আজকের পত্রিকা ডেস্ক
হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ‘বিটচ্যাট’ নামের নতুন মেসেজিং অ্যাপ আনলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের (বর্তমান এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি। ব্যতিক্রমধর্মী এই অ্যাপ ব্লুটুথনির্ভর। এটি একটি নতুন, বিকেন্দ্রীকৃত ও পিয়ার-টু-পিয়ার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, যা সম্পূর্ণরূপে ব্লুটুথ মেশ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে। এই অ্যাপে ইন্টারনেট, কেন্দ্রীয় সার্ভার, ফোন নম্বর বা ই-মেইলের প্রয়োজন পড়ে না।
গত রবিবার (৬ জুলাই) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে ডরসি জানান, অ্যাপটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং আগ্রহী ব্যবহারকারীরা ‘টেস্টফ্লাইট’ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে এর পরীক্ষামূলক সংস্করণটি ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে অ্যাপটির হোয়াইট পেপার গিটহাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হোয়াইট পেপার এমন একধরনের ডকুমেন্ট বা নথি, যেখানে নতুন প্রযুক্তি বা অ্যাপের কাজ করার পদ্ধতি, উদ্দেশ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ বিস্তারিতভাবে লেখা থাকে। এই নথির মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারেন অ্যাপটি কীভাবে কাজ করে।
অ্যাপটিকে ব্যক্তিগত গবেষণা হিসেবে বর্ণনা করেছেন ডরসি, যেখানে তিনি ব্লুটুথ মেশ নেটওয়ার্ক, রিলে, ‘স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড’ মডেল এবং এনক্রিপশন কৌশল নিয়ে কাজ করেছেন।
ডরসির অ্যাপটি কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে অস্থায়ী ও এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগকে সম্ভব করে তোলে। ফলে অ্যাপের বিভিন্ন মেসেজ নিরাপদ ও দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষিত হয় না। ব্যবহারকারীরা যখন বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করেন, তখন তাঁদের ফোন স্থানীয় ‘ব্লুটুথ ক্লাস্টার’ তৈরি করে এবং এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে বার্তা পাঠানো হয়। এভাবে বার্তা পৌঁছায় দূরবর্তী ব্যবহারকারীর কাছেও, এমনকি ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়াও।
অ্যাপটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—‘ব্রিজ’ ডিভাইস। এগুলো একাধিক ব্লুটুথ ক্লাস্টারকে সংযুক্ত করে পুরো নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে সাহায্য করে। বার্তাগুলো শুধু ব্যবহারকারীর ডিভাইসেই সংরক্ষিত থাকে, ডিফল্টভাবে তা মুছে যায় এবং কোনো কেন্দ্রীয় সার্ভারে যায় না। এটি ডরসির দীর্ঘদিনের গোপনীয়তা ও সেন্সরশিপ বিরোধী অবস্থানের প্রতিফলন।
ডরসির এই প্রকল্প তাঁর আগের উদ্যোগ দামুস ও ব্লুস্কাইয়েরই সম্প্রসারণ। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ, অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন খাতে বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে কাজ করছেন।
হংকংয়ের ২০১৯ সালের আন্দোলনে ব্যবহৃত ব্লুটুথ-ভিত্তিক অ্যাপের মতো বিটচ্যাটও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতা, নজরদারি কিংবা ব্লকড অবস্থায়ও কার্যকর থাকার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। এটি আন্দোলন, জরুরি অবস্থা বা অবরোধ চলাকালীন যুক্ত থাকার জন্য সেন্সরশিপ প্রতিরোধী একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারবে।
অ্যাপটিতে গ্রুপ চ্যাট বা ‘রুম’-এর সুবিধাও রয়েছে, যেগুলো হ্যাশট্যাগ ও পাসওয়ার্ড দিয়ে নিরাপদ করা যায়। এ ছাড়া বার্তাগুলো ‘স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সাময়িকভাবে অফলাইনে থাকা ব্যবহারকারীর কাছেও পৌঁছানো সম্ভব।
ভবিষ্যতের আপডেটে ওয়াইফাই ডাইরেক্ট ফিচার যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা গতি ও পরিসর বাড়াবে। এর মাধ্যমে ডরসির ‘অফ-গ্রিড’, ব্যবহারকারী-নিয়ন্ত্রিত যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্ন আরও এগিয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো প্রচলিত মেসেজিং অ্যাপের সঙ্গে বিটচ্যাটেরের পার্থক্য হলো—এটি কোনো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় নয়, কোনো অ্যাকাউন্ট বা ব্যক্তিগত শনাক্তকারী ছাড়াই চলে এবং ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে না।
ডরসির এই নতুন উদ্যোগ প্রযুক্তি ও প্রাইভেসি সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য এক নতুন বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি
আরও খবর পড়ুন:
হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ‘বিটচ্যাট’ নামের নতুন মেসেজিং অ্যাপ আনলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের (বর্তমান এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি। ব্যতিক্রমধর্মী এই অ্যাপ ব্লুটুথনির্ভর। এটি একটি নতুন, বিকেন্দ্রীকৃত ও পিয়ার-টু-পিয়ার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, যা সম্পূর্ণরূপে ব্লুটুথ মেশ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে। এই অ্যাপে ইন্টারনেট, কেন্দ্রীয় সার্ভার, ফোন নম্বর বা ই-মেইলের প্রয়োজন পড়ে না।
গত রবিবার (৬ জুলাই) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে ডরসি জানান, অ্যাপটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং আগ্রহী ব্যবহারকারীরা ‘টেস্টফ্লাইট’ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে এর পরীক্ষামূলক সংস্করণটি ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে অ্যাপটির হোয়াইট পেপার গিটহাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হোয়াইট পেপার এমন একধরনের ডকুমেন্ট বা নথি, যেখানে নতুন প্রযুক্তি বা অ্যাপের কাজ করার পদ্ধতি, উদ্দেশ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ বিস্তারিতভাবে লেখা থাকে। এই নথির মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারেন অ্যাপটি কীভাবে কাজ করে।
অ্যাপটিকে ব্যক্তিগত গবেষণা হিসেবে বর্ণনা করেছেন ডরসি, যেখানে তিনি ব্লুটুথ মেশ নেটওয়ার্ক, রিলে, ‘স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড’ মডেল এবং এনক্রিপশন কৌশল নিয়ে কাজ করেছেন।
ডরসির অ্যাপটি কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে অস্থায়ী ও এনক্রিপ্ট করা যোগাযোগকে সম্ভব করে তোলে। ফলে অ্যাপের বিভিন্ন মেসেজ নিরাপদ ও দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষিত হয় না। ব্যবহারকারীরা যখন বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করেন, তখন তাঁদের ফোন স্থানীয় ‘ব্লুটুথ ক্লাস্টার’ তৈরি করে এবং এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে বার্তা পাঠানো হয়। এভাবে বার্তা পৌঁছায় দূরবর্তী ব্যবহারকারীর কাছেও, এমনকি ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়াও।
অ্যাপটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—‘ব্রিজ’ ডিভাইস। এগুলো একাধিক ব্লুটুথ ক্লাস্টারকে সংযুক্ত করে পুরো নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে সাহায্য করে। বার্তাগুলো শুধু ব্যবহারকারীর ডিভাইসেই সংরক্ষিত থাকে, ডিফল্টভাবে তা মুছে যায় এবং কোনো কেন্দ্রীয় সার্ভারে যায় না। এটি ডরসির দীর্ঘদিনের গোপনীয়তা ও সেন্সরশিপ বিরোধী অবস্থানের প্রতিফলন।
ডরসির এই প্রকল্প তাঁর আগের উদ্যোগ দামুস ও ব্লুস্কাইয়েরই সম্প্রসারণ। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ, অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন খাতে বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে কাজ করছেন।
হংকংয়ের ২০১৯ সালের আন্দোলনে ব্যবহৃত ব্লুটুথ-ভিত্তিক অ্যাপের মতো বিটচ্যাটও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতা, নজরদারি কিংবা ব্লকড অবস্থায়ও কার্যকর থাকার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। এটি আন্দোলন, জরুরি অবস্থা বা অবরোধ চলাকালীন যুক্ত থাকার জন্য সেন্সরশিপ প্রতিরোধী একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারবে।
অ্যাপটিতে গ্রুপ চ্যাট বা ‘রুম’-এর সুবিধাও রয়েছে, যেগুলো হ্যাশট্যাগ ও পাসওয়ার্ড দিয়ে নিরাপদ করা যায়। এ ছাড়া বার্তাগুলো ‘স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সাময়িকভাবে অফলাইনে থাকা ব্যবহারকারীর কাছেও পৌঁছানো সম্ভব।
ভবিষ্যতের আপডেটে ওয়াইফাই ডাইরেক্ট ফিচার যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা গতি ও পরিসর বাড়াবে। এর মাধ্যমে ডরসির ‘অফ-গ্রিড’, ব্যবহারকারী-নিয়ন্ত্রিত যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্ন আরও এগিয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো প্রচলিত মেসেজিং অ্যাপের সঙ্গে বিটচ্যাটেরের পার্থক্য হলো—এটি কোনো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় নয়, কোনো অ্যাকাউন্ট বা ব্যক্তিগত শনাক্তকারী ছাড়াই চলে এবং ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে না।
ডরসির এই নতুন উদ্যোগ প্রযুক্তি ও প্রাইভেসি সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য এক নতুন বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি
আরও খবর পড়ুন:
করোনা মহামারি নিয়ে এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২০ সালে নিষিদ্ধ করা চ্যানেলগুলোকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। গুগল ঘোষণা দিয়েছেন, পূর্বের এক কনটেন্ট মডারেশন সিদ্ধান্ত বাতিল করতে যাচ্ছে তারা। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইউটিউব তার ‘স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতি অঙ্গীকার’...
৮ ঘণ্টা আগেহোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অনুবাদ ফিচার চালু করেছে মেটা। লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর ভাষাগত বাধা দূর করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
১১ ঘণ্টা আগেচীনের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক কানাডার শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্য ব্যবহার করে ব্যক্তিনির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট দেখায়। কানাডার কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক প্রাইভেসি কমিশনারদের এক যৌথ তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে ৫টি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ডেটা সেন্টার নির্মাণে বড় ধরনের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ওপেনএআই, ওরাকল ও সফটব্যাংক। ‘স্টারগেট’ নামের এই প্রকল্পে আগামী কয়েক বছরে মোট ব্যয় হতে পারে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা ৫০ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগে