অনলাইন ডেস্ক
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদে চলাফেরার পথ সহজ করতে এক নতুন ধরনের পরিধানযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের চারপাশের প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে এবং চলার জন্য নিরাপদ পথের নির্দেশনা দেয়।
নেচার মেশিন ইন্টেলিজেন্স জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। গবেষণায় বলা হয়, এটি একটি ব্যবহারবান্ধব ব্যবস্থা, যা শব্দ ও হালকা কম্পনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নির্দেশনা দিতে পারে।
অচেনা পরিবেশে চলাচল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য অনেক সময়ই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি কিছুটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তবে সেগুলো সব সময় কার্যকর বা সহজলভ্য নয়।
এই সমস্যা সমাধানে বিকল্প হিসেবে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিগুলো সামনে এলেও সেগুলোর বেশির ভাগই ব্যবহারে জটিল হওয়ায় সাধারণ ব্যবহারকারীরা তা খুব একটা গ্রহণ করতে পারেন না।
এই সীমাবদ্ধতা কাটাতে চীনের শাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লেইলেই গু ও তাঁর দল সহজে ব্যবহারযোগ্য পরিধানযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছেন। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের মাধ্যমে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারকারীকে দিকনির্দেশনা দেয়।
ডিভাইসটি ব্যবহারকারীর ভ্রুর মাঝখানে পরিধান করা হয়। এটি হালকা ও ছোট আকৃতির, ফলে দিনভর ব্যবহারেও অস্বস্তি হয় না। ডিভাইসটিতে একটি ক্যামেরা রয়েছে, যা আশপাশের ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও একটি এআই অ্যালগরিদমে পাঠানো হয়, যা তথ্য বিশ্লেষণ করে সামনে থাকা প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে এবং নিরাপদ পথ নির্ধারণ করে।
পথ নির্দেশনা দিতে ডিভাইসটি দুটি উপায় ব্যবহার করে। প্রথমত, ‘বোন কন্ডাকশন’ হেডফোনের মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ সরাসরি ব্যবহারকারীর কানের ভেতর পৌঁছে যায়। ফলে বাইরের শব্দও শোনা যায় এবং নির্দেশনাও স্পষ্ট বোঝা যায়।
দ্বিতীয়ত, হাতে পরিধানযোগ্য ‘কৃত্রিম ত্বক’ বা স্কিন ব্যবহার করা হয়, যা বাধা থাকলে তা কবজিতে মৃদু কম্পনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।
ডিভাইসটির কার্যকারিতা যাচাইয়ে গবেষকেরা রোবটিক সিমুলেশনের পাশাপাশি দৃষ্টিহীন ও স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ২০ জন স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাস্তব পরিবেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। মাত্র ২০ মিনিট অনুশীলনের পরই অধিকাংশ ব্যবহারকারী সহজেই ডিভাইসটি চালাতে সক্ষম হন। স্বেচ্ছাসেবকেরা ভার্চুয়াল গোলকধাঁধা পার হওয়ার পাশাপাশি বাস্তব পরিবেশে চলাফেরা করেন এবং বস্তু চেনা ও নিচ থেকে তোলার মতো কাজও করেন। পরীক্ষায় তাঁদের বাধা এড়িয়ে চলার দক্ষতা আগের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। সিস্টেমটি বর্তমানে ২১টি বস্তুকে শনাক্ত করতে সক্ষম, যেমন—বিছানা, চেয়ার, টেবিল, বেসিন, টেলিভিশন ও খাবার।
গবেষণায় উঠে আসে, দৃষ্টি, শ্রবণ ও স্পর্শ—এই তিনটি অনুভূতির সমন্বয় সহায়ক ডিভাইসগুলোকে আরও কার্যকর ও ব্যবহারবান্ধব করে তোলে। এতে করে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আরও স্বাভাবিক ও সহজভাবে ধারণা নিতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
গবেষকেরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি শুধু চলাচল নয়, আরও অনেক সহায়ক খাতে ব্যবহার করা যাবে। ডিভাইসটি উন্নত হলে তা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে আরও স্বাধীন ও আত্মনির্ভর জীবন যাপনে সাহায্য করতে পারে।
তথ্যসূত্র: নোরিডজ ও ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদে চলাফেরার পথ সহজ করতে এক নতুন ধরনের পরিধানযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের চারপাশের প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে এবং চলার জন্য নিরাপদ পথের নির্দেশনা দেয়।
নেচার মেশিন ইন্টেলিজেন্স জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। গবেষণায় বলা হয়, এটি একটি ব্যবহারবান্ধব ব্যবস্থা, যা শব্দ ও হালকা কম্পনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নির্দেশনা দিতে পারে।
অচেনা পরিবেশে চলাচল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য অনেক সময়ই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি কিছুটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তবে সেগুলো সব সময় কার্যকর বা সহজলভ্য নয়।
এই সমস্যা সমাধানে বিকল্প হিসেবে পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিগুলো সামনে এলেও সেগুলোর বেশির ভাগই ব্যবহারে জটিল হওয়ায় সাধারণ ব্যবহারকারীরা তা খুব একটা গ্রহণ করতে পারেন না।
এই সীমাবদ্ধতা কাটাতে চীনের শাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লেইলেই গু ও তাঁর দল সহজে ব্যবহারযোগ্য পরিধানযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছেন। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের মাধ্যমে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারকারীকে দিকনির্দেশনা দেয়।
ডিভাইসটি ব্যবহারকারীর ভ্রুর মাঝখানে পরিধান করা হয়। এটি হালকা ও ছোট আকৃতির, ফলে দিনভর ব্যবহারেও অস্বস্তি হয় না। ডিভাইসটিতে একটি ক্যামেরা রয়েছে, যা আশপাশের ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও একটি এআই অ্যালগরিদমে পাঠানো হয়, যা তথ্য বিশ্লেষণ করে সামনে থাকা প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে এবং নিরাপদ পথ নির্ধারণ করে।
পথ নির্দেশনা দিতে ডিভাইসটি দুটি উপায় ব্যবহার করে। প্রথমত, ‘বোন কন্ডাকশন’ হেডফোনের মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ সরাসরি ব্যবহারকারীর কানের ভেতর পৌঁছে যায়। ফলে বাইরের শব্দও শোনা যায় এবং নির্দেশনাও স্পষ্ট বোঝা যায়।
দ্বিতীয়ত, হাতে পরিধানযোগ্য ‘কৃত্রিম ত্বক’ বা স্কিন ব্যবহার করা হয়, যা বাধা থাকলে তা কবজিতে মৃদু কম্পনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।
ডিভাইসটির কার্যকারিতা যাচাইয়ে গবেষকেরা রোবটিক সিমুলেশনের পাশাপাশি দৃষ্টিহীন ও স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ২০ জন স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাস্তব পরিবেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। মাত্র ২০ মিনিট অনুশীলনের পরই অধিকাংশ ব্যবহারকারী সহজেই ডিভাইসটি চালাতে সক্ষম হন। স্বেচ্ছাসেবকেরা ভার্চুয়াল গোলকধাঁধা পার হওয়ার পাশাপাশি বাস্তব পরিবেশে চলাফেরা করেন এবং বস্তু চেনা ও নিচ থেকে তোলার মতো কাজও করেন। পরীক্ষায় তাঁদের বাধা এড়িয়ে চলার দক্ষতা আগের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। সিস্টেমটি বর্তমানে ২১টি বস্তুকে শনাক্ত করতে সক্ষম, যেমন—বিছানা, চেয়ার, টেবিল, বেসিন, টেলিভিশন ও খাবার।
গবেষণায় উঠে আসে, দৃষ্টি, শ্রবণ ও স্পর্শ—এই তিনটি অনুভূতির সমন্বয় সহায়ক ডিভাইসগুলোকে আরও কার্যকর ও ব্যবহারবান্ধব করে তোলে। এতে করে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আরও স্বাভাবিক ও সহজভাবে ধারণা নিতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
গবেষকেরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি শুধু চলাচল নয়, আরও অনেক সহায়ক খাতে ব্যবহার করা যাবে। ডিভাইসটি উন্নত হলে তা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে আরও স্বাধীন ও আত্মনির্ভর জীবন যাপনে সাহায্য করতে পারে।
তথ্যসূত্র: নোরিডজ ও ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১৭ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১৯ ঘণ্টা আগে