Ajker Patrika

ফরাসি গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২৪ সালে ফরাসি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন পাভেল দুরভ। ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালে ফরাসি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন পাভেল দুরভ। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নতুন করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা ও ধনকুবের পাভেল দুরভ। তিনি দাবি করেন, মলদোভায় নির্বাচনের সময় কিছু টেলিগ্রাম চ্যানেল সেন্সর করার বিনিময়ে তাঁর বিচারকাজে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফরাসি গোয়েন্দারা।

রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থানরত অবস্থায় এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে দুরভ এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এক অজ্ঞাত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ফরাসি গোয়েন্দারা তাঁকে এই প্রস্তাব দেন।

মলদোভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গতকাল রোববার। এই নির্বাচন দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার পন্থী বিরোধী দল দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দূরে রাখতে চায়।

এই পটভূমিতে দুরভ বলেন, টেলিগ্রামের নীতিমালা পরিষ্কারভাবে ভঙ্গ করেছে, এমন কিছু চ্যানেল মুছে ফেলেছেন তিনি। তবে বাকি চ্যানেলগুলো মুছে ফেলতে তাঁর ওপর চাপ ছিল। মধ্যস্থতাকারী জানান, এসব চ্যানেল সরিয়ে দিলে ফরাসি গোয়েন্দারা দুরভের বিচারকের কাছে ‘ভালো কথা বলবেন’।

দুরভ বলেন, ‘এটি ছিল সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। যদি সত্যিই গোয়েন্দারা বিচারকের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন, তাহলে এটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ। আর যদি তারা শুধু দাবি করে থাকেন, তবে তারা ফ্রান্সে আমার আইনি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব ইউরোপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছেন।’

এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুরভ নির্বাচন চলাকালে বারবার এ ধরনের অভিযোগ করে থাকেন। তারা বলেন, ‘রোমানিয়ার পর এবার মলদোভা। দুরভ নির্বাচন চলাকালে অভিযোগ করতে ভালোবাসেন।’

এর আগে, ২০২৫ সালের মে মাসে দুরভ অভিযোগ করেন, রোমানিয়ায় নির্বাচনের আগে তাঁকে কনজারভেটিভ চ্যানেল টেলিগ্রাম থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিল ফ্রান্সের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএসই (DGSE)। তবে সংস্থাটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

২০২৪ সালে ফরাসি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন পাভেল দুরভ। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে বিচারিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে টেলিগ্রাম অ্যাপে সংঘটিত অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেন, ‘ফ্রান্সের অভিযোগগুলো আইনি ও যৌক্তিকভাবে অমূলক।’

২০১৪ সালে রাশিয়া ছেড়ে আসেন পাভেল দুরভ। কারণ, তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিকেতে (Vk) বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে রাশিয়ান সরকারের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি ভিকেকে বিক্রি করে দেন।

বর্তমানে তাঁর তৈরি টেলিগ্রাম অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। বিশেষ করে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোতে অ্যাপটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত