অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই যেন মানুষের কণ্ঠ ও চেহারা অন্যায়ভাবে ব্যবহার না করে তা নিয়ে ২০২৪ সালে বিক্ষোভ করে হলিউডের শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন এসএজি-এএফটিআরএ। তাই গত বছরের শেষ দিকে এক চুক্তির মাধ্যমে শিল্পীদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা হয়। তবে বোঝাই যাচ্ছিল, সিনেমাশিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার এখন একটি অনিবার্য বাস্তবতা। আর এবার সেই বাস্তবতাকেই সিলমোহর দিল দ্য একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বা অস্কার কর্তৃপক্ষ। এভাবে সিনেমায় এখন স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিল এআই।
অস্কারের কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সিনেমায় জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।
সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, ‘সিনেমা তৈরির সময় জেনারেটিভ এআই কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল টুল ব্যবহারের কারণে কোনো সিনেমার মনোনয়নের সম্ভাবনা কমে বা বাড়ে না। সহজ কথায়, চূড়ান্ত কনটেন্টই আসল বিবেচ্য।’
তবে এই ঘোষণার ক্ষেত্রে ‘জেনারেটিভ এআই’ শব্দটির ওপর জোর দেওয়া জরুরি। কারণ এটি সাধারণ এআই থেকে আলাদা। কারণ, অনেক দিন ধরেই হলিউডে বিভিন্ন কাজে এআইভিত্তিক টুলস ব্যবহার করা হচ্ছে।
মুখ শনাক্তকরণ, দৃশ্য বিশ্লেষণ এবং ট্রান্সক্রিপশনের মতো কাজের জন্য এখন ‘এক্সেল এআই’ ব্যবহার করছেন পরিচালকরা। ম্যাগিস্টো নামের সফটওয়্যার ইমোশন সেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও এডিটে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি রয়েছে ‘স্ট্রাডা এআই’—যা ফাইল গুছিয়ে রাখতে এবং রিমোট এডিটিংয়ে (দূর থেকে এডিটিংয়ে) সাহায্য করে।
এ ছাড়া অ্যালেক্স গারল্যান্ড পরিচালিত সিভিল ওয়ার সিনেমার মতো প্রকল্পে, ডিজেআইয়ের এআই-চালিত অটোফোকাস সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে আরও নিখুঁত ভাবে ফোকাস লক করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে জেনারেটিভ এআই হচ্ছে এআইয়ের এমন একটি উপশ্রেণি, যা নিজেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারে। যেমন—জেমিনি বা চ্যাটজিপিটি পুরো চিত্রনাট্য লিখে দিচ্ছে। গুগল এর ইমাজেন বা মিডজার্নি টেক্সট প্রম্পট থেকে ছবি তৈরি করছে। অথবা ওপেনেআইয়ের এর সোরা বা গুগলেরের ভিও ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে ফটোরিয়ালিস্টিক বা সিনেমাটিক ভিডিও ক্লিপ।
এখান থেকেই সমস্যার শুরু হয়। কারণ এআই দিয়ে মানে ভিডিও তৈরি মানে একজন বা একাধিক মানব শিল্পী কাজ হারাতে পারেন। একই কথা প্রযোজ্য ভয়েস জেনারেশন এবং ডাবিংয়ের ক্ষেত্রেও, যেগুলো এখন এমন নিখুঁতভাবে তৈরি করা যাচ্ছে যে, মানবকণ্ঠের সঙ্গে তফাৎ করা কঠিন। যেমন— বিশ্ববিখ্যাত বিনোদন প্রতিষ্ঠান মার্ভেলের সিক্রেট ইনভেশন সিরিজের ওপেনিং ক্রেডিটে এআই ভিজ্যুয়াল ব্যবহারে তীব্র সমালোচনা হয়।
তবে অস্কারের দৌড়ে জেনারেটিভ এআইয়ের অবদান ঠিক কতদূর পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। এ বিষয়ে এখনো কোনো কঠোর নিয়ম নেই, আর অ্যাকাডেমির ভাষাও বেশ অস্পষ্ট।
অস্কারের দৃষ্টিতে কতটুকু এআই ‘অতিরিক্ত’
এই প্রশ্নের জবাবও স্পষ্ট নয়। অ্যাকাডেমির বক্তব্য অনুযায়ী, ‘অ্যাকাডেমি এবং এর প্রতিটি শাখা পুরস্কারের জন্য সিনেমা নির্বাচন করার সময় এই বিষয়টি বিবেচনায় নেবে যে—মুভি তৈরিতে মানুষের ভূমিকা কতটুকু।’ অর্থাৎ, মানুষের ভূমিকা যত বেশি, অস্কারের চোখে তার মূল্য ততটাই বেশি।
এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে অস্কারের মানব ভোটারদের, আর সেখানে তাদের ব্যক্তিগত মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব থাকবে। সিনেমার গঠন ও সৌন্দর্যে জেনারেটিভ এআই কতটা প্রভাব ফেলেছে—সে বিষয়টি ভিন্ন ভিন্ন ভোটার ভিন্নভাবে দেখবেন। ফলে কোন মুভির বেশি শিল্পমূল্য রয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক ও মতবিরোধ তৈরি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। কারণ বহুবার অস্কারজয়ী পরিচালক জেমস ক্যামেরন এখন স্ট্যাবিলিটিএআইয়ের বোর্ড সদস্য। এই প্রতিষ্ঠানটি জেনারেটিভ এআইয়ের দুনিয়ায় বড় একটি নাম। একই সঙ্গে, প্রতিষ্ঠানটি গেটি ইমেজসহ বিভিন্ন মানব শিল্পীর দায়ের করা কপিরাইট মামলার কেন্দ্রবিন্দুতেও রয়েছে।
শুধু সিনেমা নয়, গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতেও জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার বেড়েছে। মাইক্রোসফটের এর মতো প্রতিষ্ঠান এখন গেম বানানোর জন্য এআই ভিত্তিক আলাদা টুলস তৈরি করছে।
তথ্যসূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই যেন মানুষের কণ্ঠ ও চেহারা অন্যায়ভাবে ব্যবহার না করে তা নিয়ে ২০২৪ সালে বিক্ষোভ করে হলিউডের শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন এসএজি-এএফটিআরএ। তাই গত বছরের শেষ দিকে এক চুক্তির মাধ্যমে শিল্পীদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা হয়। তবে বোঝাই যাচ্ছিল, সিনেমাশিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার এখন একটি অনিবার্য বাস্তবতা। আর এবার সেই বাস্তবতাকেই সিলমোহর দিল দ্য একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বা অস্কার কর্তৃপক্ষ। এভাবে সিনেমায় এখন স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিল এআই।
অস্কারের কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সিনেমায় জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।
সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, ‘সিনেমা তৈরির সময় জেনারেটিভ এআই কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল টুল ব্যবহারের কারণে কোনো সিনেমার মনোনয়নের সম্ভাবনা কমে বা বাড়ে না। সহজ কথায়, চূড়ান্ত কনটেন্টই আসল বিবেচ্য।’
তবে এই ঘোষণার ক্ষেত্রে ‘জেনারেটিভ এআই’ শব্দটির ওপর জোর দেওয়া জরুরি। কারণ এটি সাধারণ এআই থেকে আলাদা। কারণ, অনেক দিন ধরেই হলিউডে বিভিন্ন কাজে এআইভিত্তিক টুলস ব্যবহার করা হচ্ছে।
মুখ শনাক্তকরণ, দৃশ্য বিশ্লেষণ এবং ট্রান্সক্রিপশনের মতো কাজের জন্য এখন ‘এক্সেল এআই’ ব্যবহার করছেন পরিচালকরা। ম্যাগিস্টো নামের সফটওয়্যার ইমোশন সেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও এডিটে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি রয়েছে ‘স্ট্রাডা এআই’—যা ফাইল গুছিয়ে রাখতে এবং রিমোট এডিটিংয়ে (দূর থেকে এডিটিংয়ে) সাহায্য করে।
এ ছাড়া অ্যালেক্স গারল্যান্ড পরিচালিত সিভিল ওয়ার সিনেমার মতো প্রকল্পে, ডিজেআইয়ের এআই-চালিত অটোফোকাস সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে আরও নিখুঁত ভাবে ফোকাস লক করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে জেনারেটিভ এআই হচ্ছে এআইয়ের এমন একটি উপশ্রেণি, যা নিজেই কনটেন্ট তৈরি করতে পারে। যেমন—জেমিনি বা চ্যাটজিপিটি পুরো চিত্রনাট্য লিখে দিচ্ছে। গুগল এর ইমাজেন বা মিডজার্নি টেক্সট প্রম্পট থেকে ছবি তৈরি করছে। অথবা ওপেনেআইয়ের এর সোরা বা গুগলেরের ভিও ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে ফটোরিয়ালিস্টিক বা সিনেমাটিক ভিডিও ক্লিপ।
এখান থেকেই সমস্যার শুরু হয়। কারণ এআই দিয়ে মানে ভিডিও তৈরি মানে একজন বা একাধিক মানব শিল্পী কাজ হারাতে পারেন। একই কথা প্রযোজ্য ভয়েস জেনারেশন এবং ডাবিংয়ের ক্ষেত্রেও, যেগুলো এখন এমন নিখুঁতভাবে তৈরি করা যাচ্ছে যে, মানবকণ্ঠের সঙ্গে তফাৎ করা কঠিন। যেমন— বিশ্ববিখ্যাত বিনোদন প্রতিষ্ঠান মার্ভেলের সিক্রেট ইনভেশন সিরিজের ওপেনিং ক্রেডিটে এআই ভিজ্যুয়াল ব্যবহারে তীব্র সমালোচনা হয়।
তবে অস্কারের দৌড়ে জেনারেটিভ এআইয়ের অবদান ঠিক কতদূর পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। এ বিষয়ে এখনো কোনো কঠোর নিয়ম নেই, আর অ্যাকাডেমির ভাষাও বেশ অস্পষ্ট।
অস্কারের দৃষ্টিতে কতটুকু এআই ‘অতিরিক্ত’
এই প্রশ্নের জবাবও স্পষ্ট নয়। অ্যাকাডেমির বক্তব্য অনুযায়ী, ‘অ্যাকাডেমি এবং এর প্রতিটি শাখা পুরস্কারের জন্য সিনেমা নির্বাচন করার সময় এই বিষয়টি বিবেচনায় নেবে যে—মুভি তৈরিতে মানুষের ভূমিকা কতটুকু।’ অর্থাৎ, মানুষের ভূমিকা যত বেশি, অস্কারের চোখে তার মূল্য ততটাই বেশি।
এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে অস্কারের মানব ভোটারদের, আর সেখানে তাদের ব্যক্তিগত মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব থাকবে। সিনেমার গঠন ও সৌন্দর্যে জেনারেটিভ এআই কতটা প্রভাব ফেলেছে—সে বিষয়টি ভিন্ন ভিন্ন ভোটার ভিন্নভাবে দেখবেন। ফলে কোন মুভির বেশি শিল্পমূল্য রয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক ও মতবিরোধ তৈরি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। কারণ বহুবার অস্কারজয়ী পরিচালক জেমস ক্যামেরন এখন স্ট্যাবিলিটিএআইয়ের বোর্ড সদস্য। এই প্রতিষ্ঠানটি জেনারেটিভ এআইয়ের দুনিয়ায় বড় একটি নাম। একই সঙ্গে, প্রতিষ্ঠানটি গেটি ইমেজসহ বিভিন্ন মানব শিল্পীর দায়ের করা কপিরাইট মামলার কেন্দ্রবিন্দুতেও রয়েছে।
শুধু সিনেমা নয়, গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতেও জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার বেড়েছে। মাইক্রোসফটের এর মতো প্রতিষ্ঠান এখন গেম বানানোর জন্য এআই ভিত্তিক আলাদা টুলস তৈরি করছে।
তথ্যসূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু গোপন নথি ডার্ক ওয়েবে বিক্রি হতে পারে। এই সন্দেহজনক ঘটনা তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন ছিয়া-লুং একটি তদন্ত টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে এই তথ্য ফাঁসের উৎস, চ্যানেল এবং পরিধি স্পষ্ট করা যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেএকটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হলে আরেকটি খুলছেন হানিন আল-বাতাশ। গত ছয় মাসে তিনি ৮০টিরও বেশি ব্লুস্কাই অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েলের অবরোধে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি গাজাবাসীরা এখন দুধ ও ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। জীবন রক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে সহায়তা চেয়ে ব্লুস্কাই
১৩ ঘণ্টা আগেনীতিবিরোধী কনটেন্ট শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এখনো মানুষের দক্ষতা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে জটিল বা প্রসঙ্গভিত্তিক কনটেন্ট বিশ্লেষণে মানব কনটেন্ট মডারেটররা এআইয়ের চেয়ে স্পষ্টভাবে এগিয়ে। তবে এই নির্ভুল যাচাইয়ের পেছনে রয়েছে একটি বড়...
১৭ ঘণ্টা আগেদাবা খেলায় ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট গ্রোককে পরাজিত করল স্যাম অল্টম্যানের ওপেনএআই। দাবা খেলায় কোন এআই সেরা তা নির্ধারণ করতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগে