেওয়া হয় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য; তাঁর আনুগত্য স্বীকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য। এই বিধান শুধু আমাদের জন্যই নয়, সেই আদম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। প্রত্যেক নবীর সময় কোরবানির এই মহান বিধান ছিল। প্রত্যেক নবীর উম্মতদের আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনে এই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।

এবার এত পশু থাকলেও হাটে ক্রেতার ভিড় তুলনামূলক কম। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের দাম বেশি। অনেকেই আশা করছেন, শেষ সময়ে দাম কিছুটা কমবে। তবে খামারিরা বলছেন, খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।

সন্তান জন্মের পর মা-বাবার গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য হলো—তার নামে আকিকা করা। নবী করিম (সা.) বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আকিকার সঙ্গে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু জবাই করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১৬৫)

উপজেলার প্রধান গরুর হাট বেতাগায় প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে গড়ে প্রায় ১০ হাজার গরু আসে। এছাড়া ফকিরহাট অস্থায়ী পশুহাটেও আশপাশের উপজেলা থেকে কোরবানির পশু আসে। তবে বাইরের পশুর চেয়ে স্থানীয়ভাবে লালন-পালিত পশুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লালিত গরু পছন্দ করছেন ক্রেতারা।

উপজেলার ছোট-বড় মিলে প্রায় ৫০টি খামার এবং ১৫০-১৭০টি পরিবারে কোরবানির জন্য প্রায় তিন হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব পশুকে ৭০ শতাংশ সবুজ ঘাস ও খড় এবং ৩০ শতাংশ খৈল-ভুসি খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। ফলে এ গরুগুলোর মাংস তুলনামূলকভাবে সুস্বাদু এবং চর্বিমুক্ত বলে দাবি করছেন খামারিরা।

রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ভাটেরহদ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত এই খামারে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে দুই শতাধিক গরু ও মহিষ। এসব পশুর বাজারমূল্য শুরু হয়েছে ৯০ হাজার টাকা থেকে, যার মধ্যে কিছু গরুর দাম ১০ লাখ টাকাও ছাড়িয়েছে।

জীবিত সন্তানের জন্য আকিকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুআক্কাদাহ বলেছেন।

কোরবানি মুসলমানদের জন্য অন্যতম বিধান। কেবল সামর্থ্যবানদের জন্যই কোরবানি ওয়াজিব বা আবশ্যক। যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরা কোরবানি করলে সওয়াবের অধিকারী হবেন। তবে কোরবানির পশু কেনার পর যদি তা চুরি হয়ে যায়, হারিয়ে যায় বা মারা যায়, তাহলে করণীয় কী?

কোরবানির পশুর সংকট তৈরি করে যাতে দাম বাড়াতে না পারে, সে জন্য বৈষম্যবিরোধী ও সিটিজেন ফোরামের (কমিউনিটি পুলিশ) সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। আজ সোমবার সিএমপি কার্যালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ‘নিরাপত্তা সমন্বয় সভায়’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।