আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ম্যাগাজিন আটলান্টিকের সম্পাদক-ইন-চিফ জেফ্রি গোল্ডবার্গ ভুলক্রমে ওই গোপন গ্রুপ চ্যাটে যোগদান করেন। সেই গ্রুপে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। গোল্ডবার্গ গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর এই সেনা আক্রমণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এ ঘটনাকে ‘সর্বাধিক অবাক করা’ সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস বলে অভিহিত করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটের নেতা চাক শ্যুমার এবং এর জন্য একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সিগন্যাল অ্যাপটি আসলে কী এবং এটি কতটা নিরাপদ।
সিগন্যাল অ্যাপের নিরাপত্তা
সিগন্যালের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আনুমানিক ৪০-৭০ মিলিয়ন, যা সবচেয়ে বড় মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের তুলনায় অনেক ছোট। এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিলিয়নে মাপা হয়। তবে, নিরাপত্তার দিক থেকে সিগন্যাল এগিয়ে রয়েছে।
এটির মূল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হলো এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন (ই ২ ইই)। এর মানে হলো—শুধু প্রেরক ও প্রাপকই বার্তা পড়তে পারে, সিগন্যাল নিজেও সেগুলো অ্যাকসেস করতে পারে না।
হোয়াটসঅ্যাপসহ অনেক প্ল্যাটফর্মে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন-সুবিধা রয়েছে। তবে সিগন্যালের নিরাপত্তা ফিচার আরও জোরদার। কারণ অ্যাপটি কাজ করার জন্য ব্যবহৃত কোডটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ, যে কেউ এটি পরীক্ষা করতে পারে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে হ্যাকাররা এটি থেকে কোনো দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারবে না।
এর নির্মাতারা দাবি করেন যে, এটি ব্যবহারকারীদের থেকে অনেক কম তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশেষভাবে এটি ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম, প্রোফাইল পিকচার বা গ্রুপ-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করে না।
এ ছাড়া, ফিচারগুলো অর্থ উপার্জনের জন্য পরিবর্তন করার কোনো প্রয়োজনও নেই। সিগন্যাল মালিক হলো সিগন্যাল ফাউন্ডেশন, যা একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা এবং বিজ্ঞাপন আয়ের পরিবর্তে দান-সহায়তার ওপর নির্ভর করে।
যখন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পায়, তখন এক্সের (আগের টুইটার) পোস্টে সিগন্যালের প্রধান মেরেডিথ উইটাকার বলেন, ‘সিগন্যাল হলো গোপনীয় যোগাযোগের সোনালি মানদণ্ড।’
এই সোনালি মানদণ্ডই সিগন্যালকে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রায়ই এই অ্যাপ ব্যবহার করেন তারা। তবে এমন নিরাপত্তা স্তরও অত্যন্ত সংবেদনশীল জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জন্য যথেষ্ট নয়।
এর কারণ হলো, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার একটি অপরিহার্য ঝুঁকি রয়েছে। এটি শুধু ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ওপর নির্ভরশীল।
যদি কেউ আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারে, যেখানে সিগন্যাল খোলা থাকে অথবা যদি তারা আপনার পাসওয়ার্ড জানে, তাহলে তারা আপনার বার্তা দেখতে পারবে।
জনসমাগম এলাকায় ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গোপনীয়তা বিঘ্ন হতে পারে।
ডেটা বিশেষজ্ঞ ক্যারো রোবসন বলেছেন, এটি ‘খুবই অস্বাভাবিক’ যে, উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সিগন্যালের মতো ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের যোগাযোগের জন্য সাধারণত ডিভাইসগুলো ‘খুবই নিরাপদ সরকারি নিয়ন্ত্রিত স্থানে’ রাখা হয়।
মার্কিন সরকার ঐতিহাসিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনা করার জন্য সংবেদনশীল সেনসিটিভ ইনফরমেশন ফ্যাসিলিটি (এসসিআইএফ, যা ‘স্কিফ’ হিসেবে উচ্চারিত হয়) ব্যবহার করেছে। স্কিফ হলো একটি অতিরিক্ত নিরাপদ পরিবেষ্টিত এলাকা, যেখানে ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিশেষজ্ঞ রোবসন বলেন, ‘এ ধরনের গোপনীয় তথ্য অ্যাকসেস করতে হলে আপনাকে এমন একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বা ভবনে থাকতে হবে, যা নিয়মিতভাবে ত্রুটি বা কোনো শোনার ডিভাইসের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
স্কিফগুলো বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। যেমন: মিলিটারি বেস থেকে শুরু করে কর্মকর্তাদের বাসভবন পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিস্টেমটি অত্যন্ত এনক্রিপ্টেড এবং সরকারের নিজস্ব উচ্চতম ক্রিপ্টোগ্রাফি মানদণ্ড ব্যবহার করে সুরক্ষিত। বিশেষ করে যখন প্রতিরক্ষা বিষয় জড়িত থাকে।’
এনক্রিপশন এবং রেকর্ডস
অন্য অনেক মেসেজিং অ্যাপের মতো সিগন্যাল ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মেসেজ মুছে ফেলার সুযোগ দেয়।
আটলান্টিকের জেফ্রি গোল্ডবার্গ বলেছেন, যে সিগন্যাল গ্রুপে তিনি যোগদান করেছিলেন, সেই গ্রুপের কিছু মেসেজ এক সপ্তাহ পর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
তবে এটি অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।
যেমন: এই ফিচার রেকর্ড-রক্ষণের আইন লঙ্ঘন করতে পারে। ব্যবহারকারীরা যদি তাঁদের মেসেজগুলো সরকারি কোনো অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে ফরওয়ার্ড না করেন, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড হারিয়ে যেতে পারে।
তবে ই২ ইই ফিচার নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ তারা চায় যে মেসেজিং সার্ভিসগুলোতে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহৃত হলেও তারা সেই মেসেজগুলো পড়তে পারে। জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে এই সুবিধা পাওয়ার দাবি করে তারা।
সিগন্যাল, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপগুলোর কাছে এ ধরনের ব্যাকডোর তৈরির প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছে। কারণ তাদের দাবি, এই সুবিধা শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীদের সাহায্য করতে পারে।
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে অ্যাপটি বন্ধ করার হুমকি দেয় সিগন্যাল। তারা বলে, যুক্তরাজ্যে আইনপ্রণেতারা অ্যাপটির নিরাপত্তাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে এই পদক্ষেপ নেবে।
চলতি বছরে যুক্তরাজ্য সরকার অ্যাপলের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। অ্যাপল ই২ ইই (এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ক্লাউড স্টোরেজে ব্যবহারকারীদের ফাইল সুরক্ষিত রাখে। তবে, যুক্তরাজ্য সরকার ওই ফিচারের মাধ্যমে সংরক্ষিত তথ্য অ্যাকসেস করতে চেয়েছিল। এর ফলে, অ্যাপল শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ওই ফিচার সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।
এই আইনি মামলা এখনো চলছে। তবে আপনার গোপন তথ্য যদি ভুল ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করেন, তখন কোনো পর্যায়ের নিরাপত্তা বা আইনি সুরক্ষা দিয়েই গোপনীয়তা রক্ষা হবে না।
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ম্যাগাজিন আটলান্টিকের সম্পাদক-ইন-চিফ জেফ্রি গোল্ডবার্গ ভুলক্রমে ওই গোপন গ্রুপ চ্যাটে যোগদান করেন। সেই গ্রুপে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। গোল্ডবার্গ গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর এই সেনা আক্রমণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এ ঘটনাকে ‘সর্বাধিক অবাক করা’ সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস বলে অভিহিত করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটের নেতা চাক শ্যুমার এবং এর জন্য একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সিগন্যাল অ্যাপটি আসলে কী এবং এটি কতটা নিরাপদ।
সিগন্যাল অ্যাপের নিরাপত্তা
সিগন্যালের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আনুমানিক ৪০-৭০ মিলিয়ন, যা সবচেয়ে বড় মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের তুলনায় অনেক ছোট। এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিলিয়নে মাপা হয়। তবে, নিরাপত্তার দিক থেকে সিগন্যাল এগিয়ে রয়েছে।
এটির মূল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হলো এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন (ই ২ ইই)। এর মানে হলো—শুধু প্রেরক ও প্রাপকই বার্তা পড়তে পারে, সিগন্যাল নিজেও সেগুলো অ্যাকসেস করতে পারে না।
হোয়াটসঅ্যাপসহ অনেক প্ল্যাটফর্মে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন-সুবিধা রয়েছে। তবে সিগন্যালের নিরাপত্তা ফিচার আরও জোরদার। কারণ অ্যাপটি কাজ করার জন্য ব্যবহৃত কোডটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ, যে কেউ এটি পরীক্ষা করতে পারে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে হ্যাকাররা এটি থেকে কোনো দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারবে না।
এর নির্মাতারা দাবি করেন যে, এটি ব্যবহারকারীদের থেকে অনেক কম তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশেষভাবে এটি ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম, প্রোফাইল পিকচার বা গ্রুপ-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করে না।
এ ছাড়া, ফিচারগুলো অর্থ উপার্জনের জন্য পরিবর্তন করার কোনো প্রয়োজনও নেই। সিগন্যাল মালিক হলো সিগন্যাল ফাউন্ডেশন, যা একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা এবং বিজ্ঞাপন আয়ের পরিবর্তে দান-সহায়তার ওপর নির্ভর করে।
যখন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পায়, তখন এক্সের (আগের টুইটার) পোস্টে সিগন্যালের প্রধান মেরেডিথ উইটাকার বলেন, ‘সিগন্যাল হলো গোপনীয় যোগাযোগের সোনালি মানদণ্ড।’
এই সোনালি মানদণ্ডই সিগন্যালকে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রায়ই এই অ্যাপ ব্যবহার করেন তারা। তবে এমন নিরাপত্তা স্তরও অত্যন্ত সংবেদনশীল জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জন্য যথেষ্ট নয়।
এর কারণ হলো, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার একটি অপরিহার্য ঝুঁকি রয়েছে। এটি শুধু ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ওপর নির্ভরশীল।
যদি কেউ আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারে, যেখানে সিগন্যাল খোলা থাকে অথবা যদি তারা আপনার পাসওয়ার্ড জানে, তাহলে তারা আপনার বার্তা দেখতে পারবে।
জনসমাগম এলাকায় ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গোপনীয়তা বিঘ্ন হতে পারে।
ডেটা বিশেষজ্ঞ ক্যারো রোবসন বলেছেন, এটি ‘খুবই অস্বাভাবিক’ যে, উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সিগন্যালের মতো ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের যোগাযোগের জন্য সাধারণত ডিভাইসগুলো ‘খুবই নিরাপদ সরকারি নিয়ন্ত্রিত স্থানে’ রাখা হয়।
মার্কিন সরকার ঐতিহাসিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনা করার জন্য সংবেদনশীল সেনসিটিভ ইনফরমেশন ফ্যাসিলিটি (এসসিআইএফ, যা ‘স্কিফ’ হিসেবে উচ্চারিত হয়) ব্যবহার করেছে। স্কিফ হলো একটি অতিরিক্ত নিরাপদ পরিবেষ্টিত এলাকা, যেখানে ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিশেষজ্ঞ রোবসন বলেন, ‘এ ধরনের গোপনীয় তথ্য অ্যাকসেস করতে হলে আপনাকে এমন একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বা ভবনে থাকতে হবে, যা নিয়মিতভাবে ত্রুটি বা কোনো শোনার ডিভাইসের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
স্কিফগুলো বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। যেমন: মিলিটারি বেস থেকে শুরু করে কর্মকর্তাদের বাসভবন পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিস্টেমটি অত্যন্ত এনক্রিপ্টেড এবং সরকারের নিজস্ব উচ্চতম ক্রিপ্টোগ্রাফি মানদণ্ড ব্যবহার করে সুরক্ষিত। বিশেষ করে যখন প্রতিরক্ষা বিষয় জড়িত থাকে।’
এনক্রিপশন এবং রেকর্ডস
অন্য অনেক মেসেজিং অ্যাপের মতো সিগন্যাল ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মেসেজ মুছে ফেলার সুযোগ দেয়।
আটলান্টিকের জেফ্রি গোল্ডবার্গ বলেছেন, যে সিগন্যাল গ্রুপে তিনি যোগদান করেছিলেন, সেই গ্রুপের কিছু মেসেজ এক সপ্তাহ পর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
তবে এটি অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।
যেমন: এই ফিচার রেকর্ড-রক্ষণের আইন লঙ্ঘন করতে পারে। ব্যবহারকারীরা যদি তাঁদের মেসেজগুলো সরকারি কোনো অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে ফরওয়ার্ড না করেন, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড হারিয়ে যেতে পারে।
তবে ই২ ইই ফিচার নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ তারা চায় যে মেসেজিং সার্ভিসগুলোতে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহৃত হলেও তারা সেই মেসেজগুলো পড়তে পারে। জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে এই সুবিধা পাওয়ার দাবি করে তারা।
সিগন্যাল, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপগুলোর কাছে এ ধরনের ব্যাকডোর তৈরির প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছে। কারণ তাদের দাবি, এই সুবিধা শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীদের সাহায্য করতে পারে।
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে অ্যাপটি বন্ধ করার হুমকি দেয় সিগন্যাল। তারা বলে, যুক্তরাজ্যে আইনপ্রণেতারা অ্যাপটির নিরাপত্তাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে এই পদক্ষেপ নেবে।
চলতি বছরে যুক্তরাজ্য সরকার অ্যাপলের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। অ্যাপল ই২ ইই (এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ক্লাউড স্টোরেজে ব্যবহারকারীদের ফাইল সুরক্ষিত রাখে। তবে, যুক্তরাজ্য সরকার ওই ফিচারের মাধ্যমে সংরক্ষিত তথ্য অ্যাকসেস করতে চেয়েছিল। এর ফলে, অ্যাপল শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ওই ফিচার সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।
এই আইনি মামলা এখনো চলছে। তবে আপনার গোপন তথ্য যদি ভুল ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করেন, তখন কোনো পর্যায়ের নিরাপত্তা বা আইনি সুরক্ষা দিয়েই গোপনীয়তা রক্ষা হবে না।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ম্যাগাজিন আটলান্টিকের সম্পাদক-ইন-চিফ জেফ্রি গোল্ডবার্গ ভুলক্রমে ওই গোপন গ্রুপ চ্যাটে যোগদান করেন। সেই গ্রুপে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। গোল্ডবার্গ গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর এই সেনা আক্রমণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এ ঘটনাকে ‘সর্বাধিক অবাক করা’ সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস বলে অভিহিত করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটের নেতা চাক শ্যুমার এবং এর জন্য একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সিগন্যাল অ্যাপটি আসলে কী এবং এটি কতটা নিরাপদ।
সিগন্যাল অ্যাপের নিরাপত্তা
সিগন্যালের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আনুমানিক ৪০-৭০ মিলিয়ন, যা সবচেয়ে বড় মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের তুলনায় অনেক ছোট। এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিলিয়নে মাপা হয়। তবে, নিরাপত্তার দিক থেকে সিগন্যাল এগিয়ে রয়েছে।
এটির মূল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হলো এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন (ই ২ ইই)। এর মানে হলো—শুধু প্রেরক ও প্রাপকই বার্তা পড়তে পারে, সিগন্যাল নিজেও সেগুলো অ্যাকসেস করতে পারে না।
হোয়াটসঅ্যাপসহ অনেক প্ল্যাটফর্মে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন-সুবিধা রয়েছে। তবে সিগন্যালের নিরাপত্তা ফিচার আরও জোরদার। কারণ অ্যাপটি কাজ করার জন্য ব্যবহৃত কোডটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ, যে কেউ এটি পরীক্ষা করতে পারে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে হ্যাকাররা এটি থেকে কোনো দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারবে না।
এর নির্মাতারা দাবি করেন যে, এটি ব্যবহারকারীদের থেকে অনেক কম তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশেষভাবে এটি ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম, প্রোফাইল পিকচার বা গ্রুপ-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করে না।
এ ছাড়া, ফিচারগুলো অর্থ উপার্জনের জন্য পরিবর্তন করার কোনো প্রয়োজনও নেই। সিগন্যাল মালিক হলো সিগন্যাল ফাউন্ডেশন, যা একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা এবং বিজ্ঞাপন আয়ের পরিবর্তে দান-সহায়তার ওপর নির্ভর করে।
যখন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পায়, তখন এক্সের (আগের টুইটার) পোস্টে সিগন্যালের প্রধান মেরেডিথ উইটাকার বলেন, ‘সিগন্যাল হলো গোপনীয় যোগাযোগের সোনালি মানদণ্ড।’
এই সোনালি মানদণ্ডই সিগন্যালকে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রায়ই এই অ্যাপ ব্যবহার করেন তারা। তবে এমন নিরাপত্তা স্তরও অত্যন্ত সংবেদনশীল জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জন্য যথেষ্ট নয়।
এর কারণ হলো, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার একটি অপরিহার্য ঝুঁকি রয়েছে। এটি শুধু ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ওপর নির্ভরশীল।
যদি কেউ আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারে, যেখানে সিগন্যাল খোলা থাকে অথবা যদি তারা আপনার পাসওয়ার্ড জানে, তাহলে তারা আপনার বার্তা দেখতে পারবে।
জনসমাগম এলাকায় ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গোপনীয়তা বিঘ্ন হতে পারে।
ডেটা বিশেষজ্ঞ ক্যারো রোবসন বলেছেন, এটি ‘খুবই অস্বাভাবিক’ যে, উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সিগন্যালের মতো ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের যোগাযোগের জন্য সাধারণত ডিভাইসগুলো ‘খুবই নিরাপদ সরকারি নিয়ন্ত্রিত স্থানে’ রাখা হয়।
মার্কিন সরকার ঐতিহাসিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনা করার জন্য সংবেদনশীল সেনসিটিভ ইনফরমেশন ফ্যাসিলিটি (এসসিআইএফ, যা ‘স্কিফ’ হিসেবে উচ্চারিত হয়) ব্যবহার করেছে। স্কিফ হলো একটি অতিরিক্ত নিরাপদ পরিবেষ্টিত এলাকা, যেখানে ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিশেষজ্ঞ রোবসন বলেন, ‘এ ধরনের গোপনীয় তথ্য অ্যাকসেস করতে হলে আপনাকে এমন একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বা ভবনে থাকতে হবে, যা নিয়মিতভাবে ত্রুটি বা কোনো শোনার ডিভাইসের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
স্কিফগুলো বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। যেমন: মিলিটারি বেস থেকে শুরু করে কর্মকর্তাদের বাসভবন পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিস্টেমটি অত্যন্ত এনক্রিপ্টেড এবং সরকারের নিজস্ব উচ্চতম ক্রিপ্টোগ্রাফি মানদণ্ড ব্যবহার করে সুরক্ষিত। বিশেষ করে যখন প্রতিরক্ষা বিষয় জড়িত থাকে।’
এনক্রিপশন এবং রেকর্ডস
অন্য অনেক মেসেজিং অ্যাপের মতো সিগন্যাল ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মেসেজ মুছে ফেলার সুযোগ দেয়।
আটলান্টিকের জেফ্রি গোল্ডবার্গ বলেছেন, যে সিগন্যাল গ্রুপে তিনি যোগদান করেছিলেন, সেই গ্রুপের কিছু মেসেজ এক সপ্তাহ পর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
তবে এটি অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।
যেমন: এই ফিচার রেকর্ড-রক্ষণের আইন লঙ্ঘন করতে পারে। ব্যবহারকারীরা যদি তাঁদের মেসেজগুলো সরকারি কোনো অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে ফরওয়ার্ড না করেন, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড হারিয়ে যেতে পারে।
তবে ই২ ইই ফিচার নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ তারা চায় যে মেসেজিং সার্ভিসগুলোতে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহৃত হলেও তারা সেই মেসেজগুলো পড়তে পারে। জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে এই সুবিধা পাওয়ার দাবি করে তারা।
সিগন্যাল, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপগুলোর কাছে এ ধরনের ব্যাকডোর তৈরির প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছে। কারণ তাদের দাবি, এই সুবিধা শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীদের সাহায্য করতে পারে।
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে অ্যাপটি বন্ধ করার হুমকি দেয় সিগন্যাল। তারা বলে, যুক্তরাজ্যে আইনপ্রণেতারা অ্যাপটির নিরাপত্তাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে এই পদক্ষেপ নেবে।
চলতি বছরে যুক্তরাজ্য সরকার অ্যাপলের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। অ্যাপল ই২ ইই (এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ক্লাউড স্টোরেজে ব্যবহারকারীদের ফাইল সুরক্ষিত রাখে। তবে, যুক্তরাজ্য সরকার ওই ফিচারের মাধ্যমে সংরক্ষিত তথ্য অ্যাকসেস করতে চেয়েছিল। এর ফলে, অ্যাপল শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ওই ফিচার সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।
এই আইনি মামলা এখনো চলছে। তবে আপনার গোপন তথ্য যদি ভুল ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করেন, তখন কোনো পর্যায়ের নিরাপত্তা বা আইনি সুরক্ষা দিয়েই গোপনীয়তা রক্ষা হবে না।
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ম্যাগাজিন আটলান্টিকের সম্পাদক-ইন-চিফ জেফ্রি গোল্ডবার্গ ভুলক্রমে ওই গোপন গ্রুপ চ্যাটে যোগদান করেন। সেই গ্রুপে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। গোল্ডবার্গ গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর এই সেনা আক্রমণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
এ ঘটনাকে ‘সর্বাধিক অবাক করা’ সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস বলে অভিহিত করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটের নেতা চাক শ্যুমার এবং এর জন্য একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সিগন্যাল অ্যাপটি আসলে কী এবং এটি কতটা নিরাপদ।
সিগন্যাল অ্যাপের নিরাপত্তা
সিগন্যালের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আনুমানিক ৪০-৭০ মিলিয়ন, যা সবচেয়ে বড় মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের তুলনায় অনেক ছোট। এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিলিয়নে মাপা হয়। তবে, নিরাপত্তার দিক থেকে সিগন্যাল এগিয়ে রয়েছে।
এটির মূল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হলো এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন (ই ২ ইই)। এর মানে হলো—শুধু প্রেরক ও প্রাপকই বার্তা পড়তে পারে, সিগন্যাল নিজেও সেগুলো অ্যাকসেস করতে পারে না।
হোয়াটসঅ্যাপসহ অনেক প্ল্যাটফর্মে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন-সুবিধা রয়েছে। তবে সিগন্যালের নিরাপত্তা ফিচার আরও জোরদার। কারণ অ্যাপটি কাজ করার জন্য ব্যবহৃত কোডটি ওপেন সোর্স। অর্থাৎ, যে কেউ এটি পরীক্ষা করতে পারে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে হ্যাকাররা এটি থেকে কোনো দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারবে না।
এর নির্মাতারা দাবি করেন যে, এটি ব্যবহারকারীদের থেকে অনেক কম তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশেষভাবে এটি ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম, প্রোফাইল পিকচার বা গ্রুপ-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করে না।
এ ছাড়া, ফিচারগুলো অর্থ উপার্জনের জন্য পরিবর্তন করার কোনো প্রয়োজনও নেই। সিগন্যাল মালিক হলো সিগন্যাল ফাউন্ডেশন, যা একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা এবং বিজ্ঞাপন আয়ের পরিবর্তে দান-সহায়তার ওপর নির্ভর করে।
যখন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পায়, তখন এক্সের (আগের টুইটার) পোস্টে সিগন্যালের প্রধান মেরেডিথ উইটাকার বলেন, ‘সিগন্যাল হলো গোপনীয় যোগাযোগের সোনালি মানদণ্ড।’
এই সোনালি মানদণ্ডই সিগন্যালকে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রায়ই এই অ্যাপ ব্যবহার করেন তারা। তবে এমন নিরাপত্তা স্তরও অত্যন্ত সংবেদনশীল জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা জন্য যথেষ্ট নয়।
এর কারণ হলো, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার একটি অপরিহার্য ঝুঁকি রয়েছে। এটি শুধু ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ওপর নির্ভরশীল।
যদি কেউ আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারে, যেখানে সিগন্যাল খোলা থাকে অথবা যদি তারা আপনার পাসওয়ার্ড জানে, তাহলে তারা আপনার বার্তা দেখতে পারবে।
জনসমাগম এলাকায় ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও গোপনীয়তা বিঘ্ন হতে পারে।
ডেটা বিশেষজ্ঞ ক্যারো রোবসন বলেছেন, এটি ‘খুবই অস্বাভাবিক’ যে, উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সিগন্যালের মতো ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের যোগাযোগের জন্য সাধারণত ডিভাইসগুলো ‘খুবই নিরাপদ সরকারি নিয়ন্ত্রিত স্থানে’ রাখা হয়।
মার্কিন সরকার ঐতিহাসিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক আলোচনা করার জন্য সংবেদনশীল সেনসিটিভ ইনফরমেশন ফ্যাসিলিটি (এসসিআইএফ, যা ‘স্কিফ’ হিসেবে উচ্চারিত হয়) ব্যবহার করেছে। স্কিফ হলো একটি অতিরিক্ত নিরাপদ পরিবেষ্টিত এলাকা, যেখানে ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিশেষজ্ঞ রোবসন বলেন, ‘এ ধরনের গোপনীয় তথ্য অ্যাকসেস করতে হলে আপনাকে এমন একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বা ভবনে থাকতে হবে, যা নিয়মিতভাবে ত্রুটি বা কোনো শোনার ডিভাইসের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
স্কিফগুলো বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। যেমন: মিলিটারি বেস থেকে শুরু করে কর্মকর্তাদের বাসভবন পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ সিস্টেমটি অত্যন্ত এনক্রিপ্টেড এবং সরকারের নিজস্ব উচ্চতম ক্রিপ্টোগ্রাফি মানদণ্ড ব্যবহার করে সুরক্ষিত। বিশেষ করে যখন প্রতিরক্ষা বিষয় জড়িত থাকে।’
এনক্রিপশন এবং রেকর্ডস
অন্য অনেক মেসেজিং অ্যাপের মতো সিগন্যাল ব্যবহারকারীদের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মেসেজ মুছে ফেলার সুযোগ দেয়।
আটলান্টিকের জেফ্রি গোল্ডবার্গ বলেছেন, যে সিগন্যাল গ্রুপে তিনি যোগদান করেছিলেন, সেই গ্রুপের কিছু মেসেজ এক সপ্তাহ পর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
তবে এটি অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।
যেমন: এই ফিচার রেকর্ড-রক্ষণের আইন লঙ্ঘন করতে পারে। ব্যবহারকারীরা যদি তাঁদের মেসেজগুলো সরকারি কোনো অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে ফরওয়ার্ড না করেন, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড হারিয়ে যেতে পারে।
তবে ই২ ইই ফিচার নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ তারা চায় যে মেসেজিং সার্ভিসগুলোতে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহৃত হলেও তারা সেই মেসেজগুলো পড়তে পারে। জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে এই সুবিধা পাওয়ার দাবি করে তারা।
সিগন্যাল, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপগুলোর কাছে এ ধরনের ব্যাকডোর তৈরির প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছে। কারণ তাদের দাবি, এই সুবিধা শেষ পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীদের সাহায্য করতে পারে।
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে অ্যাপটি বন্ধ করার হুমকি দেয় সিগন্যাল। তারা বলে, যুক্তরাজ্যে আইনপ্রণেতারা অ্যাপটির নিরাপত্তাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে এই পদক্ষেপ নেবে।
চলতি বছরে যুক্তরাজ্য সরকার অ্যাপলের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। অ্যাপল ই২ ইই (এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ক্লাউড স্টোরেজে ব্যবহারকারীদের ফাইল সুরক্ষিত রাখে। তবে, যুক্তরাজ্য সরকার ওই ফিচারের মাধ্যমে সংরক্ষিত তথ্য অ্যাকসেস করতে চেয়েছিল। এর ফলে, অ্যাপল শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ওই ফিচার সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।
এই আইনি মামলা এখনো চলছে। তবে আপনার গোপন তথ্য যদি ভুল ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করেন, তখন কোনো পর্যায়ের নিরাপত্তা বা আইনি সুরক্ষা দিয়েই গোপনীয়তা রক্ষা হবে না।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মুক্ত জীবনের ডাক
ফিচার ডেস্ক
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন গ্রুপ চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল এখন আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ওই গ্রুপ চ্যাটে কী ধরনের আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগে