আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই।
এই অদ্ভুত, ভবিষ্যৎমুখী প্রদর্শনীটির নাম ‘রিভাইভিফিকেশন’। এটি একটি অনন্য প্রকল্প যেখানে প্রয়াত আমেরিকান সংগীতজ্ঞ আলভিন লুসিয়েরের কোষ থেকে তৈরি ‘মস্তিষ্ক’ নতুন সুর বা শব্দ সৃষ্টি করছে।
রিভাইভিফিকেশন প্রজেক্টটি অস্ট্রেলিয়ান শিল্পী গাই বেন-আরি, নাথান থম্পসন এবং ম্যাট গিংগোল্ডের সঙ্গে স্নায়ুবিজ্ঞানী স্টুয়ার্ট হজেটসের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি। এই দলটি শুধু রূপক অর্থেই নয়, বাস্তব অর্থেও আলভিন লুসিয়েরকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার চেষ্টা করেছে।
প্রদর্শনীর প্রবেশপথের আগেই প্রয়াত সংগীতশিল্পী আলভিন লুসিয়ের এক বিশাল আলোকচিত্র। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লুসিয়ের ছিলেন ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রো-অ্যাকুস্টিক সংগীতজগতের একজন পথিকৃৎ।
১৯৬৫ সালে তিনি সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন ভিন্নধর্মী এক রচনার মাধ্যমে—‘মিউজিক ফর সোলো পারফরমার’। লুসিয়ের যখন এই পরিবেশনা করেন, তখন তিনি মঞ্চে একেবারে স্থির হয়ে, চোখ বন্ধ করে বসে থাকতেন। তাঁর মাথায় ইলেকট্রোড লাগানো থাকত, যা তাঁর মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংগ্রহ করত।
তখনকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মস্তিষ্কের তরঙ্গকে রূপান্তরিত করা হতো শব্দে, যা পরবর্তীকালে ব্যবহার করা হতো পারকাশন যন্ত্রে (যেমন—ড্রাম) বাজানোর জন্য।
২০২১ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তবে মৃত্যুর আগেই রক্তের কোষ দান করেছিলেন ভবিষ্যতের একটি প্রকল্পের জন্য। সেই কোষ থেকেই তৈরি হয়েছে স্নায়ু কোষের গুচ্ছ—‘অরগানোইড’।
এই কোষগুলো জীবিত। আর তারা বড় হচ্ছে। মস্তিষ্কের মতোই নিউরন কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরও এই কোষগুলোর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে শব্দ।
রিভাইভিকেশন প্রদর্শনীতেই প্রবেশ করলেই গুহার মতো অন্ধকার কক্ষে দেখা মিলবে বিশাল পিতলের ২০টি পাত। প্রত্যেকটির পেছনে এক একটি মোটরচালিত হাতুড়ি, যা অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেয়।
ইলেকট্রোডের সাহায্যে অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেত রেকর্ড করা হয় এবং তা শব্দে রূপান্তরিত করা হয়—যাকে বলে সোনিফিকেশন। এতে একটি প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়।

তত্ত্ব অনুযায়ী, এই অরগানোইড নিজেই যে শব্দ তৈরি করছে, তার কম্পন অনুভব করতে পারে এবং সেই শব্দে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম।
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া শব্দ একদিকে মন্দিরের প্রতিধ্বনিময় সুরের মতো, আবার অন্যদিকে এলোমেলোভাবে শিশুর ড্রাম বাজানোর মতো টুপটাপ শব্দের মিশ্রণ।
প্রদর্শনী কক্ষের কেন্দ্রে বাক্সের ভেতর সিল করে রাখা আছে সেই অরগানোইড। একবারে কেবল একজন দর্শনার্থী সেটিকে দেখতে পারেন একটি আয়তাকার বাক্সের মাধ্যমে। তখন দর্শনার্থীকে একাই মুখোমুখি হতে হয় এক প্রশ্নের: ‘আমি আসলে কী দেখছি?’
কারণ, এটি প্রদর্শনী আমাদের নৈতিকতা, মানবতা ও অস্তিত্ব নিয়ে এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি করে। একদিকে এটি আশাবাদের একটি ছবিও আঁকে—যেখানে একজন মানুষ মৃত্যুর পরও কোনোভাবে টিকে থাকেন, পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখেন, এমনকি নতুন শিল্প সৃষ্টি করাও চালিয়ে যান।
তবে এই ভাবনার মাঝেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উঠে আসে, যদি মৃত্যুর পরও সৃষ্টিশীল জীবন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তবুও কী আমাদের সেটা করা উচিত?
‘রিভাইভিফিকেশন’-এর পেছনে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এটি প্রদর্শনী একই সঙ্গে বিস্ময়, উদ্বেগ এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব অনুভূতি তৈরি করে। এই প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মনে পড়ে যায় ম্যারি শেলির ‘ফ্রাংকেনস্টাইন’-এর কথা। এটি ১৯ শতকের শুরুর দিকের এক বৈজ্ঞানিক উদ্বেগের যুগে লেখা এক সাহিত্যকর্ম।
আজকের সময়টাও যেন সেই যুগেরই পুনরাবৃত্তি। কারণ, এআইয়ের মতো প্রযুক্তিকে ঘিরে বৈজ্ঞানিক সীমালঙ্ঘনের ভয় তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।

তবে এই প্রদর্শনীর মূলেও আছে শ্রদ্ধা নিবেদনের এক আন্তরিক প্রয়াস। চার শিল্পীর মনের মধ্যে গাঁথা এক প্রবীণকে ভালোবাসা এবং তাঁকে বিদায় না জানানোর এক অনিচ্ছা।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনায় শিল্পীরা হাস্যরস আর আন্তরিকতার সঙ্গে জানিয়েছেন, আলভিন লুসিয়েরের কোষভিত্তিক প্রতিটি পেট্রি ডিশের সঙ্গে কীভাবে তাঁদের একেকজনের আলাদা আলাদা মানবিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
এক শিল্পী বলেন, ‘ডিশ ৮-এর প্রতি আমার ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি হয়েছিল। যখন জানলাম সেটি মারা যাচ্ছে, চোখের সামনে সেগুলোর স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল—সেটি আমাদের জন্য আবেগঘন রাত হয়ে উঠেছিল।’
লুসিয়েরের কন্যা আমান্ডা বলেছিলেন, ‘বাবা এমন প্রকল্পে রাজি হয়েই ছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে সুর তৈরির ব্যবস্থা করে যাওয়া—এটাই তো বাবার স্টাইল।’
এই যুগে, যেখানে প্রযুক্তির স্পর্শে মানুষ ধীরে ধীরে যেন নিজের ছায়ায় পরিণত হচ্ছে, রিভাইভিফিকেশন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একজন মানুষের সৃষ্টিশীলতাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। আর সেই জীবন শুধু কোষে নয়, ভালোবাসায়ও বাঁচে।
রিভাইভিফিকেশন প্রদর্শনীতে চলবে এজিডব্লিউএতে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ

পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই।
এই অদ্ভুত, ভবিষ্যৎমুখী প্রদর্শনীটির নাম ‘রিভাইভিফিকেশন’। এটি একটি অনন্য প্রকল্প যেখানে প্রয়াত আমেরিকান সংগীতজ্ঞ আলভিন লুসিয়েরের কোষ থেকে তৈরি ‘মস্তিষ্ক’ নতুন সুর বা শব্দ সৃষ্টি করছে।
রিভাইভিফিকেশন প্রজেক্টটি অস্ট্রেলিয়ান শিল্পী গাই বেন-আরি, নাথান থম্পসন এবং ম্যাট গিংগোল্ডের সঙ্গে স্নায়ুবিজ্ঞানী স্টুয়ার্ট হজেটসের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি। এই দলটি শুধু রূপক অর্থেই নয়, বাস্তব অর্থেও আলভিন লুসিয়েরকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার চেষ্টা করেছে।
প্রদর্শনীর প্রবেশপথের আগেই প্রয়াত সংগীতশিল্পী আলভিন লুসিয়ের এক বিশাল আলোকচিত্র। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লুসিয়ের ছিলেন ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রো-অ্যাকুস্টিক সংগীতজগতের একজন পথিকৃৎ।
১৯৬৫ সালে তিনি সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন ভিন্নধর্মী এক রচনার মাধ্যমে—‘মিউজিক ফর সোলো পারফরমার’। লুসিয়ের যখন এই পরিবেশনা করেন, তখন তিনি মঞ্চে একেবারে স্থির হয়ে, চোখ বন্ধ করে বসে থাকতেন। তাঁর মাথায় ইলেকট্রোড লাগানো থাকত, যা তাঁর মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংগ্রহ করত।
তখনকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মস্তিষ্কের তরঙ্গকে রূপান্তরিত করা হতো শব্দে, যা পরবর্তীকালে ব্যবহার করা হতো পারকাশন যন্ত্রে (যেমন—ড্রাম) বাজানোর জন্য।
২০২১ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তবে মৃত্যুর আগেই রক্তের কোষ দান করেছিলেন ভবিষ্যতের একটি প্রকল্পের জন্য। সেই কোষ থেকেই তৈরি হয়েছে স্নায়ু কোষের গুচ্ছ—‘অরগানোইড’।
এই কোষগুলো জীবিত। আর তারা বড় হচ্ছে। মস্তিষ্কের মতোই নিউরন কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরও এই কোষগুলোর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে শব্দ।
রিভাইভিকেশন প্রদর্শনীতেই প্রবেশ করলেই গুহার মতো অন্ধকার কক্ষে দেখা মিলবে বিশাল পিতলের ২০টি পাত। প্রত্যেকটির পেছনে এক একটি মোটরচালিত হাতুড়ি, যা অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দেয়।
ইলেকট্রোডের সাহায্যে অরগানোইডের বৈদ্যুতিক সংকেত রেকর্ড করা হয় এবং তা শব্দে রূপান্তরিত করা হয়—যাকে বলে সোনিফিকেশন। এতে একটি প্রতিক্রিয়া চক্র তৈরি হয়।

তত্ত্ব অনুযায়ী, এই অরগানোইড নিজেই যে শব্দ তৈরি করছে, তার কম্পন অনুভব করতে পারে এবং সেই শব্দে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম।
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া শব্দ একদিকে মন্দিরের প্রতিধ্বনিময় সুরের মতো, আবার অন্যদিকে এলোমেলোভাবে শিশুর ড্রাম বাজানোর মতো টুপটাপ শব্দের মিশ্রণ।
প্রদর্শনী কক্ষের কেন্দ্রে বাক্সের ভেতর সিল করে রাখা আছে সেই অরগানোইড। একবারে কেবল একজন দর্শনার্থী সেটিকে দেখতে পারেন একটি আয়তাকার বাক্সের মাধ্যমে। তখন দর্শনার্থীকে একাই মুখোমুখি হতে হয় এক প্রশ্নের: ‘আমি আসলে কী দেখছি?’
কারণ, এটি প্রদর্শনী আমাদের নৈতিকতা, মানবতা ও অস্তিত্ব নিয়ে এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি করে। একদিকে এটি আশাবাদের একটি ছবিও আঁকে—যেখানে একজন মানুষ মৃত্যুর পরও কোনোভাবে টিকে থাকেন, পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখেন, এমনকি নতুন শিল্প সৃষ্টি করাও চালিয়ে যান।
তবে এই ভাবনার মাঝেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উঠে আসে, যদি মৃত্যুর পরও সৃষ্টিশীল জীবন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তবুও কী আমাদের সেটা করা উচিত?
‘রিভাইভিফিকেশন’-এর পেছনে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এটি প্রদর্শনী একই সঙ্গে বিস্ময়, উদ্বেগ এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব অনুভূতি তৈরি করে। এই প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই মনে পড়ে যায় ম্যারি শেলির ‘ফ্রাংকেনস্টাইন’-এর কথা। এটি ১৯ শতকের শুরুর দিকের এক বৈজ্ঞানিক উদ্বেগের যুগে লেখা এক সাহিত্যকর্ম।
আজকের সময়টাও যেন সেই যুগেরই পুনরাবৃত্তি। কারণ, এআইয়ের মতো প্রযুক্তিকে ঘিরে বৈজ্ঞানিক সীমালঙ্ঘনের ভয় তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।

তবে এই প্রদর্শনীর মূলেও আছে শ্রদ্ধা নিবেদনের এক আন্তরিক প্রয়াস। চার শিল্পীর মনের মধ্যে গাঁথা এক প্রবীণকে ভালোবাসা এবং তাঁকে বিদায় না জানানোর এক অনিচ্ছা।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনায় শিল্পীরা হাস্যরস আর আন্তরিকতার সঙ্গে জানিয়েছেন, আলভিন লুসিয়েরের কোষভিত্তিক প্রতিটি পেট্রি ডিশের সঙ্গে কীভাবে তাঁদের একেকজনের আলাদা আলাদা মানবিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
এক শিল্পী বলেন, ‘ডিশ ৮-এর প্রতি আমার ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি হয়েছিল। যখন জানলাম সেটি মারা যাচ্ছে, চোখের সামনে সেগুলোর স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল—সেটি আমাদের জন্য আবেগঘন রাত হয়ে উঠেছিল।’
লুসিয়েরের কন্যা আমান্ডা বলেছিলেন, ‘বাবা এমন প্রকল্পে রাজি হয়েই ছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে সুর তৈরির ব্যবস্থা করে যাওয়া—এটাই তো বাবার স্টাইল।’
এই যুগে, যেখানে প্রযুক্তির স্পর্শে মানুষ ধীরে ধীরে যেন নিজের ছায়ায় পরিণত হচ্ছে, রিভাইভিফিকেশন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একজন মানুষের সৃষ্টিশীলতাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। আর সেই জীবন শুধু কোষে নয়, ভালোবাসায়ও বাঁচে।
রিভাইভিফিকেশন প্রদর্শনীতে চলবে এজিডব্লিউএতে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ

মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
৩৭ মিনিট আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১৮ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়। তাই সারা রাত ধরে শতভাগ চার্জ দেওয়া হয়। বিষয়টি ফোনসেটের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।
আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, ব্যাটারির স্বাভাবিক বয়স বেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোনসেটে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলোর ভেতরে থাকে দুটি স্তর—একটি গ্রাফাইট, আরেকটি লিথিয়াম-কোবাল্ট অক্সাইড। এই দুই স্তরের মাঝামাঝি থাকে একটি তরল ইলেকট্রোলাইট।
সমস্যার মূল কারণ হলো, ইলেকট্রোলাইট ক্রিস্টালাইজেশন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট সলিউশনে থাকা লবণ জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। সেগুলো আয়নের পথ আটকে দেয়। আয়ন চলতে না পারলে ইলেকট্রন তৈরি হয় কম। তাতে ব্যাটারি আগের মতো শক্তি দিতে পারে না।
সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয় না। তবে কিছুটা হলেও এই প্রক্রিয়া ধীর করা যায় কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে—
ধীরে ধীরে, প্রতিটি চার্জ সাইকেলের সঙ্গে একটু একটু করে শক্তি হারায়।
সূত্র: পিসিম্যাগ

মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়। তাই সারা রাত ধরে শতভাগ চার্জ দেওয়া হয়। বিষয়টি ফোনসেটের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।
আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, ব্যাটারির স্বাভাবিক বয়স বেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোনসেটে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলোর ভেতরে থাকে দুটি স্তর—একটি গ্রাফাইট, আরেকটি লিথিয়াম-কোবাল্ট অক্সাইড। এই দুই স্তরের মাঝামাঝি থাকে একটি তরল ইলেকট্রোলাইট।
সমস্যার মূল কারণ হলো, ইলেকট্রোলাইট ক্রিস্টালাইজেশন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট সলিউশনে থাকা লবণ জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। সেগুলো আয়নের পথ আটকে দেয়। আয়ন চলতে না পারলে ইলেকট্রন তৈরি হয় কম। তাতে ব্যাটারি আগের মতো শক্তি দিতে পারে না।
সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয় না। তবে কিছুটা হলেও এই প্রক্রিয়া ধীর করা যায় কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে—
ধীরে ধীরে, প্রতিটি চার্জ সাইকেলের সঙ্গে একটু একটু করে শক্তি হারায়।
সূত্র: পিসিম্যাগ

পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই...
১২ মে ২০২৫
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১৮ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
‘হিউমেইন’ হলো সৌদি আরবের এআই শক্তিতে ক্ষমতাধর হওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্র। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ডেটা সেন্টার, ক্লাউড অবকাঠামো, লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ও অ্যাপ্লিকেশনের পরিপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম তৈরি করছে দেশটি। আর এ প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের মালিকানাধীন।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের আগে হিউমেইনের উদ্বোধন করেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সপ্তাহে একই শহরে আয়োজিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) সম্মেলনে প্রকল্পটির পরিসর, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বিশাল আর্থিক সক্ষমতা আরও স্পষ্টভাবে সামনে আসে।
হিউমেইনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) তারেক আমিন জানান, তাঁর লক্ষ্য সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এআই বাজারে পরিণত করা। শিল্পে নবাগত হয়েও তিনি বিশ্বাস করেন, সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক শক্তি হলো এর প্রচুর ও স্বল্পমূল্যের জ্বালানি সম্পদ, যা আধুনিক কম্পিউটিং শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
তিনি সিএনএন–এর বেকি অ্যান্ডারসনকে বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের বড় সুবিধা হলো এর শক্তিশালী বিদ্যুৎ অবকাঠামো। হিউমেইনকে আলাদা করে সাবস্টেশন বা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে না। এর মানে, ‘১৮ মাসে বছর’ হওয়ার সমস্যায় পড়তে হবে না। ”
২০৩৪ সালের মধ্যে সৌদি আরবজুড়ে ছয় গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে হিউমেইন। এ প্রকল্পে তাদের অংশীদার হিসেবে রয়েছে এনভিডিয়া, এএমডি, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, কোয়ালকম ও সিসকোর মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত মঙ্গলবার হিউমেইন ঘোষণা দিয়েছে, তারা সৌদি আরবে নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য প্রাইভেট ইকুইটি জায়ান্ট ব্ল্যাকস্টোন-এর সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে।
একই দিনে তারা এআইচালিত অপারেটিং সিস্টেম ‘হিউমেইন ওয়ান’ (Humain One) উন্মোচন করেছে। এই অপারেটিং সিস্টেমে প্রচলিত সিস্টেম উইন্ডোজ বা আইওএসের মতো মাউস ক্লিক বা আইকন ব্যবহারের বদলে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারকে ভয়েস বা টেক্সটের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে পারবেন।
এরইমধ্যে হিউমেইন মানবসম্পদ (এইচআর), অর্থ, আইন, পরিচালন ও আইটি বিভাগে ব্যাপকভাবে এই এআই সিস্টেমটি ব্যবহার করছে। সিইও তারেক আমিন জানান, এখন তাঁর পে–রোল (বেতন ব্যবস্থাপনা) বিভাগে মাত্র একজন কর্মী আছেন, বাকি সব কাজই পরিচালনা করছে এআই এজেন্টরা।
‘ভিশন ২০৩০’ অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করছে সৌদি আরব। তবে দেশটি বর্তমানে তেলের দামের পতন এবং নিওম–এর মতো বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পের বিলম্বের কারণে নতুন চাপে পড়েছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এআইকে কেন্দ্র করে দেশের এই নতুন উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে কাছের প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর এআই প্রতিষ্ঠান ‘জি ৪২’ (G 42)-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে সৌদি আরবকে। সম্প্রতি ‘স্টারগেট ইউএই’ (Stargate UAE) নামে ৫০০ বিলিয়নের এক বিশাল ডেটা সেন্টার প্রকল্প নির্মাণে ইউএই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার হিসেবে বিবেচিত হবে। এ প্রকল্পে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত রয়েছে ওপেনএআই, ওরাকল, এনভিডিয়া ও সিসকো।
এ প্রসঙ্গে আমিন জানান, তিনি এআইকে গণতান্ত্রিককরণের পক্ষে, একই সঙ্গে হিউমেইনের দৃঢ় পরিচালন ক্ষমতাকেও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য ভালো যে জ্ঞান তা এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত না হয়ে ছড়িয়ে থাকাই উচিত। তাই ইউএইতে যা হচ্ছে, তা ভালো। সৌদি আরবে যা হচ্ছে, তাও খুব ভালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন... হিউমেইন একটি হোল্ডিং কোম্পানি নয়। আমরা একটি অপারেটিং কোম্পানি।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
‘হিউমেইন’ হলো সৌদি আরবের এআই শক্তিতে ক্ষমতাধর হওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্র। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ডেটা সেন্টার, ক্লাউড অবকাঠামো, লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ও অ্যাপ্লিকেশনের পরিপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম তৈরি করছে দেশটি। আর এ প্রতিষ্ঠানটি সৌদি আরবের প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের মালিকানাধীন।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের আগে হিউমেইনের উদ্বোধন করেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সপ্তাহে একই শহরে আয়োজিত ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) সম্মেলনে প্রকল্পটির পরিসর, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বিশাল আর্থিক সক্ষমতা আরও স্পষ্টভাবে সামনে আসে।
হিউমেইনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) তারেক আমিন জানান, তাঁর লক্ষ্য সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এআই বাজারে পরিণত করা। শিল্পে নবাগত হয়েও তিনি বিশ্বাস করেন, সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক শক্তি হলো এর প্রচুর ও স্বল্পমূল্যের জ্বালানি সম্পদ, যা আধুনিক কম্পিউটিং শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
তিনি সিএনএন–এর বেকি অ্যান্ডারসনকে বলেন, “সৌদি আরবে আমাদের বড় সুবিধা হলো এর শক্তিশালী বিদ্যুৎ অবকাঠামো। হিউমেইনকে আলাদা করে সাবস্টেশন বা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে না। এর মানে, ‘১৮ মাসে বছর’ হওয়ার সমস্যায় পড়তে হবে না। ”
২০৩৪ সালের মধ্যে সৌদি আরবজুড়ে ছয় গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে হিউমেইন। এ প্রকল্পে তাদের অংশীদার হিসেবে রয়েছে এনভিডিয়া, এএমডি, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, কোয়ালকম ও সিসকোর মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত মঙ্গলবার হিউমেইন ঘোষণা দিয়েছে, তারা সৌদি আরবে নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য প্রাইভেট ইকুইটি জায়ান্ট ব্ল্যাকস্টোন-এর সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে।
একই দিনে তারা এআইচালিত অপারেটিং সিস্টেম ‘হিউমেইন ওয়ান’ (Humain One) উন্মোচন করেছে। এই অপারেটিং সিস্টেমে প্রচলিত সিস্টেম উইন্ডোজ বা আইওএসের মতো মাউস ক্লিক বা আইকন ব্যবহারের বদলে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারকে ভয়েস বা টেক্সটের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে পারবেন।
এরইমধ্যে হিউমেইন মানবসম্পদ (এইচআর), অর্থ, আইন, পরিচালন ও আইটি বিভাগে ব্যাপকভাবে এই এআই সিস্টেমটি ব্যবহার করছে। সিইও তারেক আমিন জানান, এখন তাঁর পে–রোল (বেতন ব্যবস্থাপনা) বিভাগে মাত্র একজন কর্মী আছেন, বাকি সব কাজই পরিচালনা করছে এআই এজেন্টরা।
‘ভিশন ২০৩০’ অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করছে সৌদি আরব। তবে দেশটি বর্তমানে তেলের দামের পতন এবং নিওম–এর মতো বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পের বিলম্বের কারণে নতুন চাপে পড়েছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এআইকে কেন্দ্র করে দেশের এই নতুন উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে কাছের প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর এআই প্রতিষ্ঠান ‘জি ৪২’ (G 42)-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে সৌদি আরবকে। সম্প্রতি ‘স্টারগেট ইউএই’ (Stargate UAE) নামে ৫০০ বিলিয়নের এক বিশাল ডেটা সেন্টার প্রকল্প নির্মাণে ইউএই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সবচেয়ে বড় ডেটা সেন্টার হিসেবে বিবেচিত হবে। এ প্রকল্পে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত রয়েছে ওপেনএআই, ওরাকল, এনভিডিয়া ও সিসকো।
এ প্রসঙ্গে আমিন জানান, তিনি এআইকে গণতান্ত্রিককরণের পক্ষে, একই সঙ্গে হিউমেইনের দৃঢ় পরিচালন ক্ষমতাকেও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য ভালো যে জ্ঞান তা এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত না হয়ে ছড়িয়ে থাকাই উচিত। তাই ইউএইতে যা হচ্ছে, তা ভালো। সৌদি আরবে যা হচ্ছে, তাও খুব ভালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা সম্পূর্ণ ভিন্ন... হিউমেইন একটি হোল্ডিং কোম্পানি নয়। আমরা একটি অপারেটিং কোম্পানি।’

পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই...
১২ মে ২০২৫
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
৩৭ মিনিট আগে
টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১৮ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল হাকিম এ কথা জানান।
আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন ও পুরোনো নীতিমালার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে ইন্টারনেটের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর নতুন করে রেভিনিউ শেয়ারিং, উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপ সরাসরি ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম বাড়াবে। এটি শুধু সাধারণ মানুষের পক্ষেই ক্ষতিকর নয়, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ডিজিটাল লাইফস্টাইল এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করবে।’
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অর্থাৎ এফটিএসপি (ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার) অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বর্তমানে গ্রাহক ২০ এমবিপিএসের যেই প্যাকেজ ৭০০ টাকায় ব্যবহার করছেন, সেটার মূল্য সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হয়ে যাবে।
গাইডলাইন সংস্কার করে এই খরচগুলো কমানোর ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান আইএসপিএবির সভাপতি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমি দেশের প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। আমাদের দোষারোপ করবেন না। আমরা আপনাদেরই সেবা দিচ্ছি। এই দাবি বা প্রতিবাদ আপনাদের জন্য, আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবির পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলা হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালার আড়ালে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।
আইএসপিএবি মনে করে, অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধি এবং মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড কানেক্টিভিটির সুযোগ দেওয়া দেশীয় বিনিয়োগকে চরম অনিশ্চয়তারমুখে ফেলবে। নতুন খসড়া গাইডলাইনটির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।
আইএসপিএবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এবং এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
সরকারের নীতিমালার কারণে গ্রামের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে বলে জানান আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘তিন মাস পরে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের পক্ষে এই অস্থিরতা সামাল দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে ডিজিটাল শাটডাউনের শঙ্কা রয়েছে।’
এ অবস্থায় ইন্টারনেট খাতে এখনই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দাবি করেন আইএসপিএবি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দিন। আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলকেও আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি, দয়া করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন। জনগণের পাশে দাঁড়ান, এই সেবাখাতকে এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখুন। তাই, ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মনে রাখবেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা সচেতনভাবে, যথাযথ পথে নিজেদের দাবির পক্ষে এগিয়ে আসবে।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বৈষম্য দূর করার স্লোগান দিয়ে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল। অথচ তাদের কার্যক্রমে আমরা এর প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের স্বার্থের চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থ বেশি দেখা হচ্ছে। একইভাবে স্টারলিংককে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডারদের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা একুইজিশন ফি দিতে হয় ৷ সেখানে স্টারলিংককে একুইজিশন ফি দিতে হয় মাত্র ১২ লাখ টাকা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে আড়াই গুণ এবং বার্ষিক ফি সাড়ে তিন গুণ বাড়বে। এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য মেট্রোপলিটন শহরে অন্তত ১১ শতাংশ এবং বাইরে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বাড়বে। টেলিকম খাতের মতো এই খাতেও ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং ১ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে জমা এবং টেলিকম কোম্পানিকে এফডব্লিউ ও হটস্পট সুবিধা দেওয়ায় এইখাতের ২৭০০ দেশীয় উদ্যোক্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন আইএসপিএবির নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘গাইডলাইনে জনআকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন আইএসপিএবির সহসভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব–১ মাহবুব আলম, যুগ্ম মহাসচিব–২ ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ।
আরও খবর পড়ুন:

টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আমিনুল হাকিম এ কথা জানান।
আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন ও পুরোনো নীতিমালার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে ইন্টারনেটের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর নতুন করে রেভিনিউ শেয়ারিং, উচ্চ লাইসেন্স ফি আরোপ সরাসরি ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম বাড়াবে। এটি শুধু সাধারণ মানুষের পক্ষেই ক্ষতিকর নয়, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ডিজিটাল লাইফস্টাইল এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করবে।’
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অর্থাৎ এফটিএসপি (ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার) অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বর্তমানে গ্রাহক ২০ এমবিপিএসের যেই প্যাকেজ ৭০০ টাকায় ব্যবহার করছেন, সেটার মূল্য সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হয়ে যাবে।
গাইডলাইন সংস্কার করে এই খরচগুলো কমানোর ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান আইএসপিএবির সভাপতি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমি দেশের প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। আমাদের দোষারোপ করবেন না। আমরা আপনাদেরই সেবা দিচ্ছি। এই দাবি বা প্রতিবাদ আপনাদের জন্য, আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবির পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলা হয়।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালার আড়ালে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস (এফডব্লিউএ) এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।
আইএসপিএবি মনে করে, অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধি এবং মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড কানেক্টিভিটির সুযোগ দেওয়া দেশীয় বিনিয়োগকে চরম অনিশ্চয়তারমুখে ফেলবে। নতুন খসড়া গাইডলাইনটির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।
আইএসপিএবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এবং এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
সরকারের নীতিমালার কারণে গ্রামের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে বলে জানান আমিনুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘তিন মাস পরে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের পক্ষে এই অস্থিরতা সামাল দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে ডিজিটাল শাটডাউনের শঙ্কা রয়েছে।’
এ অবস্থায় ইন্টারনেট খাতে এখনই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দাবি করেন আইএসপিএবি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব তাদের হাতে ছেড়ে দিন। আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলকেও আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি, দয়া করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন। জনগণের পাশে দাঁড়ান, এই সেবাখাতকে এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখুন। তাই, ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে আমরা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মনে রাখবেন, এই প্রজন্ম চুপ করে থাকবে না। তারা সচেতনভাবে, যথাযথ পথে নিজেদের দাবির পক্ষে এগিয়ে আসবে।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বৈষম্য দূর করার স্লোগান দিয়ে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল। অথচ তাদের কার্যক্রমে আমরা এর প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। মোবাইল অপারেটরদের প্রচুর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের স্বার্থের চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থ বেশি দেখা হচ্ছে। একইভাবে স্টারলিংককে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডারদের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা একুইজিশন ফি দিতে হয় ৷ সেখানে স্টারলিংককে একুইজিশন ফি দিতে হয় মাত্র ১২ লাখ টাকা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে আড়াই গুণ এবং বার্ষিক ফি সাড়ে তিন গুণ বাড়বে। এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ফিক্সড ইন্টারনেটের মূল্য মেট্রোপলিটন শহরে অন্তত ১১ শতাংশ এবং বাইরে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বাড়বে। টেলিকম খাতের মতো এই খাতেও ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং ১ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে জমা এবং টেলিকম কোম্পানিকে এফডব্লিউ ও হটস্পট সুবিধা দেওয়ায় এইখাতের ২৭০০ দেশীয় উদ্যোক্তা ঝুঁকিতে পড়বে।
সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন আইএসপিএবির নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘গাইডলাইনে জনআকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন আইএসপিএবির সহসভাপতি নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব–১ মাহবুব আলম, যুগ্ম মহাসচিব–২ ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ।
আরও খবর পড়ুন:

পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই...
১২ মে ২০২৫
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
৩৭ মিনিট আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবর মাসে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এখনো শীর্ষে রয়েছেন। ২০২৫ সালের নভেম্বরের শুরুতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা অক্টোবরের তুলনায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। যদিও অক্টোবরে তিনি দুবার ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছিলেন, মাস শেষে কিছুটা কমে তা ৪৯৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবরে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। কোম্পানির তৃতীয় ত্রৈমাসিক আয়ে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় শেয়ারমূল্য কমে গেছে ১২ শতাংশ। ফলে তাঁর সম্পদ ২৯ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ২২৩ বিলিয়ন ডলারে। এতে তিনি ধনী তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে নেমে পঞ্চম স্থানে চলে গেছেন।
অন্যদিকে অ্যামাজনের জেফ বেজোসের ভাগ্য খুলেছে। অক্টোবরে অ্যামাজনের শেয়ার বেড়েছে ১১ শতাংশ, ফলে বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদ ২৫৪ বিলিয়ন ডলার এবং তিনি এখন তৃতীয় ধনী ব্যক্তি।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন। অ্যালফাবেটের শেয়ারমূল্য ১৬ শতাংশ বাড়ায় তাঁদের সম্পদ যথাক্রমে ৩০ ও ২৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২ ও ২১৫ বিলিয়ন ডলারে। এতে পেজ উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে আর ব্রিন রয়েছেন ষষ্ঠ অবস্থানে।
ডেল টেকনোলজিস ও ব্রডকমের শেয়ার বাড়ায় মাইকেল ডেলের সম্পদ ১৪ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা তাঁকে ১১ থেকে ১০ নম্বরে তুলে এনেছে। এদিকে কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ কমে ১৪৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং তিনি দীর্ঘ সময় পর প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশের বাইরে চলে গেছেন।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিলে বিশ্বে ৩ হাজার ২৮ জন বিলিয়নিয়ার ছিলেন। নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মোট সম্পদ ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী (১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত)
১. ইলন মাস্ক—৪৯৭ বিলিয়ন ডলার
২. ল্যারি এলিসন—৩২০ বিলিয়ন ডলার
৩. জেফ বেজোস—২৫৪ বিলিয়ন ডলার
৪. ল্যারি পেজ—২৩২ বিলিয়ন ডলার
৫. মার্ক জাকারবার্গ—২২৩ বিলিয়ন ডলার
৬. সের্গেই ব্রিন—২১৫ বিলিয়ন ডলার
৭. বার্নার্ড আর্নল্ট—১৮৩ বিলিয়ন ডলার
৮. জেনসেন হুয়াং—১৭৬ বিলিয়ন ডলার
৯. স্টিভ বালমার—১৫৬ বিলিয়ন ডলার
১০. মাইকেল ডেল—১৫৫ বিলিয়ন ডলার
অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক ইলন মাস্ক
৫৪ বছর বয়সী মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনি টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের চেয়ারম্যান ও সিটিও। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্ক ১৮ বছর বয়সে কানাডায় যান। পরে যুক্তরাষ্ট্রে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। ২০০২ সালে তিনি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরের বছর টেসলায় বিনিয়োগ করেন। ২০১০ সালে টেসলা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বর্তমানে মাস্কের মালিকানাধীন এক্সএআই সংস্থার মূল্য ৮০ বিলিয়ন ডলার আর স্পেসএক্সের মূল্য ৪০০ বিলিয়ন ডলার।
এআই অবকাঠামোয় বড় বিনিয়োগ করছেন ল্যারি এলিসন
ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার। তিনি জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘স্টারগেট প্রজেক্ট’-এ যুক্ত হন, যেখানে ওরাকল, ওপেনএআই, সফটব্যাংক এবং ইউএইর এমজিএক্স ফান্ড মিলে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
এলিসন ১৯৭৭ সালে ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১৪ পর্যন্ত কোম্পানির সিইও ছিলেন। তিনি হাওয়াইয়ের লানাই দ্বীপের ৯৮ শতাংশের মালিক।
অ্যামাজন ও ব্লু অরিজিনের কর্তা জেফ বেজোস
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ এখন ২৫৪ বিলিয়ন ডলার। তিনি ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন, যা শুরু হয় অনলাইন বই বিক্রির মাধ্যমে। পরে ক্লাউড সেবা ও ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে প্রসারিত হয় ব্যবসা।
তিনি এখন ব্লু অরিজিন নামের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা পরিচালনা করছেন এবং এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নারী নেতৃত্বাধীন এক মহাকাশ মিশন সম্পন্ন করেছেন।
অন্যদের মধ্যে ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা। তাঁরা এখনো অ্যালফাবেটের নিয়ন্ত্রণে আছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নতুন উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন।
বার্নার্ড আর্নল্ট, ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের প্রধান, ১৮৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে সপ্তম স্থানে। জেনসেন হুয়াং, এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ উৎপাদনে সাফল্যের কারণে তাঁর সম্পদ বেড়ে ১৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্টিভ বালমার, মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও ও এলএ ক্লিপার্সের মালিক, নবম স্থানে রয়েছেন। মাইকেল ডেল, ডেল টেকনোলজিসের কর্তা, দশম স্থানে উঠে এসেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী
২০২৫ সালের নভেম্বর অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হলেন ওয়ালমার্ট প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের কন্যা অ্যালিস ওয়ালটন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন ডলার। তিনি বর্তমানে বিশ্বের ১৫তম ধনী ব্যক্তি।

বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এখনো শীর্ষে রয়েছেন। ২০২৫ সালের নভেম্বরের শুরুতে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা অক্টোবরের তুলনায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। যদিও অক্টোবরে তিনি দুবার ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছিলেন, মাস শেষে কিছুটা কমে তা ৪৯৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, মাস্ক এখন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের চেয়ে ১৭৭ বিলিয়ন ডলার এগিয়ে। অক্টোবরে টেসলার শেয়ার বেড়েছে ৩ শতাংশ, কিন্তু এলিসনের ওরাকলের শেয়ার কমেছে ৭ শতাংশ, ফলে তাঁর সম্পদ কমেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। কোম্পানির তৃতীয় ত্রৈমাসিক আয়ে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় শেয়ারমূল্য কমে গেছে ১২ শতাংশ। ফলে তাঁর সম্পদ ২৯ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ২২৩ বিলিয়ন ডলারে। এতে তিনি ধনী তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে নেমে পঞ্চম স্থানে চলে গেছেন।
অন্যদিকে অ্যামাজনের জেফ বেজোসের ভাগ্য খুলেছে। অক্টোবরে অ্যামাজনের শেয়ার বেড়েছে ১১ শতাংশ, ফলে বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদ ২৫৪ বিলিয়ন ডলার এবং তিনি এখন তৃতীয় ধনী ব্যক্তি।
অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন। অ্যালফাবেটের শেয়ারমূল্য ১৬ শতাংশ বাড়ায় তাঁদের সম্পদ যথাক্রমে ৩০ ও ২৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২ ও ২১৫ বিলিয়ন ডলারে। এতে পেজ উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে আর ব্রিন রয়েছেন ষষ্ঠ অবস্থানে।
ডেল টেকনোলজিস ও ব্রডকমের শেয়ার বাড়ায় মাইকেল ডেলের সম্পদ ১৪ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। বর্তমানে তাঁর সম্পদ ১৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা তাঁকে ১১ থেকে ১০ নম্বরে তুলে এনেছে। এদিকে কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ কমে ১৪৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং তিনি দীর্ঘ সময় পর প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশের বাইরে চলে গেছেন।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিলে বিশ্বে ৩ হাজার ২৮ জন বিলিয়নিয়ার ছিলেন। নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মোট সম্পদ ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী (১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত)
১. ইলন মাস্ক—৪৯৭ বিলিয়ন ডলার
২. ল্যারি এলিসন—৩২০ বিলিয়ন ডলার
৩. জেফ বেজোস—২৫৪ বিলিয়ন ডলার
৪. ল্যারি পেজ—২৩২ বিলিয়ন ডলার
৫. মার্ক জাকারবার্গ—২২৩ বিলিয়ন ডলার
৬. সের্গেই ব্রিন—২১৫ বিলিয়ন ডলার
৭. বার্নার্ড আর্নল্ট—১৮৩ বিলিয়ন ডলার
৮. জেনসেন হুয়াং—১৭৬ বিলিয়ন ডলার
৯. স্টিভ বালমার—১৫৬ বিলিয়ন ডলার
১০. মাইকেল ডেল—১৫৫ বিলিয়ন ডলার
অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক ইলন মাস্ক
৫৪ বছর বয়সী মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তিনি টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের চেয়ারম্যান ও সিটিও। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্ক ১৮ বছর বয়সে কানাডায় যান। পরে যুক্তরাষ্ট্রে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন। ২০০২ সালে তিনি স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরের বছর টেসলায় বিনিয়োগ করেন। ২০১০ সালে টেসলা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বর্তমানে মাস্কের মালিকানাধীন এক্সএআই সংস্থার মূল্য ৮০ বিলিয়ন ডলার আর স্পেসএক্সের মূল্য ৪০০ বিলিয়ন ডলার।
এআই অবকাঠামোয় বড় বিনিয়োগ করছেন ল্যারি এলিসন
ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৩২০ বিলিয়ন ডলার। তিনি জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘স্টারগেট প্রজেক্ট’-এ যুক্ত হন, যেখানে ওরাকল, ওপেনএআই, সফটব্যাংক এবং ইউএইর এমজিএক্স ফান্ড মিলে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
এলিসন ১৯৭৭ সালে ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১৪ পর্যন্ত কোম্পানির সিইও ছিলেন। তিনি হাওয়াইয়ের লানাই দ্বীপের ৯৮ শতাংশের মালিক।
অ্যামাজন ও ব্লু অরিজিনের কর্তা জেফ বেজোস
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ এখন ২৫৪ বিলিয়ন ডলার। তিনি ১৯৯৪ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন, যা শুরু হয় অনলাইন বই বিক্রির মাধ্যমে। পরে ক্লাউড সেবা ও ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে প্রসারিত হয় ব্যবসা।
তিনি এখন ব্লু অরিজিন নামের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা পরিচালনা করছেন এবং এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নারী নেতৃত্বাধীন এক মহাকাশ মিশন সম্পন্ন করেছেন।
অন্যদের মধ্যে ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা। তাঁরা এখনো অ্যালফাবেটের নিয়ন্ত্রণে আছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নতুন উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন।
বার্নার্ড আর্নল্ট, ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের প্রধান, ১৮৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে সপ্তম স্থানে। জেনসেন হুয়াং, এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ উৎপাদনে সাফল্যের কারণে তাঁর সম্পদ বেড়ে ১৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্টিভ বালমার, মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও ও এলএ ক্লিপার্সের মালিক, নবম স্থানে রয়েছেন। মাইকেল ডেল, ডেল টেকনোলজিসের কর্তা, দশম স্থানে উঠে এসেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী
২০২৫ সালের নভেম্বর অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হলেন ওয়ালমার্ট প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়ালটনের কন্যা অ্যালিস ওয়ালটন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন ডলার। তিনি বর্তমানে বিশ্বের ১৫তম ধনী ব্যক্তি।

পার্থ শহরের আর্ট গ্যালারি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে (এজিডব্লিউএ) অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে জড়ো হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে তাঁরা এসেছেন এমন এক সংগীতশিল্পীর পরিবেশনা দেখতে, যিনি আর জীবিত নেই...
১২ মে ২০২৫
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
৩৭ মিনিট আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পাওয়ারহাউস হতে বিশাল বাজি ধরেছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তেলবাণিজ্যে নির্ভরশীল দেশটি এখন নজর দিয়েছে প্রযুক্তির দিকে। এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দেশটি। ‘হিউমেইন’-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বেশ বড় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দেশটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
টেলিকম খাতের খসড়া গাইডলাইনে যেসব ফি ও চার্জ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
১৮ ঘণ্টা আগে