২০১৭ সালে বাংলাদেশে টেকনো স্মার্টফোনের যাত্রা শুরু। গ্রাহকদের চাহিদা আরও বড় পরিসরে পূরণ করতে প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় টেকনো ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু করে। বর্তমানে ফাইভ-জি মোবাইল ফোনও বাজারে নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই সময়ে তাদের কাজের অবস্থান এবং সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য আইস্মার্টু টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হকের মুখোমুখি হয় আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু।
মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে টেকনোর অবস্থান কেমন?
২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে টেকনো গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাজেটের মধ্যে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা আমাদের লক্ষ্য। টেকনো এখন বাংলাদেশে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন এবং এআইওটি ডিভাইস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার ৪০ শতাংশের বেশি এবং ফাইভ-জি মোবাইল ফোনের ব্যবহারও গত বছর ১৫ শতাংশের বেশি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা সহজে বাজারে নিজেদের ভালো অবস্থান ধরে রাখতে পারছি। টেকনো স্মার্টফোন এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। এতে পণ্যটি দ্রুত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে।
টেকনো অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকে কোন জায়গায় আলাদা?
টেকনোর বিশেষত্ব হলো, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নতুনত্ব, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং একক ইকোসিস্টেমকে একত্র করি। আমাদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিভাইস একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ব্যবহারকারীরা সহজে দ্রুত কাজ করতে পারেন। ক্যামন ৪০ সিরিজের মোবাইল ফোন এর অন্যতম উদাহরণ। এই স্মার্টফোনে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীরা আরও সহজ, দ্রুত ও সুন্দরভাবে ছবি তুলতে পারছেন; বিশেষ করে রাতে বা কম আলোতেও এর পারফরম্যান্স দারুণ। এ ছাড়া আমাদের স্পার্ক ৪০ সিরিজের ‘স্লিম এভার, স্ট্রং ফরেভার’ স্মার্টফোনটি প্রমাণ করেছে, মোবাইল ফোন পাতলা হলেও বেশ মজবুত হতে পারে। এ ছাড়া আমাদের কাস্টমার সার্ভিস, মোবাইল ফোনের স্থায়িত্ব এবং ডিজাইন দর্শকদের সব সময় ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়।
এই বছর দেশে আপনাদের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু হয়েছে। এটি ব্যবসায় কেমন প্রভাব ফেলেছে?
উত্তরায় আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় টেকনো স্টোর খোলার পর ব্র্যান্ডের পরিচিতি অনেক বেড়েছে। ২ হাজার ৬০০ বর্গফুটের এই স্টোরে গ্রাহকেরা আমাদের সব ডিভাইস একসঙ্গে দেখতে এবং ব্যবহার করতে পারেন। এতে শুধু গ্রাহকেরা নন, পুরো বাজারেই আমাদের প্রিমিয়াম ইমেজ শক্তিশালী হয়েছে।
বাংলাদেশে ফাইভ-জির জন্য টেকনো কতটা প্রস্তুত?
টেকনো পুরোপুরি ফাইভ-জি যুগের জন্য প্রস্তুত। এরই মধ্যে আমাদের বিভিন্ন ফাইভ-জি মোবাইল ফোন বাজারে আছে। আমরা টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে মিলিয়ে এগুলো পরীক্ষা করেছি, যাতে সংযোগ দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন হয়। নতুন পোভা ফাইভ-জি সিরিজ আমাদের পেশাদার ও গেমিংপ্রেমী ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি।
ফাইভ-জি মোবাইল ফোনের চাহিদা কি বাড়ছে?
অবশ্যই। ফাইভ-জি মোবাইল ফোনের চাহিদা বেড়েছে। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালুর আগে থেকে মানুষ এগুলো ক্রয় করছিল। এখন নতুন সিরিজের সঙ্গে চাহিদা আরও বাড়ছে। আমরা চাই, এই নতুন প্রযুক্তিতে আমাদের ব্যবহারকারীরা যেন সেরা অভিজ্ঞতা পান।
বিক্রয়-পরবর্তী সেবা নিয়ে টেকনো কী করছে?
আমাদের গ্লোবাল সার্ভিস পার্টনার কার্ল কেয়ারের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছি। এখন গ্রাহকেরা দ্রুত সমস্যা শনাক্তকরণ, মেরামত ট্র্যাকিং এবং আসল যন্ত্রাংশ সুবিধা পান। এতে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অনেক বেড়েছে।
টেকনোতে কোন ক্ষেত্রগুলো আরও উন্নত করতে চাচ্ছেন?
আমরা তিনটি বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছি—সফটওয়্যার আপডেট দ্রুত করা, ক্যামেরার উন্নতি করা এবং সেবা বড় শহরের বাইরে পৌঁছে দেওয়া। এভাবে সব ব্যবহারকারী প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা পাবেন।
সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই শিল্পের ভবিষ্যৎ কেমন?
ফাইভ-জি, এআই, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ক্লাউড সেবা ভোক্তাদের আচরণ পরিবর্তন করছে। ভবিষ্যতের বাজার সেই ব্র্যান্ডের হবে, যারা শুধু ডিভাইস নয়, পুরো সংযুক্ত ইকোসিস্টেম দিতে পারবে। স্থানীয় উৎপাদন, এআই উদ্ভাবন ও প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যারের কৌশল আমাদের শক্তিশালী করছে।
মোবাইল ফোন ছাড়া টেকনো গ্যাজেটের চাহিদা কেমন?
আমাদের প্রিমিয়াম এআইওটি ডিভাইসের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। মেগাবুক ল্যাপটপ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এআই চশমা সিরিজ ও গেমিং ডিভাইসও ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করছে। আমরা চাই একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে, যা আধুনিক জীবনযাত্রাকে আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক করবে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে টেকনোর অবস্থান কেমন?
২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে টেকনো গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাজেটের মধ্যে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করা আমাদের লক্ষ্য। টেকনো এখন বাংলাদেশে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন এবং এআইওটি ডিভাইস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে স্মার্টফোনের ব্যবহার ৪০ শতাংশের বেশি এবং ফাইভ-জি মোবাইল ফোনের ব্যবহারও গত বছর ১৫ শতাংশের বেশি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা সহজে বাজারে নিজেদের ভালো অবস্থান ধরে রাখতে পারছি। টেকনো স্মার্টফোন এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। এতে পণ্যটি দ্রুত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে।
টেকনো অন্যান্য ব্র্যান্ড থেকে কোন জায়গায় আলাদা?
টেকনোর বিশেষত্ব হলো, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নতুনত্ব, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং একক ইকোসিস্টেমকে একত্র করি। আমাদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিভাইস একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ব্যবহারকারীরা সহজে দ্রুত কাজ করতে পারেন। ক্যামন ৪০ সিরিজের মোবাইল ফোন এর অন্যতম উদাহরণ। এই স্মার্টফোনে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীরা আরও সহজ, দ্রুত ও সুন্দরভাবে ছবি তুলতে পারছেন; বিশেষ করে রাতে বা কম আলোতেও এর পারফরম্যান্স দারুণ। এ ছাড়া আমাদের স্পার্ক ৪০ সিরিজের ‘স্লিম এভার, স্ট্রং ফরেভার’ স্মার্টফোনটি প্রমাণ করেছে, মোবাইল ফোন পাতলা হলেও বেশ মজবুত হতে পারে। এ ছাড়া আমাদের কাস্টমার সার্ভিস, মোবাইল ফোনের স্থায়িত্ব এবং ডিজাইন দর্শকদের সব সময় ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়।
এই বছর দেশে আপনাদের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু হয়েছে। এটি ব্যবসায় কেমন প্রভাব ফেলেছে?
উত্তরায় আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় টেকনো স্টোর খোলার পর ব্র্যান্ডের পরিচিতি অনেক বেড়েছে। ২ হাজার ৬০০ বর্গফুটের এই স্টোরে গ্রাহকেরা আমাদের সব ডিভাইস একসঙ্গে দেখতে এবং ব্যবহার করতে পারেন। এতে শুধু গ্রাহকেরা নন, পুরো বাজারেই আমাদের প্রিমিয়াম ইমেজ শক্তিশালী হয়েছে।
বাংলাদেশে ফাইভ-জির জন্য টেকনো কতটা প্রস্তুত?
টেকনো পুরোপুরি ফাইভ-জি যুগের জন্য প্রস্তুত। এরই মধ্যে আমাদের বিভিন্ন ফাইভ-জি মোবাইল ফোন বাজারে আছে। আমরা টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে মিলিয়ে এগুলো পরীক্ষা করেছি, যাতে সংযোগ দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন হয়। নতুন পোভা ফাইভ-জি সিরিজ আমাদের পেশাদার ও গেমিংপ্রেমী ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি।
ফাইভ-জি মোবাইল ফোনের চাহিদা কি বাড়ছে?
অবশ্যই। ফাইভ-জি মোবাইল ফোনের চাহিদা বেড়েছে। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালুর আগে থেকে মানুষ এগুলো ক্রয় করছিল। এখন নতুন সিরিজের সঙ্গে চাহিদা আরও বাড়ছে। আমরা চাই, এই নতুন প্রযুক্তিতে আমাদের ব্যবহারকারীরা যেন সেরা অভিজ্ঞতা পান।
বিক্রয়-পরবর্তী সেবা নিয়ে টেকনো কী করছে?
আমাদের গ্লোবাল সার্ভিস পার্টনার কার্ল কেয়ারের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবায় ভিন্নমাত্রা যোগ করেছি। এখন গ্রাহকেরা দ্রুত সমস্যা শনাক্তকরণ, মেরামত ট্র্যাকিং এবং আসল যন্ত্রাংশ সুবিধা পান। এতে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অনেক বেড়েছে।
টেকনোতে কোন ক্ষেত্রগুলো আরও উন্নত করতে চাচ্ছেন?
আমরা তিনটি বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছি—সফটওয়্যার আপডেট দ্রুত করা, ক্যামেরার উন্নতি করা এবং সেবা বড় শহরের বাইরে পৌঁছে দেওয়া। এভাবে সব ব্যবহারকারী প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা পাবেন।
সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই শিল্পের ভবিষ্যৎ কেমন?
ফাইভ-জি, এআই, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ক্লাউড সেবা ভোক্তাদের আচরণ পরিবর্তন করছে। ভবিষ্যতের বাজার সেই ব্র্যান্ডের হবে, যারা শুধু ডিভাইস নয়, পুরো সংযুক্ত ইকোসিস্টেম দিতে পারবে। স্থানীয় উৎপাদন, এআই উদ্ভাবন ও প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যারের কৌশল আমাদের শক্তিশালী করছে।
মোবাইল ফোন ছাড়া টেকনো গ্যাজেটের চাহিদা কেমন?
আমাদের প্রিমিয়াম এআইওটি ডিভাইসের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। মেগাবুক ল্যাপটপ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এআই চশমা সিরিজ ও গেমিং ডিভাইসও ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করছে। আমরা চাই একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে, যা আধুনিক জীবনযাত্রাকে আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক করবে।
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটার বার্ষিক ডেভেলপার সম্মলেন ‘মেটা কানেক্ট ২০২৫’ শুরু হবে আগামীকাল। ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে চলবে এই আয়োজন।
৬ ঘণ্টা আগেব্যাপক ছাঁটাই ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইলন মাস্কের এক্সএআইয়ের ডেটা অ্যানোটেশন দল। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ‘গ্রোক’ প্রশিক্ষণ দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে মাত্র আট মাস আগে যোগ দেওয়া এক কলেজছাত্রের হাতে।
৭ ঘণ্টা আগেজেমিনির নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক (এআই) ছবি এডিটিং মডেল ‘ন্যানো ব্যানানা’র উন্মোচনের পর অ্যাপটির ডাউনলোডের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আগস্টে চালু হওয়া এই মডেল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। কারণ ছবির জটিল এডিটগুলো সহজেই এই অ্যাপ দিয়ে করা যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেচীনের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান চায়না ইউনিকম দেশীয়ভাবে তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ ব্যবহার করে একটি বৃহৎ ডেটা সেন্টার নির্মাণ করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভি (সিসিটিভি) গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞার মুখে চীন এখন স্বনির্ভরতার
৮ ঘণ্টা আগে