মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অন্যান্য পেশার মানুষের মতো ফ্রিল্যান্সাররাও আর্থিকসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনেকের আয়ের পথ প্রায় বন্ধ। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া কাজ আবার ফিরবে কি না, তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। তারপরও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁরা আশার আলো দেখছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ মনে করছেন, ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন রেখে সারা দেশে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে দেশে আনতে হবে। তাঁরা বলছেন, দেশের ভেতরে লাইসেন্স কিংবা রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রকে আরও সুবিধাজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
এসব বিষয় জানার জন্য আমরা কথা বলেছিলাম দুজন ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে।
ডলার বিনিময়ের সঠিক হার নিশ্চিত করতে হবে
তানজিম শাহ কবির,সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠাতা, কোয়ান্টাফোর্স ল্যাবস।
বাংলাদেশের সাইবার আইন পরিমার্জন করা: বর্তমান ডিজিটাল যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের সাইবার আইন পরিমার্জন করা জরুরি; যাতে সাইবার অপরাধ দমন, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
স্ট্রিপ এবং পেপ্যাল সংযোগ: ফ্রিল্যান্সার এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে স্ট্রিপ ও পেপ্যালের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে দেশে আনতে হবে। এতে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হবে।
ডলার বিনিময়ের সঠিক হার নিশ্চিত করা: ডলার বিনিময় হারের সঠিকতা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।
সরকারি ওয়েবসাইটে বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালু করা: সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। এতে তারা আয় করতে পারবে। হল অব ফেমে জায়গা পেতে পারে এমন ব্যবস্থা নেওয়া। এতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার হবে।
আমাজন এবং ই-বের কার্যক্রম চালু করা: দেশে আমাজন এবং ই-বের মতো আন্তর্জাতিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম চালু করতে হবে। এতে দেশীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির সুযোগ বাড়বে।
স্টারলিংক আনার ক্ষেত্র তৈরি করা: বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার প্রয়োজনীয় আইন ও নিয়মকানুন তৈরি করতে হবে। এতে সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর উদ্যোগ পুনরায় চালু করা: তরুণ প্রজন্মকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তোলার জন্য বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর উদ্যোগ পুনরায় চালু করতে হবে। তারা দেশের রেমিট্যান্স এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে।
সাইবার সিকিউরিটি ও প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত সেমিনার আয়োজন করা: শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার সিকিউরিটি এবং প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। এতে তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
ইন্টারনেটকে মৌলিক সেবা হিসেবে নিতে হবে
আশরাফুজ্জামান পলাশ, ফ্রিল্যান্সার, বেড়া, পাবনা।
আপওয়ার্কে এ পর্যন্ত আশরাফুজ্জামান পলাশ ৭০৬টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন। আপওয়ার্ক থেকে তাঁর মোট আয় প্রায় দুই লাখ ডলার। সেখানে তিনি টপ রেটেড প্লাস ব্যাজধারী ফ্রিল্যান্সার। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তাঁর চাওয়া, ইন্টারনেটকে মৌলিক সেবা হিসেবে রেখে এর গতি বাড়ানো ও সহজলভ্য করা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অন্যান্য পেশার মানুষের মতো ফ্রিল্যান্সাররাও আর্থিকসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনেকের আয়ের পথ প্রায় বন্ধ। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া কাজ আবার ফিরবে কি না, তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। তারপরও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁরা আশার আলো দেখছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ মনে করছেন, ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন রেখে সারা দেশে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে দেশে আনতে হবে। তাঁরা বলছেন, দেশের ভেতরে লাইসেন্স কিংবা রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রকে আরও সুবিধাজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
এসব বিষয় জানার জন্য আমরা কথা বলেছিলাম দুজন ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে।
ডলার বিনিময়ের সঠিক হার নিশ্চিত করতে হবে
তানজিম শাহ কবির,সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠাতা, কোয়ান্টাফোর্স ল্যাবস।
বাংলাদেশের সাইবার আইন পরিমার্জন করা: বর্তমান ডিজিটাল যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের সাইবার আইন পরিমার্জন করা জরুরি; যাতে সাইবার অপরাধ দমন, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
স্ট্রিপ এবং পেপ্যাল সংযোগ: ফ্রিল্যান্সার এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে স্ট্রিপ ও পেপ্যালের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে দেশে আনতে হবে। এতে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হবে।
ডলার বিনিময়ের সঠিক হার নিশ্চিত করা: ডলার বিনিময় হারের সঠিকতা নিশ্চিত করতে হবে। এতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে।
সরকারি ওয়েবসাইটে বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালু করা: সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের জন্য সরকারি ওয়েবসাইটে বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। এতে তারা আয় করতে পারবে। হল অব ফেমে জায়গা পেতে পারে এমন ব্যবস্থা নেওয়া। এতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার হবে।
আমাজন এবং ই-বের কার্যক্রম চালু করা: দেশে আমাজন এবং ই-বের মতো আন্তর্জাতিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম চালু করতে হবে। এতে দেশীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির সুযোগ বাড়বে।
স্টারলিংক আনার ক্ষেত্র তৈরি করা: বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার প্রয়োজনীয় আইন ও নিয়মকানুন তৈরি করতে হবে। এতে সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে।
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর উদ্যোগ পুনরায় চালু করা: তরুণ প্রজন্মকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তোলার জন্য বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর উদ্যোগ পুনরায় চালু করতে হবে। তারা দেশের রেমিট্যান্স এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে।
সাইবার সিকিউরিটি ও প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত সেমিনার আয়োজন করা: শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার সিকিউরিটি এবং প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। এতে তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
ইন্টারনেটকে মৌলিক সেবা হিসেবে নিতে হবে
আশরাফুজ্জামান পলাশ, ফ্রিল্যান্সার, বেড়া, পাবনা।
আপওয়ার্কে এ পর্যন্ত আশরাফুজ্জামান পলাশ ৭০৬টি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছেন। আপওয়ার্ক থেকে তাঁর মোট আয় প্রায় দুই লাখ ডলার। সেখানে তিনি টপ রেটেড প্লাস ব্যাজধারী ফ্রিল্যান্সার। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তাঁর চাওয়া, ইন্টারনেটকে মৌলিক সেবা হিসেবে রেখে এর গতি বাড়ানো ও সহজলভ্য করা।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১৪ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১৬ ঘণ্টা আগে