অনলাইন ডেস্ক
জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে বিভিন্ন এআই ও প্রযুক্তির কোম্পানির প্রতিভাবানদের নিজের দলে ভেড়াতে চাইছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওপেনএআইয়ের সাবেক চিফ টেকনোলজি অফিসার মিরা মুরাতিকে ১ বিলিয়ন বা ১১ হাজার কোটি ডলারের চাকরির প্রস্তাব দেন তিনি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এত বড় অঙ্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন মিরা।
গত বছর মিরা ওপেনএআই থেকে পদত্যাগ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সান ফ্রান্সিসকোতে থিংকিং মেশিনস ল্যাব নামের স্টার্টআপ প্রকাশ করেন তিনি। মেটার লক্ষ্য ছিল—মিরা ও তাঁর সহকর্মীদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করা। বিশেষত থিংকিং মেশিনস ল্যাবের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং শীর্ষ গবেষক অ্যান্ড্রু টুলককে। এ জন্য জাকারবার্গ স্টার্টআপের ৫০ জন কর্মীর মধ্যে ১২ জনেরও বেশি কর্মীকে প্রলুব্ধের চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি একজনকে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে, সবাই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
যে কারণে মিরা ও তাঁর কর্মীদের মন গলাতে পারলেন না জাকারবার্গ
মিরা ও তাঁর দল বিশ্বাস করেন, আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (এজিআই) তৈরির দিক থেকে ওপেনএআই এবং থিংকিং মেশিনস ল্যাবই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাঁরা মনে করেন, যদি তাঁদের গবেষণা মেটার কাছে যায়, তা প্রধানত বিজ্ঞাপনভিত্তিক পণ্য উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে, যা তাঁদের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত।
ওপেনএআইতে থাকার সময়ই মিরাকে অহংকারমুক্ত ব্যক্তি বলে জেনেছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। এই বৈশিষ্ট্য তিনি থিংকিং মেশিনস ল্যাবেও বজায় রেখেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে ‘সমতাভিত্তিক, অহংকারহীন ও সহযোগিতামূলক সংস্কৃতি তৈরি করেছেন। মিরার স্টার্টআপেও গবেষকেরা ‘মেম্বার অব টেকনিক্যাল স্টাফ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত, যা তাঁদের অহংমুক্ত ও সমতাপূর্ণ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করে।
বড় করপোরেট কাঠামোতে নয়, নতুন আইডিয়া অনুসরণের সুযোগ এবং গবেষক হিসেবে নিজের নেতৃত্ব দেখানোর পরিবেশই মিরার গবেষকদের প্রলুব্ধ করেছে।
এদিকে ছোট স্টার্টআপে কাজ করার স্বাধীনতা, নতুন গবেষণার সুযোগ এবং নিজের নেতৃত্ব প্রদর্শনের সুযোগের জন্য মিরা অন্য কোনো বড় করপোরেট কোম্পানিতে যুক্ত হতে চাননি। বড় কোম্পানিতে যুক্ত হলে এই স্বাধীনতা সীমিত হতো।
মিরার নেতৃত্বে তাঁর দল নেতৃত্ব ও সহকর্মীর প্রতি গভীর আনুগত্য প্রদর্শন করেছে। তাঁর বিনয়ী আচরণ এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা গবেষকদের অনুপ্রাণিত করেছে, যা আর্থিক প্রস্তাবের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী।
সিলিকন ভ্যালিতে ৯ অঙ্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা বিরল ঘটনা। তবে মিরা ও তাঁর দলের জন্য মূল উদ্দেশ্য, নৈতিক অঙ্গীকার এবং প্রতিষ্ঠান সংস্কৃতি অর্থের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা গবেষণায় প্রেরণা শুধু অর্থ নয়, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও আসে।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক মিরা মুরাতি স্টার্টআপটির এখনো কোনো পণ্য বাজারে আসেনি। বাজারে পণ্য না এলেও প্রযুক্তি বিশ্বের নজর স্টার্টআপটির দিকে। কারণ, এই এআই স্টার্টআপ জটিল রোগ, জলবায়ু পরিবর্তন বা সমাজের বৈষম্য মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব সম্ভাবনার জন্য স্টার্টআপটির মূল্যায়ন দাঁড়িয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলারে।
কোম্পানিটির মূল লক্ষ্য এমন একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা, যেটা সাধারণ মানুষ সহজে ব্যবহার করতে পারবে। এই স্টার্টআপের পেছনে বড় প্রতিষ্ঠান, যেমন: এনভিডিয়া, এএমডি, সিসকো, সার্ভিস নাও এবং আলবেনিয়ার সরকারও আছে। ওপেনএআই, মেটা ও ফরাসি এআই প্রতিষ্ঠান মিস্ট্রাল থেকে গবেষক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে স্টার্টআপটি গড়ে উঠেছে।
জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে বিভিন্ন এআই ও প্রযুক্তির কোম্পানির প্রতিভাবানদের নিজের দলে ভেড়াতে চাইছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওপেনএআইয়ের সাবেক চিফ টেকনোলজি অফিসার মিরা মুরাতিকে ১ বিলিয়ন বা ১১ হাজার কোটি ডলারের চাকরির প্রস্তাব দেন তিনি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এত বড় অঙ্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন মিরা।
গত বছর মিরা ওপেনএআই থেকে পদত্যাগ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সান ফ্রান্সিসকোতে থিংকিং মেশিনস ল্যাব নামের স্টার্টআপ প্রকাশ করেন তিনি। মেটার লক্ষ্য ছিল—মিরা ও তাঁর সহকর্মীদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করা। বিশেষত থিংকিং মেশিনস ল্যাবের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং শীর্ষ গবেষক অ্যান্ড্রু টুলককে। এ জন্য জাকারবার্গ স্টার্টআপের ৫০ জন কর্মীর মধ্যে ১২ জনেরও বেশি কর্মীকে প্রলুব্ধের চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি একজনকে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে, সবাই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
যে কারণে মিরা ও তাঁর কর্মীদের মন গলাতে পারলেন না জাকারবার্গ
মিরা ও তাঁর দল বিশ্বাস করেন, আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (এজিআই) তৈরির দিক থেকে ওপেনএআই এবং থিংকিং মেশিনস ল্যাবই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাঁরা মনে করেন, যদি তাঁদের গবেষণা মেটার কাছে যায়, তা প্রধানত বিজ্ঞাপনভিত্তিক পণ্য উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে, যা তাঁদের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত।
ওপেনএআইতে থাকার সময়ই মিরাকে অহংকারমুক্ত ব্যক্তি বলে জেনেছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। এই বৈশিষ্ট্য তিনি থিংকিং মেশিনস ল্যাবেও বজায় রেখেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে ‘সমতাভিত্তিক, অহংকারহীন ও সহযোগিতামূলক সংস্কৃতি তৈরি করেছেন। মিরার স্টার্টআপেও গবেষকেরা ‘মেম্বার অব টেকনিক্যাল স্টাফ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত, যা তাঁদের অহংমুক্ত ও সমতাপূর্ণ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করে।
বড় করপোরেট কাঠামোতে নয়, নতুন আইডিয়া অনুসরণের সুযোগ এবং গবেষক হিসেবে নিজের নেতৃত্ব দেখানোর পরিবেশই মিরার গবেষকদের প্রলুব্ধ করেছে।
এদিকে ছোট স্টার্টআপে কাজ করার স্বাধীনতা, নতুন গবেষণার সুযোগ এবং নিজের নেতৃত্ব প্রদর্শনের সুযোগের জন্য মিরা অন্য কোনো বড় করপোরেট কোম্পানিতে যুক্ত হতে চাননি। বড় কোম্পানিতে যুক্ত হলে এই স্বাধীনতা সীমিত হতো।
মিরার নেতৃত্বে তাঁর দল নেতৃত্ব ও সহকর্মীর প্রতি গভীর আনুগত্য প্রদর্শন করেছে। তাঁর বিনয়ী আচরণ এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা গবেষকদের অনুপ্রাণিত করেছে, যা আর্থিক প্রস্তাবের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী।
সিলিকন ভ্যালিতে ৯ অঙ্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা বিরল ঘটনা। তবে মিরা ও তাঁর দলের জন্য মূল উদ্দেশ্য, নৈতিক অঙ্গীকার এবং প্রতিষ্ঠান সংস্কৃতি অর্থের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা গবেষণায় প্রেরণা শুধু অর্থ নয়, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও আসে।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক মিরা মুরাতি স্টার্টআপটির এখনো কোনো পণ্য বাজারে আসেনি। বাজারে পণ্য না এলেও প্রযুক্তি বিশ্বের নজর স্টার্টআপটির দিকে। কারণ, এই এআই স্টার্টআপ জটিল রোগ, জলবায়ু পরিবর্তন বা সমাজের বৈষম্য মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব সম্ভাবনার জন্য স্টার্টআপটির মূল্যায়ন দাঁড়িয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলারে।
কোম্পানিটির মূল লক্ষ্য এমন একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা, যেটা সাধারণ মানুষ সহজে ব্যবহার করতে পারবে। এই স্টার্টআপের পেছনে বড় প্রতিষ্ঠান, যেমন: এনভিডিয়া, এএমডি, সিসকো, সার্ভিস নাও এবং আলবেনিয়ার সরকারও আছে। ওপেনএআই, মেটা ও ফরাসি এআই প্রতিষ্ঠান মিস্ট্রাল থেকে গবেষক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে স্টার্টআপটি গড়ে উঠেছে।
প্রতিদিন লাখ লাখ ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউবে। এই বিপুল পরিমাণ ভিডিওর ভিড়ে আপনার তৈরি ভিডিওটি সঠিক দর্শকের কাছে পৌঁছানো নিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুধু ভালো কনটেন্ট তৈরি করলেই হবে না, আপনাকে ভিউ বাড়ানোর বিভিন্ন কৌশলও জানতে হবে। আর সেই কৌশলগুলোর মধ্য অন্যতম হলো—সঠিকভাবে ভিডিওতে ট্যাগ ব্যবহার করা।
২ ঘণ্টা আগেনতুন আইফোন মডেলগুলোর জন্য ডিজিটাল ইমেজ বা ক্যামেরা সেন্সর তৈরিতে স্যামসাংয়ের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে অ্যাপল। এই চুক্তি সম্পর্কে অবগত একাধিক সূত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
১৭ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ‘ওয়ার্ল্ড মডেল’-এর নতুন সংস্করণ জিনি ৩ চালু করেছে গুগল ডিপমাইন্ড। মাত্র একটি প্রম্পটের মাধ্যমে এই মডেল বাস্তসম্মত ত্রিমাত্রিক (৩ ডি) জগৎ তৈরি করে, যেখানে মানুষ ও এআই একসঙ্গে চলাফেলা ও মিথস্ক্রিয়া করতে পারবে। ডিপমাইন্ড বলছে, এটি এমন এক প্রযুক্তি যা মানুষের মতো...
১৯ ঘণ্টা আগেব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্টাগ্রামে নতুন তিন ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপে নতুন কয়েকটি ফিচার যুক্ত করেছে মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। এতে থাকছে ‘রিপোস্ট’ অপশন, লোকেশন শেয়ারের জন্য ইনস্টাগ্রাম ম্যাপ, এবং রিলসে নতুন ‘ফ্রেন্ডস’ ট্যাব।
২১ ঘণ্টা আগে