প্রযুক্তি বিশ্বে চীনের আধিপত্য দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তীব্র আকার ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রযুক্তি লড়াই। এরই মধ্যে তাইওয়ানের প্রযুক্তি বাজারেও প্রভাব বিস্তার করছে দেশটি। তাইওয়ানের পুরনো প্রযুক্তির চিপ বাজারে চীনের চিপের আধিক্য দেখা যেতে শুরু হয়েছে।
চীনের সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি বাজারে প্রবেশের সুযোগ পেতে ২০১৫ সালে দেশটির হেফেই শহরে একটি চিপ তৈরির কারখানার সঙ্গে চুক্তি করেছিল তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ টেকনোলজি। তবে সেই উদ্যোগ তাদের সফলতা আনার চেয়ে প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ৯ বছর পর এসে চীনের সেই কারখানা নেক্সচিপ এখন চীন ছাড়িয়ে তাইওয়ানের চিপ বাজারেও পাওয়ারচিপের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।
বেইজিংয়ের স্থানীয়করণের নীতির কারণে পাওয়ারচিপকে চীনে তাদের লাভজনক ব্যবসা ছেড়ে আসতে হয়েছে। আর নেক্সচিপ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চিপ বাজার দখল করছে।
নেক্সচিপ ২৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি বা তার চেয়ে বড় চিপ তৈরি করা হয় এমন ‘ম্যাচিউর নোড’ চিপ শিল্পে ৫ হাজার ৬৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। ফলে তাইওয়ানের কারখানাকে বাজার থেকে সরে আসতে হচ্ছে, নয়তো উন্নত ও বিশেষায়িত প্রযুক্তির দিকে যেতে হচ্ছে।
নেক্সচিপ ছাড়াও, হুয়া হং ও এসএমআইসির মতো চীনা চিপ কারখানাগুলো গাড়ি ও ডিসপ্লে প্যানেলের জন্য ব্যবহৃত চিপ বাজারে তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ, ইউএমসি ও ভ্যানগার্ড ইন্টারন্যাশনালের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং মূল্য কমিয়ে বাজার দখল করছে।
ইউএমসি বলছে, বিশ্বব্যাপী উৎপাদন সম্প্রসারণের কারণে তারা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে এবং তারা ইন্টেলের সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তির চিপ তৈরির মাধ্যমে বাজারে টিকে থাকার কৌশল নিচ্ছে।
মার্কিন ট্রেডফোর্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী পুরনো প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনের মধ্যে চীনের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ এবং তাইওয়ানের অংশ ছিল ৪৩ শতাংশ। ২০২৭ সালের মধ্যে চীনের শেয়ার তাইওয়ানের চেয়ে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসইএমআই জানায়, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা ৯৭টি নতুন সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরির ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্টের মধ্যে ৫৭টিই চীনের।
তাইওয়ানের চিপ শিল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় চিপ নির্মাতাদের উন্নত প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
পাওয়ারচিপের চেয়ারম্যান ফ্র্যাঙ্ক হুয়াং বলেন, ‘পুরনো প্রযুক্তির কারখানাগুলোতে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে; অন্যথায়, চীনা কোম্পানির মূল্য কমানোর কৌশল আমাদের আরও বিপাকে ফেলবে।’
হুয়াং আরও বলেন, ‘যেসব চিপ চীনে ব্যবহৃত হবে, সেই ব্যবসা আমরা আর করতে পারব না...আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে, নাহলে টিকে থাকা অসম্ভব।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে উচ্চমানের প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর, চীনা কোম্পানিগুলো পুরনো প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে জোর দিচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসনের চীনবিরোধী নীতিগুলো তাইওয়ানের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনতে পারে। চীনের চিপ শিল্পের প্রবৃদ্ধি সীমিত করতে মার্কিন প্রচেষ্টা এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কের অবনতি তাইওয়ানের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের চীনবিরোধী নীতি চিপ সাপ্লাই চেইনকে ‘চায়না-ফর-চায়না’ এবং ‘নন-চায়না’ নেটওয়ার্কে বিভক্ত করতে বাধ্য করছে।
তাইওয়ানের একটি চিপ ডিজাইন কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, “কিছু গ্রাহক সরাসরি আমাদের জানিয়ে দেন, তারা চীনে চিপ তৈরি করতে চান না; তারা ‘মেড ইন চায়না’ চিপ চান না। ”
পাওয়ারচিপের চেয়ারম্যান হুয়াং জানান, তারা ইতিমধ্যে কিছু অর্ডার পেয়েছেন যেগুলো আগে চীনে যেত। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এই প্রবণতা আরও বাড়বে।’
তবে তাইওয়ানের চিপ ডিজাইনার ও নির্মাতারা বলছেন, আরও বিশেষায়িত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকলেও চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে বেশ বেগ পোহাতে হবে।
প্রযুক্তি বিশ্বে চীনের আধিপত্য দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তীব্র আকার ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রযুক্তি লড়াই। এরই মধ্যে তাইওয়ানের প্রযুক্তি বাজারেও প্রভাব বিস্তার করছে দেশটি। তাইওয়ানের পুরনো প্রযুক্তির চিপ বাজারে চীনের চিপের আধিক্য দেখা যেতে শুরু হয়েছে।
চীনের সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি বাজারে প্রবেশের সুযোগ পেতে ২০১৫ সালে দেশটির হেফেই শহরে একটি চিপ তৈরির কারখানার সঙ্গে চুক্তি করেছিল তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ টেকনোলজি। তবে সেই উদ্যোগ তাদের সফলতা আনার চেয়ে প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ৯ বছর পর এসে চীনের সেই কারখানা নেক্সচিপ এখন চীন ছাড়িয়ে তাইওয়ানের চিপ বাজারেও পাওয়ারচিপের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।
বেইজিংয়ের স্থানীয়করণের নীতির কারণে পাওয়ারচিপকে চীনে তাদের লাভজনক ব্যবসা ছেড়ে আসতে হয়েছে। আর নেক্সচিপ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চিপ বাজার দখল করছে।
নেক্সচিপ ২৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি বা তার চেয়ে বড় চিপ তৈরি করা হয় এমন ‘ম্যাচিউর নোড’ চিপ শিল্পে ৫ হাজার ৬৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। ফলে তাইওয়ানের কারখানাকে বাজার থেকে সরে আসতে হচ্ছে, নয়তো উন্নত ও বিশেষায়িত প্রযুক্তির দিকে যেতে হচ্ছে।
নেক্সচিপ ছাড়াও, হুয়া হং ও এসএমআইসির মতো চীনা চিপ কারখানাগুলো গাড়ি ও ডিসপ্লে প্যানেলের জন্য ব্যবহৃত চিপ বাজারে তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ, ইউএমসি ও ভ্যানগার্ড ইন্টারন্যাশনালের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং মূল্য কমিয়ে বাজার দখল করছে।
ইউএমসি বলছে, বিশ্বব্যাপী উৎপাদন সম্প্রসারণের কারণে তারা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে এবং তারা ইন্টেলের সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তির চিপ তৈরির মাধ্যমে বাজারে টিকে থাকার কৌশল নিচ্ছে।
মার্কিন ট্রেডফোর্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী পুরনো প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনের মধ্যে চীনের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ এবং তাইওয়ানের অংশ ছিল ৪৩ শতাংশ। ২০২৭ সালের মধ্যে চীনের শেয়ার তাইওয়ানের চেয়ে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসইএমআই জানায়, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা ৯৭টি নতুন সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরির ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্টের মধ্যে ৫৭টিই চীনের।
তাইওয়ানের চিপ শিল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় চিপ নির্মাতাদের উন্নত প্রযুক্তির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
পাওয়ারচিপের চেয়ারম্যান ফ্র্যাঙ্ক হুয়াং বলেন, ‘পুরনো প্রযুক্তির কারখানাগুলোতে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে; অন্যথায়, চীনা কোম্পানির মূল্য কমানোর কৌশল আমাদের আরও বিপাকে ফেলবে।’
হুয়াং আরও বলেন, ‘যেসব চিপ চীনে ব্যবহৃত হবে, সেই ব্যবসা আমরা আর করতে পারব না...আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে, নাহলে টিকে থাকা অসম্ভব।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে উচ্চমানের প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পর, চীনা কোম্পানিগুলো পুরনো প্রযুক্তির চিপ উৎপাদনে জোর দিচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসনের চীনবিরোধী নীতিগুলো তাইওয়ানের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনতে পারে। চীনের চিপ শিল্পের প্রবৃদ্ধি সীমিত করতে মার্কিন প্রচেষ্টা এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কের অবনতি তাইওয়ানের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের চীনবিরোধী নীতি চিপ সাপ্লাই চেইনকে ‘চায়না-ফর-চায়না’ এবং ‘নন-চায়না’ নেটওয়ার্কে বিভক্ত করতে বাধ্য করছে।
তাইওয়ানের একটি চিপ ডিজাইন কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, “কিছু গ্রাহক সরাসরি আমাদের জানিয়ে দেন, তারা চীনে চিপ তৈরি করতে চান না; তারা ‘মেড ইন চায়না’ চিপ চান না। ”
পাওয়ারচিপের চেয়ারম্যান হুয়াং জানান, তারা ইতিমধ্যে কিছু অর্ডার পেয়েছেন যেগুলো আগে চীনে যেত। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এই প্রবণতা আরও বাড়বে।’
তবে তাইওয়ানের চিপ ডিজাইনার ও নির্মাতারা বলছেন, আরও বিশেষায়িত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকলেও চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে বেশ বেগ পোহাতে হবে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
২ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
২ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে