আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্তমান সময়ে চারদিকে ঘিরে আছে রিচার্জেবল ডিভাইস—স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, স্মার্ট ঘড়ি, হেডফোন, ই-বাইকসহ নানা কিছু। এসব ডিভাইস চার্জ দেওয়ার জন্য আমরা ঘরের বিভিন্ন স্থানে চার্জার প্লাগ করে রাখি। তবে বাস্তবতা হলো, সারাক্ষণ চার্জার প্লাগে লাগিয়ে রাখার অভ্যাসের পেছনে লুকিয়ে আছে কিছু মারাত্মক ক্ষতি।
চার্জারের ভেতরে যা থাকে
সব চার্জার এক রকম নয়। ব্যবহারভেদে ও বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী তাদের গঠন হতে পারে সহজ কিংবা জটিল। সাধারণভাবে একটি চার্জার দেয়ালের প্লাগ থেকে পাওয়া এসি (অলটারনেটিং কারেন্ট) বিদ্যুৎকে ডিসিতে (ডাইরেক্ট কারেন্ট) রূপান্তর করে, যা ডিভাইসের ব্যাটারির জন্য উপযোগী।
এসি ও ডিসির পার্থক্য বুঝতে হলে তারের মধ্যে ইলেকট্রনের চলাচল কেমন হয়, তা জানতে হবে। ডিসি সার্কিটে ইলেকট্রন একমুখীভাবে চলে, আর এসি সার্কিটে ইলেকট্রন সামনে-পেছনে চলে।
আমরা এখনো এসি ও ডিসি—এই দুই ধরনের বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, যার ইতিহাস বহু পুরোনো। এটি শুরু হয়েছিল যখন দুই বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস এডিসন ও নিকোলা টেসলা, বিদ্যুতের কোন ধরন আদর্শ হিসেবে ব্যবহৃত হবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। আজও আমরা এই দুই ধরনের বিদ্যুৎ ব্যবহার করি।
আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এসি আকারে। তবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যাটারি চলে ডিসিতে। তাই প্রায় প্রতিটি যন্ত্রেই এসি-ডিসি কনভারটার থাকে। এই এসি থেকে ডিসিতে রূপান্তরের জন্য একটি সাধারণ চার্জারে প্রয়োজন হয় একাধিক উপাদান; যেমন ট্রান্সফরমার, বিদ্যুৎ রূপান্তরের জন্য সার্কিট, ডিসি ভোল্টেজের গুণমান উন্নত করার জন্য ফিল্টারিং উপাদান এবং নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার জন্য কন্ট্রোল সার্কিট। এগুলো সবই কিছু না কিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, এমনকি যখন চার্জারটি কোনো ডিভাইস চার্জ দিচ্ছে না।
তাই চার্জার বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ খরচ হয়। এ বিষয়কে বলা হয় ‘ভ্যাম্পায়ার পাওয়ার’। অর্থাৎ, আপনি ফোন চার্জে না দিলেও চার্জার প্লাগে লাগিয়ে রাখলে সেটি সামান্য পরিমাণে বিদ্যুৎ টেনে নেয়। এর কিছু অংশ যায় কন্ট্রোল সার্কিট চালাতে, আর বাকি অংশ তাপে রূপান্তরিত হয়।
একটি ছোট চার্জারের ক্ষেত্রে হয়তো এই খরচ তুচ্ছ, তবে বাড়িতে থাকা সব চার্জার একসঙ্গে এভাবে বিদ্যুৎ নিলে বছরে মোট খরচ হয়ে যেতে পারে কয়েক কিলোওয়াট ঘণ্টা।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো, আধুনিক চার্জারগুলো তৈরি হয় স্মার্ট পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ, যা কোনো ডিভাইস কানেক্ট না থাকলে স্লিপ মোডে চলে যায় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমায়।
চার্জার ছাড়াও অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র অল্প পরিমাণে হলেও স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় বিদ্যুৎ খরচ করে। যেমন: টেলিভিশন।
তবে এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত কিছু ঝুঁকি তৈরি হয়। চার্জার প্লাগে থাকলে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ চলাচল করে। নিম্নমানের বা পুরোনো চার্জার হলে তাপ উৎপন্ন হতে পারে এবং অতিরিক্ত তাপ থেকে স্পার্ক বা শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। আধুনিক চার্জারে এসব সামাল দেওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। তবে সস্তা ও নকল চার্জারে নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল। এর ফলে আগুন লাগার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
সব সময় প্লাগে লাগানো চার্জার ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে। এতে চার্জারের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এর কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। অনেক সময় এতে মোবাইলের ব্যাটারিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া ঘরে ছোট শিশু থাকলে চার্জার লাগানো অবস্থায় তারা যদি সেটি ধরতে চায় বা টান দেয়, তাহলে বিদ্যুতায়িত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টির সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ ওঠানামার কারণে চার্জারে স্পার্ক হতে পারে।
যদিও আধুনিক চার্জার নিরাপদ ও কম বিদ্যুৎ খরচ করে, তারপরও সম্ভব হলে চার্জার ব্যবহার শেষে খুলে রাখা ভালো। যদি চার্জার অস্বাভাবিক গরম হয়, অস্বাভাবিক শব্দ করে বা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা সঙ্গে সঙ্গেই বদলে ফেলা উচিত এবং কখনোই প্লাগে লাগিয়ে রাখা উচিত নয়।
বর্তমান সময়ে চারদিকে ঘিরে আছে রিচার্জেবল ডিভাইস—স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, স্মার্ট ঘড়ি, হেডফোন, ই-বাইকসহ নানা কিছু। এসব ডিভাইস চার্জ দেওয়ার জন্য আমরা ঘরের বিভিন্ন স্থানে চার্জার প্লাগ করে রাখি। তবে বাস্তবতা হলো, সারাক্ষণ চার্জার প্লাগে লাগিয়ে রাখার অভ্যাসের পেছনে লুকিয়ে আছে কিছু মারাত্মক ক্ষতি।
চার্জারের ভেতরে যা থাকে
সব চার্জার এক রকম নয়। ব্যবহারভেদে ও বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী তাদের গঠন হতে পারে সহজ কিংবা জটিল। সাধারণভাবে একটি চার্জার দেয়ালের প্লাগ থেকে পাওয়া এসি (অলটারনেটিং কারেন্ট) বিদ্যুৎকে ডিসিতে (ডাইরেক্ট কারেন্ট) রূপান্তর করে, যা ডিভাইসের ব্যাটারির জন্য উপযোগী।
এসি ও ডিসির পার্থক্য বুঝতে হলে তারের মধ্যে ইলেকট্রনের চলাচল কেমন হয়, তা জানতে হবে। ডিসি সার্কিটে ইলেকট্রন একমুখীভাবে চলে, আর এসি সার্কিটে ইলেকট্রন সামনে-পেছনে চলে।
আমরা এখনো এসি ও ডিসি—এই দুই ধরনের বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, যার ইতিহাস বহু পুরোনো। এটি শুরু হয়েছিল যখন দুই বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস এডিসন ও নিকোলা টেসলা, বিদ্যুতের কোন ধরন আদর্শ হিসেবে ব্যবহৃত হবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। আজও আমরা এই দুই ধরনের বিদ্যুৎ ব্যবহার করি।
আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এসি আকারে। তবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ব্যাটারি চলে ডিসিতে। তাই প্রায় প্রতিটি যন্ত্রেই এসি-ডিসি কনভারটার থাকে। এই এসি থেকে ডিসিতে রূপান্তরের জন্য একটি সাধারণ চার্জারে প্রয়োজন হয় একাধিক উপাদান; যেমন ট্রান্সফরমার, বিদ্যুৎ রূপান্তরের জন্য সার্কিট, ডিসি ভোল্টেজের গুণমান উন্নত করার জন্য ফিল্টারিং উপাদান এবং নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষার জন্য কন্ট্রোল সার্কিট। এগুলো সবই কিছু না কিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, এমনকি যখন চার্জারটি কোনো ডিভাইস চার্জ দিচ্ছে না।
তাই চার্জার বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ খরচ হয়। এ বিষয়কে বলা হয় ‘ভ্যাম্পায়ার পাওয়ার’। অর্থাৎ, আপনি ফোন চার্জে না দিলেও চার্জার প্লাগে লাগিয়ে রাখলে সেটি সামান্য পরিমাণে বিদ্যুৎ টেনে নেয়। এর কিছু অংশ যায় কন্ট্রোল সার্কিট চালাতে, আর বাকি অংশ তাপে রূপান্তরিত হয়।
একটি ছোট চার্জারের ক্ষেত্রে হয়তো এই খরচ তুচ্ছ, তবে বাড়িতে থাকা সব চার্জার একসঙ্গে এভাবে বিদ্যুৎ নিলে বছরে মোট খরচ হয়ে যেতে পারে কয়েক কিলোওয়াট ঘণ্টা।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো, আধুনিক চার্জারগুলো তৈরি হয় স্মার্ট পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ, যা কোনো ডিভাইস কানেক্ট না থাকলে স্লিপ মোডে চলে যায় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমায়।
চার্জার ছাড়াও অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র অল্প পরিমাণে হলেও স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় বিদ্যুৎ খরচ করে। যেমন: টেলিভিশন।
তবে এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত কিছু ঝুঁকি তৈরি হয়। চার্জার প্লাগে থাকলে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ চলাচল করে। নিম্নমানের বা পুরোনো চার্জার হলে তাপ উৎপন্ন হতে পারে এবং অতিরিক্ত তাপ থেকে স্পার্ক বা শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। আধুনিক চার্জারে এসব সামাল দেওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। তবে সস্তা ও নকল চার্জারে নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল। এর ফলে আগুন লাগার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
সব সময় প্লাগে লাগানো চার্জার ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে। এতে চার্জারের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এর কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। অনেক সময় এতে মোবাইলের ব্যাটারিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া ঘরে ছোট শিশু থাকলে চার্জার লাগানো অবস্থায় তারা যদি সেটি ধরতে চায় বা টান দেয়, তাহলে বিদ্যুতায়িত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া ঝড়বৃষ্টির সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ ওঠানামার কারণে চার্জারে স্পার্ক হতে পারে।
যদিও আধুনিক চার্জার নিরাপদ ও কম বিদ্যুৎ খরচ করে, তারপরও সম্ভব হলে চার্জার ব্যবহার শেষে খুলে রাখা ভালো। যদি চার্জার অস্বাভাবিক গরম হয়, অস্বাভাবিক শব্দ করে বা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা সঙ্গে সঙ্গেই বদলে ফেলা উচিত এবং কখনোই প্লাগে লাগিয়ে রাখা উচিত নয়।
অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭ প্রো এবং ১৭ প্রো ম্যাক্স বাজারে আসার পর সাধারণত ভক্তদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তবে এবারের মডেল ঘিরে ইতিমধ্যেই কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো—মডেলগুলোতে খুব সহজেই আঁচড় ও দাগ পড়ছে। বিশেষ করে ক্যামেরা বাম্পের ধারালো প্রান্তগুলোতে।
৩ ঘণ্টা আগেকনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য এখন দারুণ সব এআই টুলস ও ফিচার আছে অনলাইনে। যে কনটেন্ট তৈরি করতে আগে ব্যাপক আয়োজন করতে হতো, একই কাজ এখন অল্প পরিশ্রমে সম্ভব করে দিচ্ছে বিভিন্ন এআই টুল। তবে বলে রাখা ভালো, এআই টুলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে সেটি মাস বা বছরের জন্য কিনতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেমাত্র ২৮ বছর বয়সে ফ্রিল্যান্সিং জগতে শক্ত অবস্থান গড়েছেন মো. ফারুক হোসেন। কোরআনে হাফেজ এই তরুণ বর্তমানে মাসে গড়ে ১০ লাখ টাকা আয় করেন। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ৫ হাজার মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন তিনি, যাঁদের মধ্যে ৩ হাজার এরই মধ্যে আয় করছেন।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান (এআই) ওপেনএআইতে। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটিকে এআই ডেটা সেন্টারের জন্য চিপ সরবরাহও করবে বলে গতকাল সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে দুই কোম্পানি।
৪ ঘণ্টা আগে