তানবিরুল হক আবিদ
জীবিত সন্তানের জন্য আকিকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুআক্কাদাহ বলেছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাতি হাসান ও হোসাইনের পক্ষ থেকে দুটি করে বকরি জবেহ করেছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আকিকা মূলত জীবিত সন্তানের জন্য করা মোস্তাহাব। আকিকা করার আগে সন্তান মারা গেলে এর তেমন গুরুত্ব থাকে না। অবশ্য কোনো কোনো ইসলামবিষয়ক গবেষক মৃত সন্তানের জন্য আকিকা করার কথাও বলেছেন।
তাই কেউ চাইলে মৃত সন্তানের আকিকা করতে পারবে। তবে সন্তান মারা যাওয়ার পর তার আকিকার বিষয়টি ততটা গুরুত্ব থাকে না। (আল-মাজমু: ৮/৪১২, আল-মওসুআতুল ফিকহিইয়াহ: ৩০/২৭৭, ফাতাওয়া রহিমিয়া: ১০/৬২)
সন্তান জন্ম নেওয়ার সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। তবে সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারলে ১৪তম দিন বা ২১তম দিন আকিকা করা সুন্নত।
হজরত বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সপ্তম দিন বা চতুর্দশ দিন অথবা একুশতম দিন আকিকা কর।’ (জামে তিরমিজি)
আকিকা ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি করা সুন্নত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ও কন্যাসন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (জামে তিরমিজি)
উল্লেখ্য, আকিকার গোশত শিশুর মা-বাবাসহ সবাই খেতে পারবেন। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে আকিকার পশুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ পশুর কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না।
আকিকার পশুর চামড়া বিক্রি করলে, সে টাকা সদকা করে দিতে হবে। মাংস বিক্রি করা যাবে না। বরং মাংস খাবেন, সদকা করবেন ও যাকে ইচ্ছা উপহার হিসেবে দেবেন।
আরও খবর পড়ুন:
জীবিত সন্তানের জন্য আকিকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুআক্কাদাহ বলেছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাতি হাসান ও হোসাইনের পক্ষ থেকে দুটি করে বকরি জবেহ করেছেন।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আকিকা মূলত জীবিত সন্তানের জন্য করা মোস্তাহাব। আকিকা করার আগে সন্তান মারা গেলে এর তেমন গুরুত্ব থাকে না। অবশ্য কোনো কোনো ইসলামবিষয়ক গবেষক মৃত সন্তানের জন্য আকিকা করার কথাও বলেছেন।
তাই কেউ চাইলে মৃত সন্তানের আকিকা করতে পারবে। তবে সন্তান মারা যাওয়ার পর তার আকিকার বিষয়টি ততটা গুরুত্ব থাকে না। (আল-মাজমু: ৮/৪১২, আল-মওসুআতুল ফিকহিইয়াহ: ৩০/২৭৭, ফাতাওয়া রহিমিয়া: ১০/৬২)
সন্তান জন্ম নেওয়ার সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। তবে সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারলে ১৪তম দিন বা ২১তম দিন আকিকা করা সুন্নত।
হজরত বুরায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সপ্তম দিন বা চতুর্দশ দিন অথবা একুশতম দিন আকিকা কর।’ (জামে তিরমিজি)
আকিকা ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি করা সুন্নত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ও কন্যাসন্তানের জন্য একটি পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (জামে তিরমিজি)
উল্লেখ্য, আকিকার গোশত শিশুর মা-বাবাসহ সবাই খেতে পারবেন। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে আকিকার পশুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ পশুর কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না।
আকিকার পশুর চামড়া বিক্রি করলে, সে টাকা সদকা করে দিতে হবে। মাংস বিক্রি করা যাবে না। বরং মাংস খাবেন, সদকা করবেন ও যাকে ইচ্ছা উপহার হিসেবে দেবেন।
আরও খবর পড়ুন:
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১১ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১১ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১৪ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে