
বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
কিছু জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচের ব্যান্ড বা স্ট্যাপে পেরফ্লুওরোহেক্সানোইক অ্যাসিড (পিএফএইচএক্সএ) নামক বিপজ্জনক কেমিক্যালের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রয়েছে, যা ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হতে পারে।
এই গবেষণায় গুগল, স্যামসাং, অ্যাপল, ফিটবিট এবং ক্যাস্টিফাইয়ের মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর ওপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, স্যামসাং এবং অ্যাপল উভয়ই এমন স্মার্টঘড়ি বিক্রি করে যেগুলো ফ্লুরোএলাস্টোমার নামে একটি রাসায়নিক দিয়ে তৈরি, যা এই গবেষণার মূল বিষয়বস্তু। তাদের ওয়েবসাইটেও এই পদার্থটি ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
ফ্লুরোএলাস্টোমার দিয়ে তৈরি ঘড়ির স্ট্র্যাপের পৃষ্ঠ থেকে খুব সহজে পিএফএইচএক্সএ বের হয়ে আসে এবং ত্বকে প্রবেশ করে। আরও চিন্তার বিষয় হলো—মানুষ এই স্মার্ট ডিভাইসগুলো শুধু দিনে নয়, রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে পরিধান করে থাকে।
মানুষের ঘুমের মান পর্যবেক্ষণের জন্য এগুলো ঘুমানোর সময় পড়ে থাকে। গবেষক দল বলছে, ‘১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এসব ডিভাইসে পড়ে থাকলে ত্বকের গভীরে শরীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।’
গবেষণাটি তুলে ধরেছে কীভাবে বিভিন্ন স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, যা মানে হল যে এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধান করা হয়। এর ফলে ঘামের মাধ্যমে রাসায়নিকের সংস্পর্শ বেড়ে যেতে পারে এবং গরমে ত্বকের ছিদ্র খুলে যাওয়ার কারণে সেই রাসায়রনিক শরীরে প্রবাহিত হতে পারে।
গবেষণাটি দেখিয়েছে যে, অনেক স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধানের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে ঘামের সঙ্গে রাসায়নিক সংস্পর্শ বাড়তে পারে এবং ত্বকের ভেতর প্রবেশ করতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে, পিএফএইচএক্সএ–এ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ ত্বকের মাধ্যমে হয়। এটি এমন একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ, যা ‘ফরএভার কেমিক্যাল নামে পরিচিত। এগুলো পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকে এবং প্রাকৃতিকভাবে সহজে ভেঙে পড়তে পারে না। এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব এখনো পুরোপুরি অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি।
ফরএভার কেমিক্যালস প্রায় সবকিছুতেই পাওয়া যায়, যেমন কসমেটিকস, রান্নার পাত্র, পোশাক এবং ইলেকট্রনিকসে। বিশেষত তাপ, পানি, তেল এবং তেলচিটে প্রতিরোধী হওয়ার কারণে কয়েক দশক ধরেই ভোগ্যপণ্য ও শিল্পজাত দ্রব্যে ব্যবহার হচ্ছে এসব রাসায়নিক পদার্থ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের ক্ষতিকারক প্রভাব ব্যাপকভাবে চিহ্নিত হয়েছে।
ফরএভার কেমিক্যালস বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে ক্যানসারও রয়েছে। পানি, মাটি, এমনকি খাবারের মধ্যেও এগুলোর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (ইপিএ) অনুযায়ী, পেরফ্লুওরো এবং পলিফ্লুওরোআলকাইল উপাদান (পিএফএএস) -ভাঙনের ফলে পিএফএইচএক্সএ পাওয়া যায়।
গবেষণার অংশ হিসেব ফ্লুরোএলাস্টোমারদের ওপর বেশি ফোকাস করে গবেষকদলটি। এটি মূলত পিএফএএস থেকে তৈরি একটি সিনথেটিক রাবারের শ্রেণি। গবেষকেরা ফ্লুরিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি খুঁজছিল। আকর্ষণীয়ভাবে, বেশি দামি ব্যান্ডগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপস্থিতি সস্তা ব্যান্ডগুলোর চেয়ে বেশি ছিল।
দলের বিশ্লেষণ করা ২২টি ব্র্যান্ডের সব ফ্লুরোএলাস্টোমার ব্যান্ডে ফ্লুরিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে এমন কিছু ব্যান্ডে যা ফ্লুরোএলাস্টোমার থেকে তৈরি ছিল না, তাতেও ফ্লুরিন পাওয়া গেছে, যা পিএফএএসের উপস্থিতির শক্তিশালী সংকেত।
এই রাসায়নিকগুলো একটি বড় অংশ ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হয়ে রক্তে প্রবাহিত হতে পারে।
এই গবেষণার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিএফএইচএক্সএ সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। ২০২৩ সালে, পিএফএইচএক্সএ–এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ইউএস ইপিএ। যেমন—যকৃত, রক্ত এবং অ্যান্ডোক্রাইন সিস্টেমের প্রভাব। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর ব্যবহার সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
গবেষণাপত্রের সহলেখক অ্যালিসা উইকস পরামর্শ দিয়েছেন যে, যদি গ্রাহকেরা পিএফএইচএক্সএয়ের সংস্পর্শ এড়াতে চান, তবে তাদের স্মার্টওয়াচ এবং ফিটনেস ব্যান্ডের জন্য কম দামের ব্যান্ড বেছে নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি গ্রাহকেরা বেশি দামের ব্যান্ড কিনতে চান, তবে আমরা পরামর্শ দিই যে তারা পণ্যের বিবরণ পড়ুন এবং সেগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ফ্লুরোএলাস্টোমার রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
তথ্যসূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস

বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
কিছু জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচের ব্যান্ড বা স্ট্যাপে পেরফ্লুওরোহেক্সানোইক অ্যাসিড (পিএফএইচএক্সএ) নামক বিপজ্জনক কেমিক্যালের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রয়েছে, যা ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হতে পারে।
এই গবেষণায় গুগল, স্যামসাং, অ্যাপল, ফিটবিট এবং ক্যাস্টিফাইয়ের মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর ওপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, স্যামসাং এবং অ্যাপল উভয়ই এমন স্মার্টঘড়ি বিক্রি করে যেগুলো ফ্লুরোএলাস্টোমার নামে একটি রাসায়নিক দিয়ে তৈরি, যা এই গবেষণার মূল বিষয়বস্তু। তাদের ওয়েবসাইটেও এই পদার্থটি ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
ফ্লুরোএলাস্টোমার দিয়ে তৈরি ঘড়ির স্ট্র্যাপের পৃষ্ঠ থেকে খুব সহজে পিএফএইচএক্সএ বের হয়ে আসে এবং ত্বকে প্রবেশ করে। আরও চিন্তার বিষয় হলো—মানুষ এই স্মার্ট ডিভাইসগুলো শুধু দিনে নয়, রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে পরিধান করে থাকে।
মানুষের ঘুমের মান পর্যবেক্ষণের জন্য এগুলো ঘুমানোর সময় পড়ে থাকে। গবেষক দল বলছে, ‘১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এসব ডিভাইসে পড়ে থাকলে ত্বকের গভীরে শরীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।’
গবেষণাটি তুলে ধরেছে কীভাবে বিভিন্ন স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, যা মানে হল যে এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধান করা হয়। এর ফলে ঘামের মাধ্যমে রাসায়নিকের সংস্পর্শ বেড়ে যেতে পারে এবং গরমে ত্বকের ছিদ্র খুলে যাওয়ার কারণে সেই রাসায়রনিক শরীরে প্রবাহিত হতে পারে।
গবেষণাটি দেখিয়েছে যে, অনেক স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধানের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে ঘামের সঙ্গে রাসায়নিক সংস্পর্শ বাড়তে পারে এবং ত্বকের ভেতর প্রবেশ করতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে, পিএফএইচএক্সএ–এ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ ত্বকের মাধ্যমে হয়। এটি এমন একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ, যা ‘ফরএভার কেমিক্যাল নামে পরিচিত। এগুলো পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকে এবং প্রাকৃতিকভাবে সহজে ভেঙে পড়তে পারে না। এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব এখনো পুরোপুরি অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি।
ফরএভার কেমিক্যালস প্রায় সবকিছুতেই পাওয়া যায়, যেমন কসমেটিকস, রান্নার পাত্র, পোশাক এবং ইলেকট্রনিকসে। বিশেষত তাপ, পানি, তেল এবং তেলচিটে প্রতিরোধী হওয়ার কারণে কয়েক দশক ধরেই ভোগ্যপণ্য ও শিল্পজাত দ্রব্যে ব্যবহার হচ্ছে এসব রাসায়নিক পদার্থ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের ক্ষতিকারক প্রভাব ব্যাপকভাবে চিহ্নিত হয়েছে।
ফরএভার কেমিক্যালস বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে ক্যানসারও রয়েছে। পানি, মাটি, এমনকি খাবারের মধ্যেও এগুলোর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (ইপিএ) অনুযায়ী, পেরফ্লুওরো এবং পলিফ্লুওরোআলকাইল উপাদান (পিএফএএস) -ভাঙনের ফলে পিএফএইচএক্সএ পাওয়া যায়।
গবেষণার অংশ হিসেব ফ্লুরোএলাস্টোমারদের ওপর বেশি ফোকাস করে গবেষকদলটি। এটি মূলত পিএফএএস থেকে তৈরি একটি সিনথেটিক রাবারের শ্রেণি। গবেষকেরা ফ্লুরিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি খুঁজছিল। আকর্ষণীয়ভাবে, বেশি দামি ব্যান্ডগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপস্থিতি সস্তা ব্যান্ডগুলোর চেয়ে বেশি ছিল।
দলের বিশ্লেষণ করা ২২টি ব্র্যান্ডের সব ফ্লুরোএলাস্টোমার ব্যান্ডে ফ্লুরিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে এমন কিছু ব্যান্ডে যা ফ্লুরোএলাস্টোমার থেকে তৈরি ছিল না, তাতেও ফ্লুরিন পাওয়া গেছে, যা পিএফএএসের উপস্থিতির শক্তিশালী সংকেত।
এই রাসায়নিকগুলো একটি বড় অংশ ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হয়ে রক্তে প্রবাহিত হতে পারে।
এই গবেষণার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিএফএইচএক্সএ সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। ২০২৩ সালে, পিএফএইচএক্সএ–এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ইউএস ইপিএ। যেমন—যকৃত, রক্ত এবং অ্যান্ডোক্রাইন সিস্টেমের প্রভাব। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর ব্যবহার সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
গবেষণাপত্রের সহলেখক অ্যালিসা উইকস পরামর্শ দিয়েছেন যে, যদি গ্রাহকেরা পিএফএইচএক্সএয়ের সংস্পর্শ এড়াতে চান, তবে তাদের স্মার্টওয়াচ এবং ফিটনেস ব্যান্ডের জন্য কম দামের ব্যান্ড বেছে নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি গ্রাহকেরা বেশি দামের ব্যান্ড কিনতে চান, তবে আমরা পরামর্শ দিই যে তারা পণ্যের বিবরণ পড়ুন এবং সেগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ফ্লুরোএলাস্টোমার রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
তথ্যসূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস

বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
কিছু জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচের ব্যান্ড বা স্ট্যাপে পেরফ্লুওরোহেক্সানোইক অ্যাসিড (পিএফএইচএক্সএ) নামক বিপজ্জনক কেমিক্যালের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রয়েছে, যা ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হতে পারে।
এই গবেষণায় গুগল, স্যামসাং, অ্যাপল, ফিটবিট এবং ক্যাস্টিফাইয়ের মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর ওপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, স্যামসাং এবং অ্যাপল উভয়ই এমন স্মার্টঘড়ি বিক্রি করে যেগুলো ফ্লুরোএলাস্টোমার নামে একটি রাসায়নিক দিয়ে তৈরি, যা এই গবেষণার মূল বিষয়বস্তু। তাদের ওয়েবসাইটেও এই পদার্থটি ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
ফ্লুরোএলাস্টোমার দিয়ে তৈরি ঘড়ির স্ট্র্যাপের পৃষ্ঠ থেকে খুব সহজে পিএফএইচএক্সএ বের হয়ে আসে এবং ত্বকে প্রবেশ করে। আরও চিন্তার বিষয় হলো—মানুষ এই স্মার্ট ডিভাইসগুলো শুধু দিনে নয়, রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে পরিধান করে থাকে।
মানুষের ঘুমের মান পর্যবেক্ষণের জন্য এগুলো ঘুমানোর সময় পড়ে থাকে। গবেষক দল বলছে, ‘১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এসব ডিভাইসে পড়ে থাকলে ত্বকের গভীরে শরীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।’
গবেষণাটি তুলে ধরেছে কীভাবে বিভিন্ন স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, যা মানে হল যে এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধান করা হয়। এর ফলে ঘামের মাধ্যমে রাসায়নিকের সংস্পর্শ বেড়ে যেতে পারে এবং গরমে ত্বকের ছিদ্র খুলে যাওয়ার কারণে সেই রাসায়রনিক শরীরে প্রবাহিত হতে পারে।
গবেষণাটি দেখিয়েছে যে, অনেক স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধানের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে ঘামের সঙ্গে রাসায়নিক সংস্পর্শ বাড়তে পারে এবং ত্বকের ভেতর প্রবেশ করতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে, পিএফএইচএক্সএ–এ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ ত্বকের মাধ্যমে হয়। এটি এমন একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ, যা ‘ফরএভার কেমিক্যাল নামে পরিচিত। এগুলো পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকে এবং প্রাকৃতিকভাবে সহজে ভেঙে পড়তে পারে না। এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব এখনো পুরোপুরি অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি।
ফরএভার কেমিক্যালস প্রায় সবকিছুতেই পাওয়া যায়, যেমন কসমেটিকস, রান্নার পাত্র, পোশাক এবং ইলেকট্রনিকসে। বিশেষত তাপ, পানি, তেল এবং তেলচিটে প্রতিরোধী হওয়ার কারণে কয়েক দশক ধরেই ভোগ্যপণ্য ও শিল্পজাত দ্রব্যে ব্যবহার হচ্ছে এসব রাসায়নিক পদার্থ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের ক্ষতিকারক প্রভাব ব্যাপকভাবে চিহ্নিত হয়েছে।
ফরএভার কেমিক্যালস বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে ক্যানসারও রয়েছে। পানি, মাটি, এমনকি খাবারের মধ্যেও এগুলোর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (ইপিএ) অনুযায়ী, পেরফ্লুওরো এবং পলিফ্লুওরোআলকাইল উপাদান (পিএফএএস) -ভাঙনের ফলে পিএফএইচএক্সএ পাওয়া যায়।
গবেষণার অংশ হিসেব ফ্লুরোএলাস্টোমারদের ওপর বেশি ফোকাস করে গবেষকদলটি। এটি মূলত পিএফএএস থেকে তৈরি একটি সিনথেটিক রাবারের শ্রেণি। গবেষকেরা ফ্লুরিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি খুঁজছিল। আকর্ষণীয়ভাবে, বেশি দামি ব্যান্ডগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপস্থিতি সস্তা ব্যান্ডগুলোর চেয়ে বেশি ছিল।
দলের বিশ্লেষণ করা ২২টি ব্র্যান্ডের সব ফ্লুরোএলাস্টোমার ব্যান্ডে ফ্লুরিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে এমন কিছু ব্যান্ডে যা ফ্লুরোএলাস্টোমার থেকে তৈরি ছিল না, তাতেও ফ্লুরিন পাওয়া গেছে, যা পিএফএএসের উপস্থিতির শক্তিশালী সংকেত।
এই রাসায়নিকগুলো একটি বড় অংশ ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হয়ে রক্তে প্রবাহিত হতে পারে।
এই গবেষণার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিএফএইচএক্সএ সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। ২০২৩ সালে, পিএফএইচএক্সএ–এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ইউএস ইপিএ। যেমন—যকৃত, রক্ত এবং অ্যান্ডোক্রাইন সিস্টেমের প্রভাব। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর ব্যবহার সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
গবেষণাপত্রের সহলেখক অ্যালিসা উইকস পরামর্শ দিয়েছেন যে, যদি গ্রাহকেরা পিএফএইচএক্সএয়ের সংস্পর্শ এড়াতে চান, তবে তাদের স্মার্টওয়াচ এবং ফিটনেস ব্যান্ডের জন্য কম দামের ব্যান্ড বেছে নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি গ্রাহকেরা বেশি দামের ব্যান্ড কিনতে চান, তবে আমরা পরামর্শ দিই যে তারা পণ্যের বিবরণ পড়ুন এবং সেগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ফ্লুরোএলাস্টোমার রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
তথ্যসূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস

বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
কিছু জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচের ব্যান্ড বা স্ট্যাপে পেরফ্লুওরোহেক্সানোইক অ্যাসিড (পিএফএইচএক্সএ) নামক বিপজ্জনক কেমিক্যালের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রয়েছে, যা ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হতে পারে।
এই গবেষণায় গুগল, স্যামসাং, অ্যাপল, ফিটবিট এবং ক্যাস্টিফাইয়ের মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর ওপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, স্যামসাং এবং অ্যাপল উভয়ই এমন স্মার্টঘড়ি বিক্রি করে যেগুলো ফ্লুরোএলাস্টোমার নামে একটি রাসায়নিক দিয়ে তৈরি, যা এই গবেষণার মূল বিষয়বস্তু। তাদের ওয়েবসাইটেও এই পদার্থটি ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
ফ্লুরোএলাস্টোমার দিয়ে তৈরি ঘড়ির স্ট্র্যাপের পৃষ্ঠ থেকে খুব সহজে পিএফএইচএক্সএ বের হয়ে আসে এবং ত্বকে প্রবেশ করে। আরও চিন্তার বিষয় হলো—মানুষ এই স্মার্ট ডিভাইসগুলো শুধু দিনে নয়, রাতেও দীর্ঘ সময় ধরে পরিধান করে থাকে।
মানুষের ঘুমের মান পর্যবেক্ষণের জন্য এগুলো ঘুমানোর সময় পড়ে থাকে। গবেষক দল বলছে, ‘১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এসব ডিভাইসে পড়ে থাকলে ত্বকের গভীরে শরীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।’
গবেষণাটি তুলে ধরেছে কীভাবে বিভিন্ন স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, যা মানে হল যে এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধান করা হয়। এর ফলে ঘামের মাধ্যমে রাসায়নিকের সংস্পর্শ বেড়ে যেতে পারে এবং গরমে ত্বকের ছিদ্র খুলে যাওয়ার কারণে সেই রাসায়রনিক শরীরে প্রবাহিত হতে পারে।
গবেষণাটি দেখিয়েছে যে, অনেক স্ট্র্যাপ ‘স্পোর্টস এবং ফিটনেস’ অনুরাগীদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এগুলো ব্যায়ামের সময় পরিধানের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে ঘামের সঙ্গে রাসায়নিক সংস্পর্শ বাড়তে পারে এবং ত্বকের ভেতর প্রবেশ করতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে, পিএফএইচএক্সএ–এ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ ত্বকের মাধ্যমে হয়। এটি এমন একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ, যা ‘ফরএভার কেমিক্যাল নামে পরিচিত। এগুলো পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকে এবং প্রাকৃতিকভাবে সহজে ভেঙে পড়তে পারে না। এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব এখনো পুরোপুরি অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি।
ফরএভার কেমিক্যালস প্রায় সবকিছুতেই পাওয়া যায়, যেমন কসমেটিকস, রান্নার পাত্র, পোশাক এবং ইলেকট্রনিকসে। বিশেষত তাপ, পানি, তেল এবং তেলচিটে প্রতিরোধী হওয়ার কারণে কয়েক দশক ধরেই ভোগ্যপণ্য ও শিল্পজাত দ্রব্যে ব্যবহার হচ্ছে এসব রাসায়নিক পদার্থ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের ক্ষতিকারক প্রভাব ব্যাপকভাবে চিহ্নিত হয়েছে।
ফরএভার কেমিক্যালস বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত, যার মধ্যে ক্যানসারও রয়েছে। পানি, মাটি, এমনকি খাবারের মধ্যেও এগুলোর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (ইপিএ) অনুযায়ী, পেরফ্লুওরো এবং পলিফ্লুওরোআলকাইল উপাদান (পিএফএএস) -ভাঙনের ফলে পিএফএইচএক্সএ পাওয়া যায়।
গবেষণার অংশ হিসেব ফ্লুরোএলাস্টোমারদের ওপর বেশি ফোকাস করে গবেষকদলটি। এটি মূলত পিএফএএস থেকে তৈরি একটি সিনথেটিক রাবারের শ্রেণি। গবেষকেরা ফ্লুরিন এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি খুঁজছিল। আকর্ষণীয়ভাবে, বেশি দামি ব্যান্ডগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপস্থিতি সস্তা ব্যান্ডগুলোর চেয়ে বেশি ছিল।
দলের বিশ্লেষণ করা ২২টি ব্র্যান্ডের সব ফ্লুরোএলাস্টোমার ব্যান্ডে ফ্লুরিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে এমন কিছু ব্যান্ডে যা ফ্লুরোএলাস্টোমার থেকে তৈরি ছিল না, তাতেও ফ্লুরিন পাওয়া গেছে, যা পিএফএএসের উপস্থিতির শক্তিশালী সংকেত।
এই রাসায়নিকগুলো একটি বড় অংশ ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হয়ে রক্তে প্রবাহিত হতে পারে।
এই গবেষণার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিএফএইচএক্সএ সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। ২০২৩ সালে, পিএফএইচএক্সএ–এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ইউএস ইপিএ। যেমন—যকৃত, রক্ত এবং অ্যান্ডোক্রাইন সিস্টেমের প্রভাব। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর ব্যবহার সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
গবেষণাপত্রের সহলেখক অ্যালিসা উইকস পরামর্শ দিয়েছেন যে, যদি গ্রাহকেরা পিএফএইচএক্সএয়ের সংস্পর্শ এড়াতে চান, তবে তাদের স্মার্টওয়াচ এবং ফিটনেস ব্যান্ডের জন্য কম দামের ব্যান্ড বেছে নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি গ্রাহকেরা বেশি দামের ব্যান্ড কিনতে চান, তবে আমরা পরামর্শ দিই যে তারা পণ্যের বিবরণ পড়ুন এবং সেগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ফ্লুরোএলাস্টোমার রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
তথ্যসূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস

গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৬ ঘণ্টা আগে
গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল সারা দেশের তরুণ মেধাবীদের এমন প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান তৈরি করতে উৎসাহিত করা, যা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও স্মার্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করবে।
এই প্রতিযোগিতায় ‘ইশারা: বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর’ প্রকল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ওয়াটার মেলন। টিম ওপিয়ন তাদের ‘এআই ড্রিভেন নিউজ ক্রেডিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম’ প্রকল্পের জন্য হয়েছে প্রথম রানারআপ। টিম সিন্যাপজ তাদের ‘এআই ইনক্লুশন ফর ডিফারেন্টলি অ্যাবলড লার্নারস’ প্রকল্প এবং টিম লাস্তা তাদের ‘দিশা: ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রো এআই’ প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা যখন এআইনির্ভর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন তরুণ প্রজন্মকে সে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মানসিকতা অর্জনে সহায়তা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পুরস্কারের পাশাপাশি গ্রামীণফোনের শীর্ষ প্রতিভা উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোতে দ্রুত অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল সারা দেশের তরুণ মেধাবীদের এমন প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান তৈরি করতে উৎসাহিত করা, যা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও স্মার্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করবে।
এই প্রতিযোগিতায় ‘ইশারা: বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর’ প্রকল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ওয়াটার মেলন। টিম ওপিয়ন তাদের ‘এআই ড্রিভেন নিউজ ক্রেডিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম’ প্রকল্পের জন্য হয়েছে প্রথম রানারআপ। টিম সিন্যাপজ তাদের ‘এআই ইনক্লুশন ফর ডিফারেন্টলি অ্যাবলড লার্নারস’ প্রকল্প এবং টিম লাস্তা তাদের ‘দিশা: ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রো এআই’ প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমরা যখন এআইনির্ভর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন তরুণ প্রজন্মকে সে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মানসিকতা অর্জনে সহায়তা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পুরস্কারের পাশাপাশি গ্রামীণফোনের শীর্ষ প্রতিভা উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোতে দ্রুত অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৬ ঘণ্টা আগে
গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রাপ্ত সাতজনের মধ্যে একমাত্র নারী হতে পেরে তিনি গর্বিত। মূলত এই ‘মেনস ক্লাব’-এর মধ্যে ‘ব্যতিক্রম হতে পেরে তিনি গর্বিত’।
অধ্যাপক লি-এর সঙ্গে যাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন: অধ্যাপক ইয়োশুয়া বেঙ্গিও, ড. বিল ড্যালি, ড. জেফরি হিন্টন, অধ্যাপক জন হপফিল্ড, এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং এবং মেটা-এর প্রধান এআই বিজ্ঞানী ড. ইয়ান লেকান। আধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তাঁদের এই সম্মান জানানো হলো।
‘গডমাদার’ অধ্যাপক লি
ড. হিন্টন, অধ্যাপক বেঙ্গিও এবং ড. ইয়ান লেকানকে সাধারণত ‘এআই গডফাদার’ বলা হয়ে থাকে। সেখানে অধ্যাপক ফেই-ফেই লি হলেন একমাত্র ‘এআই গডমাদার’। প্রথমে এই উপাধি প্রত্যাখ্যান করতে চাইলেও, পরে তিনি তা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
অধ্যাপক লি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি নিজেকে কোনো কিছুর গডমাদার বলতাম না। কিন্তু কয়েক বছর আগে যখন লোকে আমাকে এই নামে ডাকতে শুরু করে, তখন বুঝতে পারি, যদি এটা প্রত্যাখ্যান করি, তবে নারী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের এমনভাবে সম্মানিত হওয়ার একটি সুযোগ হাতছাড়া হবে। কারণ পুরুষদের সহজেই গডফাদার বা প্রতিষ্ঠাতা পিতা বলা হয়।’
লি বলেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করা তরুণী এবং ভবিষ্যতের মেয়েদের প্রেরণা হতেই তিনি এখন এই উপাধি গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
চীনে জন্মগ্রহণকারী লি কৈশোরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতই কম্পিউটার বিজ্ঞানে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান-সেন্টার্ড এআই ইনস্টিটিউটের সহ-পরিচালক এবং ওয়ার্ল্ড ল্যাবসের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
কম্পিউটার ভিশনের ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রগতি এনে দেওয়া তাঁর বিখ্যাত কাজ ‘ইমেজনেট’ (ImageNet) প্রকল্পের জন্যই তিনি মূলত পরিচিত। তিনি ও তাঁর শিক্ষার্থীরা এই বৃহৎ-স্কেলের ছবি শনাক্তকরণ ডেটাসেট তৈরি করেন, যার ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে বহু এআই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। তাঁর মতে, এই ডেটাসেটটিই ‘ডেটা-চালিত এআই বিস্তারের দ্বার উন্মুক্ত’ করে দিয়েছে। বলতে গেলে, তাঁর কারণেই এখন এত এত এআই বাজারে দেখা যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারছে।
এদিকে পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতজন বিজ্ঞানীর মধ্যে, বিশেষ করে ‘গডফাদার’-দের মধ্যে এআই-এর সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে প্রকাশ্যেই তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। ড. হিন্টন এআই-কে ‘মানব প্রজাতির বিলুপ্তির স্তরের হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও, মেটার ইয়ান লেকান এই ধরনের চরম সতর্কতাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে মনে করেন।
অধ্যাপক লি এই বিতর্কে একটি ‘বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা ‘স্বাস্থ্যকর’। তবে তিনি এআই নিয়ে চরমপন্থী বক্তব্য পরিহার করে আরও সংযত হওয়ার পক্ষে। বিজ্ঞান-ভিত্তিক এবং তথ্য-নির্ভর আলোচনার পক্ষে তাঁর অবস্থান।
তিনি মনে করেন, এআই-এর পরবর্তী মাইলফলক তখনই অর্জিত হবে যখন এটি এর চারপাশের জগতের সঙ্গে সরাসরি মিথস্ক্রিয়া করতে সক্ষম হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রাপ্ত সাতজনের মধ্যে একমাত্র নারী হতে পেরে তিনি গর্বিত। মূলত এই ‘মেনস ক্লাব’-এর মধ্যে ‘ব্যতিক্রম হতে পেরে তিনি গর্বিত’।
অধ্যাপক লি-এর সঙ্গে যাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন: অধ্যাপক ইয়োশুয়া বেঙ্গিও, ড. বিল ড্যালি, ড. জেফরি হিন্টন, অধ্যাপক জন হপফিল্ড, এনভিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং এবং মেটা-এর প্রধান এআই বিজ্ঞানী ড. ইয়ান লেকান। আধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির অগ্রগতিতে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তাঁদের এই সম্মান জানানো হলো।
‘গডমাদার’ অধ্যাপক লি
ড. হিন্টন, অধ্যাপক বেঙ্গিও এবং ড. ইয়ান লেকানকে সাধারণত ‘এআই গডফাদার’ বলা হয়ে থাকে। সেখানে অধ্যাপক ফেই-ফেই লি হলেন একমাত্র ‘এআই গডমাদার’। প্রথমে এই উপাধি প্রত্যাখ্যান করতে চাইলেও, পরে তিনি তা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
অধ্যাপক লি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি নিজেকে কোনো কিছুর গডমাদার বলতাম না। কিন্তু কয়েক বছর আগে যখন লোকে আমাকে এই নামে ডাকতে শুরু করে, তখন বুঝতে পারি, যদি এটা প্রত্যাখ্যান করি, তবে নারী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের এমনভাবে সম্মানিত হওয়ার একটি সুযোগ হাতছাড়া হবে। কারণ পুরুষদের সহজেই গডফাদার বা প্রতিষ্ঠাতা পিতা বলা হয়।’
লি বলেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করা তরুণী এবং ভবিষ্যতের মেয়েদের প্রেরণা হতেই তিনি এখন এই উপাধি গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
চীনে জন্মগ্রহণকারী লি কৈশোরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতই কম্পিউটার বিজ্ঞানে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান-সেন্টার্ড এআই ইনস্টিটিউটের সহ-পরিচালক এবং ওয়ার্ল্ড ল্যাবসের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
কম্পিউটার ভিশনের ক্ষেত্রে প্রধান অগ্রগতি এনে দেওয়া তাঁর বিখ্যাত কাজ ‘ইমেজনেট’ (ImageNet) প্রকল্পের জন্যই তিনি মূলত পরিচিত। তিনি ও তাঁর শিক্ষার্থীরা এই বৃহৎ-স্কেলের ছবি শনাক্তকরণ ডেটাসেট তৈরি করেন, যার ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে বহু এআই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। তাঁর মতে, এই ডেটাসেটটিই ‘ডেটা-চালিত এআই বিস্তারের দ্বার উন্মুক্ত’ করে দিয়েছে। বলতে গেলে, তাঁর কারণেই এখন এত এত এআই বাজারে দেখা যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারছে।
এদিকে পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতজন বিজ্ঞানীর মধ্যে, বিশেষ করে ‘গডফাদার’-দের মধ্যে এআই-এর সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে প্রকাশ্যেই তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। ড. হিন্টন এআই-কে ‘মানব প্রজাতির বিলুপ্তির স্তরের হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও, মেটার ইয়ান লেকান এই ধরনের চরম সতর্কতাকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে মনে করেন।
অধ্যাপক লি এই বিতর্কে একটি ‘বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা ‘স্বাস্থ্যকর’। তবে তিনি এআই নিয়ে চরমপন্থী বক্তব্য পরিহার করে আরও সংযত হওয়ার পক্ষে। বিজ্ঞান-ভিত্তিক এবং তথ্য-নির্ভর আলোচনার পক্ষে তাঁর অবস্থান।
তিনি মনে করেন, এআই-এর পরবর্তী মাইলফলক তখনই অর্জিত হবে যখন এটি এর চারপাশের জগতের সঙ্গে সরাসরি মিথস্ক্রিয়া করতে সক্ষম হবে।

বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ইন্টেলের ‘টপ সিক্রেট’ তথ্যও রয়েছে। এই কর্মীর বিরুদ্ধে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে কোম্পানিটি।
প্রকৌশলী জিনফেং লু ২০১৪ সালে ইন্টেলে যোগ দেন। গত ৭ জুলাই তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ইন্টেলের অভিযোগ, চাকরিচ্যুতির আগে লু কোম্পানির সার্ভার থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফাইল ডাউনলোড করেছেন। এসব ফাইলের মধ্যে ‘ইন্টেল টপ সিক্রেট’ লেখা গোপন তথ্যও ছিল। এরপর তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। কোম্পানি এখন সেসব নথি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় আকারে কর্মী ছাঁটাই করছে ইন্টেল। গত দুই বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ছাঁটাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই লুর চাকরি গিয়েছিল। পরে তাঁর অনিয়মের প্রমাণ হাতে আসে।
গত বছরের জুলাইয়ের শেষ দিক এবং আগস্টের শুরুতে কোম্পানির আর্থিক সংকট প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় থেকেই ইন্টেল খরচ কমাতে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে।
মামলার নথিতে বলা হয়, চাকরি ছাড়ার প্রায় এক সপ্তাহ আগে জিনফেং লু কোম্পানির দেওয়া ল্যাপটপ থেকে একটি এক্সটারনাল ড্রাইভে ফাইল কপি করার চেষ্টা করেন। তবে ইন্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সে সময় তিনি সফল হননি।
তিন দিন পর অর্থাৎ চাকরির শেষ দিনের আগেই আবার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তিনি সফলভাবে ডেটা স্থানান্তর করেন একটি নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ (এনএএস) ডিভাইসে। চাকরি ছেড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি যতগুলো সম্ভব তথ্য ডাউনলোড করতে থাকেন।
ডেটা ট্রান্সফারের বিষয়টি সামনে এলে ইন্টেল তদন্ত শুরু করে। এরপর টানা তিন মাস ধরে কোম্পানিটি জিনফেং লুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালায়। ফোন-ইমেইল, এমনকি ডাকযোগেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
তবে লু কোনো সাড়া দেননি। শেষ পর্যন্ত ইন্টেল চুরি হওয়া তথ্য ও নথি পুনরুদ্ধারে আদালতে মামলা করে।
অবশ্য এ ধরনের ঘটনা ইন্টেলের জন্য নতুন নয়। এর আগেও কোম্পানিটি সাবেক এক কর্মীর বিরুদ্ধে তথ্যচুরির মামলা করেছিল। ওই প্রকৌশলীকে সম্প্রতি দুই বছরের প্রবেশন এবং ৩৪ হাজার ডলার জরিমানার দণ্ড দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ ছিল, তিনি ইন্টেলের তথ্য গোপনে কপি করে নিয়েছিলেন। পরে সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে মাইক্রোসফটে চাকরি পান। আদালতের শুনানিতে জানা যায়, ইন্টেলের সঙ্গে আলোচনায় সুবিধা নিতে মাইক্রোসফট ওই তথ্য ব্যবহার করেছিল।
বর্তমানে নিরুদ্দেশ জিনফেং লু এখনো কোনো অভিযোগের জবাব দেননি। তবে ইন্টেল তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। পাশাপাশি, কোম্পানির সব চুরি হওয়া তথ্য ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।

গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ইন্টেলের ‘টপ সিক্রেট’ তথ্যও রয়েছে। এই কর্মীর বিরুদ্ধে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে কোম্পানিটি।
প্রকৌশলী জিনফেং লু ২০১৪ সালে ইন্টেলে যোগ দেন। গত ৭ জুলাই তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ইন্টেলের অভিযোগ, চাকরিচ্যুতির আগে লু কোম্পানির সার্ভার থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফাইল ডাউনলোড করেছেন। এসব ফাইলের মধ্যে ‘ইন্টেল টপ সিক্রেট’ লেখা গোপন তথ্যও ছিল। এরপর তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। কোম্পানি এখন সেসব নথি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় আকারে কর্মী ছাঁটাই করছে ইন্টেল। গত দুই বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ছাঁটাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই লুর চাকরি গিয়েছিল। পরে তাঁর অনিয়মের প্রমাণ হাতে আসে।
গত বছরের জুলাইয়ের শেষ দিক এবং আগস্টের শুরুতে কোম্পানির আর্থিক সংকট প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় থেকেই ইন্টেল খরচ কমাতে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে।
মামলার নথিতে বলা হয়, চাকরি ছাড়ার প্রায় এক সপ্তাহ আগে জিনফেং লু কোম্পানির দেওয়া ল্যাপটপ থেকে একটি এক্সটারনাল ড্রাইভে ফাইল কপি করার চেষ্টা করেন। তবে ইন্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সে সময় তিনি সফল হননি।
তিন দিন পর অর্থাৎ চাকরির শেষ দিনের আগেই আবার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তিনি সফলভাবে ডেটা স্থানান্তর করেন একটি নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ (এনএএস) ডিভাইসে। চাকরি ছেড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি যতগুলো সম্ভব তথ্য ডাউনলোড করতে থাকেন।
ডেটা ট্রান্সফারের বিষয়টি সামনে এলে ইন্টেল তদন্ত শুরু করে। এরপর টানা তিন মাস ধরে কোম্পানিটি জিনফেং লুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালায়। ফোন-ইমেইল, এমনকি ডাকযোগেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
তবে লু কোনো সাড়া দেননি। শেষ পর্যন্ত ইন্টেল চুরি হওয়া তথ্য ও নথি পুনরুদ্ধারে আদালতে মামলা করে।
অবশ্য এ ধরনের ঘটনা ইন্টেলের জন্য নতুন নয়। এর আগেও কোম্পানিটি সাবেক এক কর্মীর বিরুদ্ধে তথ্যচুরির মামলা করেছিল। ওই প্রকৌশলীকে সম্প্রতি দুই বছরের প্রবেশন এবং ৩৪ হাজার ডলার জরিমানার দণ্ড দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ ছিল, তিনি ইন্টেলের তথ্য গোপনে কপি করে নিয়েছিলেন। পরে সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে মাইক্রোসফটে চাকরি পান। আদালতের শুনানিতে জানা যায়, ইন্টেলের সঙ্গে আলোচনায় সুবিধা নিতে মাইক্রোসফট ওই তথ্য ব্যবহার করেছিল।
বর্তমানে নিরুদ্দেশ জিনফেং লু এখনো কোনো অভিযোগের জবাব দেননি। তবে ইন্টেল তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। পাশাপাশি, কোম্পানির সব চুরি হওয়া তথ্য ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।

বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দৈনিক কর্মঘণ্টা শুরু করার আগে কম্পিউটার চালু করা এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার লোড হতে যে সময় ব্যয় হতো, তার জন্য কোনো বেতন দেয়নি।
ল ৩৬০ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক কর্মী তাভা মার্টিন এই সম্মিলিত বা গণমামলাটি করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মীদের কাজ শুরুর আগে এনক্রিপ্টেড ড্রাইভ আনলক করা, মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে লগ ইন করা, ভিপিএনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং জরুরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালু করার জন্য বাধ্যতামূলক অপেক্ষা করতে হতো। এই কাজগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগত, কিন্তু কর্মীরা কোম্পানির টাইমকিপিং সিস্টেমে লগ ইন করার আগে এই সময়টুকু সম্পূর্ণ অবৈতনিক থেকে যেত।
মামলাকারী পক্ষ জানিয়েছে, অনেক সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি সময় লাগত। এমনকি, দুপুরের খাবারের বিরতিতে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত, যার ফলে কর্মীদের বিরতির পরে আবার লগ ইনের জন্য অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ মিনিট অবৈতনিক সময় দিতে হতো। কাজ শেষে কর্মীদের লগ আউট এবং ওয়ার্কস্টেশন বন্ধ করার জন্যও আরও ২ থেকে ৩ মিনিট লাগত, এটার জন্যও কোনো বেতন দেওয়া হতো না।
মামলাটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেয়ার লেবার স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের ২০০৮ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি কোনো কাজ কর্মীর মূল কাজের জন্য ‘অবিচ্ছেদ্য’ এবং ‘প্রথম কাজের অংশ’ হয়, তবে সেটির জন্য পারিশ্রমিক দিতে হবে। বাদীপক্ষের যুক্তি, ব্যাংক অব আমেরিকার অ্যানালিস্ট এবং সাপোর্ট স্টাফদের জন্য তাদের ডিজিটাল ওয়ার্ক স্পেস চালু করাটা মূল কাজের পূর্বশর্ত ছিল এবং এর জন্য অবশ্যই বেতন দিতে হবে।
তাভা মার্টিনের আইনি দল কয়েক শ সাবেক সহকর্মী, যারা বিওএফএর দূরবর্তী অ্যাকসেস টুল ব্যবহার করতে বাধ্য ছিলেন, তাঁদের জন্য বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। এই মামলাটি বর্তমানে ক্লাস অ্যাকশন ও কালেকটিভ অ্যাকশন, উভয় হিসাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে তাঁরা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বঞ্চিত কর্মীদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
তবে, এর আগে একই ধরনের মামলার রায় বিভিন্ন আদালতে ভিন্ন হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে কম্পিউটার বুট-আপ সময়কে ক্ষতিপূরণযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়নি, আবার কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে, যদি লগ ইন প্রক্রিয়া সরাসরি মূল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
গত ২৩ অক্টোবর ফেডারেল কোর্টে ‘মার্টিন বনাম ব্যাংক অব আমেরিকা’ নামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এটি বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংক অব আমেরিকা এই অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব আমেরিকা এক বিশাল আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই সংস্থা তাদের ঘণ্টাভিত্তিক শত শত কর্মীকে বঞ্চিত করেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দৈনিক কর্মঘণ্টা শুরু করার আগে কম্পিউটার চালু করা এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার লোড হতে যে সময় ব্যয় হতো, তার জন্য কোনো বেতন দেয়নি।
ল ৩৬০ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক কর্মী তাভা মার্টিন এই সম্মিলিত বা গণমামলাটি করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, কর্মীদের কাজ শুরুর আগে এনক্রিপ্টেড ড্রাইভ আনলক করা, মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে লগ ইন করা, ভিপিএনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং জরুরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালু করার জন্য বাধ্যতামূলক অপেক্ষা করতে হতো। এই কাজগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগত, কিন্তু কর্মীরা কোম্পানির টাইমকিপিং সিস্টেমে লগ ইন করার আগে এই সময়টুকু সম্পূর্ণ অবৈতনিক থেকে যেত।
মামলাকারী পক্ষ জানিয়েছে, অনেক সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি সময় লাগত। এমনকি, দুপুরের খাবারের বিরতিতে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিত, যার ফলে কর্মীদের বিরতির পরে আবার লগ ইনের জন্য অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ মিনিট অবৈতনিক সময় দিতে হতো। কাজ শেষে কর্মীদের লগ আউট এবং ওয়ার্কস্টেশন বন্ধ করার জন্যও আরও ২ থেকে ৩ মিনিট লাগত, এটার জন্যও কোনো বেতন দেওয়া হতো না।
মামলাটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেয়ার লেবার স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের ২০০৮ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি কোনো কাজ কর্মীর মূল কাজের জন্য ‘অবিচ্ছেদ্য’ এবং ‘প্রথম কাজের অংশ’ হয়, তবে সেটির জন্য পারিশ্রমিক দিতে হবে। বাদীপক্ষের যুক্তি, ব্যাংক অব আমেরিকার অ্যানালিস্ট এবং সাপোর্ট স্টাফদের জন্য তাদের ডিজিটাল ওয়ার্ক স্পেস চালু করাটা মূল কাজের পূর্বশর্ত ছিল এবং এর জন্য অবশ্যই বেতন দিতে হবে।
তাভা মার্টিনের আইনি দল কয়েক শ সাবেক সহকর্মী, যারা বিওএফএর দূরবর্তী অ্যাকসেস টুল ব্যবহার করতে বাধ্য ছিলেন, তাঁদের জন্য বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। এই মামলাটি বর্তমানে ক্লাস অ্যাকশন ও কালেকটিভ অ্যাকশন, উভয় হিসাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এতে তাঁরা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বঞ্চিত কর্মীদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।
তবে, এর আগে একই ধরনের মামলার রায় বিভিন্ন আদালতে ভিন্ন হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে কম্পিউটার বুট-আপ সময়কে ক্ষতিপূরণযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়নি, আবার কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে, যদি লগ ইন প্রক্রিয়া সরাসরি মূল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
গত ২৩ অক্টোবর ফেডারেল কোর্টে ‘মার্টিন বনাম ব্যাংক অব আমেরিকা’ নামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এটি বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংক অব আমেরিকা এই অভিযোগের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।

বর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
গ্রামীণফোনের আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিউচার মেকার্স’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাতজন অগ্রদূতের মধ্যে একমাত্র নারী তিনি। সম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ কুইন এলিজাবেথ ইঞ্জিনিয়ারিং পুরস্কার (২০২৫) গ্রহণ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ফেই-ফেই লি। ব্রিটেনের রাজা চার্লসের হাত থেকে সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার
১৬ ঘণ্টা আগে
গোপন নথি চুরির অভিযোগে চাকরিচ্যুত এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রযুক্তি কোম্পানি ইন্টেল। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য মারকিউরি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টেলের সাবেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী জিনফেং লুং ১৮ হাজার নথি চুরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০ ঘণ্টা আগে