মইনুল হাসান
ফরাসি লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫) গল্প বলার ছলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। ১৮৬৩ সালে প্রকাশিত তাঁর লেখা ‘বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ’ কল্পকাহিনি তাঁকে যশের সঙ্গে অর্থের প্রাচুর্য এনে দিয়েছিল।
বেলুনে ভর করে আকাশে উড়ে উড়ে তিন ইংরেজ অভিযাত্রীর রহস্যময় আফ্রিকা মহাদেশে দুঃসাহসী অভিযান পাঠকের মনে দাগ কেটেছিল। সে সময় উড়োজাহাজ ছিল কষ্টকল্পনা। আজ জুল ভার্ন বেঁচে নেই। তাঁর কল্পনা, চিন্তাভাবনা বেঁচে আছে। এখন কল্পনায় নয়, বাস্তবে বেলুনে ভ্রমণের আয়োজন করতে যাচ্ছে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান জ্যফালতো, অন্যটি আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ভিউ।
প্রতিষ্ঠান দুটি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে যাবে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে অন্তহীন এবং রহস্যময় মহাকাশে। দুটি প্রতিষ্ঠানই বিশাল বেলুনে জুড়ে দেওয়া ক্যাপসুলে করে পৃথিবী ছাড়িয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার বা ১৬ মাইল ওপরে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্ত মণ্ডলে আরামদায়ক ভ্রমণের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। বেলুনে ভ্রমণ হবে পরিবেশবান্ধব। জ্বালানি খরচ করতে হবে না বলে কার্বন নিঃসরণের কোনো বালাইও থাকবে না।
১৩০ মিটার বা ৪২৭ ফুট দীর্ঘ বিশাল একটি বেলুন মাত্র দুই ঘণ্টায় হিলিয়াম গ্যাসে পূর্ণ করা যাবে। বেলুনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ঠাসা একটি চমৎকার ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুলে একসঙ্গে আটজন পর্যটক ও দুজন ক্রু থাকবেন। পর্যটকেরা শান্ত মণ্ডলে শান্তচিত্তে ক্যাপসুলের প্রশস্ত জানালা দিয়ে একসঙ্গে পৃথিবীর বক্র পৃষ্ঠের ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তাঁদের গলা ভেজানোর ব্যবস্থাও থাকবে। ছয় ঘণ্টার এমন ভ্রমণে জ্যফালতোর টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয়েছে
১ লাখ ২০ হাজার ইউরো। আর ওয়ার্ল্ড ভিউর টিকিটের মূল্য ৪৮ হাজার ইউরো।
প্রতিষ্ঠান দুটি ২০২৪ সাল থেকে পূর্ণোদ্যমে নিয়মিতভাবে মহাকাশে বাণিজ্যিক পর্যটন চালু করবে। বছরে ৬০ বার পর্যটকদের মহাকাশে আনা-নেওয়া করবে। ওয়ার্ল্ড ভিউর ৬০০ টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। আর জ্যফালতোর টিকিটের জন্য ৫ হাজার ইউরো অগ্রিম জমা দিয়েছেন ৪৫০ জন।
লো কস্ট, অর্থাৎ সস্তা, নিরাপদ, আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব প্রশিক্ষণের ঝামেলাহীন এবং দীর্ঘ সময় ভ্রমণের ঝকঝকে বিজ্ঞাপনে অনেকেই মহাকাশ ছুঁয়ে দেখতে চাইবেন—এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে বিস্মিত হতে হয় এই ভেবে যে ১৫৯ বছর আগে জুল ভার্ন কী করে ভেবেছিলেন বেলুনে ভ্রমণের কথা!
ছবি ও তথ্য: জ্যফালতো, ফ্রান্স
ফরাসি লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫) গল্প বলার ছলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। ১৮৬৩ সালে প্রকাশিত তাঁর লেখা ‘বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ’ কল্পকাহিনি তাঁকে যশের সঙ্গে অর্থের প্রাচুর্য এনে দিয়েছিল।
বেলুনে ভর করে আকাশে উড়ে উড়ে তিন ইংরেজ অভিযাত্রীর রহস্যময় আফ্রিকা মহাদেশে দুঃসাহসী অভিযান পাঠকের মনে দাগ কেটেছিল। সে সময় উড়োজাহাজ ছিল কষ্টকল্পনা। আজ জুল ভার্ন বেঁচে নেই। তাঁর কল্পনা, চিন্তাভাবনা বেঁচে আছে। এখন কল্পনায় নয়, বাস্তবে বেলুনে ভ্রমণের আয়োজন করতে যাচ্ছে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান জ্যফালতো, অন্যটি আমেরিকান প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ভিউ।
প্রতিষ্ঠান দুটি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে যাবে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে অন্তহীন এবং রহস্যময় মহাকাশে। দুটি প্রতিষ্ঠানই বিশাল বেলুনে জুড়ে দেওয়া ক্যাপসুলে করে পৃথিবী ছাড়িয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার বা ১৬ মাইল ওপরে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্ত মণ্ডলে আরামদায়ক ভ্রমণের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। বেলুনে ভ্রমণ হবে পরিবেশবান্ধব। জ্বালানি খরচ করতে হবে না বলে কার্বন নিঃসরণের কোনো বালাইও থাকবে না।
১৩০ মিটার বা ৪২৭ ফুট দীর্ঘ বিশাল একটি বেলুন মাত্র দুই ঘণ্টায় হিলিয়াম গ্যাসে পূর্ণ করা যাবে। বেলুনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ঠাসা একটি চমৎকার ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুলে একসঙ্গে আটজন পর্যটক ও দুজন ক্রু থাকবেন। পর্যটকেরা শান্ত মণ্ডলে শান্তচিত্তে ক্যাপসুলের প্রশস্ত জানালা দিয়ে একসঙ্গে পৃথিবীর বক্র পৃষ্ঠের ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তাঁদের গলা ভেজানোর ব্যবস্থাও থাকবে। ছয় ঘণ্টার এমন ভ্রমণে জ্যফালতোর টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয়েছে
১ লাখ ২০ হাজার ইউরো। আর ওয়ার্ল্ড ভিউর টিকিটের মূল্য ৪৮ হাজার ইউরো।
প্রতিষ্ঠান দুটি ২০২৪ সাল থেকে পূর্ণোদ্যমে নিয়মিতভাবে মহাকাশে বাণিজ্যিক পর্যটন চালু করবে। বছরে ৬০ বার পর্যটকদের মহাকাশে আনা-নেওয়া করবে। ওয়ার্ল্ড ভিউর ৬০০ টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। আর জ্যফালতোর টিকিটের জন্য ৫ হাজার ইউরো অগ্রিম জমা দিয়েছেন ৪৫০ জন।
লো কস্ট, অর্থাৎ সস্তা, নিরাপদ, আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব প্রশিক্ষণের ঝামেলাহীন এবং দীর্ঘ সময় ভ্রমণের ঝকঝকে বিজ্ঞাপনে অনেকেই মহাকাশ ছুঁয়ে দেখতে চাইবেন—এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে বিস্মিত হতে হয় এই ভেবে যে ১৫৯ বছর আগে জুল ভার্ন কী করে ভেবেছিলেন বেলুনে ভ্রমণের কথা!
ছবি ও তথ্য: জ্যফালতো, ফ্রান্স
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি, মোবাইল স্ট্রিট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রিকো ইমেজিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর চীনের বেইজিংয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারত্বের ঘোষণা দেওয়া হবে।
৬ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘ভিশনএক্সন: এআই-পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসইডিইউ)।
৯ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইল লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারবেন। ফলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (যেমন—হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক) কোনো ব্যবহারকারীকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
১ দিন আগেতথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
৩ দিন আগে