Ajker Patrika

চীনের হাজার হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে মেটা

চীনের হাজার হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে মেটা

চীনের হাজার হাজার ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে মেটা। এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা নিজেদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে জাহির করেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা গত বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদনে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধের কথা জানায়। অ্যাকাউন্টগুলো একটি নেটওয়ার্কের আওতায় থেকে এই ধরনের কাজ করে। চীনভিত্তিক এই নেটওয়ার্কের প্রায় ৪ হাজার ৭০০ টিরও বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ছবি ও নাম নকল করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে।

মেটার প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা বিষয়গুলির মধ্যে ছিল গর্ভপাত, সাংস্কৃতিক মতভেদ এবং ইউক্রেনে যুদ্ধে সহায়তা দেওয়া। আগামী ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ঘিরে এই ধরনের চীন ভিত্তিক নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।

মেটা বলছে, রাশিয়া ও ইরানের পরে চীন এখন এই ধরনের নেটওয়ার্কের তৃতীয় বৃহৎ বৃহত্তম উৎস। অ্যাকাউন্টগুলো একে অপরের পোস্ট লাইক ও শেয়ার করে থাকে। এসব কনটেন্টের মধ্যে কিছু সরাসরি এক্স (টুইটার) প্ল্যাটফর্ম থেকে শেয়ার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টগুলি মার্কিন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট রাজনীতিবিদদের মৌখিক বক্তব্যগুলি কপি এবং পেস্ট করেছে ৷ এসব রাজনীতিবিদের মধ্যে রয়েছে সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, প্রতিনিধি ম্যাট গেটজ এবং জিম জর্ডানসহ অনেকেই।

এসব নেটওয়ার্কে নির্দিষ্ট কোনো আদর্শের ধারাবাহিকতা প্রকাশ পায়নি। চীন ভিত্তিক এসব নেটওয়ার্কের পোস্টের এক উদাহরণ দিয়ে মেটা বলছে, অ্যাকাউন্টগুলি এ বছরের শুরুতে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান সিলভিয়া গার্সিয়ার একটি টুইটের কিছু শব্দ নিয়ে রিপোস্ট করে। তিনি টেক্সাসের গর্ভপাত আইনের সমালোচনা করে বলেন, ‘মনে রাখবেন গর্ভপাত একটি স্বাস্থ্যসেবা।’ আবার এর বিপরীতে একটি অ্যাকাউন্ট রিপাবলিকান প্রতিনিধি রনি জ্যাকসনের একটি টুইট কপি-পেস্ট করে। রনি জ্যাকসনের টুইটে লেখেন, ‘গর্ভপাতের জন্য করদাতাদের অর্থ প্রদান করা উচিত নয়।’

মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়, দলীয় উত্তেজনা ও রাজনীতিবিদদের সমর্থক বৃদ্ধি বা আসল কনটেন্ট দেখানোর জন্য ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলি তৈরি করা হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।

এই জাতীয় নেটওয়ার্কে শেয়ার করা কনটেন্ট সবসবময় মিথ্যা হয় না এবং প্রধান সংবাদমাধ্যমের খবর অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা হয়। কিন্তু বৈধ মন্তব্য বা বিতর্কের জন্য ব্যবহার করার পরিবর্তে পোস্টগুলি জনমতকে প্রভাবিত করা ও বিভাজন সৃষ্টির জন্য তৈরি করা হয়।

মেটা বলছে, এই ধরনের চীন ভিত্তিক নেটওয়ার্কগুলো জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই বন্ধ করা হয়েছে। 

কোম্পানি এই ধরনের দুইটি নেটওয়ার্ক খুঁজে পেয়েছে। একটি চীনে ভিত্তিক যা ভারত ও তিব্বতকে কেন্দ্র করে তৈরি। আরেকটি রাশিয়া ভিত্তিক যা সাধারণত ইউক্রেনের আক্রমণ সম্পর্কে ইংরেজিতে পোস্ট করে ও টেলিগ্রাম চ্যানেল প্রচার করে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান নেটওয়ার্কগুলি ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে তথ্য প্রচারে কাজ করে। পরবর্তীতে নেটওয়ার্কগুলো ইউক্রেনের যুদ্ধের দিকে মনোনিবেশ করেছে ও কিয়েভের আন্তর্জাতিক সমর্থন কমানোর জন্য চেষ্টা করছে। 

মেটা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার জুলাই মাসে কোম্পানির সঙ্গে বিদেশি নেটওয়ার্কের প্রভাব সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করা বন্ধ করে দিয়েছে। একটি আইনি মামলার অংশ হিসেবে ফেডারেল রায়ের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইনটি এখনো সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত