আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই জগতে নতুন একটি নাম ‘থিংকিং মেশিনস ল্যাব’ (টিএমএল)। চলতি বছরের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আছেন ওপেনএআইয়ের সাবেক প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। তবে পণ্য বাজারে ছাড়ার আগেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দলে ভেড়াতে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত বেতন দিচ্ছে স্টার্টআপটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে অন্তত চারজন বিদেশি কর্মীকে এইচ-১বি ভিসার আওতায় নিয়োগ দিয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পাচ্ছেন বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার বেতন, একজন পাচ্ছেন ৫ লাখ ডলার। আরেকজন যিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে তালিকাভুক্ত, তিনিও পাচ্ছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এই তথ্য এসেছে মার্কিন অভিবাসননীতির আওতায় জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নিয়োগসংক্রান্ত ফাইলিং থেকে। অনেক প্রতিষ্ঠানই বেতনসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে না, ফলে এ ধরনের নথিপত্র থেকে বেতনের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। এখানে কেবল মূল বেতনের তথ্য দেওয়া হয়েছে, এতে সাইন-অন বোনাস বা স্টার্টআপ শেয়ার যুক্ত নেই, যা সাধারণত বড় অঙ্কের হয়ে থাকে।
প্রথম প্রান্তিকে এ তথ্য প্রকাশের আগেই মুরাতি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সংগ্রহ করেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য হয় ১০ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, স্কেলএআইয়ের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকে নিয়ে ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মেটার ৪৯ শতাংশ শেয়ার কেনার ঘোষণা এআই প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
সম্প্রতি ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যান জানান, মেটা এখন এআই ট্যালেন্ট পেতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের সাইনিং বোনাস পর্যন্ত দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে টিএমএলের প্রস্তাবিত গড় বেতন, অর্থাৎ ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ ডলার, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ওপেনএআই ২৯ জন প্রযুক্তিকর্মীকে গড় ২ লাখ ৯২ হাজার ১১৫ ডলার বেতন দিচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ বেতনধারী পাচ্ছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, আর সর্বনিম্ন পাচ্ছেন ২ লাখ ডলার। অ্যানথ্রপিক ১৪ জনকে গড়ে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার দিচ্ছে, যেখানে সর্বোচ্চ বেতন ৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
চলতি বছরের শুরুতেই একটি বড় নিয়োগ অভিযান চালায় টিএমএল। তাদের দলে যোগ দেন ওপেনএআইয়ের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা বব ম্যাকগ্রু, গবেষক অ্যালেক র্যাডফোর্ড, চ্যাটজিপিটির সহনির্মাতা জন শুলম্যান, ওপেনএআইয়ের ‘স্পেশাল প্রজেক্টস’ বিভাগের প্রধান জোনাথন ল্যাকম্যান, চ্যাটজিপিটির সহনির্মাতা ব্যারেট জফ এবং ভয়েস মোডে মুরাতির সঙ্গে কাজ করা আলেক্সান্ডার কিরিলভ।
তবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, তারা আপাতত নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে।
কে এই মুরা মুরাতি
মুরা মুরাতি ছয় বছর ধরে ওপেনএআইয়ে কাজ করেছেন। চ্যাটজিপিটিসহ একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি তার তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যানকে আকস্মিকভাবে বরখাস্ত করলে মুরাতি কয়েক দিনের জন্য অন্তর্বর্তী সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অল্টম্যান ফিরে এলে তিনি আবার সিটিও পদে ফেরেন।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই জগতে নতুন একটি নাম ‘থিংকিং মেশিনস ল্যাব’ (টিএমএল)। চলতি বছরের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আছেন ওপেনএআইয়ের সাবেক প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। তবে পণ্য বাজারে ছাড়ার আগেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দলে ভেড়াতে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত বেতন দিচ্ছে স্টার্টআপটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে অন্তত চারজন বিদেশি কর্মীকে এইচ-১বি ভিসার আওতায় নিয়োগ দিয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পাচ্ছেন বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার বেতন, একজন পাচ্ছেন ৫ লাখ ডলার। আরেকজন যিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে তালিকাভুক্ত, তিনিও পাচ্ছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এই তথ্য এসেছে মার্কিন অভিবাসননীতির আওতায় জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নিয়োগসংক্রান্ত ফাইলিং থেকে। অনেক প্রতিষ্ঠানই বেতনসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে না, ফলে এ ধরনের নথিপত্র থেকে বেতনের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। এখানে কেবল মূল বেতনের তথ্য দেওয়া হয়েছে, এতে সাইন-অন বোনাস বা স্টার্টআপ শেয়ার যুক্ত নেই, যা সাধারণত বড় অঙ্কের হয়ে থাকে।
প্রথম প্রান্তিকে এ তথ্য প্রকাশের আগেই মুরাতি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সংগ্রহ করেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য হয় ১০ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, স্কেলএআইয়ের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকে নিয়ে ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মেটার ৪৯ শতাংশ শেয়ার কেনার ঘোষণা এআই প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
সম্প্রতি ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যান জানান, মেটা এখন এআই ট্যালেন্ট পেতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের সাইনিং বোনাস পর্যন্ত দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে টিএমএলের প্রস্তাবিত গড় বেতন, অর্থাৎ ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ ডলার, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ওপেনএআই ২৯ জন প্রযুক্তিকর্মীকে গড় ২ লাখ ৯২ হাজার ১১৫ ডলার বেতন দিচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ বেতনধারী পাচ্ছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, আর সর্বনিম্ন পাচ্ছেন ২ লাখ ডলার। অ্যানথ্রপিক ১৪ জনকে গড়ে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার দিচ্ছে, যেখানে সর্বোচ্চ বেতন ৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
চলতি বছরের শুরুতেই একটি বড় নিয়োগ অভিযান চালায় টিএমএল। তাদের দলে যোগ দেন ওপেনএআইয়ের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা বব ম্যাকগ্রু, গবেষক অ্যালেক র্যাডফোর্ড, চ্যাটজিপিটির সহনির্মাতা জন শুলম্যান, ওপেনএআইয়ের ‘স্পেশাল প্রজেক্টস’ বিভাগের প্রধান জোনাথন ল্যাকম্যান, চ্যাটজিপিটির সহনির্মাতা ব্যারেট জফ এবং ভয়েস মোডে মুরাতির সঙ্গে কাজ করা আলেক্সান্ডার কিরিলভ।
তবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, তারা আপাতত নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে।
কে এই মুরা মুরাতি
মুরা মুরাতি ছয় বছর ধরে ওপেনএআইয়ে কাজ করেছেন। চ্যাটজিপিটিসহ একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি তার তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যানকে আকস্মিকভাবে বরখাস্ত করলে মুরাতি কয়েক দিনের জন্য অন্তর্বর্তী সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অল্টম্যান ফিরে এলে তিনি আবার সিটিও পদে ফেরেন।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০টি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিইওদের নিরাপত্তায় খরচ বেড়ে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে মেটা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি শুধু মার্ক জাকারবার্গের জন্যই খরচ করেছে প্রায় ২৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ মিলিয়ন ডলার বেশি।
১ ঘণ্টা আগেচীনের ইন্টারনেট জায়ান্ট বাইদু ২০২৬ সালে যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে রোবোট্যাক্সি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ লিফট–এর মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হবে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে।
২ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক তাদের কমিউনিটি গাইডলাইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। গত বৃহস্পতিবার এক ব্লগপোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টিকটকের গ্লোবাল ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি প্রধান সন্দীপ গ্রোভার। নতুন নিয়মগুলো আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯ হাজার ২০০ বার বেশি হ্যাকিংয়ের প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি। এসব হামলার বেশির ভাগই উত্তর কোরিয়া থেকে পরিচালিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে