আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মাইক্রোসফটের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক নতুন প্রেসিডেন্ট প্রধান লিসা মোনাকোকে বরখাস্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ আহ্বান জানান।
এই পোস্টে ট্রাম্প মোনাকোকে আখ্যা দেন ‘দুর্নীতিপরায়ণ এবং সম্পূর্ণ ট্রাম্প-বিরোধী’ হিসেবে। তাঁর দাবি, মোনাকোর অবস্থান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়ংকর হুমকি। বিশেষ করে যখন মাইক্রোসফটের সঙ্গে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি রয়েছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মোনাকো সব ধরনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র হারিয়েছেন এবং তাঁকে সব ধরনের ফেডারেল স্থাপনায় প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ট্রাম্প লেখেন, মোনাকোর বহু বেআইনি কর্মকাণ্ডের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাঁর সব নিরাপত্তা ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত তথ্যের প্রবেশাধিকার বাতিল করেছে এবং তাঁকে সব ধরনের ফেডারেল সম্পত্তি থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
সবশেষে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমার মতে মাইক্রোসফটের অবিলম্বে লিসা মোনাকোকে চাকরিচ্যুত করা উচিত।’
কে এই লিসা মোনাকো
বিশ্বব্যাপী সরকারের সঙ্গে কোম্পানির সম্পর্ক তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে গত জুলাইয়ে মাইক্রোসফটে যোগ দেন মোনোকো।
তাঁর লিংকডইন প্রোফাইলে থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও তাঁর নিয়োগের খবর প্রকাশ করেছিল।
মোনাকোর দীর্ঘ কর্মজীবন মূলত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বে কেটেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে তিনি ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল দাঙ্গার পর জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সর্বশেষ তিনি ছিলেন জো বাইডেন প্রশাসনের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
ট্রাম্পের ক্ষোভের মূল কারণও এখানেই। তাঁর দাবি, বাইডেন প্রশাসনের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যেসব আইনি পদক্ষেপ তাঁর বিরুদ্ধে নিয়েছে, তাতে মোনাকোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মোনাকোর মতো একজন ব্যক্তি মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিতে উচ্চপদে থাকা তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
মোনাকোর ওপর ট্রাম্পের এই আক্রমণ নতুন নয়। এর আগেও যাঁরা তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলে বিবেচিত, তাঁদের বিরুদ্ধে এমন ভাষায় মুখ খুলেছেন তিনি। মাত্র কয়েক দিন আগেই এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমিকে অপবিত্র ও মিথ্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘অন্যরাও’ শিগগিরই অভিযুক্ত হতে পারেন।
হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প এরই মধ্যে জন বোল্টন, অ্যাডাম শিফের মতো বিরোধীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আইনি সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের ওপরও চাপ প্রয়োগ করেছেন। করপোরেট আমেরিকাও এর বাইরে নয়।
ইতিপূর্বে তিনি ইন্টেলের প্রধান নির্বাহীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন, ডিজনির এবিসি নেটওয়ার্ককে কটাক্ষ করেছিলেন জিমি কিমেলের ঠাট্টার কারণে এবং আরও অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেছেন।
মোনাকো ইস্যুতে নতুন করে চাপে পড়েছে মাইক্রোসফট। চলতি মাসের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটির সিইও সত্য নাদেলা হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন। বিষয়টি প্রযুক্তি খাত ও প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
একই সময়ে মাইক্রোসফট বিভিন্ন সরকারি চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। সিএনবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এক সামরিক ইউনিটের কাছে ক্লাউড সেবা সীমিত করেছে মাইক্রোসফট।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ মাইক্রোসফটকে একটি জটিল অবস্থানে ফেলেছে। একদিকে রয়েছে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক, অন্যদিকে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বে থাকা সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক চাপ।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি ও ইন্ডিয়া টুডে
মাইক্রোসফটের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক নতুন প্রেসিডেন্ট প্রধান লিসা মোনাকোকে বরখাস্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ আহ্বান জানান।
এই পোস্টে ট্রাম্প মোনাকোকে আখ্যা দেন ‘দুর্নীতিপরায়ণ এবং সম্পূর্ণ ট্রাম্প-বিরোধী’ হিসেবে। তাঁর দাবি, মোনাকোর অবস্থান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়ংকর হুমকি। বিশেষ করে যখন মাইক্রোসফটের সঙ্গে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি রয়েছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মোনাকো সব ধরনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র হারিয়েছেন এবং তাঁকে সব ধরনের ফেডারেল স্থাপনায় প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ট্রাম্প লেখেন, মোনাকোর বহু বেআইনি কর্মকাণ্ডের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাঁর সব নিরাপত্তা ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত তথ্যের প্রবেশাধিকার বাতিল করেছে এবং তাঁকে সব ধরনের ফেডারেল সম্পত্তি থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
সবশেষে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমার মতে মাইক্রোসফটের অবিলম্বে লিসা মোনাকোকে চাকরিচ্যুত করা উচিত।’
কে এই লিসা মোনাকো
বিশ্বব্যাপী সরকারের সঙ্গে কোম্পানির সম্পর্ক তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে গত জুলাইয়ে মাইক্রোসফটে যোগ দেন মোনোকো।
তাঁর লিংকডইন প্রোফাইলে থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও তাঁর নিয়োগের খবর প্রকাশ করেছিল।
মোনাকোর দীর্ঘ কর্মজীবন মূলত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বে কেটেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে তিনি ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল দাঙ্গার পর জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সর্বশেষ তিনি ছিলেন জো বাইডেন প্রশাসনের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
ট্রাম্পের ক্ষোভের মূল কারণও এখানেই। তাঁর দাবি, বাইডেন প্রশাসনের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যেসব আইনি পদক্ষেপ তাঁর বিরুদ্ধে নিয়েছে, তাতে মোনাকোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মোনাকোর মতো একজন ব্যক্তি মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিতে উচ্চপদে থাকা তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
মোনাকোর ওপর ট্রাম্পের এই আক্রমণ নতুন নয়। এর আগেও যাঁরা তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলে বিবেচিত, তাঁদের বিরুদ্ধে এমন ভাষায় মুখ খুলেছেন তিনি। মাত্র কয়েক দিন আগেই এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমিকে অপবিত্র ও মিথ্যাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘অন্যরাও’ শিগগিরই অভিযুক্ত হতে পারেন।
হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প এরই মধ্যে জন বোল্টন, অ্যাডাম শিফের মতো বিরোধীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আইনি সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের ওপরও চাপ প্রয়োগ করেছেন। করপোরেট আমেরিকাও এর বাইরে নয়।
ইতিপূর্বে তিনি ইন্টেলের প্রধান নির্বাহীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন, ডিজনির এবিসি নেটওয়ার্ককে কটাক্ষ করেছিলেন জিমি কিমেলের ঠাট্টার কারণে এবং আরও অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেছেন।
মোনাকো ইস্যুতে নতুন করে চাপে পড়েছে মাইক্রোসফট। চলতি মাসের শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটির সিইও সত্য নাদেলা হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন। বিষয়টি প্রযুক্তি খাত ও প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
একই সময়ে মাইক্রোসফট বিভিন্ন সরকারি চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে। সিএনবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এক সামরিক ইউনিটের কাছে ক্লাউড সেবা সীমিত করেছে মাইক্রোসফট।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ মাইক্রোসফটকে একটি জটিল অবস্থানে ফেলেছে। একদিকে রয়েছে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক, অন্যদিকে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বে থাকা সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক চাপ।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি ও ইন্ডিয়া টুডে
পালস রাতে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ, সংযুক্ত অ্যাপ, সাম্প্রতিক চ্যাটসহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং সকালে আপনাকে প্রাসঙ্গিক ও ব্যক্তিগতকৃত আপডেট সরবরাহ করে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিখ্যাত ভিডিও গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রনিক আর্টস (ইএ)–কে কিনে নেবে এক বিনিয়োগকারী দল। এই অধিগ্রহণের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। বিনিয়োগকারী এই দলের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।
৬ ঘণ্টা আগেতাপ নিঃসরণ (হিট ডিসিপেশন), নেটওয়ার্ক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারিতে শীর্ষ পারফরম্যান্সের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) স্বীকৃতি পেয়েছে আসন্ন অপো এ৬ প্রো ডিভাইসটি। গতকাল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে অপো।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে চীনের পরিচিত আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান টপপে। গতকাল গুলশান-১ এ টপপের অফিসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য সহজ, ঝামেলাহীন ও সুবিধাজনক মোবাইল কেনার সুযোগ করে দেবে।
৮ ঘণ্টা আগে