আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের। তবে এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে অ্যাপল-স্যামসাং প্রতিযোগিতা। আর এবারও মূল বিষয়বস্তু—স্ক্রিন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন চালান নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য বলছে, আগের প্রান্তিকে যেখানে স্যামসাংয়ের মার্কেট শেয়ার ছিল ২৩ শতাংশ, সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। অন্যদিকে, অ্যাপলের মার্কেট শেয়ার কমে ৫৬ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪৯ শতাংশে।
এখনো অবশ্য মার্কিন বাজারে অ্যাপলই শীর্ষস্থানে। তবে এই পতনটি ইঙ্গিত দেয়, দীর্ঘ এক দশক পর অ্যাপল সত্যিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে ২০২৫ সালে অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, স্যামসাংয়ের শেয়ার বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
অবশ্য গত জুলাইয়ে প্রকাশিত অ্যাপলের আয় বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় আইফোন বিক্রি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
গত জুলাইতেই স্যামসাং বাজারে এনেছে ভাঁজযোগ্য স্ক্রিনযুক্ত দুটি স্মার্টফোন—গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ এবং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭। জেড ফোল্ড ৭ ফোনটি ব্যবহারকারীদের জন্য ট্যাবলেটে পরিণত হতে পারে, আর জেড ফ্লিপ দেখতে অনেকটা পুরোনো দিনের ফ্লিপ ফোনের মতো হলেও এতে রয়েছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। এই ফোনগুলো যুক্ত হয়েছে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ—একটি হালকা ও পাতলা প্রিমিয়াম স্মার্টফোন।
ভাঁজযোগ্য ফোনগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, বিশেষত রিভিউ ভিডিও নিয়ে। এক ব্যবহারকারী লাইভ স্ট্রিম করে দেখিয়েছেন কীভাবে তিনি জেড ফোল্ড ৭ ফোনটিকে টানা ২ লাখবার ভাঁজ করেছেন। সেই ভিডিও থেকে তৈরি একটি ক্লিপ ইউটিউবে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালাইটিকস প্রতিষ্ঠান স্প্রাউট সোশ্যালের তথ্যমতে, গত এক মাসে স্যামসাংয়ের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন, বিশেষত জেড ফোল্ড ৭ নিয়ে ৫০ হাজারের বেশি বার পোস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ শতাংশ পোস্টই ছিল ইতিবাচক বা নিরপেক্ষ।
শুধু ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দই নয়, বিশ্লেষকেরা বলছেন, জুন প্রান্তিকে মার্কেট শেয়ারে পরিবর্তনের অন্যতম কারণ শুল্কজনিত ঝামেলা। এ কারণে বিভিন্ন ফোন নির্মাতা বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে বাজারে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য।
তবে স্যামসাংয়ের অগ্রগতি আরও বড় একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে—বিভিন্ন দামের ফোন বিক্রির কৌশল। প্রতিষ্ঠানটি ৬৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত দামের ফোন বাজারে এনেছে। ক্যানালিসের বিশ্লেষক রুনার বিয়োরহোভদে বলেন, ‘প্রতিটি দামে আপনি কাউকে টার্গেট করতে পারবেন—এটাই মূল বার্তা।’
অন্যদিকে, আইফোনের ডিজাইন ২০১৭ সাল থেকে খুব একটা বদলায়নি—সামনে স্ক্রিন, পেছনে কয়েকটি ক্যামেরা। বর্তমানে অ্যাপল চারটি মডেলের আইফোন বিক্রি করছে, যার দাম শুরু ৮২৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত।
স্যামসাংসহ অন্য নির্মাতারা এখন নতুন ডিজাইনের ফোন আনার চেষ্টা করছেন। অ্যাপলও সেই পথে হাঁটতে চলেছে। আগামী মাসেই আসতে পারে একটি পাতলা আইফোন, যা স্যামসাং গ্যালাক্সি ‘এজ’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হবে।
গত মে মাসে লুপ ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন ডোনোভান লিখেছেন, ‘অ্যাপল নিশ্চিত যে তাদের ৫ দশমিক ৫ মিমি পুরুত্বের নতুন “এয়ার” মডেল বাজারে ভালো করবে, কারণ পরীক্ষায় এই নতুন আকৃতি নিয়ে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ পাওয়া গেছে।’
গত মাসে জেপি মরগ্যান চেজের বিশ্লেষক সামিক চ্যাটার্জি বলেন, অ্যাপল ২০২৬ সালে প্রথম ভাঁজযোগ্য আইফোন বাজারে আনতে পারে, যার সম্ভাব্য নাম—আইফোন ১৮।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০২৬ সালের শরতে অ্যাপল প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের নজর ইতিমধ্যে সেদিকেই চলে গেছে।’
বর্তমানে অ্যাপলের সবচেয়ে দামি ফোন আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স—যার ২৫৬ জিবি সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার এবং ১ টেরাবাইট সংস্করণ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার। অন্যদিকে, সদ্য ঘোষিত স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭-এর দাম শুরু ১ হাজার ৯৯৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪১৯ ডলার পর্যন্ত। চ্যাটার্জি বলছেন, অ্যাপলের ফোল্ডেবল ফোনের দামও হতে পারে ১ হাজার ৯৯৯ ডলার।
ভাঁজযোগ্য ফোন এখন পরিপক্ব
স্যামসাং ২০১৯ সালে প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনে, তবে শুরুটা ভালো ছিল না। সে সময় কিছু ডিভাইসে ভাঁজের লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা বাতিল করতে হয়।
তবে স্যামসাং বলছে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং এবার ভাঁজযোগ্য ফোন পুরোপুরি প্রস্তুত। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস আমেরিকার মোবাইল পণ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্রু ব্ল্যাকার্ড বলেন, ‘এখন আর ফোল্ডেবল ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য কোনো বড় আপস করতে হয় না।’
যদিও প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায় না, তবে ব্ল্যাকার্ড দাবি করেছেন, গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ আগের যেকোনো ভাঁজযোগ্য ডিভাইসের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি প্রি-অর্ডার পেয়েছে এবং বিক্রি আগের সংস্করণের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, জুন প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বিক্রি ১৬ শতাংশ বেড়েছে, যা এসেছে মূলত উচ্চমূল্যের ফোনগুলোর কারণে। বিশেষ করে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ ফোন থেকেও কিছুটা সহায়তা পেয়েছে স্যামসাং।
এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থান নতুন ধরনের প্রযুক্তিপণ্যের সম্ভাবনা তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে আইফোনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। ২০২৫ সালের মে মাসে অ্যাপলের প্রাক্তন ডিজাইনপ্রধান জনি আইভের প্রতিষ্ঠিত একটি স্টার্টআপ ৬.৫ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ওপেনএআই। এই স্টার্টআপ তৈরি করছে ভবিষ্যতের নতুন ধরনের হার্ডওয়্যার। এআই-নির্ভর অন্যান্য স্টার্টআপ ইতিমধ্যে বাজারে এনেছে ভয়েস কন্ট্রোলড পিন, পেনডেন্ট ও স্মার্ট চশমা।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের। তবে এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে অ্যাপল-স্যামসাং প্রতিযোগিতা। আর এবারও মূল বিষয়বস্তু—স্ক্রিন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন চালান নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য বলছে, আগের প্রান্তিকে যেখানে স্যামসাংয়ের মার্কেট শেয়ার ছিল ২৩ শতাংশ, সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। অন্যদিকে, অ্যাপলের মার্কেট শেয়ার কমে ৫৬ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪৯ শতাংশে।
এখনো অবশ্য মার্কিন বাজারে অ্যাপলই শীর্ষস্থানে। তবে এই পতনটি ইঙ্গিত দেয়, দীর্ঘ এক দশক পর অ্যাপল সত্যিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে ২০২৫ সালে অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, স্যামসাংয়ের শেয়ার বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
অবশ্য গত জুলাইয়ে প্রকাশিত অ্যাপলের আয় বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় আইফোন বিক্রি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
গত জুলাইতেই স্যামসাং বাজারে এনেছে ভাঁজযোগ্য স্ক্রিনযুক্ত দুটি স্মার্টফোন—গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ এবং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭। জেড ফোল্ড ৭ ফোনটি ব্যবহারকারীদের জন্য ট্যাবলেটে পরিণত হতে পারে, আর জেড ফ্লিপ দেখতে অনেকটা পুরোনো দিনের ফ্লিপ ফোনের মতো হলেও এতে রয়েছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। এই ফোনগুলো যুক্ত হয়েছে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ—একটি হালকা ও পাতলা প্রিমিয়াম স্মার্টফোন।
ভাঁজযোগ্য ফোনগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, বিশেষত রিভিউ ভিডিও নিয়ে। এক ব্যবহারকারী লাইভ স্ট্রিম করে দেখিয়েছেন কীভাবে তিনি জেড ফোল্ড ৭ ফোনটিকে টানা ২ লাখবার ভাঁজ করেছেন। সেই ভিডিও থেকে তৈরি একটি ক্লিপ ইউটিউবে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালাইটিকস প্রতিষ্ঠান স্প্রাউট সোশ্যালের তথ্যমতে, গত এক মাসে স্যামসাংয়ের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন, বিশেষত জেড ফোল্ড ৭ নিয়ে ৫০ হাজারের বেশি বার পোস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ শতাংশ পোস্টই ছিল ইতিবাচক বা নিরপেক্ষ।
শুধু ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দই নয়, বিশ্লেষকেরা বলছেন, জুন প্রান্তিকে মার্কেট শেয়ারে পরিবর্তনের অন্যতম কারণ শুল্কজনিত ঝামেলা। এ কারণে বিভিন্ন ফোন নির্মাতা বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে বাজারে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য।
তবে স্যামসাংয়ের অগ্রগতি আরও বড় একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে—বিভিন্ন দামের ফোন বিক্রির কৌশল। প্রতিষ্ঠানটি ৬৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত দামের ফোন বাজারে এনেছে। ক্যানালিসের বিশ্লেষক রুনার বিয়োরহোভদে বলেন, ‘প্রতিটি দামে আপনি কাউকে টার্গেট করতে পারবেন—এটাই মূল বার্তা।’
অন্যদিকে, আইফোনের ডিজাইন ২০১৭ সাল থেকে খুব একটা বদলায়নি—সামনে স্ক্রিন, পেছনে কয়েকটি ক্যামেরা। বর্তমানে অ্যাপল চারটি মডেলের আইফোন বিক্রি করছে, যার দাম শুরু ৮২৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত।
স্যামসাংসহ অন্য নির্মাতারা এখন নতুন ডিজাইনের ফোন আনার চেষ্টা করছেন। অ্যাপলও সেই পথে হাঁটতে চলেছে। আগামী মাসেই আসতে পারে একটি পাতলা আইফোন, যা স্যামসাং গ্যালাক্সি ‘এজ’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হবে।
গত মে মাসে লুপ ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন ডোনোভান লিখেছেন, ‘অ্যাপল নিশ্চিত যে তাদের ৫ দশমিক ৫ মিমি পুরুত্বের নতুন “এয়ার” মডেল বাজারে ভালো করবে, কারণ পরীক্ষায় এই নতুন আকৃতি নিয়ে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ পাওয়া গেছে।’
গত মাসে জেপি মরগ্যান চেজের বিশ্লেষক সামিক চ্যাটার্জি বলেন, অ্যাপল ২০২৬ সালে প্রথম ভাঁজযোগ্য আইফোন বাজারে আনতে পারে, যার সম্ভাব্য নাম—আইফোন ১৮।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০২৬ সালের শরতে অ্যাপল প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের নজর ইতিমধ্যে সেদিকেই চলে গেছে।’
বর্তমানে অ্যাপলের সবচেয়ে দামি ফোন আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স—যার ২৫৬ জিবি সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার এবং ১ টেরাবাইট সংস্করণ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার। অন্যদিকে, সদ্য ঘোষিত স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭-এর দাম শুরু ১ হাজার ৯৯৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪১৯ ডলার পর্যন্ত। চ্যাটার্জি বলছেন, অ্যাপলের ফোল্ডেবল ফোনের দামও হতে পারে ১ হাজার ৯৯৯ ডলার।
ভাঁজযোগ্য ফোন এখন পরিপক্ব
স্যামসাং ২০১৯ সালে প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনে, তবে শুরুটা ভালো ছিল না। সে সময় কিছু ডিভাইসে ভাঁজের লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা বাতিল করতে হয়।
তবে স্যামসাং বলছে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং এবার ভাঁজযোগ্য ফোন পুরোপুরি প্রস্তুত। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস আমেরিকার মোবাইল পণ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্রু ব্ল্যাকার্ড বলেন, ‘এখন আর ফোল্ডেবল ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য কোনো বড় আপস করতে হয় না।’
যদিও প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায় না, তবে ব্ল্যাকার্ড দাবি করেছেন, গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ আগের যেকোনো ভাঁজযোগ্য ডিভাইসের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি প্রি-অর্ডার পেয়েছে এবং বিক্রি আগের সংস্করণের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, জুন প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বিক্রি ১৬ শতাংশ বেড়েছে, যা এসেছে মূলত উচ্চমূল্যের ফোনগুলোর কারণে। বিশেষ করে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ ফোন থেকেও কিছুটা সহায়তা পেয়েছে স্যামসাং।
এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থান নতুন ধরনের প্রযুক্তিপণ্যের সম্ভাবনা তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে আইফোনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। ২০২৫ সালের মে মাসে অ্যাপলের প্রাক্তন ডিজাইনপ্রধান জনি আইভের প্রতিষ্ঠিত একটি স্টার্টআপ ৬.৫ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ওপেনএআই। এই স্টার্টআপ তৈরি করছে ভবিষ্যতের নতুন ধরনের হার্ডওয়্যার। এআই-নির্ভর অন্যান্য স্টার্টআপ ইতিমধ্যে বাজারে এনেছে ভয়েস কন্ট্রোলড পিন, পেনডেন্ট ও স্মার্ট চশমা।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের। তবে এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে অ্যাপল-স্যামসাং প্রতিযোগিতা। আর এবারও মূল বিষয়বস্তু—স্ক্রিন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন চালান নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য বলছে, আগের প্রান্তিকে যেখানে স্যামসাংয়ের মার্কেট শেয়ার ছিল ২৩ শতাংশ, সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। অন্যদিকে, অ্যাপলের মার্কেট শেয়ার কমে ৫৬ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪৯ শতাংশে।
এখনো অবশ্য মার্কিন বাজারে অ্যাপলই শীর্ষস্থানে। তবে এই পতনটি ইঙ্গিত দেয়, দীর্ঘ এক দশক পর অ্যাপল সত্যিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে ২০২৫ সালে অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, স্যামসাংয়ের শেয়ার বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
অবশ্য গত জুলাইয়ে প্রকাশিত অ্যাপলের আয় বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় আইফোন বিক্রি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
গত জুলাইতেই স্যামসাং বাজারে এনেছে ভাঁজযোগ্য স্ক্রিনযুক্ত দুটি স্মার্টফোন—গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ এবং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭। জেড ফোল্ড ৭ ফোনটি ব্যবহারকারীদের জন্য ট্যাবলেটে পরিণত হতে পারে, আর জেড ফ্লিপ দেখতে অনেকটা পুরোনো দিনের ফ্লিপ ফোনের মতো হলেও এতে রয়েছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। এই ফোনগুলো যুক্ত হয়েছে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ—একটি হালকা ও পাতলা প্রিমিয়াম স্মার্টফোন।
ভাঁজযোগ্য ফোনগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, বিশেষত রিভিউ ভিডিও নিয়ে। এক ব্যবহারকারী লাইভ স্ট্রিম করে দেখিয়েছেন কীভাবে তিনি জেড ফোল্ড ৭ ফোনটিকে টানা ২ লাখবার ভাঁজ করেছেন। সেই ভিডিও থেকে তৈরি একটি ক্লিপ ইউটিউবে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালাইটিকস প্রতিষ্ঠান স্প্রাউট সোশ্যালের তথ্যমতে, গত এক মাসে স্যামসাংয়ের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন, বিশেষত জেড ফোল্ড ৭ নিয়ে ৫০ হাজারের বেশি বার পোস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ শতাংশ পোস্টই ছিল ইতিবাচক বা নিরপেক্ষ।
শুধু ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দই নয়, বিশ্লেষকেরা বলছেন, জুন প্রান্তিকে মার্কেট শেয়ারে পরিবর্তনের অন্যতম কারণ শুল্কজনিত ঝামেলা। এ কারণে বিভিন্ন ফোন নির্মাতা বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে বাজারে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য।
তবে স্যামসাংয়ের অগ্রগতি আরও বড় একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে—বিভিন্ন দামের ফোন বিক্রির কৌশল। প্রতিষ্ঠানটি ৬৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত দামের ফোন বাজারে এনেছে। ক্যানালিসের বিশ্লেষক রুনার বিয়োরহোভদে বলেন, ‘প্রতিটি দামে আপনি কাউকে টার্গেট করতে পারবেন—এটাই মূল বার্তা।’
অন্যদিকে, আইফোনের ডিজাইন ২০১৭ সাল থেকে খুব একটা বদলায়নি—সামনে স্ক্রিন, পেছনে কয়েকটি ক্যামেরা। বর্তমানে অ্যাপল চারটি মডেলের আইফোন বিক্রি করছে, যার দাম শুরু ৮২৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত।
স্যামসাংসহ অন্য নির্মাতারা এখন নতুন ডিজাইনের ফোন আনার চেষ্টা করছেন। অ্যাপলও সেই পথে হাঁটতে চলেছে। আগামী মাসেই আসতে পারে একটি পাতলা আইফোন, যা স্যামসাং গ্যালাক্সি ‘এজ’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হবে।
গত মে মাসে লুপ ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন ডোনোভান লিখেছেন, ‘অ্যাপল নিশ্চিত যে তাদের ৫ দশমিক ৫ মিমি পুরুত্বের নতুন “এয়ার” মডেল বাজারে ভালো করবে, কারণ পরীক্ষায় এই নতুন আকৃতি নিয়ে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ পাওয়া গেছে।’
গত মাসে জেপি মরগ্যান চেজের বিশ্লেষক সামিক চ্যাটার্জি বলেন, অ্যাপল ২০২৬ সালে প্রথম ভাঁজযোগ্য আইফোন বাজারে আনতে পারে, যার সম্ভাব্য নাম—আইফোন ১৮।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০২৬ সালের শরতে অ্যাপল প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের নজর ইতিমধ্যে সেদিকেই চলে গেছে।’
বর্তমানে অ্যাপলের সবচেয়ে দামি ফোন আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স—যার ২৫৬ জিবি সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার এবং ১ টেরাবাইট সংস্করণ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার। অন্যদিকে, সদ্য ঘোষিত স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭-এর দাম শুরু ১ হাজার ৯৯৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪১৯ ডলার পর্যন্ত। চ্যাটার্জি বলছেন, অ্যাপলের ফোল্ডেবল ফোনের দামও হতে পারে ১ হাজার ৯৯৯ ডলার।
ভাঁজযোগ্য ফোন এখন পরিপক্ব
স্যামসাং ২০১৯ সালে প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনে, তবে শুরুটা ভালো ছিল না। সে সময় কিছু ডিভাইসে ভাঁজের লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা বাতিল করতে হয়।
তবে স্যামসাং বলছে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং এবার ভাঁজযোগ্য ফোন পুরোপুরি প্রস্তুত। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস আমেরিকার মোবাইল পণ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্রু ব্ল্যাকার্ড বলেন, ‘এখন আর ফোল্ডেবল ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য কোনো বড় আপস করতে হয় না।’
যদিও প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায় না, তবে ব্ল্যাকার্ড দাবি করেছেন, গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ আগের যেকোনো ভাঁজযোগ্য ডিভাইসের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি প্রি-অর্ডার পেয়েছে এবং বিক্রি আগের সংস্করণের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, জুন প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বিক্রি ১৬ শতাংশ বেড়েছে, যা এসেছে মূলত উচ্চমূল্যের ফোনগুলোর কারণে। বিশেষ করে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ ফোন থেকেও কিছুটা সহায়তা পেয়েছে স্যামসাং।
এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থান নতুন ধরনের প্রযুক্তিপণ্যের সম্ভাবনা তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে আইফোনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। ২০২৫ সালের মে মাসে অ্যাপলের প্রাক্তন ডিজাইনপ্রধান জনি আইভের প্রতিষ্ঠিত একটি স্টার্টআপ ৬.৫ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ওপেনএআই। এই স্টার্টআপ তৈরি করছে ভবিষ্যতের নতুন ধরনের হার্ডওয়্যার। এআই-নির্ভর অন্যান্য স্টার্টআপ ইতিমধ্যে বাজারে এনেছে ভয়েস কন্ট্রোলড পিন, পেনডেন্ট ও স্মার্ট চশমা।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের। তবে এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে অ্যাপল-স্যামসাং প্রতিযোগিতা। আর এবারও মূল বিষয়বস্তু—স্ক্রিন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন চালান নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য বলছে, আগের প্রান্তিকে যেখানে স্যামসাংয়ের মার্কেট শেয়ার ছিল ২৩ শতাংশ, সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। অন্যদিকে, অ্যাপলের মার্কেট শেয়ার কমে ৫৬ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪৯ শতাংশে।
এখনো অবশ্য মার্কিন বাজারে অ্যাপলই শীর্ষস্থানে। তবে এই পতনটি ইঙ্গিত দেয়, দীর্ঘ এক দশক পর অ্যাপল সত্যিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এরই মধ্যে ২০২৫ সালে অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, স্যামসাংয়ের শেয়ার বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
অবশ্য গত জুলাইয়ে প্রকাশিত অ্যাপলের আয় বিবরণী অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় আইফোন বিক্রি বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
গত জুলাইতেই স্যামসাং বাজারে এনেছে ভাঁজযোগ্য স্ক্রিনযুক্ত দুটি স্মার্টফোন—গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ এবং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৭। জেড ফোল্ড ৭ ফোনটি ব্যবহারকারীদের জন্য ট্যাবলেটে পরিণত হতে পারে, আর জেড ফ্লিপ দেখতে অনেকটা পুরোনো দিনের ফ্লিপ ফোনের মতো হলেও এতে রয়েছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। এই ফোনগুলো যুক্ত হয়েছে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ—একটি হালকা ও পাতলা প্রিমিয়াম স্মার্টফোন।
ভাঁজযোগ্য ফোনগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, বিশেষত রিভিউ ভিডিও নিয়ে। এক ব্যবহারকারী লাইভ স্ট্রিম করে দেখিয়েছেন কীভাবে তিনি জেড ফোল্ড ৭ ফোনটিকে টানা ২ লাখবার ভাঁজ করেছেন। সেই ভিডিও থেকে তৈরি একটি ক্লিপ ইউটিউবে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালাইটিকস প্রতিষ্ঠান স্প্রাউট সোশ্যালের তথ্যমতে, গত এক মাসে স্যামসাংয়ের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন, বিশেষত জেড ফোল্ড ৭ নিয়ে ৫০ হাজারের বেশি বার পোস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ শতাংশ পোস্টই ছিল ইতিবাচক বা নিরপেক্ষ।
শুধু ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দই নয়, বিশ্লেষকেরা বলছেন, জুন প্রান্তিকে মার্কেট শেয়ারে পরিবর্তনের অন্যতম কারণ শুল্কজনিত ঝামেলা। এ কারণে বিভিন্ন ফোন নির্মাতা বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে বাজারে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য।
তবে স্যামসাংয়ের অগ্রগতি আরও বড় একটি বাস্তবতা তুলে ধরছে—বিভিন্ন দামের ফোন বিক্রির কৌশল। প্রতিষ্ঠানটি ৬৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত দামের ফোন বাজারে এনেছে। ক্যানালিসের বিশ্লেষক রুনার বিয়োরহোভদে বলেন, ‘প্রতিটি দামে আপনি কাউকে টার্গেট করতে পারবেন—এটাই মূল বার্তা।’
অন্যদিকে, আইফোনের ডিজাইন ২০১৭ সাল থেকে খুব একটা বদলায়নি—সামনে স্ক্রিন, পেছনে কয়েকটি ক্যামেরা। বর্তমানে অ্যাপল চারটি মডেলের আইফোন বিক্রি করছে, যার দাম শুরু ৮২৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত।
স্যামসাংসহ অন্য নির্মাতারা এখন নতুন ডিজাইনের ফোন আনার চেষ্টা করছেন। অ্যাপলও সেই পথে হাঁটতে চলেছে। আগামী মাসেই আসতে পারে একটি পাতলা আইফোন, যা স্যামসাং গ্যালাক্সি ‘এজ’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হবে।
গত মে মাসে লুপ ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন ডোনোভান লিখেছেন, ‘অ্যাপল নিশ্চিত যে তাদের ৫ দশমিক ৫ মিমি পুরুত্বের নতুন “এয়ার” মডেল বাজারে ভালো করবে, কারণ পরীক্ষায় এই নতুন আকৃতি নিয়ে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ পাওয়া গেছে।’
গত মাসে জেপি মরগ্যান চেজের বিশ্লেষক সামিক চ্যাটার্জি বলেন, অ্যাপল ২০২৬ সালে প্রথম ভাঁজযোগ্য আইফোন বাজারে আনতে পারে, যার সম্ভাব্য নাম—আইফোন ১৮।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘২০২৬ সালের শরতে অ্যাপল প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের নজর ইতিমধ্যে সেদিকেই চলে গেছে।’
বর্তমানে অ্যাপলের সবচেয়ে দামি ফোন আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স—যার ২৫৬ জিবি সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার এবং ১ টেরাবাইট সংস্করণ ১ হাজার ৫৯৯ ডলার। অন্যদিকে, সদ্য ঘোষিত স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭-এর দাম শুরু ১ হাজার ৯৯৯ ডলার থেকে এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪১৯ ডলার পর্যন্ত। চ্যাটার্জি বলছেন, অ্যাপলের ফোল্ডেবল ফোনের দামও হতে পারে ১ হাজার ৯৯৯ ডলার।
ভাঁজযোগ্য ফোন এখন পরিপক্ব
স্যামসাং ২০১৯ সালে প্রথম ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনে, তবে শুরুটা ভালো ছিল না। সে সময় কিছু ডিভাইসে ভাঁজের লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তা বাতিল করতে হয়।
তবে স্যামসাং বলছে, এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং এবার ভাঁজযোগ্য ফোন পুরোপুরি প্রস্তুত। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস আমেরিকার মোবাইল পণ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্রু ব্ল্যাকার্ড বলেন, ‘এখন আর ফোল্ডেবল ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য কোনো বড় আপস করতে হয় না।’
যদিও প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায় না, তবে ব্ল্যাকার্ড দাবি করেছেন, গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ আগের যেকোনো ভাঁজযোগ্য ডিভাইসের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি প্রি-অর্ডার পেয়েছে এবং বিক্রি আগের সংস্করণের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি।
কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, জুন প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বিক্রি ১৬ শতাংশ বেড়েছে, যা এসেছে মূলত উচ্চমূল্যের ফোনগুলোর কারণে। বিশেষ করে গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ ফোন থেকেও কিছুটা সহায়তা পেয়েছে স্যামসাং।
এদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থান নতুন ধরনের প্রযুক্তিপণ্যের সম্ভাবনা তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে আইফোনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। ২০২৫ সালের মে মাসে অ্যাপলের প্রাক্তন ডিজাইনপ্রধান জনি আইভের প্রতিষ্ঠিত একটি স্টার্টআপ ৬.৫ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ওপেনএআই। এই স্টার্টআপ তৈরি করছে ভবিষ্যতের নতুন ধরনের হার্ডওয়্যার। এআই-নির্ভর অন্যান্য স্টার্টআপ ইতিমধ্যে বাজারে এনেছে ভয়েস কন্ট্রোলড পিন, পেনডেন্ট ও স্মার্ট চশমা।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে
প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।
কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব
প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।
সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি
প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।
ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে সরকারের অর্থায়ন ছিল ৯৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আর বিশ্বব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয় হয়েছে ১২১ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সর্বশেষ একনেক সভায় সময়ের সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে আরও ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩৫৩ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫৩১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ইতিমধ্যে উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে ঋণ নিয়ে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সেই প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আবার নতুন করে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ ছাড়া বৈদেশিক ঋণে সরকারের প্রকল্প নেওয়া উচিত নয়। এসব প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
তবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ‘হিসাবি’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। এ বিষয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার এই মুহূর্তে বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প নিচ্ছে না। তবে যেসব প্রকল্প চলমান, তা শেষ করার জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামোসহ একটি নতুন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি-২) নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যমান সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ (এসটিপি-১) সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন পার্কটি লিড গোল্ড সার্টিফায়েড ভবন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন হাব বাড়ছে
প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে যেখানে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপনের কথা ছিল, সংশোধিত প্রস্তাবে তা বাড়িয়ে ২৪টি করা হয়েছে। এসব হাবে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য থ্রিডি প্রিন্টার, সিএনসি মেশিন, আর্ডিনো কিট, রোবোটিক্স ও ড্রোন-সংক্রান্ত সরঞ্জামসহ আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১৪টি বিশেষায়িত কমন ল্যাব স্থাপন করা হবে।
কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে প্রভাব
প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কেই প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টার্টআপ ও স্কেলআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বাড়বে।
সময়-ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি
প্রকল্প সংশোধনের পেছনে বেশ কয়েকটি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি কার্যকরে বিলম্ব, জমি বরাদ্দ ও মামলা জটিলতা, পিডব্লিউডির নতুন রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় সমন্বয়, লিড সার্টিফিকেশন-সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে সময় লাগা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব ও স্টার্টআপ কর্মসূচি বিস্তৃত করা।
ডিপিপি প্রণয়নের সময় ডলারের মূল্য যেখানে ৮৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ১২১ টাকার বেশি। ফলে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় প্রকল্প ব্যয় পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভার আলোকে মত দেয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় উদ্ভাবন সংস্কৃতি শক্তিশালী হবে, আইটি ও আইটিইএস খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাই একনেক সভায় মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নতুন করে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সময়ও বাড়ানো হয়েছে, আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের।
১৮ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজে প্ররোচিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া সুপিরিয়র কোর্টে ‘বেআইনি মৃত্যু’র অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট ওল্ড গ্রিনউইচের নিজ বাড়িতে খুন হন সুজান অ্যাডামস। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ছেলে স্টেইন-এরিক সোলবার্গ। এরপর সোলবার্গ নিজেও ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক মাসে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বেড়েছে। বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করছে চ্যাটজিপিটি।
গত আগস্টে ছেলেকে চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিল অভিযোগ এনে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছর বয়সী অ্যাডাম রেইনের মা-বাবা।
নভেম্বরে হওয়া কয়েকটি মার্কিন মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি করেছে এবং নিজের ক্ষতি করতে প্ররোচিত করেছে। এসবের মধ্যে চারটি মামলায়ই আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২৬ বছর বয়সী জোশুয়া এন্নেকিংয়ের পরিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের সন্তান চ্যাটজিপিটির কাছে আত্মহত্যার চিন্তা প্রকাশের পর এআই চ্যাটবটটি তাঁকে অস্ত্র পাওয়ার তথ্য সরবরাহ করেছে।
অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সী অ্যামরি লেসির পরিবারের অভিযোগ, চ্যাটজিপিটি অ্যামরিকে ‘কীভাবে ফাঁস বাঁধতে হয় এবং শ্বাস না নিয়ে সে কতক্ষণ বাঁচবে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে।
সর্বশেষ মামলায় বলা হয়েছে, মাসখানেক ধরে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথনে সোলবার্গের বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনাকে সত্য ও জোরালো হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের মাকে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, সোলবার্গকে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিয়েছিল যে তিনি এআই চ্যাটবটকে আরও সচেতন করেছেন, ‘জাগিয়ে তুলেছেন’। সোলবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কথোপকথনে দেখা গেছে স্টেইন-এরিকের বিভ্রান্তিমূলক বিশ্বাসের প্রতিটির পক্ষে কথা বলে এমন একটা জগৎ তৈরি করেছিল চ্যাটজিপিটি, যাকে ঘিরেই ছিল স্টেইন-এরিকের সব চিন্তাভাবনা।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটি সোলবার্গের প্যারানয়েড বিশ্বাসকে আরও জোরদার করেছিল। তাঁকে ধারণা দিয়েছিল যে কেউ তাঁর ওপর নজর রাখছে। এমনকি তিনি তাঁর মায়ের প্রিন্টার ডিভাইসটিকে নজরদারি যন্ত্র ভাবতে শুরু করেছিলেন।
যখন সোলবার্গ চ্যাটজিপিটিকে বলেন যে তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর মা তাঁকে বিষ খাওয়াতে চেয়েছিলেন, চ্যাটজিপিটি তাঁর এই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করার বদলে তার পক্ষে সায় দিয়ে উত্তর দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার প্রতিক্রিয়ায় ওপেনএআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এটি বেশ হৃদয়বিদারক অবস্থা। আমরা মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখছি, বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করছি।’
মামলায় ওপেনএআইযের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত বছরের মে মাসে জিপিটি-৪ও বাজারে আনতে তাড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস ধরে যে নিরাপত্তা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেটি তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এটি আগের মডেলগুলোর তুলনায় শক্তিশালী এবং এর প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি মানুষের মতো। তবে জিপিটি-৪ও মডেল ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত তোষামোদ করার’ কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ওপেনএআইয়ের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার মাইক্রোসফটকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রটোকল সংক্ষেপিত হওয়ার পরও তারা এই পণ্যের অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ওপেনএআইযের ২০ কর্মকর্তা এবং বিনিয়োগকারীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং ওপেনএআইকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
মন্তব্যের অনুরোধে যোগাযোগ করা হলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের।
১৮ আগস্ট ২০২৫
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১ ঘণ্টা আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত ভয়েসমেইলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সহায়তা করবে।
যাকে কল করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কল রিসিভ না করলে, ওই কলের মিসড কল নোটিফিকেশনের সঙ্গে একটি ভয়েস বা ভিডিও রেকর্ড করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন ফিচার। কলের ধরন অনুযায়ী কলদাতা ভয়েস বা ভিডিও এ দু ধরনের নোটই এক ট্যাপেই রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ব্লগপোস্টে বলেছে, ‘এই নতুন ব্যবস্থা প্রচলিত ভয়েসমেইল ব্যবস্থাকে অতীত করে দেবে।’
ব্যবহারকারীরা এখন ভয়েস চ্যাটেও ‘cheers!’ -এর মতো নতুন রিঅ্যাকশন ব্যবহার করতে পারবেন, যা বাকিদের আলাপ থামাবে না। পাশাপাশি, ভিডিও কলে এখন বক্তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রাধিকার পাবে।
এদিকে মেটা-এআই দিয়ে ছবি তৈরির সুবিধাতেও আরও নতুনত্ব এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থির ছবিকে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করার মতো অ্যানিমেশন সুবিধা এবং আরও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন।
এখন এতে ফ্লাক্স (Flux) এবং মিডজার্নি (Midjourney)–এর নতুন ইমেজ জেনারেশন মডেলের সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। বছর শেষে বা ছুটির সময়ের শুভেচ্ছাবার্তার মতো ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই আপগ্রেডেশন বেশ সাহায্য করবে বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের।
মেটা এআই–এর নতুন সক্ষমতার মধ্যে ছবি অ্যানিমেশনও যুক্ত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছবি প্রম্পট এবং বার্তার ভিত্তিতে ছোট ভিডিওতে রূপান্তর করতে পারবেন। ডেস্কটপে, ডকুমেন্ট, লিঙ্ক ও মিডিয়া সহজে আলাদা করার জন্য নতুন মিডিয়া ট্যাবও যুক্ত হয়েছে। এছাড়া লিঙ্ক প্রিভিউ অপশনেও আপগ্রেডেশন এসেছে।
স্ট্যাটাসের জন্যও নতুন স্টিকার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা এতে গান, ইন্টারেক্টিভ স্টিকার এবং প্রশ্ন যোগ করতে পারবেন। সেখানে অন্যরা উত্তর দিতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে প্রশ্ন করার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে। এই ফিচার চ্যানেলের অডিয়েন্সদের সঙ্গে চ্যানেলের পরিচালনাকারীদের সঙ্গে আরও উচ্চমাত্রার সংযোগ স্থাপন এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে মেটা–মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম।

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের।
১৮ আগস্ট ২০২৫
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

প্রযুক্তি জগতে স্মার্টফোন নিয়ে অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগিতা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। ২০১৪ সালে বড় পর্দার ফোনে এগিয়ে ছিল স্যামসাং, আর অ্যাপল ভক্তরা চাইছিলেন একটি বড় স্ক্রিনের আইফোন। অবশেষে আইফোন ৬ আনার মাধ্যমে অ্যাপল সেই দাবি পূরণ করে। সেবার জয় হয়েছিল অ্যাপলের।
১৮ আগস্ট ২০২৫
বৈদেশিক ঋণে নেওয়া প্রকল্পের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো অর্ধেক বাকি। এ অবস্থায় আবারও ঋণ করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আড়াই বছর। এতে খরচ বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটির নাম ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার। অভিযোগে নিহত ৮৩ বছর বয়সী সুজান অ্যাডামসের পরিবার বলছে, ওপেনএআইর এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তাঁর ছেলের ‘প্যারানয়েড ডিলুশনস’ বা বিভ্রান্তিকর বিশ্বাসগুলোকে উসকে দিয়েছে এবং এ কাজ
২ দিন আগে
বেশকিছু নতুন ফিচার চালুর ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে মিসড কল মেসেজেস এবং ছবি অ্যানিমেশন ও উন্নত মানের ইমেজ জেনারেশন। মেটা মালিকানাধীন এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মতে, তাদের নতুন ফিচার ‘মিসড কল মেসেজেস’ (Missed Call Messages) ফিচারটি প্রচলিত...
২ দিন আগে