সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের তথ্য যাচাই করার জন্য ‘জরুরি ভিত্তিতে’ সহায়তার প্রয়োজন বলে সতর্ক করেছে ইউনেসকো। ফলোয়ারদের কাছে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য ইনফ্লুয়েন্সার ফ্যাক্টচেকিং বা তথ্য যাচাইয়ের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর প্রতিবেদনের মতে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুই-তৃতীয়াংশ তাঁদের তথ্যের সত্যতা যাচাই করেন না। ফলে তাঁরা এবং তাঁদের ফলোয়াররা মিথ্যা তথ্যের শিকার হতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সারদের ওপর একটি জরিপের মাধ্যমে ইউনেসকোর এই গবেষণার ফলাফল পাওয়া গেছে। তাদের কাজের গুণগত মান উন্নত করতে মিডিয়া ও শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্য যাচাইয়ের অভ্যাস কম থাকা মানে হচ্ছে, তারা মিথ্যা তথ্যের প্রতি আরও সংবেদনশীল। এটা জনসংযোগ এবং মিডিয়ায় মানুষের আস্থা কমিয়ে দিতে পারে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৬০ শতাংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেছেন যে, তাঁরা তাঁদের তথ্য শেয়ার করার আগে সেগুলোর সত্যতা যাচাই করেননি। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত সরকারি নথি এবং ওয়েবসাইটসহ আনুষ্ঠানিক উৎস ব্যবহার করেন না।
কনটেন্ট তৈরির সর্বাধিক সাধারণ উৎস ছিল ‘ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা সাক্ষাৎকার’। এরপর ছিল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিজের গবেষণা অথবা যাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলা, আর তৃতীয় অবস্থানে ছিল মূলধারা এবং এর বাইরের সংবাদ উৎসগুলো।
ইউনেসকোর গবেষণায় জানা গেছে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ৪০ শতাংশ অনলাইন উৎসের ‘জনপ্রিয়তা’, যা লাইক এবং ভিউর সংখ্যার মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। অনলাইনে লাইক ও ভিউকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা নির্ধারণ করে কনটেন্টটি বিশ্বাসযোগ্য কি না।
অনলাইন কোর্স চালু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাইট সেন্টার ফর জার্নালিজম ইন দ্য আমেরিকাস (যা টেক্সাস ইউনিভার্সিটির একটি অংশ) এর সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে ইউনেসকো। এই কোর্সের নাম ‘কীভাবে অনলাইনে একটি বিশ্বাসযোগ্য কণ্ঠস্বর হওয়া যায়’। এই কোর্সে তথ্য যাচাই বা ফ্যাক্টচেকিং এবং নির্বাচনী বা সংকটকালীন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরির ওপর বিভিন্ন মডিউল রয়েছে। ইউনেসকো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৯ হাজার ইনফ্লুয়েন্সার এক মাসের ফ্রি কোর্সটির জন্য নিবন্ধন করেছেন।
ইউনেসকোর মিডিয়া সাক্ষরতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আদেলিন হুলিন বলেছেন, কিছু ইনফ্লুয়েন্সার অবাক হয়েছেন যে, তাদের কাজকে সংবাদ সাংবাদিকতা হিসেবে দেখা হতে পারে। তাঁরা সাধারণত নিজেদের সেই শ্রেণিতে রাখতে চান না।
ফরাসি সাংবাদিক এবং জনপ্রিয় ‘নিউজ ইনফ্লুয়েন্সার’ সালোমে সাকু বলেন, অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাংবাদিকতার পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নন এবং তাঁদের কাজের প্রভাব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে। তিনি আরও বলেন, আরও পেশাদার সাংবাদিকদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের কাজ প্রচার করা উচিত।
ইউনেসকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রায় অর্ধেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেছেন, তাঁদের দেশের মুক্তবিশ্ব মতামত, মানহানি এবং কপিরাইট সম্পর্কিত আইনের প্রতি ‘আংশিক’ জ্ঞান রয়েছে। তবে তাঁরা নিজেদের এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য করবেন না।
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি জানতেন না যে, তাঁরা যে দেশে কাজ করছেন, সেখানে তাঁদের কাজ সম্পর্কিত কোনো নিয়মাবলি রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া কেবল অর্ধেক কনটেন্ট ক্রিয়েটরই স্পষ্টভাবে তাঁদের অনুসারীদের কাছে স্পনসর, দাতা বা তহবিলের উৎস সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে, ইনফ্লুয়েন্সারদের তাঁদের পোস্ট যদি স্পনসরড হয়, তবে তা ব্যবহারকারীদের জানাতে বাধ্য করা হয়।
ইউনেসকো ৪৫টি দেশ ও অঞ্চল থেকে ৫০০ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের একটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, যাঁদের বেশির ভাগই ইউরোপ ও এশিয়া থেকেন। তাঁরা বলেছেন, অধিকাংশ প্রতিক্রিয়া প্রদানকারী ৩৫ বছরের নিচে এবং ‘ন্যানো-ইনফ্লুয়েন্সার’, যারা ১০ হাজার ফলোয়ার অনুসারী পর্যন্ত নিয়ে থাকেন এবং তাঁদের প্রধান প্ল্যাটফর্ম হলো ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক। এদের প্রায় এক-চতুর্থাংশের অনুসারীর সংখ্যা ১ লাখ পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের তথ্য যাচাই করার জন্য ‘জরুরি ভিত্তিতে’ সহায়তার প্রয়োজন বলে সতর্ক করেছে ইউনেসকো। ফলোয়ারদের কাছে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য ইনফ্লুয়েন্সার ফ্যাক্টচেকিং বা তথ্য যাচাইয়ের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর প্রতিবেদনের মতে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুই-তৃতীয়াংশ তাঁদের তথ্যের সত্যতা যাচাই করেন না। ফলে তাঁরা এবং তাঁদের ফলোয়াররা মিথ্যা তথ্যের শিকার হতে পারেন।
ইনফ্লুয়েন্সারদের ওপর একটি জরিপের মাধ্যমে ইউনেসকোর এই গবেষণার ফলাফল পাওয়া গেছে। তাদের কাজের গুণগত মান উন্নত করতে মিডিয়া ও শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্য যাচাইয়ের অভ্যাস কম থাকা মানে হচ্ছে, তারা মিথ্যা তথ্যের প্রতি আরও সংবেদনশীল। এটা জনসংযোগ এবং মিডিয়ায় মানুষের আস্থা কমিয়ে দিতে পারে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৬০ শতাংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেছেন যে, তাঁরা তাঁদের তথ্য শেয়ার করার আগে সেগুলোর সত্যতা যাচাই করেননি। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত সরকারি নথি এবং ওয়েবসাইটসহ আনুষ্ঠানিক উৎস ব্যবহার করেন না।
কনটেন্ট তৈরির সর্বাধিক সাধারণ উৎস ছিল ‘ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা সাক্ষাৎকার’। এরপর ছিল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিজের গবেষণা অথবা যাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলা, আর তৃতীয় অবস্থানে ছিল মূলধারা এবং এর বাইরের সংবাদ উৎসগুলো।
ইউনেসকোর গবেষণায় জানা গেছে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ৪০ শতাংশ অনলাইন উৎসের ‘জনপ্রিয়তা’, যা লাইক এবং ভিউর সংখ্যার মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। অনলাইনে লাইক ও ভিউকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা নির্ধারণ করে কনটেন্টটি বিশ্বাসযোগ্য কি না।
অনলাইন কোর্স চালু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাইট সেন্টার ফর জার্নালিজম ইন দ্য আমেরিকাস (যা টেক্সাস ইউনিভার্সিটির একটি অংশ) এর সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে ইউনেসকো। এই কোর্সের নাম ‘কীভাবে অনলাইনে একটি বিশ্বাসযোগ্য কণ্ঠস্বর হওয়া যায়’। এই কোর্সে তথ্য যাচাই বা ফ্যাক্টচেকিং এবং নির্বাচনী বা সংকটকালীন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরির ওপর বিভিন্ন মডিউল রয়েছে। ইউনেসকো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৯ হাজার ইনফ্লুয়েন্সার এক মাসের ফ্রি কোর্সটির জন্য নিবন্ধন করেছেন।
ইউনেসকোর মিডিয়া সাক্ষরতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আদেলিন হুলিন বলেছেন, কিছু ইনফ্লুয়েন্সার অবাক হয়েছেন যে, তাদের কাজকে সংবাদ সাংবাদিকতা হিসেবে দেখা হতে পারে। তাঁরা সাধারণত নিজেদের সেই শ্রেণিতে রাখতে চান না।
ফরাসি সাংবাদিক এবং জনপ্রিয় ‘নিউজ ইনফ্লুয়েন্সার’ সালোমে সাকু বলেন, অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাংবাদিকতার পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নন এবং তাঁদের কাজের প্রভাব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে। তিনি আরও বলেন, আরও পেশাদার সাংবাদিকদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের কাজ প্রচার করা উচিত।
ইউনেসকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রায় অর্ধেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেছেন, তাঁদের দেশের মুক্তবিশ্ব মতামত, মানহানি এবং কপিরাইট সম্পর্কিত আইনের প্রতি ‘আংশিক’ জ্ঞান রয়েছে। তবে তাঁরা নিজেদের এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য করবেন না।
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি জানতেন না যে, তাঁরা যে দেশে কাজ করছেন, সেখানে তাঁদের কাজ সম্পর্কিত কোনো নিয়মাবলি রয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া কেবল অর্ধেক কনটেন্ট ক্রিয়েটরই স্পষ্টভাবে তাঁদের অনুসারীদের কাছে স্পনসর, দাতা বা তহবিলের উৎস সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে, ইনফ্লুয়েন্সারদের তাঁদের পোস্ট যদি স্পনসরড হয়, তবে তা ব্যবহারকারীদের জানাতে বাধ্য করা হয়।
ইউনেসকো ৪৫টি দেশ ও অঞ্চল থেকে ৫০০ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের একটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, যাঁদের বেশির ভাগই ইউরোপ ও এশিয়া থেকেন। তাঁরা বলেছেন, অধিকাংশ প্রতিক্রিয়া প্রদানকারী ৩৫ বছরের নিচে এবং ‘ন্যানো-ইনফ্লুয়েন্সার’, যারা ১০ হাজার ফলোয়ার অনুসারী পর্যন্ত নিয়ে থাকেন এবং তাঁদের প্রধান প্ল্যাটফর্ম হলো ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক। এদের প্রায় এক-চতুর্থাংশের অনুসারীর সংখ্যা ১ লাখ পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৪২ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
২ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৩ ঘণ্টা আগেএক রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপলের ফ্রি অ্যাপ তালিকার শীর্ষে উঠে আসে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি চ্যাটবট ডিপসিক আর১। অ্যাপটি যেন ঝড় তোলে প্রযুক্তি বিশ্বে। কোম্পানিটি দাবি করে, এ চ্যাটবট ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তা তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে সামান্য অর্থ।
১৯ ঘণ্টা আগে