ফিচার ডেস্ক
বিশ্ববিখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন মার্কিন প্রকৌশলী ক্রিস্টিনা বালান। অবশেষে সেই লড়াইয়ে বড় জয় পেলেন তিনি।
২০১৪ সালে টেসলায় কাজ করার সময় গাড়ির ডিজাইন নিয়ে এক গুরুতর নিরাপত্তাত্রুটির কথা জানান বালান। তিনি বলেছিলেন, কিছু গাড়ির ব্রেক প্যাডেলের নিচে কার্পেট ঢুকে পড়তে পারে, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। কিন্তু তাঁর এই সতর্কবার্তা প্রতিষ্ঠান গুরুত্ব দেয়নি, বরং উল্টো তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এরপর শুরু হয় তাঁর দীর্ঘ আইনি লড়াই। প্রথমে তিনি চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে মামলা করে জয় পান। কিন্তু এরপর টেসলা তাঁর বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ তোলে—তিনি নাকি কোম্পানির সম্পদ ব্যবহার করে ‘গোপন প্রকল্প’ চালাচ্ছিলেন। এই অভিযোগ মানহানিকর বলে দাবি করে ২০১৯ সালে তিনি টেসলার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
তবে টেসলা তখন বলে, চাকরির সময় স্বাক্ষর করা চুক্তি অনুযায়ী মামলাটা আদালতে নয়, সালিসি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই সালিসি রায় আসে টেসলার পক্ষে। কারণ, অভিযোগ করতে ক্রিস্টিনা বালান নাকি দেরি করেছেন।
তবে এখানেই থেমে যাননি বালান। তিনি আবার আপিল করেন। আর এবার ক্যালিফোর্নিয়ার এক আপিল আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, এই মামলায় আগের রায় দেওয়া আদালতের এখতিয়ার ছিল না। ফলে প্রকৌশলী বালানের মামলা আবার নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বালান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবার নতুন করে মামলা শুরু করতে পারব। এবার আমি চাইছি ইলন মাস্ককে জুরি ও বিচারকের সামনে দাঁড় করাতে।’
একসময় টেসলায় তিনি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন যে টেসলার মডেল এস গাড়ির ব্যাটারিতে তাঁর নামের আদ্যাক্ষর খোদাই করে রাখা হতো।
ব্যক্তিগত জীবনেও কঠিন সময় পার করেছেন বালান। স্তন ক্যানসারের স্টেজ ৩বি পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি, এখন রয়েছেন রেমিশনে। তাঁর সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, জীবিত অবস্থায় হয়তো নিজের মামলার শেষ দেখে যেতে পারবেন না।
বালান বলেন, ‘আমি শুধু চাই, আমার নামটা পরিষ্কার হোক। ইলন মাস্ক যদি অন্তত একবার দুঃখ প্রকাশ করতেন।’
এমন অভিযোগে টেসলারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
সূত্র: বিবিসি
বিশ্ববিখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন মার্কিন প্রকৌশলী ক্রিস্টিনা বালান। অবশেষে সেই লড়াইয়ে বড় জয় পেলেন তিনি।
২০১৪ সালে টেসলায় কাজ করার সময় গাড়ির ডিজাইন নিয়ে এক গুরুতর নিরাপত্তাত্রুটির কথা জানান বালান। তিনি বলেছিলেন, কিছু গাড়ির ব্রেক প্যাডেলের নিচে কার্পেট ঢুকে পড়তে পারে, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। কিন্তু তাঁর এই সতর্কবার্তা প্রতিষ্ঠান গুরুত্ব দেয়নি, বরং উল্টো তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এরপর শুরু হয় তাঁর দীর্ঘ আইনি লড়াই। প্রথমে তিনি চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে মামলা করে জয় পান। কিন্তু এরপর টেসলা তাঁর বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ তোলে—তিনি নাকি কোম্পানির সম্পদ ব্যবহার করে ‘গোপন প্রকল্প’ চালাচ্ছিলেন। এই অভিযোগ মানহানিকর বলে দাবি করে ২০১৯ সালে তিনি টেসলার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
তবে টেসলা তখন বলে, চাকরির সময় স্বাক্ষর করা চুক্তি অনুযায়ী মামলাটা আদালতে নয়, সালিসি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই সালিসি রায় আসে টেসলার পক্ষে। কারণ, অভিযোগ করতে ক্রিস্টিনা বালান নাকি দেরি করেছেন।
তবে এখানেই থেমে যাননি বালান। তিনি আবার আপিল করেন। আর এবার ক্যালিফোর্নিয়ার এক আপিল আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, এই মামলায় আগের রায় দেওয়া আদালতের এখতিয়ার ছিল না। ফলে প্রকৌশলী বালানের মামলা আবার নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বালান বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবার নতুন করে মামলা শুরু করতে পারব। এবার আমি চাইছি ইলন মাস্ককে জুরি ও বিচারকের সামনে দাঁড় করাতে।’
একসময় টেসলায় তিনি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন যে টেসলার মডেল এস গাড়ির ব্যাটারিতে তাঁর নামের আদ্যাক্ষর খোদাই করে রাখা হতো।
ব্যক্তিগত জীবনেও কঠিন সময় পার করেছেন বালান। স্তন ক্যানসারের স্টেজ ৩বি পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি, এখন রয়েছেন রেমিশনে। তাঁর সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, জীবিত অবস্থায় হয়তো নিজের মামলার শেষ দেখে যেতে পারবেন না।
বালান বলেন, ‘আমি শুধু চাই, আমার নামটা পরিষ্কার হোক। ইলন মাস্ক যদি অন্তত একবার দুঃখ প্রকাশ করতেন।’
এমন অভিযোগে টেসলারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
সূত্র: বিবিসি
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে