বাস্তবতা হলো, স্টারলিংকের প্রযুক্তিগত কাঠামো মূলত শহরকেন্দ্রিক জীবনধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ফিচার ডেস্ক
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ইলন মাস্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা শুরুর ঘোষণা দেন। এর নাম দেওয়া হয় স্টারলিংক। পৃথিবীর যেকোনো কোণে, এমনকি দুর্গম ও পাহাড়ি অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয় এই প্রকল্প। প্রথমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেওয়া হয়। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় এবং ২০১৯ সালের মে মাসে ৬০টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এখন স্টারলিংকের স্যাটেলাইটের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৪২ হাজারে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্টারলিংক কীভাবে কাজ করে
স্টারলিংক ইন্টারনেট সরাসরি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডিভাইসে পৌঁছায়। এটি ডাইরেক্ট-টু-হোম সেবার মতো। একটি স্যাটেলাইট ডিশ বাড়ির ছাদে স্থাপন করতে হয়। সেই ডিভাইস স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সরবরাহ করে। স্টারলিংকের ডাউনলোড গতি ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস এবং আপলোড গতি ৫ থেকে ২০ এমবিপিএস। ভবিষ্যতে স্টারলিংক ১ জিবিপিএস স্পিড পর্যন্ত সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে। স্টারলিংক অন্যান্য স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। কারণ, এটি লো-অরবিট স্যাটেলাইট ব্যবহার করে। এর ফলে সিগন্যালে ল্যাটেন্সি বা দেরি কম থাকে এবং ইন্টারনেটের গতি অনেক বেশি।
স্টারলিংকের ব্যবহার
বাংলাদেশে স্টারলিংকের থাকছে দুটি প্যাকেজ
প্রাথমিকভাবে দুটি ভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করছে স্টারলিংক। এই প্যাকেজ দুটি হলো, স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং স্টারলিংক রেসিডেন্স লাইট। স্টারলিংক রেসিডেন্স প্যাকেজের জন্য মাসিক খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার
টাকা এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজ যাঁরা ব্যবহার করবেন, তাঁদের প্রতি মাসে গুনতে হবে ৪ হাজার ২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজেই ব্যবহারকারীদের ৪৭ হাজার টাকার এককালীন যন্ত্রপাতি ক্রয়মূল্য পরিশোধ করতে হবে, যা ডিশ, রাউটার ও প্রয়োজনীয় কেব্ল সংযোগের খরচ হিসেবে
ধরা হয়েছে। সেবাদাতারা জানিয়েছেন, এই প্যাকেজে কোনো ধরনের স্পিড ক্যাপ বা ডেটা লিমিট নেই। গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি এবং আনলিমিটেড
ডেটা উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশে স্টারলিংক প্যাকেজ নিতে আগ্রহী গ্রাহকেরা স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে কিংবা নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযোগের জন্য অর্ডার দিতে পারবেন।
স্টারলিংক ব্যবহারে বিভিন্ন সমস্যা
স্টারলিংক কি দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে
স্টারলিংকের স্যাটেলাইটগুলোর কার্যকাল ধরা হয়েছে ৫ থেকে ৭ বছর। এগুলো বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে। যদি কোনো স্যাটেলাইট অন্য কারও সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করে, তবে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদে স্থান পরিবর্তন করতে পারে। এ ছাড়া স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসার সময় সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায়। এর কোনো ক্ষতিকর অংশ পৃথিবীতে পড়ে না।
স্টারলিংক শুধু একটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন
নয়; এটি পৃথিবীজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক বিপ্লব। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় সুযোগ হতে পারে। কারণ, গ্রামীণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। স্টারলিংকের মাধ্যমে সেখানে সবাই দ্রুত, সহজ এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সেবা পাবে। এতে শিক্ষা, ব্যবসা এবং সরকারের ডিজিটাল বিভিন্ন কার্যক্রমের আরও উন্নয়ন হবে।
সূত্র: ডেকান হেরাল্ড
আরও খবর পড়ুন:
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ইলন মাস্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা শুরুর ঘোষণা দেন। এর নাম দেওয়া হয় স্টারলিংক। পৃথিবীর যেকোনো কোণে, এমনকি দুর্গম ও পাহাড়ি অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয় এই প্রকল্প। প্রথমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেওয়া হয়। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয় এবং ২০১৯ সালের মে মাসে ৬০টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এখন স্টারলিংকের স্যাটেলাইটের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৪২ হাজারে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্টারলিংক কীভাবে কাজ করে
স্টারলিংক ইন্টারনেট সরাসরি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডিভাইসে পৌঁছায়। এটি ডাইরেক্ট-টু-হোম সেবার মতো। একটি স্যাটেলাইট ডিশ বাড়ির ছাদে স্থাপন করতে হয়। সেই ডিভাইস স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সরবরাহ করে। স্টারলিংকের ডাউনলোড গতি ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস এবং আপলোড গতি ৫ থেকে ২০ এমবিপিএস। ভবিষ্যতে স্টারলিংক ১ জিবিপিএস স্পিড পর্যন্ত সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে। স্টারলিংক অন্যান্য স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। কারণ, এটি লো-অরবিট স্যাটেলাইট ব্যবহার করে। এর ফলে সিগন্যালে ল্যাটেন্সি বা দেরি কম থাকে এবং ইন্টারনেটের গতি অনেক বেশি।
স্টারলিংকের ব্যবহার
বাংলাদেশে স্টারলিংকের থাকছে দুটি প্যাকেজ
প্রাথমিকভাবে দুটি ভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করছে স্টারলিংক। এই প্যাকেজ দুটি হলো, স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং স্টারলিংক রেসিডেন্স লাইট। স্টারলিংক রেসিডেন্স প্যাকেজের জন্য মাসিক খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার
টাকা এবং রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজ যাঁরা ব্যবহার করবেন, তাঁদের প্রতি মাসে গুনতে হবে ৪ হাজার ২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজেই ব্যবহারকারীদের ৪৭ হাজার টাকার এককালীন যন্ত্রপাতি ক্রয়মূল্য পরিশোধ করতে হবে, যা ডিশ, রাউটার ও প্রয়োজনীয় কেব্ল সংযোগের খরচ হিসেবে
ধরা হয়েছে। সেবাদাতারা জানিয়েছেন, এই প্যাকেজে কোনো ধরনের স্পিড ক্যাপ বা ডেটা লিমিট নেই। গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি এবং আনলিমিটেড
ডেটা উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশে স্টারলিংক প্যাকেজ নিতে আগ্রহী গ্রাহকেরা স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে কিংবা নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযোগের জন্য অর্ডার দিতে পারবেন।
স্টারলিংক ব্যবহারে বিভিন্ন সমস্যা
স্টারলিংক কি দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে
স্টারলিংকের স্যাটেলাইটগুলোর কার্যকাল ধরা হয়েছে ৫ থেকে ৭ বছর। এগুলো বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে। যদি কোনো স্যাটেলাইট অন্য কারও সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করে, তবে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদে স্থান পরিবর্তন করতে পারে। এ ছাড়া স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসার সময় সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায়। এর কোনো ক্ষতিকর অংশ পৃথিবীতে পড়ে না।
স্টারলিংক শুধু একটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন
নয়; এটি পৃথিবীজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক বিপ্লব। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় সুযোগ হতে পারে। কারণ, গ্রামীণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। স্টারলিংকের মাধ্যমে সেখানে সবাই দ্রুত, সহজ এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সেবা পাবে। এতে শিক্ষা, ব্যবসা এবং সরকারের ডিজিটাল বিভিন্ন কার্যক্রমের আরও উন্নয়ন হবে।
সূত্র: ডেকান হেরাল্ড
আরও খবর পড়ুন:
ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, ‘আমরা ড. ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় চাই’—এই রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করে এসব পেজ মূলত তাদের ব্যবসায়িক কনটেন্ট প্রচার করছে, যার সঙ্গে বাস্তবে রাজনীতির কোনো সম্পর্কই নেই।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের যুগে ল্যাপটপ শুধু কাজের যন্ত্রই নয়, বরং এটি ধারণ করে হাজার হাজার গুরুত্বপূর্ণ নথি, ছবি ও প্রিয় স্মৃতির সংরক্ষণ। ল্যাপটপ হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে শুধু কাজের বিঘ্নই ঘটে না, হারিয়ে যায় মূল্যবান তথ্যও। তাই এমন দুর্ঘটনা ঘটলে কী করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন সমস্যা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত...
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল এবার গেমারদের জন্য নিয়ে আসছে আলাদা গেমিং অ্যাপ। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের খ্যাতনামা সাংবাদিক মার্ক গুরম্যানের বরাতে জানা গেছে, অ্যাপলের এই নতুন গেমিং অ্যাপ চলতি বছরের শেষ দিকে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক এবং অ্যাপল টিভিতে প্রি-ইনস্টল করা থাকবে।
১২ ঘণ্টা আগেঅবশেষে আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের জন্য চালু হলো হোয়াটসঅ্যাপ। ২০০৯ সালে হোয়াটসঅ্যাপ চালু হলেও এবং এর এক বছর পর প্রথম আইপ্যাড বাজারে আসার পর এত দিন ব্যবহারকারীদের জন্য আইপ্যাডে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের জন্য আলাদা কোনো অ্যাপ ছিল না। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে, সোমবার অ্যাপ স্টোরে উন্মুক্ত হয়েছে অ্যাপটি..
১৫ ঘণ্টা আগে