মো. আশিকুর রহমান
বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বসে শাওন মাহমুদের মনভরা প্রশ্ন। কীভাবে কাজ করে এই বিশাল পৃথিবী? আকাশের তারা এত ঝলমলে কেন? কেনইবা শিশু-কিশোরদের এই ধরনের কৌতূহলের কুঁড়িকে অবান্তর বলে উপড়ে ফেলা হয়! বিজ্ঞানের প্রতি এই প্রশ্নময় ভালোবাসাই তাঁকে একদিন নিয়ে এল নতুন এক স্বপ্নের দুয়ারে। তৈরি করলেন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞানপ্রিয়।
শুরু হলো যাত্রা
শুরুটা সহজ ছিল না। ২০১৮ সালের দিকে শাওন তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে শুরু করলেন বিজ্ঞানভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি। লক্ষ্য ছিল একটাই—বিজ্ঞানকে মানুষের জীবনের অংশ করে তোলা। কেবল শহরের শিক্ষিত মানুষই নয়, গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছেও বিজ্ঞানের গুরুত্ব পৌঁছে দেওয়া।
তৈরি হলো হাজারো কনটেন্ট
ধীরে ধীরে বিজ্ঞানপ্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাদেশের জনমানুষের বিজ্ঞান প্ল্যাটফর্ম। তাঁদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কয়েক শ ভিডিও, ২৫ হাজারের বেশি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, হাজারো মিথ বাছাই করে ভুল প্রমাণ করার রিসোর্স আর লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করার গল্প।
ছড়িয়ে গেল গ্রামে
শুধু অনলাইনে সীমাবদ্ধ না থেকে বিজ্ঞানপ্রিয় পৌঁছে গেছে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে। সেখানে তাঁরা তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানের গল্প। মোবাইল ফোনে সচেতনতা ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন অপবিজ্ঞান ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা।
প্রজেক্ট প্রাচি
‘প্রজেক্ট প্রাচি’ নামের এক অনন্য উদ্যোগে বিজ্ঞানপ্রিয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটিভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২০০টির বেশি পরিবারকে সুরক্ষিত করেছে। প্ল্যাটফর্মটি পরিকল্পনা করেছে ২০৩০ সালের মধ্যে সুরক্ষার এই মহৎ যাত্রা ৩০ হাজার পরিবারে পৌঁছে দেওয়ার।
ই-ম্যাগাজিন নেবুলা
শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা ও গবেষণার আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ এক উদ্যোগ নেন শাওন। প্রকাশ করেন ‘নেবুলা’ নামের একটি ই-ম্যাগাজিন, যেখানে স্কুলশিক্ষার্থীদের নতুন নতুন আবিষ্কার ও কৌতূহল সম্পর্কে প্রতিবেদন এবং প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। গণিতের সূত্রের ভেতর নতুন কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া, খেলার ছলে বিজ্ঞানের পরীক্ষা করে ফেলা—এসব কনটেন্ট নাম ও ছবিসহ প্রকাশ করা হয় ম্যাগাজিনে। এটি প্রতিবছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেন তাঁরা।
প্রতি মাসে লাখো মানুষের কাছে
এখন বিজ্ঞানপ্রিয় কেবল বিজ্ঞান শেখানোর প্ল্যাটফর্ম নয়। এটি একটি সমাজ বদলের হাতিয়ারও। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের পথে নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরির চেষ্টা করছেন।
এই স্বপ্ন দেখায় বিজ্ঞানপ্রিয় এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছেও জনপ্রিয়। প্রতি মাসে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিসংখ্যান আমাদের বলে দেয়, বিজ্ঞানের মতো একটি বিষয়কে সহজ-সাবলীলভাবে তুলে ধরার এই মহৎ যাত্রায় অনেকটা সাফল্যের পথে এগিয়েছে বিজ্ঞানপ্রিয়। এ যাত্রা চলতেই থাকবে, ছড়িয়ে পড়বে আলো হয়ে।
সম্মাননা
সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক ডায়না অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিক্ষা উদ্যোক্তা শাওন মাহমুদ। পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি, যেখানে একটি শিশুর কৌতূহলের কুঁড়ি ফোটার আগেই তা উপড়ে ফেলা হয়। ফলে এ দেশে নোবেল পাওয়ার মতো গবেষক তৈরি হয় না। অন্যান্য রাষ্ট্রের নির্ভরশীলতা অর্জন করার মতো প্রযুক্তিও আমরা তৈরি করতে পারি না। বিজ্ঞানপ্রিয় এই কৌতূহল শক্ত করে ধরে রাখার একটা টুল। এটি কেবল একটি পুরস্কারই নয়, ইতিমধ্যে যে পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি, তার অনন্য স্বীকৃতি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বসে শাওন মাহমুদের মনভরা প্রশ্ন। কীভাবে কাজ করে এই বিশাল পৃথিবী? আকাশের তারা এত ঝলমলে কেন? কেনইবা শিশু-কিশোরদের এই ধরনের কৌতূহলের কুঁড়িকে অবান্তর বলে উপড়ে ফেলা হয়! বিজ্ঞানের প্রতি এই প্রশ্নময় ভালোবাসাই তাঁকে একদিন নিয়ে এল নতুন এক স্বপ্নের দুয়ারে। তৈরি করলেন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞানপ্রিয়।
শুরু হলো যাত্রা
শুরুটা সহজ ছিল না। ২০১৮ সালের দিকে শাওন তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে শুরু করলেন বিজ্ঞানভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি। লক্ষ্য ছিল একটাই—বিজ্ঞানকে মানুষের জীবনের অংশ করে তোলা। কেবল শহরের শিক্ষিত মানুষই নয়, গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছেও বিজ্ঞানের গুরুত্ব পৌঁছে দেওয়া।
তৈরি হলো হাজারো কনটেন্ট
ধীরে ধীরে বিজ্ঞানপ্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাদেশের জনমানুষের বিজ্ঞান প্ল্যাটফর্ম। তাঁদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কয়েক শ ভিডিও, ২৫ হাজারের বেশি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, হাজারো মিথ বাছাই করে ভুল প্রমাণ করার রিসোর্স আর লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করার গল্প।
ছড়িয়ে গেল গ্রামে
শুধু অনলাইনে সীমাবদ্ধ না থেকে বিজ্ঞানপ্রিয় পৌঁছে গেছে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে। সেখানে তাঁরা তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানের গল্প। মোবাইল ফোনে সচেতনতা ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন অপবিজ্ঞান ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা।
প্রজেক্ট প্রাচি
‘প্রজেক্ট প্রাচি’ নামের এক অনন্য উদ্যোগে বিজ্ঞানপ্রিয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটিভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২০০টির বেশি পরিবারকে সুরক্ষিত করেছে। প্ল্যাটফর্মটি পরিকল্পনা করেছে ২০৩০ সালের মধ্যে সুরক্ষার এই মহৎ যাত্রা ৩০ হাজার পরিবারে পৌঁছে দেওয়ার।
ই-ম্যাগাজিন নেবুলা
শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতা ও গবেষণার আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ এক উদ্যোগ নেন শাওন। প্রকাশ করেন ‘নেবুলা’ নামের একটি ই-ম্যাগাজিন, যেখানে স্কুলশিক্ষার্থীদের নতুন নতুন আবিষ্কার ও কৌতূহল সম্পর্কে প্রতিবেদন এবং প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। গণিতের সূত্রের ভেতর নতুন কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া, খেলার ছলে বিজ্ঞানের পরীক্ষা করে ফেলা—এসব কনটেন্ট নাম ও ছবিসহ প্রকাশ করা হয় ম্যাগাজিনে। এটি প্রতিবছরের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেন তাঁরা।
প্রতি মাসে লাখো মানুষের কাছে
এখন বিজ্ঞানপ্রিয় কেবল বিজ্ঞান শেখানোর প্ল্যাটফর্ম নয়। এটি একটি সমাজ বদলের হাতিয়ারও। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের পথে নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরির চেষ্টা করছেন।
এই স্বপ্ন দেখায় বিজ্ঞানপ্রিয় এখন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছেও জনপ্রিয়। প্রতি মাসে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিসংখ্যান আমাদের বলে দেয়, বিজ্ঞানের মতো একটি বিষয়কে সহজ-সাবলীলভাবে তুলে ধরার এই মহৎ যাত্রায় অনেকটা সাফল্যের পথে এগিয়েছে বিজ্ঞানপ্রিয়। এ যাত্রা চলতেই থাকবে, ছড়িয়ে পড়বে আলো হয়ে।
সম্মাননা
সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক ডায়না অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিক্ষা উদ্যোক্তা শাওন মাহমুদ। পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি, যেখানে একটি শিশুর কৌতূহলের কুঁড়ি ফোটার আগেই তা উপড়ে ফেলা হয়। ফলে এ দেশে নোবেল পাওয়ার মতো গবেষক তৈরি হয় না। অন্যান্য রাষ্ট্রের নির্ভরশীলতা অর্জন করার মতো প্রযুক্তিও আমরা তৈরি করতে পারি না। বিজ্ঞানপ্রিয় এই কৌতূহল শক্ত করে ধরে রাখার একটা টুল। এটি কেবল একটি পুরস্কারই নয়, ইতিমধ্যে যে পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি, তার অনন্য স্বীকৃতি।’
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
১৬ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে