তানভীরুল ইসলাম, ঢাকা
প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অফিসের কাজ তো বটেই, ব্যক্তিগত নানা কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন সব ক্ষেত্রেই কম্পিউটারই এখন ভরসা। ফলে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা পিসির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, বড় হচ্ছে বাজার। কিন্তু পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার লক্ষ্যেই এখানে দুই ধরনের ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্যের বিবরণ তুলে ধরা হলো। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে কম্পিউটার কেনার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে আশা করা যায়।
ডেস্কটপ:
ডেস্কটপ কম্পিউটার মূলত একটি স্থানে রেখে কাজ করার ডিভাইস। এ ধরনের কম্পিউটারের সিপিউ, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলো আলাদা। ফলে বেশি জায়গা লাগে। আলাদা একটি টেবিলের দরকার পড়ে। ডেস্কটপ কম্পিউটার সাধারণত বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত যেমন: কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, সিপিইউ, মাদারবোর্ড, সলিড স্টেট ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক), ইউপিএস ইত্যাদি। ডেস্কটপের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করার উপায় থাকে। এছাড়া মনিটর সুবিধা মতো ছোট বড় বা পছন্দের ব্র্যান্ডের কেনার সুযোগ থাকে। যেকোনো ভারী কাজের জন্য ডেস্কটপই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।
ল্যাপটপ:
ল্যাপটপ হলো বহনযোগ্য কম্পিউটার। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই এ ধরনের কম্পিউটার পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। ছোট বড় সবাই ল্যাপটপ সম্পর্কে কম বেশি ধারণা রাখে। ল্যাপটপ যেকোনো স্থানে ব্যবহার উপযোগী, এমনকি কোলের ওপর রেখেও সচ্ছন্দে কাজ করা যায়। এ কারণেই এর নাম ল্যাপটপ—ল্যাপ অর্থ কোল, আর টপ অর্থ ওপর।
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর পার্থক্য:
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে নিশ্চয় এরই মধ্যে কিছুটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এর বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
১. ডেস্কটপের অংশগুলো আলাদা, বিচ্ছিন্ন। তাই ডেস্কটপের পারফরমেন্স বিবেচনায় আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিন্তু ল্যাপটপ যেহেতু একটি সম্পূর্ণ ডিভাইস ফলে পারফরমেন্স অনুযায়ী পেতে চাইলে বেশি দামে কিনতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজের কিছু পছন্দ অপছন্দ বিসর্জন দিতেও হতে পারে।
২. ডেস্কটপের বহন করা ঝামেলার কাজ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়াটা বেশ ঝক্কির ব্যাপার। ঠিক উল্টোটা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে। ল্যাপটপ একটি কম্প্যাক্ট কম্পিউটার, ফলে ব্যাগে ভরে বা একটি ফাইল ফোল্ডারের মতো সহজেই দূরবর্তী স্থানে বহন করা যায়। ল্যাপটপ যেকোনো জায়গায় নেওয়া এবং ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়।
৩. ডেস্কটপ কম্পিউটারে একের অধিক ইন্টারনাল স্টোরেজ ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক) ইনস্টল করার উপায় থাকে। তবে ল্যাপটপ কম্পিউটারে মূলত একটি অথবা বড়জোর দুটি ইন্টারনাল ড্রাইভের জন্য জায়গা থাকে।
৪. একটি ডেস্কটপ সেটআপ করার জন্য বাড়তি সময় এবং দক্ষতার দরকার হয়। অনেক সময় বিক্রেতারা সেটআপের জন্য বাড়তি সার্ভিস চার্জ দাবি করেন। ল্যাপটপে সেই ঝামেলা নেই। বক্স থেকে বের করে প্লাগ ইন এবং পাওয়ার বোতাম চাপলেই হলো। প্রথম স্টার্টআপে ব্যবহার উপযোগী হতে কয়েক মিনিট সময় লাগতে পারে। এরপর থেকে আর কোনো ঝামেলা নেই।
৫. ডেস্কটপ মনিটর স্ক্রিনের আকার সাধারণত ১৫ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। আর স্ট্যান্ডার্ড মনিটর স্ক্রিনের আকার ২২ ইঞ্চি। এ ক্ষেত্রে পছন্দের ব্র্যান্ডের এবং আকারের মনিটর কেনার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। আবার ল্যাপটপ স্ক্রিনের আকার ১০ ইঞ্চি থেকে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
৬. ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার মূল কারণ উচ্চ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই, কম্পিউটারের ভেতরে একাধিক আলাদা পার্টস এবং মনিটর ব্যবহার। ইউপিএস বা এ ধরনের পাওয়ার ব্যাকআপের ব্যবস্থা না থাকলে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে নথি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ কম্পিউটার ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ল্যাপটপে একটি ব্যাটারি থাকে, ফলে বিদ্যুৎ লাইনের ভোল্টেজ ওঠানামা বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কোনো অসংরক্ষিত কাজ নষ্ট হয় না। ভেতরে রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।
৭. ডেস্কটপের বেশিরভাগ উপাদান প্রতিস্থাপন করা যায়। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী বা নষ্ট হলে সেই অংশ (পার্টস) আবার সংযোজন করা সম্ভব। ফলে ডেস্কটপ আপগ্রেড করা সহজ। ডেস্কটপ কেস বড়, হার্ডওয়্যার যোগ এবং প্রতিস্থাপন এবং তারগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য ভেতরে বেশ জায়গা লাগে। ল্যাপটপে সে সমস্যা নেই। তবে ল্যাপটপে র্যাম ও হার্ডডিস্ক শুধু আপগ্রেড করা যায়। ব্যাটারিও পরিবর্তন করা যায়। অবশিষ্ট উপাদানগুলো মোটামুটি স্থায়ী।
৮. ডেস্কটপে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিডিও কার্ড (গ্রাফিক্স কার্ড) ব্যবহার করা যায়। ডেস্কটপে একাধিক গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। গেমিংয়ের জন্য ডেস্কটপ বেশ ভালো। ল্যাপটপ কম্প্যাক্ট ডিভাইস হওয়ার ফলে গ্রাফিক্স ক্ষমতা সীমিত। যদিও উচ্চ ক্ষমতা–সম্পন্ন ল্যাপটপগুলো গেমিং এবং অটো-ক্যাড ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য ভালো গ্রাফিক্স কার্ড দেয়। তবে ল্যাপটপে তাপ নির্গমন ব্যবস্থা সীমিত হওয়ার কারণে এর প্রেসেসিং পাওয়ারও বেশ সীমিত, অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতার গ্রাফিক্স কার্ড চালানোর জন্য সেই পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি দেয় না।
৯. ডেস্কটপ মেরামত করা সহজ। কারণ বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের স্থানীয় খুচরা দোকানে পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর জন্য ল্যাপটপ খুলে একটি অংশ মেরামত করা কঠিন হতে পারে এবং পার্টস খুঁজে পেতে প্রায়ই বেগ পেতে হয়। কখনো কম্পিউটার প্রস্তুতকারক বা অন্য অনলাইন সাইট থেকে অর্ডার করতে হয়।
১০. ডেস্কটপে একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করা যায়। মেশিন গরম হওয়া বা পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটার মতো ঘটনা সাধারণত ঘটে না। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করলে গরম অনুভূত হয়। কাজের বিবেচনায় পারফরম্যান্স একটু কমে যায়।
পরিশেষে:
এসব বিষয় বিবেচনায় একজন ব্যবহারকারী ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার কিনতে পারেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের ওপর। যদি বহনযোগ্যতাই অগ্রাধিকার হয় তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ হতে পারে সেরা পছন্দ। আর ডেস্কটপে মূলত গ্রাফিক-ইনটেনসিভ গেমিং, ক্যাড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং আপগ্রেড করার জন্য বেশ ভালো।
প্রযুক্তির খবর আরও পড়ুন:
প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে প্রাত্যহিক জীবনে কম্পিউটার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অফিসের কাজ তো বটেই, ব্যক্তিগত নানা কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন সব ক্ষেত্রেই কম্পিউটারই এখন ভরসা। ফলে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা পিসির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, বড় হচ্ছে বাজার। কিন্তু পারসোনাল কম্পিউটার হিসেবে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ, কোনটি বেশি কার্যকর ও আরামদায়ক—এটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। মূলত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বাছাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপযোগিতা এবং বহনযোগ্যতার ওপর।
কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার লক্ষ্যেই এখানে দুই ধরনের ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্যের বিবরণ তুলে ধরা হলো। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে কম্পিউটার কেনার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে আশা করা যায়।
ডেস্কটপ:
ডেস্কটপ কম্পিউটার মূলত একটি স্থানে রেখে কাজ করার ডিভাইস। এ ধরনের কম্পিউটারের সিপিউ, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলো আলাদা। ফলে বেশি জায়গা লাগে। আলাদা একটি টেবিলের দরকার পড়ে। ডেস্কটপ কম্পিউটার সাধারণত বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত যেমন: কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, সিপিইউ, মাদারবোর্ড, সলিড স্টেট ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক), ইউপিএস ইত্যাদি। ডেস্কটপের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করার উপায় থাকে। এছাড়া মনিটর সুবিধা মতো ছোট বড় বা পছন্দের ব্র্যান্ডের কেনার সুযোগ থাকে। যেকোনো ভারী কাজের জন্য ডেস্কটপই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।
ল্যাপটপ:
ল্যাপটপ হলো বহনযোগ্য কম্পিউটার। এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই এ ধরনের কম্পিউটার পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। ছোট বড় সবাই ল্যাপটপ সম্পর্কে কম বেশি ধারণা রাখে। ল্যাপটপ যেকোনো স্থানে ব্যবহার উপযোগী, এমনকি কোলের ওপর রেখেও সচ্ছন্দে কাজ করা যায়। এ কারণেই এর নাম ল্যাপটপ—ল্যাপ অর্থ কোল, আর টপ অর্থ ওপর।
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর পার্থক্য:
ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে নিশ্চয় এরই মধ্যে কিছুটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এর বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
১. ডেস্কটপের অংশগুলো আলাদা, বিচ্ছিন্ন। তাই ডেস্কটপের পারফরমেন্স বিবেচনায় আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কিন্তু ল্যাপটপ যেহেতু একটি সম্পূর্ণ ডিভাইস ফলে পারফরমেন্স অনুযায়ী পেতে চাইলে বেশি দামে কিনতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজের কিছু পছন্দ অপছন্দ বিসর্জন দিতেও হতে পারে।
২. ডেস্কটপের বহন করা ঝামেলার কাজ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়াটা বেশ ঝক্কির ব্যাপার। ঠিক উল্টোটা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে। ল্যাপটপ একটি কম্প্যাক্ট কম্পিউটার, ফলে ব্যাগে ভরে বা একটি ফাইল ফোল্ডারের মতো সহজেই দূরবর্তী স্থানে বহন করা যায়। ল্যাপটপ যেকোনো জায়গায় নেওয়া এবং ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়।
৩. ডেস্কটপ কম্পিউটারে একের অধিক ইন্টারনাল স্টোরেজ ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক) ইনস্টল করার উপায় থাকে। তবে ল্যাপটপ কম্পিউটারে মূলত একটি অথবা বড়জোর দুটি ইন্টারনাল ড্রাইভের জন্য জায়গা থাকে।
৪. একটি ডেস্কটপ সেটআপ করার জন্য বাড়তি সময় এবং দক্ষতার দরকার হয়। অনেক সময় বিক্রেতারা সেটআপের জন্য বাড়তি সার্ভিস চার্জ দাবি করেন। ল্যাপটপে সেই ঝামেলা নেই। বক্স থেকে বের করে প্লাগ ইন এবং পাওয়ার বোতাম চাপলেই হলো। প্রথম স্টার্টআপে ব্যবহার উপযোগী হতে কয়েক মিনিট সময় লাগতে পারে। এরপর থেকে আর কোনো ঝামেলা নেই।
৫. ডেস্কটপ মনিটর স্ক্রিনের আকার সাধারণত ১৫ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। আর স্ট্যান্ডার্ড মনিটর স্ক্রিনের আকার ২২ ইঞ্চি। এ ক্ষেত্রে পছন্দের ব্র্যান্ডের এবং আকারের মনিটর কেনার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। আবার ল্যাপটপ স্ক্রিনের আকার ১০ ইঞ্চি থেকে ১৭ ইঞ্চি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
৬. ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ার মূল কারণ উচ্চ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই, কম্পিউটারের ভেতরে একাধিক আলাদা পার্টস এবং মনিটর ব্যবহার। ইউপিএস বা এ ধরনের পাওয়ার ব্যাকআপের ব্যবস্থা না থাকলে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে নথি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ কম্পিউটার ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ল্যাপটপে একটি ব্যাটারি থাকে, ফলে বিদ্যুৎ লাইনের ভোল্টেজ ওঠানামা বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কোনো অসংরক্ষিত কাজ নষ্ট হয় না। ভেতরে রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।
৭. ডেস্কটপের বেশিরভাগ উপাদান প্রতিস্থাপন করা যায়। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী বা নষ্ট হলে সেই অংশ (পার্টস) আবার সংযোজন করা সম্ভব। ফলে ডেস্কটপ আপগ্রেড করা সহজ। ডেস্কটপ কেস বড়, হার্ডওয়্যার যোগ এবং প্রতিস্থাপন এবং তারগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য ভেতরে বেশ জায়গা লাগে। ল্যাপটপে সে সমস্যা নেই। তবে ল্যাপটপে র্যাম ও হার্ডডিস্ক শুধু আপগ্রেড করা যায়। ব্যাটারিও পরিবর্তন করা যায়। অবশিষ্ট উপাদানগুলো মোটামুটি স্থায়ী।
৮. ডেস্কটপে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিডিও কার্ড (গ্রাফিক্স কার্ড) ব্যবহার করা যায়। ডেস্কটপে একাধিক গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। গেমিংয়ের জন্য ডেস্কটপ বেশ ভালো। ল্যাপটপ কম্প্যাক্ট ডিভাইস হওয়ার ফলে গ্রাফিক্স ক্ষমতা সীমিত। যদিও উচ্চ ক্ষমতা–সম্পন্ন ল্যাপটপগুলো গেমিং এবং অটো-ক্যাড ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য ভালো গ্রাফিক্স কার্ড দেয়। তবে ল্যাপটপে তাপ নির্গমন ব্যবস্থা সীমিত হওয়ার কারণে এর প্রেসেসিং পাওয়ারও বেশ সীমিত, অর্থাৎ উচ্চ ক্ষমতার গ্রাফিক্স কার্ড চালানোর জন্য সেই পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুমতি দেয় না।
৯. ডেস্কটপ মেরামত করা সহজ। কারণ বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের স্থানীয় খুচরা দোকানে পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর জন্য ল্যাপটপ খুলে একটি অংশ মেরামত করা কঠিন হতে পারে এবং পার্টস খুঁজে পেতে প্রায়ই বেগ পেতে হয়। কখনো কম্পিউটার প্রস্তুতকারক বা অন্য অনলাইন সাইট থেকে অর্ডার করতে হয়।
১০. ডেস্কটপে একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করা যায়। মেশিন গরম হওয়া বা পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটার মতো ঘটনা সাধারণত ঘটে না। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করলে গরম অনুভূত হয়। কাজের বিবেচনায় পারফরম্যান্স একটু কমে যায়।
পরিশেষে:
এসব বিষয় বিবেচনায় একজন ব্যবহারকারী ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার কিনতে পারেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের ওপর। যদি বহনযোগ্যতাই অগ্রাধিকার হয় তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ হতে পারে সেরা পছন্দ। আর ডেস্কটপে মূলত গ্রাফিক-ইনটেনসিভ গেমিং, ক্যাড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং আপগ্রেড করার জন্য বেশ ভালো।
প্রযুক্তির খবর আরও পড়ুন:
আগামী সেপ্টেম্বরে বাজারে আসছে অ্যাপলের আইফোন ১৭। তবে অ্যাপল অফিশিয়ালি তাদের আইফোন ১৭ বাজারে আনার আগেই এর কিছু নকল সংস্করণ ছড়িয়ে পড়েছে। অ্যান্ড্রয়েডে চলা এ ফোনগুলো দেখতে হুবহু অ্যাপলের ডিজাইনের মতো, যা ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করছে।
১৪ ঘণ্টা আগেআমাজন ইনকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মা জ্যাকি বেজোস মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। গতকাল বৃহস্পতিবার মায়ামিতে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বেজোস ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘একদিন মজা করে কাজের বাইরে কথপোকথন শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কল্পনার সঙ্গে বাস্তব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। এবং ওই কথোপকথনের ওপর ভিত্তি করে চ্যাটবটটি নিজের ব্যক্তিত্বকেও বিকশিত করতে শুরু করে। এবং খুবই অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের কথপোকথন ব্যক্তিগত হতে শুরু করে। আমার আগ্রহ জন্মায় যে এটা কতদূর
২১ ঘণ্টা আগেদর্শকদের ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে এবং কনটেন্টকে আরও সহজে বোঝার ও ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য ইউটিউবের ভিডিওতে চ্যাপ্টার যুক্ত করেন অনেকেই।
১ দিন আগে