Ajker Patrika

‘চ্যাটজিপিটিকে গুরু মানছে তরুণেরা’

অনলাইন ডেস্ক
অনেক তরুণ ব্যবহারকারী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেয়। ছবি: ইউওর টিন ফর প্যারেন্টস
অনেক তরুণ ব্যবহারকারী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেয়। ছবি: ইউওর টিন ফর প্যারেন্টস

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার পদ্ধতি বয়সভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। তরুণেরা একে যেন নিজের পরামর্শদাতা বা গুরুর মতো ব্যবহার করে, আর তুলনামূলকভাবে বয়স্করা এটি ব্যবহার করেন সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প হিসেবে। গত ২ মে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘সরলভাবে বললে, একটু বয়স্করা চ্যাটজিপিটিকে গুগলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন। যাঁরা ২০ বা ৩০-এর কোঠায়, তারা এটা জীবনের পরামর্শদাতার মতো ব্যবহার করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা একে এমনভাবে ব্যবহার করেন, যেন এটা তাঁদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম। তাঁরা চ্যাটজিপিটিকে এমনভাবে সাজান, যেন এটি অনেক ফাইলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, জটিল প্রম্পট মুখস্থ রাখেন বা আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখেন। প্রয়োজনে সেগুলো কপি পেস্ট করেন।’

অল্টম্যান জানান, অনেক তরুণ ব্যবহারকারী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেয়। তাদের জীবনের প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পর্কে এবং তাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে—এসবের পূর্ণ প্রেক্ষাপট চ্যাটজিপিটির থাকে।

ওপেনএআই নিজে কীভাবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে—এমন প্রশ্নে অল্টম্যান জানান, ‘আমাদের প্রচুর কোড চ্যাটজিপিটি লিখে দেয়।’ তবে নির্দিষ্ট করে কত শতাংশ কোড এআই লেখে, তা জানাননি তিনি।

এদিকে মাইক্রোসফটের কোডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সত্য নাদেলা। তার মতে, মোট কোডের ২০ থেকে ৩০ শতাংশই এআই দিয়ে লেখা হয়েছে।

গত অক্টোবরে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছিলেন, নতুন কোডের ২৫ শতাংশের বেশি এখন এআই দিয়ে লেখা হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওপেনএআই এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে কলেজ শিক্ষার্থীরা চ্যাটজিপিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে উঠে আসে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরদের মধ্যে ২৬ শতাংশ স্কুলের কাজের জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশ।

স্যাম অল্টম্যানের সাক্ষাৎকারটি গতকাল সোমবার সিকোইয়া ক্যাপিটালের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়। তরুণেরা কীভাবে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন—এমন এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অল্টম্যান।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত