অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের নিয়ে করা এক সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে, তাঁদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের ব্যবসায় এআই প্রযুক্তিকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ করছেন, আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগত জীবনে সহজ করতে এটি ব্যবহার করছেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নতুন একাধিক এআইভিত্তিক উদ্যোক্তা স্থান পেয়েছেন। তবে এআই ঘিরে প্রতিক্রিয়া সবার এক রকম নয়। যেমন—লিংকডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান নিজের একটি এআই সংস্করণ তৈরি করে সেটির সঙ্গে আলোচনাও করেছেন, যার শিরোনাম ছিল ‘মি, মাইসেল্ফ অ্যান্ড আই (এআই)’। তবে কেউ কেউ এআই নিয়ে সতর্ক করেছেন। ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট এই প্রযুক্তিকে ‘বোতল থেকে বেরিয়ে আসা দৈত্য’ বলেই অভিহিত করেছেন। এটি তাঁকে ‘ভয় পাইয়ে দেয়’ বলে তিনি জানান।
তবে অধিকাংশ ধনকুবের আসলে কোন অবস্থানে রয়েছেন—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফোর্বস একটি সমীক্ষা চালায়। বিশ্বজুড়ে ফোর্বসের তালিকাভুক্ত ধনকুবেরদের মধ্যে ৪৫ জন এতে অংশ নেন। গড় বয়স ছিল ৬৬ বছর। তাঁদের অনেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
ফোর্বসের জরিপে ৪৫ জন ধনী ব্যক্তির মধ্যে ৬৫ শতাংশ বলেছেন, তারা ব্যক্তিগত জীবনে এআই ব্যবহার করেন, আর ৭৭ শতাংশ তাদের ব্যবসায় এআইকে কাজে লাগান। গরুপনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং টেম্পাসএআই কোম্পানির প্রধান এরিক লেফকফস্কি জানান, তিনি দিনে পাঁচবার চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন এবং তার কোম্পানি গত কয়েক বছর ধরেই ‘জেনারেটিভ এআই ফার্স্ট’ নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৭ জন জানান, তাঁরা এআই চ্যাটবট ব্যবহার করেন। আর ২৩ জন স্পষ্ট করে বলেন, তাঁরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন।
বিল গেটসের ২০২৩ সালের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে প্রত্যেকে এআই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করবেন বলে মনে করা হচ্ছে, জরিপে ১২ জন ধনী ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করেন।
টেলিকম সেক্টরের ব্যবসায়ী রব হেল, ভারতীয় অটো পার্টস ব্যবসায়ী অনুরাগ জৈন, ফ্রান্সের লজিস্টিকস ব্যবসায়ী এরিক হেমার, ফ্লোরিডার রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ডেভিড হফম্যান এবং কোচ কোম্পানির কো-সিইও চার্লস কোচ রোবটিক্স ব্যবসায় ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া, আমাজনের জেফ বেজোস, এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াংসহ অনেক শীর্ষ ধনী রোবট ও এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
তবে কয়েকজন ধনকুবের এআই ব্যবহার করেন খুব ব্যতিক্রমীভাবে। যেমন—মেডটেক উদ্যোক্তা জো কিয়ানি এআই ব্যবহার করেন খাবারের ছবি বিশ্লেষণের জন্য। কেউ কেউ জানান, তাঁরা এআই ব্যবহার করেন চুক্তি বিশ্লেষণ, বিনিয়োগের সারাংশ তৈরি বা বিভিন্ন প্রবন্ধ সারসংক্ষেপ তৈরির কাজে।
তবে সবার মনোভাব এক নয়। ওয়ারেন বাফেটের মতো আরও ৯ জন ধনকুবের বলেছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যবসায় এআই ব্যবহার করেন না। এই তালিকায় রয়েছেন আর্থিক খাতের স্টিফেন স্মিথ, গাড়ি ব্যবসায়ী নরম্যান ব্রামান, শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা, আবাসন ব্যবসায়ী প্যাট্রিক নিল এবং আরও পাঁচজন নাম প্রকাশ না করা ধনকুবের। প্যাট্রিক নিল ফোর্বসকে বলেন, ‘একটা বাড়ি হলো ছোঁয়া যায় এমন কিছু। আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থাপত্যে কিছু রেখে যেতে চাই।’
বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের এআই গ্রহণের এই প্রবণতা আগামী দিনে ব্যবসায় ও প্রযুক্তিতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের নিয়ে করা এক সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে, তাঁদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের ব্যবসায় এআই প্রযুক্তিকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ করছেন, আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগত জীবনে সহজ করতে এটি ব্যবহার করছেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নতুন একাধিক এআইভিত্তিক উদ্যোক্তা স্থান পেয়েছেন। তবে এআই ঘিরে প্রতিক্রিয়া সবার এক রকম নয়। যেমন—লিংকডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান নিজের একটি এআই সংস্করণ তৈরি করে সেটির সঙ্গে আলোচনাও করেছেন, যার শিরোনাম ছিল ‘মি, মাইসেল্ফ অ্যান্ড আই (এআই)’। তবে কেউ কেউ এআই নিয়ে সতর্ক করেছেন। ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট এই প্রযুক্তিকে ‘বোতল থেকে বেরিয়ে আসা দৈত্য’ বলেই অভিহিত করেছেন। এটি তাঁকে ‘ভয় পাইয়ে দেয়’ বলে তিনি জানান।
তবে অধিকাংশ ধনকুবের আসলে কোন অবস্থানে রয়েছেন—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফোর্বস একটি সমীক্ষা চালায়। বিশ্বজুড়ে ফোর্বসের তালিকাভুক্ত ধনকুবেরদের মধ্যে ৪৫ জন এতে অংশ নেন। গড় বয়স ছিল ৬৬ বছর। তাঁদের অনেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
ফোর্বসের জরিপে ৪৫ জন ধনী ব্যক্তির মধ্যে ৬৫ শতাংশ বলেছেন, তারা ব্যক্তিগত জীবনে এআই ব্যবহার করেন, আর ৭৭ শতাংশ তাদের ব্যবসায় এআইকে কাজে লাগান। গরুপনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং টেম্পাসএআই কোম্পানির প্রধান এরিক লেফকফস্কি জানান, তিনি দিনে পাঁচবার চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন এবং তার কোম্পানি গত কয়েক বছর ধরেই ‘জেনারেটিভ এআই ফার্স্ট’ নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৭ জন জানান, তাঁরা এআই চ্যাটবট ব্যবহার করেন। আর ২৩ জন স্পষ্ট করে বলেন, তাঁরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন।
বিল গেটসের ২০২৩ সালের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে প্রত্যেকে এআই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করবেন বলে মনে করা হচ্ছে, জরিপে ১২ জন ধনী ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করেন।
টেলিকম সেক্টরের ব্যবসায়ী রব হেল, ভারতীয় অটো পার্টস ব্যবসায়ী অনুরাগ জৈন, ফ্রান্সের লজিস্টিকস ব্যবসায়ী এরিক হেমার, ফ্লোরিডার রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ডেভিড হফম্যান এবং কোচ কোম্পানির কো-সিইও চার্লস কোচ রোবটিক্স ব্যবসায় ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া, আমাজনের জেফ বেজোস, এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াংসহ অনেক শীর্ষ ধনী রোবট ও এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
তবে কয়েকজন ধনকুবের এআই ব্যবহার করেন খুব ব্যতিক্রমীভাবে। যেমন—মেডটেক উদ্যোক্তা জো কিয়ানি এআই ব্যবহার করেন খাবারের ছবি বিশ্লেষণের জন্য। কেউ কেউ জানান, তাঁরা এআই ব্যবহার করেন চুক্তি বিশ্লেষণ, বিনিয়োগের সারাংশ তৈরি বা বিভিন্ন প্রবন্ধ সারসংক্ষেপ তৈরির কাজে।
তবে সবার মনোভাব এক নয়। ওয়ারেন বাফেটের মতো আরও ৯ জন ধনকুবের বলেছেন, তাঁরা তাঁদের ব্যবসায় এআই ব্যবহার করেন না। এই তালিকায় রয়েছেন আর্থিক খাতের স্টিফেন স্মিথ, গাড়ি ব্যবসায়ী নরম্যান ব্রামান, শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা, আবাসন ব্যবসায়ী প্যাট্রিক নিল এবং আরও পাঁচজন নাম প্রকাশ না করা ধনকুবের। প্যাট্রিক নিল ফোর্বসকে বলেন, ‘একটা বাড়ি হলো ছোঁয়া যায় এমন কিছু। আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থাপত্যে কিছু রেখে যেতে চাই।’
বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের এআই গ্রহণের এই প্রবণতা আগামী দিনে ব্যবসায় ও প্রযুক্তিতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে