আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বখ্যাত চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই এবার মেটার এলএলএএমএ ও চীনের ডিপসিকের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে—তারা দুটি ‘ওপেন ওয়েট’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল বিনা মূল্যে ডাউনলোড ও কাস্টমাইজ করার জন্য উন্মুক্ত করেছে।
মডেল দুটির নাম—জিপিটি-ওএসএস-১২০বি এবং জিপিটি-ওএসএস-২০ বি-টু। এগুলো ব্যবহার করে ডেভেলপাররা নিজের মতো করে এআই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও সংশোধন করতে পারবেন। তবে এগুলো পুরোপুরি ‘ওপেন সোর্স’ নয়, বরং ‘ওপেন ওয়েট’। অর্থাৎ, এগুলো সূক্ষ্ম পরিবর্তন করা গেলেও সম্পূর্ণ গঠনকাঠামো বা ট্রেনিং ডেটাসেট ডেভেলপারদের কাছে উন্মুক্ত নয়।
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সর্বজনীন কল্যাণের ভিত্তিতে তৈরি মডেলগুলো বিশ্বের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই মডেল তৈরি করতে বিলিয়ন ডলারের গবেষণা হয়েছে এবং এখন এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ায় সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের কাছে এআই পৌঁছে যাবে।’
মডেলগুলো এজেন্টিক ওয়ার্কফ্লো বা স্বয়ংক্রিয় এআই এজেন্ট পরিচালনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওপেনএআই।
এদিকে, মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গও বলেছেন, মডেলগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য রাখলে আরও বেশি মানুষের কাছে এআইয়ের সুফল পৌঁছানো যাবে এবং কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। যদিও মেটার পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে—উন্নত মডেলগুলো নিয়ে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হতে পারে।
অন্যদিকে, ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা মডেলগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালানোর সময় নিরাপত্তাজনিত সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ক্ষতিকর’ সংস্করণও তৈরি করেছিল। তবে সেগুলো বায়োলজিক্যাল বা সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত হুমকি তৈরির মতো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে ওঠেনি বলেই দাবি তাদের।
চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী ডিপসিকও ইতিমধ্যে শক্তিশালী ও কাস্টমাইজযোগ্য এআই মডেল উন্মুক্ত করেছে, যেগুলো মেটা বা ওপেনএআইয়ের মতোই সহজলভ্য।
ওপেনএআই জানিয়েছে, তাদের বড় মডেল জিপিটি-ওএসএস-১২০বি যুক্তি দিয়ে চিন্তার ক্ষেত্রে ‘ও৪-মিনি’ মডেলের কাছাকাছি সক্ষমতা দেখিয়েছে। অর্থাৎ, এটি কেবল ‘ওপেন মডেল’ নয়, বরং কার্যক্ষমতার দিক থেকেও উন্নত।
উল্লেখ্য, মেটার এলএলএএমএ মডেলগুলোকে মেটা ‘ওপেন সোর্স’ বললেও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওপেন সোর্স ইনিশিয়েটিভ জানিয়েছে—ব্যবহারের ওপর কিছু বিধিনিষেধ থাকায় এগুলো পুরোপুরি ওপেন সোর্স নয়। ঠিক তেমনি, ওপেনএআই তাদের মডেলকে ‘ওপেন ওয়েট’ বলে উল্লেখ করেছে, যা একধরনের সীমিত উন্মুক্ততা বোঝায়।
এদিকে চ্যাটজিপিটির পরবর্তী সংস্করণ জিপিটি-৫ শিগগিরই উন্মুক্ত হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। গত রোববার স্যাম অল্টম্যান একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যাতে নতুন মডেলের আভাস পাওয়া যায়।
এদিকে গুগলও তাদের কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) অর্জনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। তাদের নতুন জিনি ৩ মডেল বাস্তব পৃথিবীর অনুকরণে একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারে, যেখানে রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যানবাহন প্রশিক্ষণ নিতে পারে। গুগল ডিপমাইন্ড বলছে, এ ধরনের ‘ওয়ার্ল্ড মডেল’ ভবিষ্যতের স্বয়ংক্রিয় এআই এজেন্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডিপমাইন্ডের ভাষায়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রযুক্তি এজিআই অর্জনের পথে একটি বড় ধাপ এবং ভবিষ্যতের এআই এজেন্টদের বিশ্বে বাস্তব ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে।’
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিশ্বখ্যাত চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই এবার মেটার এলএলএএমএ ও চীনের ডিপসিকের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে—তারা দুটি ‘ওপেন ওয়েট’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল বিনা মূল্যে ডাউনলোড ও কাস্টমাইজ করার জন্য উন্মুক্ত করেছে।
মডেল দুটির নাম—জিপিটি-ওএসএস-১২০বি এবং জিপিটি-ওএসএস-২০ বি-টু। এগুলো ব্যবহার করে ডেভেলপাররা নিজের মতো করে এআই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও সংশোধন করতে পারবেন। তবে এগুলো পুরোপুরি ‘ওপেন সোর্স’ নয়, বরং ‘ওপেন ওয়েট’। অর্থাৎ, এগুলো সূক্ষ্ম পরিবর্তন করা গেলেও সম্পূর্ণ গঠনকাঠামো বা ট্রেনিং ডেটাসেট ডেভেলপারদের কাছে উন্মুক্ত নয়।
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সর্বজনীন কল্যাণের ভিত্তিতে তৈরি মডেলগুলো বিশ্বের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই মডেল তৈরি করতে বিলিয়ন ডলারের গবেষণা হয়েছে এবং এখন এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ায় সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের কাছে এআই পৌঁছে যাবে।’
মডেলগুলো এজেন্টিক ওয়ার্কফ্লো বা স্বয়ংক্রিয় এআই এজেন্ট পরিচালনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওপেনএআই।
এদিকে, মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গও বলেছেন, মডেলগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য রাখলে আরও বেশি মানুষের কাছে এআইয়ের সুফল পৌঁছানো যাবে এবং কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। যদিও মেটার পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে—উন্নত মডেলগুলো নিয়ে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হতে পারে।
অন্যদিকে, ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা মডেলগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালানোর সময় নিরাপত্তাজনিত সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ক্ষতিকর’ সংস্করণও তৈরি করেছিল। তবে সেগুলো বায়োলজিক্যাল বা সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত হুমকি তৈরির মতো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে ওঠেনি বলেই দাবি তাদের।
চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী ডিপসিকও ইতিমধ্যে শক্তিশালী ও কাস্টমাইজযোগ্য এআই মডেল উন্মুক্ত করেছে, যেগুলো মেটা বা ওপেনএআইয়ের মতোই সহজলভ্য।
ওপেনএআই জানিয়েছে, তাদের বড় মডেল জিপিটি-ওএসএস-১২০বি যুক্তি দিয়ে চিন্তার ক্ষেত্রে ‘ও৪-মিনি’ মডেলের কাছাকাছি সক্ষমতা দেখিয়েছে। অর্থাৎ, এটি কেবল ‘ওপেন মডেল’ নয়, বরং কার্যক্ষমতার দিক থেকেও উন্নত।
উল্লেখ্য, মেটার এলএলএএমএ মডেলগুলোকে মেটা ‘ওপেন সোর্স’ বললেও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওপেন সোর্স ইনিশিয়েটিভ জানিয়েছে—ব্যবহারের ওপর কিছু বিধিনিষেধ থাকায় এগুলো পুরোপুরি ওপেন সোর্স নয়। ঠিক তেমনি, ওপেনএআই তাদের মডেলকে ‘ওপেন ওয়েট’ বলে উল্লেখ করেছে, যা একধরনের সীমিত উন্মুক্ততা বোঝায়।
এদিকে চ্যাটজিপিটির পরবর্তী সংস্করণ জিপিটি-৫ শিগগিরই উন্মুক্ত হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। গত রোববার স্যাম অল্টম্যান একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যাতে নতুন মডেলের আভাস পাওয়া যায়।
এদিকে গুগলও তাদের কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) অর্জনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। তাদের নতুন জিনি ৩ মডেল বাস্তব পৃথিবীর অনুকরণে একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারে, যেখানে রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যানবাহন প্রশিক্ষণ নিতে পারে। গুগল ডিপমাইন্ড বলছে, এ ধরনের ‘ওয়ার্ল্ড মডেল’ ভবিষ্যতের স্বয়ংক্রিয় এআই এজেন্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডিপমাইন্ডের ভাষায়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রযুক্তি এজিআই অর্জনের পথে একটি বড় ধাপ এবং ভবিষ্যতের এআই এজেন্টদের বিশ্বে বাস্তব ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে।’
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
দেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘ভিশনএক্সন: এআই-পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসইডিইউ)।
২ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইল লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারবেন। ফলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (যেমন—হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক) কোনো ব্যবহারকারীকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
১৯ ঘণ্টা আগেতথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
৩ দিন আগে‘আরাত্তাই’ শব্দটি তামিল ভাষায় ‘আলাপ-আলোচনা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। ২০২১ সালে অ্যাপটি সীমিত পরিসরে চালু করা হলেও তখন খুব একটা সাড়া মেলেনি। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ বা স্বনির্ভরতা প্রচারণা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশীয় পণ্যের প্রতি জোর...
৪ দিন আগে