ফিচার ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে পুরো বিশ্বে। এই আসক্তির বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। এ বছর শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ওপর বেশ কড়া নিয়মকানুন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি গত নভেম্বরে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ২০২৫ সালে বিভিন্ন দেশে এ ধরনের উদ্যোগ আরও কঠোর হতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া
দেশটি সম্প্রতি একটি নতুন আইন পাস করেছে। এই আইনের মাধ্যমে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লগইন করতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করা হয়েছে। এই আইন অমান্য করলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে। আইনটি কার্যকর হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে। এক বছর পর এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন শুরু হবে।
যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। তবে তাদের ডিজিটালমন্ত্রী পিটার কাইল বলেছেন, শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে। শিশুদের স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের সরকার একটি গবেষণা শুরু করেছে। এ গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আগামী বছরের প্রথম দিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য নতুন আইন ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’ কার্যকর হবে।
নরওয়ে
এ বছরের নভেম্বরে নরওয়ে প্রস্তাব করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইনআপ করতে শিশুদের ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর হতে হবে। এই বয়সসীমা পূর্ণ না হলে তাদের অভিভাবকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পক্ষে অনুমতি দিতে পারবেন না। সে দেশের সরকারের তথ্য অনুযায়ী, নরওয়ের ৯ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় অর্ধেকই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে, যা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে।
ফ্রান্স
দেশটি ২০২৩ সালে একটি আইন পাস করেছে। সেই আইনে ১৫ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে অভিভাবকের অনুমতি বাধ্যতামূলক করেছে। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই আইন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের এপ্রিলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর একটি প্যানেল শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিয়মের প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে ১১ বছরের নিচের সব শিশুর মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশও ছিল।
জার্মানি
দেশটিতে ১৩ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে। তবে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন দাবি করছে, বর্তমানে জার্মানিতে যে নিয়মগুলো চালু আছে, সেগুলো যথেষ্ট নয় এবং এসব নিয়মের বাস্তবায়ন অবশ্যই আরও কঠোর করা উচিত।
ইতালি
১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয় ইতালিতে। ১৪ বছরের পরে অনুমতি ছাড়াই তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে পুরো বিশ্বে। এই আসক্তির বড় ভুক্তভোগী শিশুরা। এ বছর শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ওপর বেশ কড়া নিয়মকানুন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি গত নভেম্বরে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ২০২৫ সালে বিভিন্ন দেশে এ ধরনের উদ্যোগ আরও কঠোর হতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া
দেশটি সম্প্রতি একটি নতুন আইন পাস করেছে। এই আইনের মাধ্যমে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লগইন করতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করা হয়েছে। এই আইন অমান্য করলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে। আইনটি কার্যকর হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে। এক বছর পর এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন শুরু হবে।
যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়ার মতো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। তবে তাদের ডিজিটালমন্ত্রী পিটার কাইল বলেছেন, শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে। শিশুদের স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের সরকার একটি গবেষণা শুরু করেছে। এ গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আগামী বছরের প্রথম দিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য নতুন আইন ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’ কার্যকর হবে।
নরওয়ে
এ বছরের নভেম্বরে নরওয়ে প্রস্তাব করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইনআপ করতে শিশুদের ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর হতে হবে। এই বয়সসীমা পূর্ণ না হলে তাদের অভিভাবকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পক্ষে অনুমতি দিতে পারবেন না। সে দেশের সরকারের তথ্য অনুযায়ী, নরওয়ের ৯ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় অর্ধেকই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে, যা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে।
ফ্রান্স
দেশটি ২০২৩ সালে একটি আইন পাস করেছে। সেই আইনে ১৫ বছরের নিচের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে অভিভাবকের অনুমতি বাধ্যতামূলক করেছে। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই আইন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের এপ্রিলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর একটি প্যানেল শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিয়মের প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে ১১ বছরের নিচের সব শিশুর মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশও ছিল।
জার্মানি
দেশটিতে ১৩ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে। তবে শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন দাবি করছে, বর্তমানে জার্মানিতে যে নিয়মগুলো চালু আছে, সেগুলো যথেষ্ট নয় এবং এসব নিয়মের বাস্তবায়ন অবশ্যই আরও কঠোর করা উচিত।
ইতালি
১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয় ইতালিতে। ১৪ বছরের পরে অনুমতি ছাড়াই তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশাল অ্যান্টি ট্রাস্ট জরিমানা এড়াতে সার্চ রেজাল্টে প্রতিযোগীদের আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। সংশ্লিষ্ট কিছু নথির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সংক্রান্ত অগ্রগতির তথ্য অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে মামলা করেছে বিনিয়োগকারীরা। গত শুক্রবার দায়ের করা এই ক্লাস অ্যাকশন মামলায় বলা হয়, আইফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরিতে অ্যাডভান্সড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিসংক্রান্ত অগ্রগতির ব্যাপা
৯ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সার্ভার তৈরি জন্য মানবাকৃতি রোবট ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে তাইওয়ানের ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা ফক্সকন ও যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত ফক্সকন কারখানায় রোবটগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য
১১ ঘণ্টা আগেবর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইটি অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আইটি ডিভাইসের যথাযথ যত্ন না নেওয়া গেলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এগুলো কর্মক্ষমতা হারায়; ফলে, ডেটা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
১২ ঘণ্টা আগে