নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আইসিটি এবং ই-কমার্স খাতে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, ইতিমধ্যে হয়ে যাওয়া আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আইসিটি ও ই-কমার্স খাত। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থানে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, ১০ দিনে এই খাতের ব্যবসায়ীদের প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ জানিয়েছেন, প্রায় ৫ লাখ উদ্যোক্তা ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল। গত ১০ দিনে এই খাত প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। এই বিপর্যয় ই-কমার্স, এফ-কমার্স, লজিস্টিকস, ই-ট্যুরিজম এবং অন্যান্য ডিজিটাল সেবা খাতে প্রভাব ফেলেছে। এ খাতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ তরুণ ও নারী। এই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এ খাতে ৩০ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন এবং প্রায় ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঝরে পড়তে পারে।
দেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানান, দেশে পাঁচ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এ খাতের ব্যবসায়ীদের ৪০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ সময় অনেকে ক্লায়েন্ট হারিয়েছেন। এতে তাঁদের ক্ষতি হবে দীর্ঘমেয়াদি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইন্টারনেট হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক কাজের লাইফলাইন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা মানে সবার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া।
গত রোববার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ১০ দিনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় মিলিয়ে আইসিটি খাতে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতিও রয়েছে। ডেটা সেন্টার ও ইন্টারনেট সঞ্চালন লাইন পুড়িয়ে দেওয়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ১০ দিনে শুধু ডাক বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৬ জুলাই রাত থেকে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে শুরু করে। ১৭ জুলাই রাতে এ সেবা একেবারে বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান ব্যবহারকারীরা। এরপর ১৮ জুলাই রাতে পুরো দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু হয়। এরপর ২৪ জুলাই সারা দেশে চালু হয় এই সেবা। আর ২৮ জুলাই বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট অর্থাৎ ফোর-জি সেবাও চালু করা হয়। তবে দেশের প্রায় সব জেলার গ্রাহকেরাই জানিয়েছেন, তাঁরা ধীরগতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন। ফলে তাঁদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক বন্ধ থাকায় এফ-কমার্স উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বাবদ তাঁদের পরিশোধ করা অর্থের পুরোটাই ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক এই খাতের উদ্যোক্তাদের কোনো প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আইসিটি এবং ই-কমার্স খাতে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, ইতিমধ্যে হয়ে যাওয়া আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আইসিটি ও ই-কমার্স খাত। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থানে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, ১০ দিনে এই খাতের ব্যবসায়ীদের প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ জানিয়েছেন, প্রায় ৫ লাখ উদ্যোক্তা ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল। গত ১০ দিনে এই খাত প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। এই বিপর্যয় ই-কমার্স, এফ-কমার্স, লজিস্টিকস, ই-ট্যুরিজম এবং অন্যান্য ডিজিটাল সেবা খাতে প্রভাব ফেলেছে। এ খাতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ তরুণ ও নারী। এই পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এ খাতে ৩০ শতাংশ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন এবং প্রায় ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঝরে পড়তে পারে।
দেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানান, দেশে পাঁচ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এ খাতের ব্যবসায়ীদের ৪০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ সময় অনেকে ক্লায়েন্ট হারিয়েছেন। এতে তাঁদের ক্ষতি হবে দীর্ঘমেয়াদি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইন্টারনেট হচ্ছে অনলাইনভিত্তিক কাজের লাইফলাইন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা মানে সবার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া।
গত রোববার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ১০ দিনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় মিলিয়ে আইসিটি খাতে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতিও রয়েছে। ডেটা সেন্টার ও ইন্টারনেট সঞ্চালন লাইন পুড়িয়ে দেওয়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ১০ দিনে শুধু ডাক বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৬ জুলাই রাত থেকে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে শুরু করে। ১৭ জুলাই রাতে এ সেবা একেবারে বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান ব্যবহারকারীরা। এরপর ১৮ জুলাই রাতে পুরো দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু হয়। এরপর ২৪ জুলাই সারা দেশে চালু হয় এই সেবা। আর ২৮ জুলাই বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট অর্থাৎ ফোর-জি সেবাও চালু করা হয়। তবে দেশের প্রায় সব জেলার গ্রাহকেরাই জানিয়েছেন, তাঁরা ধীরগতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন। ফলে তাঁদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক বন্ধ থাকায় এফ-কমার্স উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বাবদ তাঁদের পরিশোধ করা অর্থের পুরোটাই ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক এই খাতের উদ্যোক্তাদের কোনো প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে