ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর একটি নতুন ট্রেন্ড দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। একে ‘এমএটিজিএ আন্দোলন’ বলা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয় ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (এমএজিএ) স্লোগানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ হিসেবে উঠে এসেছে ‘মেক অ্যাকুয়া তোফানা গ্রেট এগেন’ বা এমএটিজিএ আন্দোলনটি। এই আন্দোলনে মার্কিন নারীরা এমন ‘কল্পনায় স্বামীকে হত্যা’ বিষয়ক ভিডিও তৈরি করছেন, যেখানে তারা পুরুষদের পানীয়ে মরণঘাতী বিষ মেশানোর দৃশ্য দেখাচ্ছেন।
এই আন্দোলনটি বিশেষভাবে ১৭শ শতকের ইতালীয় নারী জুলিয়া তোফানা-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। যারা বাড়িতে স্বামীর কাছে সহিংসতার শিকার হতেন তাদের কাছে ‘অ্যাকুয়া তোফানা’ নামের বিষ বিক্রি করতেন তিনি। নিজের অত্যাচারী স্বামী হত্যার জন্য সেই বিষ ব্যবহার করা হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউজউইক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘এমএটিচজিএ আন্দোলন’-এর সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোতে নারীরা হাস্যোজ্জ্বল মুখে অজানা পদার্থ পানীয়তে মেশাতে দেখা যায়। কিছু ভিডিওতে নারীরা এমন আংটি দেখায়, যাতে বিষ রাখা যায়।
নতুন ট্রেন্ডটি ‘জুলিয়া তোফানা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু হয়েছে। তার আবিষ্কৃত বিখ্যাত ‘অ্যাকুয়া তোফানা’ বিষ ছিল একটি মরণঘাতী অদৃশ্য বিষ, যা পুরো ইতালি জুড়ে ব্যবহৃত হতো। বিষটি মানুষের শরীরে প্রবেশের পরে এটি শনাক্ত করা যেত না। তাই এটি খ্যাতি লাভ করেছিল। এই বিষটি সাধারণত দৈনন্দিন প্রসাধনী পণ্যে লুকিয়ে রাখা হতো। এর ফলে স্বামীরা কখনোই বুঝতে পারতেন না যে, তাদের পানীয় বা খাদ্য বিষাক্ত হয়ে গেছে এবং তাদের মৃত্যু আসন্ন।
নারীর প্রজনন ও পোশাকের স্বাধীনতার জন্য ‘শরীর আমার, পছন্দ আমার’—স্লোগানটি গোটা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু ট্রাম্পের জয়ের পর স্লোগানটি ‘ইউওর বডি মাই চয়েস’ (শরীর তোমার, পছন্দ আমার) উল্টো ব্যবহার হচ্ছে। এই নারীবিদ্বেষী উক্তির পর আন্দোলনটির উদ্ভব হয়েছে।
এই ধরনের স্লোগান ভাইরাল হওয়ার পর পুরুষেরা অপরিচিত নারীদের অনলাইনে মেসেজ পাঠিয়ে তাদের জানানোর চেষ্টা করেছিল যে, ‘তাদের শরীর আর তাদের নিজের নয়’। মূলত এই বাড়তে থাকা নারীবিদ্বেষী ঘৃণার বিরুদ্ধে এক প্রতিক্রিয়া হলো—এমএটিজিএ আন্দোলন।
অনলাইনে কিছু মানুষ এই নতুন আন্দোলনটিকে নারীর অধিকারের দীর্ঘকালীন সংগ্রামের একটি আধুনিক স্মারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে সমালোচকরা বলেছেন, এমন একটি মারাত্মক বিষের কথা এই ট্রেন্ডে উল্লেখ করা হয়েছ যে, এটি মজা করে বললেও ভুল বার্তা বহন করছে। তাদের মতে, এই ধরনের বিষয়গুলো নিছক কল্পনা বা প্রতিবাদ হিসেবে দেখানো হলেও এটি সহিংসতা প্রচার করতে পারে, যা মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
একজন টিকটকার এই ট্রেন্ড্রে অংশগ্রহণকারী নারীদের বিষ প্রয়োগের পরিণতি সম্পর্কে ভাবতে অনুরোধ করেছেন। তিনি একটি ভিডিওতে লেখেন, ‘তুমি কি জানো যে, ভিডিওগুলো পরবর্তীতে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে? কারণ ইন্টারনেটে একবার পোস্ট করলে তা চিরকাল থাকে। এছাড়া ২০২৪ সালের বিষ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি থেকে ১৬০০-এর দশক অনেক আলাদা।’
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) –কে সতর্ক করেছেন জর্জিয়ার প্রতিনিধি মারজোরি টেইলর গ্রিন। তিনি বলন, এসব ট্রেন্ড ‘হত্যার হুমকি’ এবং এটি তদন্ত করা উচিত। এই নারীরা অন্যদেরকে পুরুষদের বিষ প্রয়োগ করে হত্যার পদ্ধতি শেখাচ্ছে, কারণ তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি ক্ষুব্ধ।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর একটি নতুন ট্রেন্ড দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। একে ‘এমএটিজিএ আন্দোলন’ বলা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয় ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (এমএজিএ) স্লোগানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ হিসেবে উঠে এসেছে ‘মেক অ্যাকুয়া তোফানা গ্রেট এগেন’ বা এমএটিজিএ আন্দোলনটি। এই আন্দোলনে মার্কিন নারীরা এমন ‘কল্পনায় স্বামীকে হত্যা’ বিষয়ক ভিডিও তৈরি করছেন, যেখানে তারা পুরুষদের পানীয়ে মরণঘাতী বিষ মেশানোর দৃশ্য দেখাচ্ছেন।
এই আন্দোলনটি বিশেষভাবে ১৭শ শতকের ইতালীয় নারী জুলিয়া তোফানা-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। যারা বাড়িতে স্বামীর কাছে সহিংসতার শিকার হতেন তাদের কাছে ‘অ্যাকুয়া তোফানা’ নামের বিষ বিক্রি করতেন তিনি। নিজের অত্যাচারী স্বামী হত্যার জন্য সেই বিষ ব্যবহার করা হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউজউইক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘এমএটিচজিএ আন্দোলন’-এর সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোতে নারীরা হাস্যোজ্জ্বল মুখে অজানা পদার্থ পানীয়তে মেশাতে দেখা যায়। কিছু ভিডিওতে নারীরা এমন আংটি দেখায়, যাতে বিষ রাখা যায়।
নতুন ট্রেন্ডটি ‘জুলিয়া তোফানা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু হয়েছে। তার আবিষ্কৃত বিখ্যাত ‘অ্যাকুয়া তোফানা’ বিষ ছিল একটি মরণঘাতী অদৃশ্য বিষ, যা পুরো ইতালি জুড়ে ব্যবহৃত হতো। বিষটি মানুষের শরীরে প্রবেশের পরে এটি শনাক্ত করা যেত না। তাই এটি খ্যাতি লাভ করেছিল। এই বিষটি সাধারণত দৈনন্দিন প্রসাধনী পণ্যে লুকিয়ে রাখা হতো। এর ফলে স্বামীরা কখনোই বুঝতে পারতেন না যে, তাদের পানীয় বা খাদ্য বিষাক্ত হয়ে গেছে এবং তাদের মৃত্যু আসন্ন।
নারীর প্রজনন ও পোশাকের স্বাধীনতার জন্য ‘শরীর আমার, পছন্দ আমার’—স্লোগানটি গোটা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু ট্রাম্পের জয়ের পর স্লোগানটি ‘ইউওর বডি মাই চয়েস’ (শরীর তোমার, পছন্দ আমার) উল্টো ব্যবহার হচ্ছে। এই নারীবিদ্বেষী উক্তির পর আন্দোলনটির উদ্ভব হয়েছে।
এই ধরনের স্লোগান ভাইরাল হওয়ার পর পুরুষেরা অপরিচিত নারীদের অনলাইনে মেসেজ পাঠিয়ে তাদের জানানোর চেষ্টা করেছিল যে, ‘তাদের শরীর আর তাদের নিজের নয়’। মূলত এই বাড়তে থাকা নারীবিদ্বেষী ঘৃণার বিরুদ্ধে এক প্রতিক্রিয়া হলো—এমএটিজিএ আন্দোলন।
অনলাইনে কিছু মানুষ এই নতুন আন্দোলনটিকে নারীর অধিকারের দীর্ঘকালীন সংগ্রামের একটি আধুনিক স্মারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে সমালোচকরা বলেছেন, এমন একটি মারাত্মক বিষের কথা এই ট্রেন্ডে উল্লেখ করা হয়েছ যে, এটি মজা করে বললেও ভুল বার্তা বহন করছে। তাদের মতে, এই ধরনের বিষয়গুলো নিছক কল্পনা বা প্রতিবাদ হিসেবে দেখানো হলেও এটি সহিংসতা প্রচার করতে পারে, যা মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
একজন টিকটকার এই ট্রেন্ড্রে অংশগ্রহণকারী নারীদের বিষ প্রয়োগের পরিণতি সম্পর্কে ভাবতে অনুরোধ করেছেন। তিনি একটি ভিডিওতে লেখেন, ‘তুমি কি জানো যে, ভিডিওগুলো পরবর্তীতে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে? কারণ ইন্টারনেটে একবার পোস্ট করলে তা চিরকাল থাকে। এছাড়া ২০২৪ সালের বিষ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি থেকে ১৬০০-এর দশক অনেক আলাদা।’
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) –কে সতর্ক করেছেন জর্জিয়ার প্রতিনিধি মারজোরি টেইলর গ্রিন। তিনি বলন, এসব ট্রেন্ড ‘হত্যার হুমকি’ এবং এটি তদন্ত করা উচিত। এই নারীরা অন্যদেরকে পুরুষদের বিষ প্রয়োগ করে হত্যার পদ্ধতি শেখাচ্ছে, কারণ তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি ক্ষুব্ধ।
তথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
২ দিন আগে‘আরাত্তাই’ শব্দটি তামিল ভাষায় ‘আলাপ-আলোচনা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। ২০২১ সালে অ্যাপটি সীমিত পরিসরে চালু করা হলেও তখন খুব একটা সাড়া মেলেনি। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ বা স্বনির্ভরতা প্রচারণা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশীয় পণ্যের প্রতি জোর...
২ দিন আগেব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা এমন এক আন্তর্জাতিক চক্র ভেঙে দিয়েছে, যারা গত এক বছরে যুক্তরাজ্য থেকে ৪০ হাজার চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন চীনে পাচার করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ এটিকে ফোন চুরি রোধে যুক্তরাজ্যের ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’ বলে দাবি করেছে। এই অভিযানে ১৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা
৩ দিন আগেমার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল বড় আইনি ধাক্কার মুখে পড়েছে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট মোবাইল গেম নির্মাতা এপিক গেমসের পক্ষে রায় দিয়েছে, যা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোর বা ‘গুগল প্লে’ ব্যবস্থার ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
৩ দিন আগে