আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে ‘স্টাডি মোড’ নামের নতুন ফিচার চালু করেছে ওপেনএআই। এই ফিচার একজন বাস্তব শিক্ষকের মতো শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বিশ্লেষণ ও চিন্তাশক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। স্টাডি মোড চালু থাকলে চ্যাটজিপিটি সরাসরি উত্তর দেওয়ার বদলে ব্যবহারকারীকে ধাপে ধাপে প্রশ্ন করে বিষয়টি বুঝিয়ে দেবে। শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয় বোঝার আগ্রহ না দেখালে অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি উত্তর দিতেও অস্বীকৃতি জানাবে।
চ্যাটজিপিটির ফ্রি, প্লাস, প্রো ও টিম প্ল্যান ব্যবহারকারীদের জন্য গত মঙ্গলবারে স্টাডি মোড চালু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চ্যাটজিপিটির ‘এডু’ গ্রাহকদের জন্যও ফিচারটি উন্মুক্ত করবে। এই গ্রাহকগোষ্ঠীতে রয়েছেন মূলত সেই সব শিক্ষার্থী, যাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো স্কুলের জন্য চ্যাটজিপিটির একটি প্ল্যান কিনে দিয়েছে।
মার্কিন গবেষণা বলছে, অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে থাকেন। এটি ব্যক্তিগত শিক্ষকের মতো সহায়ক হলেও অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি কমে যেতে পারে। গত জুনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রচনা লেখায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন, তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম গুগল সার্চ ব্যবহারকারী বা একেবারে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের তুলনায় কম সক্রিয় থাকে।
২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে এটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তখন অনেক মার্কিন স্কুল কর্তৃপক্ষ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে ২০২৩ সালের মধ্যে অনেক স্কুল সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং স্বীকার করে যে, চ্যাটজিপিটি এখন শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি অংশ।
এখন স্টাডি মোড চালুর মাধ্যমে ওপেনএআই চ্যাটজিপিটিকে একটি শিক্ষণ সহায়ক টুল হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। চলতি বছরের এপ্রিলে চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী এআই চ্যাটবট ক্লডে ‘লার্নিং মোড’ নামে অনুরূপ একটি ফিচার চালু করে প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক।
তবে স্টাডি মোডের কার্যকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। শিক্ষার্থীরা চাইলে সহজেই স্টাডি মোড বন্ধ করে সাধারণ মোডে চলে যেতে পারে এবং তখন তারা আগের মতোই সরাসরি উত্তর পাবে।
ওপেনএআইয়ের শিক্ষাবিষয়ক সহসভাপতি লিয়া বেলস্কি বলেন, অভিভাবক বা প্রশাসকদের জন্য শিক্ষার্থীদের স্টাডি মোডে বাধ্য করার কোনো ব্যবস্থা এখনই রাখা হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
এর ফলে শিক্ষার্থীদের নিজ থেকেই আগ্রহী হতে হবে শেখার জন্য। শুধু অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই মোড চালু করলে তেমন ফল পাওয়া যাবে না।
স্টাডি মোডকে ওপেনএআইয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা কীভাবে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করছে, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে ওপেনএআই।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে ‘স্টাডি মোড’ নামের নতুন ফিচার চালু করেছে ওপেনএআই। এই ফিচার একজন বাস্তব শিক্ষকের মতো শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বিশ্লেষণ ও চিন্তাশক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। স্টাডি মোড চালু থাকলে চ্যাটজিপিটি সরাসরি উত্তর দেওয়ার বদলে ব্যবহারকারীকে ধাপে ধাপে প্রশ্ন করে বিষয়টি বুঝিয়ে দেবে। শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয় বোঝার আগ্রহ না দেখালে অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি উত্তর দিতেও অস্বীকৃতি জানাবে।
চ্যাটজিপিটির ফ্রি, প্লাস, প্রো ও টিম প্ল্যান ব্যবহারকারীদের জন্য গত মঙ্গলবারে স্টাডি মোড চালু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চ্যাটজিপিটির ‘এডু’ গ্রাহকদের জন্যও ফিচারটি উন্মুক্ত করবে। এই গ্রাহকগোষ্ঠীতে রয়েছেন মূলত সেই সব শিক্ষার্থী, যাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো স্কুলের জন্য চ্যাটজিপিটির একটি প্ল্যান কিনে দিয়েছে।
মার্কিন গবেষণা বলছে, অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে থাকেন। এটি ব্যক্তিগত শিক্ষকের মতো সহায়ক হলেও অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি কমে যেতে পারে। গত জুনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রচনা লেখায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন, তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম গুগল সার্চ ব্যবহারকারী বা একেবারে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের তুলনায় কম সক্রিয় থাকে।
২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে এটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তখন অনেক মার্কিন স্কুল কর্তৃপক্ষ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে ২০২৩ সালের মধ্যে অনেক স্কুল সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং স্বীকার করে যে, চ্যাটজিপিটি এখন শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি অংশ।
এখন স্টাডি মোড চালুর মাধ্যমে ওপেনএআই চ্যাটজিপিটিকে একটি শিক্ষণ সহায়ক টুল হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। চলতি বছরের এপ্রিলে চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী এআই চ্যাটবট ক্লডে ‘লার্নিং মোড’ নামে অনুরূপ একটি ফিচার চালু করে প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক।
তবে স্টাডি মোডের কার্যকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। শিক্ষার্থীরা চাইলে সহজেই স্টাডি মোড বন্ধ করে সাধারণ মোডে চলে যেতে পারে এবং তখন তারা আগের মতোই সরাসরি উত্তর পাবে।
ওপেনএআইয়ের শিক্ষাবিষয়ক সহসভাপতি লিয়া বেলস্কি বলেন, অভিভাবক বা প্রশাসকদের জন্য শিক্ষার্থীদের স্টাডি মোডে বাধ্য করার কোনো ব্যবস্থা এখনই রাখা হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
এর ফলে শিক্ষার্থীদের নিজ থেকেই আগ্রহী হতে হবে শেখার জন্য। শুধু অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই মোড চালু করলে তেমন ফল পাওয়া যাবে না।
স্টাডি মোডকে ওপেনএআইয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা কীভাবে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করছে, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে ওপেনএআই।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি, মোবাইল স্ট্রিট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রিকো ইমেজিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর চীনের বেইজিংয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারত্বের ঘোষণা দেওয়া হবে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘ভিশনএক্সন: এআই-পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসইডিইউ)।
১২ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইল লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারবেন। ফলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (যেমন—হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক) কোনো ব্যবহারকারীকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
১ দিন আগেতথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
৪ দিন আগে