বিশ্বের প্রথম ‘ব্যবহারযোগ্য’ কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং স্টার্টআপ ‘সাইকোয়ান্টাম’–এ প্রায় ১০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৬০ কোটি মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। চুক্তি অনুসারে স্টার্টআপটির কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে স্থানান্তর করা হবে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে বলা হয় কম্পিউটিং জগতের ভবিষ্যৎ। বর্তমানে গুটি কয়েক কোম্পানি এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও করেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে গুগল, আইবিএম ও মাইক্রোসফটের মতো বড় কিছু কোম্পানি এই প্রযুক্তিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
স্টার্টআপ সাইকোয়ান্টাম–ও একই পথে হাঁটছে। অস্ট্রেলীয় গবেষক জেরেমি ও’ব্রায়েন এবং টেরি রুডলফ স্টার্টআপটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সিলিকন চিপ ও ফটোভোলটাইক উৎপাদনে পিছিয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ জন্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারের প্রযুক্তি যেন দেশেই থাকে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে দেশটি। এ লক্ষ্যেই স্টার্টআপটিতে এত বিনিয়োগ।
নতুন প্রজন্মের কম্পিউটারটি দ্রুত সমস্যা করতে পারবে বলে দাবি করছে সাইকোয়ান্টাম। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের অগ্রগতি দেখে বোঝা যায়, এই লক্ষ্য অর্জন থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছে কোম্পানিটি।
এবিসি রেডিও ব্রিসবেনকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞানী ক্যাথি ফোলি বলেন, কোয়ান্টাম কম্পিউটার শিগগিরই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে। ট্রাক চালানোর জন্য পথ খোঁজা, বন্দরের তথ্য গুছিয়ে রাখা বা ২০৩২ সালে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করার মতো কাজে এসব কম্পিউটার সাহায্য করবে।
বিশ্বের প্রথম ত্রুটিমুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করবে বলে সাইকোয়ান্টাম দাবি করছে। প্রতিরক্ষা ও গবেষণা খাতে এই কম্পিউটারগুলো কাজে দেবে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটারে ত্রুটি কমাতে এসব কম্পিউটারে বেশি সংখ্যক ফিজিক্যাল কিউবিট যুক্ত করা হয়। সাইকোয়ান্টামও একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে সুপার কন্ডাক্টর ব্যবহার করার পরিবর্তে কোম্পানিটি একটি ফিউশন–ভিত্তিক কৌশল ব্যবহার করছে। এই পদ্ধতিতে ফোটনগুলো কিউবিট হিসেবে কাজ করে এবং অনেকটা বর্তমান যুগের কম্পিউটারের মতো সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলো দিয়েই ডেটা প্রক্রিয়া করা যাবে।
কোম্পানির প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটারে ১০ লাখ ফিজিক্যাল কিউবিট রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে ও এতে ক্রায়োজেনিক কুলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। লিকুইড নাইট্রোজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়াকে বলে ক্রায়োজেনিক।
সাইকোয়ান্টামের প্রতিষ্ঠাতা টেরি রুডলফ বলেন, কুইন্সল্যান্ডের গবেষকেরা ২৫ বছর ধরে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জন্য পদার্থবিদ্যার সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছেন। শুধু গত দশকে এসব সমস্যা সমাধানযোগ্য হয়ে উঠেছে। সৌরজগতের সব সিলিকনও যদি একটি সাধারণ কম্পিউটারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, এরপরও এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে না। এর জন্য দরকার নতুন উদ্ভাবন। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের ধাপগুলো কমে আসবে।’
২০২৭ সালের শেষ নাগাদ কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানানোর অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করেছে কোম্পানিটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাইকোয়ান্টামের সিইও জেরেমি ও’ব্রায়েন বলেন, একটি ব্যবহারযোগ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির মাধ্যমে কম্পিউটিং অবকাঠামোর নতুন ও ব্যবহারিক ভিত্তি তৈরি হবে। এর মাধ্যমে পরবর্তী শিল্পবিপ্লব হবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ার
বিশ্বের প্রথম ‘ব্যবহারযোগ্য’ কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং স্টার্টআপ ‘সাইকোয়ান্টাম’–এ প্রায় ১০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৬০ কোটি মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। চুক্তি অনুসারে স্টার্টআপটির কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে স্থানান্তর করা হবে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে বলা হয় কম্পিউটিং জগতের ভবিষ্যৎ। বর্তমানে গুটি কয়েক কোম্পানি এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও করেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে গুগল, আইবিএম ও মাইক্রোসফটের মতো বড় কিছু কোম্পানি এই প্রযুক্তিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
স্টার্টআপ সাইকোয়ান্টাম–ও একই পথে হাঁটছে। অস্ট্রেলীয় গবেষক জেরেমি ও’ব্রায়েন এবং টেরি রুডলফ স্টার্টআপটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সিলিকন চিপ ও ফটোভোলটাইক উৎপাদনে পিছিয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ জন্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারের প্রযুক্তি যেন দেশেই থাকে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে দেশটি। এ লক্ষ্যেই স্টার্টআপটিতে এত বিনিয়োগ।
নতুন প্রজন্মের কম্পিউটারটি দ্রুত সমস্যা করতে পারবে বলে দাবি করছে সাইকোয়ান্টাম। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের অগ্রগতি দেখে বোঝা যায়, এই লক্ষ্য অর্জন থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছে কোম্পানিটি।
এবিসি রেডিও ব্রিসবেনকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞানী ক্যাথি ফোলি বলেন, কোয়ান্টাম কম্পিউটার শিগগিরই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে। ট্রাক চালানোর জন্য পথ খোঁজা, বন্দরের তথ্য গুছিয়ে রাখা বা ২০৩২ সালে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করার মতো কাজে এসব কম্পিউটার সাহায্য করবে।
বিশ্বের প্রথম ত্রুটিমুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করবে বলে সাইকোয়ান্টাম দাবি করছে। প্রতিরক্ষা ও গবেষণা খাতে এই কম্পিউটারগুলো কাজে দেবে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটারে ত্রুটি কমাতে এসব কম্পিউটারে বেশি সংখ্যক ফিজিক্যাল কিউবিট যুক্ত করা হয়। সাইকোয়ান্টামও একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে সুপার কন্ডাক্টর ব্যবহার করার পরিবর্তে কোম্পানিটি একটি ফিউশন–ভিত্তিক কৌশল ব্যবহার করছে। এই পদ্ধতিতে ফোটনগুলো কিউবিট হিসেবে কাজ করে এবং অনেকটা বর্তমান যুগের কম্পিউটারের মতো সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলো দিয়েই ডেটা প্রক্রিয়া করা যাবে।
কোম্পানির প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটারে ১০ লাখ ফিজিক্যাল কিউবিট রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে ও এতে ক্রায়োজেনিক কুলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। লিকুইড নাইট্রোজেন বা কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়াকে বলে ক্রায়োজেনিক।
সাইকোয়ান্টামের প্রতিষ্ঠাতা টেরি রুডলফ বলেন, কুইন্সল্যান্ডের গবেষকেরা ২৫ বছর ধরে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জন্য পদার্থবিদ্যার সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছেন। শুধু গত দশকে এসব সমস্যা সমাধানযোগ্য হয়ে উঠেছে। সৌরজগতের সব সিলিকনও যদি একটি সাধারণ কম্পিউটারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, এরপরও এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে না। এর জন্য দরকার নতুন উদ্ভাবন। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের ধাপগুলো কমে আসবে।’
২০২৭ সালের শেষ নাগাদ কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানানোর অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করেছে কোম্পানিটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাইকোয়ান্টামের সিইও জেরেমি ও’ব্রায়েন বলেন, একটি ব্যবহারযোগ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির মাধ্যমে কম্পিউটিং অবকাঠামোর নতুন ও ব্যবহারিক ভিত্তি তৈরি হবে। এর মাধ্যমে পরবর্তী শিল্পবিপ্লব হবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ার
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে