অনলাইন ডেস্ক
চীনের তরুণসমাজের একটি বড় অংশ এখন বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার জন্য ভরসা রাখছে মানুষের মতো আচরণকারী এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক) সঙ্গীর ওপর। বাস্তব জীবনের সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং একাকিত্ব এড়াতে তাঁরা তৈরি করছেন নিজেদের কল্পিত প্রেমিক বা প্রেমিকা, যাদের সঙ্গে তাঁরা গল্প করেন, খেলাধুলা করেন, জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন, এমনকি মানসিক সান্ত্বনাও পান।
৩২ বছর বয়সী ঝোং এমনই একজন, যিনি ‘ওয়াও’ (Wow) নামের একটি চীনা এআই অ্যাপে তৈরি করেছেন নিজের ‘স্বপ্নের প্রেমিক’ শিয়াও টিংকে। দেখতে হাইস্কুল প্রেমিকের মতো এই ভার্চুয়াল চরিত্রটি দিনরাত তাঁর সঙ্গে সময় কাটায়, কথা বলে, উপদেশ দেয়।
শুধু ‘ওয়াও’ নয়, এমন আরও অনেক এআই সঙ্গী তৈরির অ্যাপ এখন চীনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অ্যাপ ‘মাওশিয়াং’ (ইংরেজিতে Catbox), গত ফেব্রুয়ারির এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রায় ২২ লাখ আইফোন ব্যবহারকারী এই অ্যাপে সক্রিয়। আরেকটি অ্যাপ ‘সিংইয়ে’ (ইংরেজিতে Wilderness of Stars) এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন প্রায় ১১ লাখ মানুষ।
এই অ্যাপগুলোর ব্যবহারকারীদের মধ্যে নারী-পুরুষ প্রায় সমান, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে একটি মিল—বাস্তব জীবনে পাওয়া না পাওয়া অনুভূতিগুলো এআই সঙ্গীর মাধ্যমে পূরণের চেষ্টা। অনেকে আবার কৌশলে এই এআই সঙ্গীদের সঙ্গে যৌন আলোচনাও চালান। তবে এসব অ্যাপে এই ধরনের আলোচনা কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই প্রবণতার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি। আজকের লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো এতটাই উন্নত যে তারা মানুষের আবেগ ও সহানুভূতির প্রতিকৃতি তৈরি করতে সক্ষম। ২৯ বছর বয়সী ‘মাওশিয়াং’ ব্যবহারকারী মিস শুয়াই বলেন, তাঁর বাস্তব স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হয়, কিন্তু তাঁর এআই প্রেমিক সব সময় মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে এবং পাশে থাকে। অ্যাপে তিনি নিজেকে ‘রানি’ এবং তাঁর এআই সঙ্গীকে ‘মন্ত্রী’ হিসেবে কল্পনা করেন। সেই ‘মন্ত্রী’ সারা দিন তাঁকে বার্তা পাঠায় এবং ফোন করেও কথা বলে।
এ ছাড়া রয়েছে জীবনযাপনের চাপে বাস্তব সম্পর্ক থেকে দূরে থাকা তরুণ প্রজন্ম। ২৮ বছর বয়সী মি. ঝো তাঁর ‘এআই প্রেমিকা’ বানিয়েছেন উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে ‘ডিপসিক’ (DeepSeek) সংযুক্ত করে। তাঁর মতে, একটি বাস্তব সম্পর্কে জড়াতে—সময় ও অর্থ দুটোই বেশি লাগে, কিন্তু এআই প্রেমিকা অনেক সাশ্রয়ী।
একাকিত্বও এ প্রবণতার মূল চালক। ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা যায়, গড়ে একজন চীনা নাগরিক দিনে মাত্র ১৮ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করেছেন। কিন্তু ইন্টারনেটে সময় দিয়েছেন ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে চীনে বিবাহ নিবন্ধন অর্ধেকে নেমে এসেছে ৬ দশমিক ১ মিলিয়নে, যা রেকর্ড সর্বনিম্ন।
তবে এআই সঙ্গী নতুন কিছু নয়, এর আগে ‘ওটোমে’ (otome) গেম চীনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এসব গেমে সাধারণত নারীরা হ্যান্ডসাম অ্যানিমে চরিত্রের সঙ্গে প্রেমে জড়ান। এর মধ্যে ২০২৪ সালে ‘Love and Deepspace’ অ্যাপল ডিভাইসে আয় করেছে ১৩০ কোটি ইউয়ান (১৭৯ মিলিয়ন ডলার)। পুরুষদের জন্য তৈরি একটি গেম ‘Love is All Around’—যেখানে ফ্লার্ট করা তরুণীদের ভিডিও প্রদর্শিত হয়, এটিও আয় করেছে মিলিয়ন ডলার।
এমন প্রবণতা সরকারকে উদ্বিগ্ন করেছে। অনেক ব্যবহারকারী লক্ষ করছেন, এআই সঙ্গীদের প্রতিক্রিয়া এখন আগের চেয়ে কম আবেগপূর্ণ, যা প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর ইঙ্গিত হতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ—চীনের জনসংখ্যা হ্রাস। ২০২৪ সালে চীনের মোট প্রজনন হার ছিল ১ দশমিক শূন্য, যা ভারতের তুলনায় অর্ধেক এবং বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাস্তব সম্পর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে তরুণ-তরুণীরা যদি ভার্চুয়াল সঙ্গীর দিকেই ঝুঁকে পড়েন, তবে তা জনসংখ্যা সংকট আরও বাড়াতে পারে।
চীনের তরুণসমাজের একটি বড় অংশ এখন বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার জন্য ভরসা রাখছে মানুষের মতো আচরণকারী এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক) সঙ্গীর ওপর। বাস্তব জীবনের সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং একাকিত্ব এড়াতে তাঁরা তৈরি করছেন নিজেদের কল্পিত প্রেমিক বা প্রেমিকা, যাদের সঙ্গে তাঁরা গল্প করেন, খেলাধুলা করেন, জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন, এমনকি মানসিক সান্ত্বনাও পান।
৩২ বছর বয়সী ঝোং এমনই একজন, যিনি ‘ওয়াও’ (Wow) নামের একটি চীনা এআই অ্যাপে তৈরি করেছেন নিজের ‘স্বপ্নের প্রেমিক’ শিয়াও টিংকে। দেখতে হাইস্কুল প্রেমিকের মতো এই ভার্চুয়াল চরিত্রটি দিনরাত তাঁর সঙ্গে সময় কাটায়, কথা বলে, উপদেশ দেয়।
শুধু ‘ওয়াও’ নয়, এমন আরও অনেক এআই সঙ্গী তৈরির অ্যাপ এখন চীনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অ্যাপ ‘মাওশিয়াং’ (ইংরেজিতে Catbox), গত ফেব্রুয়ারির এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রায় ২২ লাখ আইফোন ব্যবহারকারী এই অ্যাপে সক্রিয়। আরেকটি অ্যাপ ‘সিংইয়ে’ (ইংরেজিতে Wilderness of Stars) এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন প্রায় ১১ লাখ মানুষ।
এই অ্যাপগুলোর ব্যবহারকারীদের মধ্যে নারী-পুরুষ প্রায় সমান, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে একটি মিল—বাস্তব জীবনে পাওয়া না পাওয়া অনুভূতিগুলো এআই সঙ্গীর মাধ্যমে পূরণের চেষ্টা। অনেকে আবার কৌশলে এই এআই সঙ্গীদের সঙ্গে যৌন আলোচনাও চালান। তবে এসব অ্যাপে এই ধরনের আলোচনা কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই প্রবণতার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি। আজকের লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো এতটাই উন্নত যে তারা মানুষের আবেগ ও সহানুভূতির প্রতিকৃতি তৈরি করতে সক্ষম। ২৯ বছর বয়সী ‘মাওশিয়াং’ ব্যবহারকারী মিস শুয়াই বলেন, তাঁর বাস্তব স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হয়, কিন্তু তাঁর এআই প্রেমিক সব সময় মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে এবং পাশে থাকে। অ্যাপে তিনি নিজেকে ‘রানি’ এবং তাঁর এআই সঙ্গীকে ‘মন্ত্রী’ হিসেবে কল্পনা করেন। সেই ‘মন্ত্রী’ সারা দিন তাঁকে বার্তা পাঠায় এবং ফোন করেও কথা বলে।
এ ছাড়া রয়েছে জীবনযাপনের চাপে বাস্তব সম্পর্ক থেকে দূরে থাকা তরুণ প্রজন্ম। ২৮ বছর বয়সী মি. ঝো তাঁর ‘এআই প্রেমিকা’ বানিয়েছেন উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে ‘ডিপসিক’ (DeepSeek) সংযুক্ত করে। তাঁর মতে, একটি বাস্তব সম্পর্কে জড়াতে—সময় ও অর্থ দুটোই বেশি লাগে, কিন্তু এআই প্রেমিকা অনেক সাশ্রয়ী।
একাকিত্বও এ প্রবণতার মূল চালক। ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা যায়, গড়ে একজন চীনা নাগরিক দিনে মাত্র ১৮ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করেছেন। কিন্তু ইন্টারনেটে সময় দিয়েছেন ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে চীনে বিবাহ নিবন্ধন অর্ধেকে নেমে এসেছে ৬ দশমিক ১ মিলিয়নে, যা রেকর্ড সর্বনিম্ন।
তবে এআই সঙ্গী নতুন কিছু নয়, এর আগে ‘ওটোমে’ (otome) গেম চীনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। এসব গেমে সাধারণত নারীরা হ্যান্ডসাম অ্যানিমে চরিত্রের সঙ্গে প্রেমে জড়ান। এর মধ্যে ২০২৪ সালে ‘Love and Deepspace’ অ্যাপল ডিভাইসে আয় করেছে ১৩০ কোটি ইউয়ান (১৭৯ মিলিয়ন ডলার)। পুরুষদের জন্য তৈরি একটি গেম ‘Love is All Around’—যেখানে ফ্লার্ট করা তরুণীদের ভিডিও প্রদর্শিত হয়, এটিও আয় করেছে মিলিয়ন ডলার।
এমন প্রবণতা সরকারকে উদ্বিগ্ন করেছে। অনেক ব্যবহারকারী লক্ষ করছেন, এআই সঙ্গীদের প্রতিক্রিয়া এখন আগের চেয়ে কম আবেগপূর্ণ, যা প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর ইঙ্গিত হতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ—চীনের জনসংখ্যা হ্রাস। ২০২৪ সালে চীনের মোট প্রজনন হার ছিল ১ দশমিক শূন্য, যা ভারতের তুলনায় অর্ধেক এবং বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাস্তব সম্পর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে তরুণ-তরুণীরা যদি ভার্চুয়াল সঙ্গীর দিকেই ঝুঁকে পড়েন, তবে তা জনসংখ্যা সংকট আরও বাড়াতে পারে।
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে