আয়শা আফরোজা
সেই খবর নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় হইচই চলছে এখনো। সংবাদটি হলো, অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের সংখ্যায় চ্যাটজিপিটিকে পেছনে ফেলেছে চীনের তৈরি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিপসিক। অনেকে মনে করছেন, এটি কেবল শুরু। চীনের নতুন এআই মডেলটির উত্থানের কারণে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতের শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে এই ডিপসিকের কারণে। এনভিডিয়ার মতো টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৯৩ বিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য উধাও হয়ে গেছে। তাহলে এমন কী নিয়ে এল এই ডিপসিক?
২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডিপসিক
চীনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রতিষ্ঠান ডিপসিক ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব চীনের হাংঝু শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং। মার্কিন বাজারে ডিপসিক উন্মোচিত হয় ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি। বর্তমানে ডিপসিক ‘হাই-ফ্লাইয়ার’-এর অধীনে একটি স্বাধীন এআই গবেষণা ল্যাব হিসেবে কাজ করছে। এর প্রথম মডেল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে উন্মুক্ত হয়। তারপর থেকে এটি বিভিন্ন সময়ে কিছু পরিবর্তন এবং উন্নতি করেছে। এটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার আরওয়ান রিজনিং মডেল প্রকাশের পরেই আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করে। ডিপসিক ওয়েব ইন্টারফেস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং এপিআই অ্যাকসেসের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।
গবেষণায় ও উন্নয়নে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে
লেখালেখি, অনুবাদ, কোডিংসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় ডিপসিক। তবে এটি গবেষণা ও উন্নয়নে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিপসিক আরওয়ান একটি ‘চেইন অব থট’ মডেল। এর মানে, এটি যখন কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়, তখন ধাপে ধাপে যুক্তি সাজিয়ে ব্যাখ্যা করতে থাকে। ঠিক যেমন একজন মানুষ চিন্তা করে এবং উত্তর তৈরি করে। সাধারণ এআই মডেলগুলো শুধু ডেটাবেইস থেকে তথ্য টেনে এনে উত্তর দেয়। কিন্তু আরওয়ান নিজের ভাবনাকে সাজিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলে এর উত্তরগুলো বেশি নির্ভরযোগ্য ও বোধগম্য হয়। এ ছাড়া কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চ্যাটবট অপারগতা প্রকাশ করতে পারে। যেমন এই অ্যাপকে যখন বিবিসি জিজ্ঞেস করে, ১৯৮৯ সালের ৪ জুন কী হয়েছিল তিয়েনআনমেন স্কয়ারে? ডিপসিক উত্তর দেয়, ‘আমি দুঃখিত। এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না। আমি একজন এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং আমাকে এমন উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা সহায়ক এবং ক্ষতিকর নয়।’ অর্থাৎ চীনা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন অ্যাপ হওয়ায় চীন যেসব বিষয়কে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মনে করে, সেসব বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই এআই চ্যাটবট শতভাগ সঠিক না-ও হতে পারে।
ওপেনএআই ও ডিপসিকের পার্থক্য
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এআই প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। এর চ্যাটজিপিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, প্রবন্ধ লিখতে পারে এবং ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারে। বহুমুখী কাজের জন্য উপযুক্ত ওপেনএআই। অন্যদিকে, এআইকে আরও সক্ষম এবং সহজে ব্যবহারের উপযোগী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে ডিপসিক এআই। তাদের বিভিন্ন এআই মডেল বহুমুখী কাজ করতে পারে। ডিপসিক ভিথ্রি এবং আরওয়ান তৈরিতে ব্যয় করতে হয়েছিল মাত্র ৬০ লাখ ডলার। অন্যদিকে, জিপিটি-ফোর তৈরি করতে ১০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছিল।
এ দুটি মডেলের পারফরম্যান্স প্রায় একই পর্যায়ে রয়েছে। তবে আরওয়ানের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এটি গণিত ও প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে দারুণ পারফর্ম করছে। অন্যদিকে, ওপেনএআই মডেলগুলো ভাষাগত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেও জটিল গাণিতিক বা কোডিং-সম্পর্কিত প্রশ্নে খুব একটা ভালো করতে পারে না। তবে ওপেনএআই নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য কাস্টমাইজড এবং দক্ষ সমাধান দিতে পারে। ওপেনএআইয়ের ওওয়ান মডেল ব্যবহার করতে মাসে ২০ ডলার খরচ করতে হয়। কিন্তু আরওয়ান অ্যাপ একেবারে ফ্রি। শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্যই নয়, ডেভেলপারদের জন্যও এটি পুরোপুরি ফ্রি।
ডিপসিকএআই স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সহজতর ব্যাখ্যাযোগ্য এআই সিস্টেম তৈরি করেছে, যা বিশেষত স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ। আরওয়ান এআই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক এআই মডেলগুলোর সমকক্ষ। কিন্তু তুলনামূলক অনেক কম খরচে তৈরি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো এত দিন ধরে এআই গবেষণায় শীর্ষে ছিল। কিন্তু চীনের অভূতপূর্ব সাফল্য পশ্চিমাদের সিলিকন ভ্যালিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর ডিপসিক এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে এমন কিছু নিয়ে আসবে, যা প্রযুক্তির দুনিয়াকে চমকে দেবে।
সূত্র: টেকটার্গেট
সেই খবর নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় হইচই চলছে এখনো। সংবাদটি হলো, অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোডের সংখ্যায় চ্যাটজিপিটিকে পেছনে ফেলেছে চীনের তৈরি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিপসিক। অনেকে মনে করছেন, এটি কেবল শুরু। চীনের নতুন এআই মডেলটির উত্থানের কারণে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতের শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে এই ডিপসিকের কারণে। এনভিডিয়ার মতো টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৯৩ বিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য উধাও হয়ে গেছে। তাহলে এমন কী নিয়ে এল এই ডিপসিক?
২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডিপসিক
চীনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রতিষ্ঠান ডিপসিক ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব চীনের হাংঝু শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং। মার্কিন বাজারে ডিপসিক উন্মোচিত হয় ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি। বর্তমানে ডিপসিক ‘হাই-ফ্লাইয়ার’-এর অধীনে একটি স্বাধীন এআই গবেষণা ল্যাব হিসেবে কাজ করছে। এর প্রথম মডেল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে উন্মুক্ত হয়। তারপর থেকে এটি বিভিন্ন সময়ে কিছু পরিবর্তন এবং উন্নতি করেছে। এটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার আরওয়ান রিজনিং মডেল প্রকাশের পরেই আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করে। ডিপসিক ওয়েব ইন্টারফেস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং এপিআই অ্যাকসেসের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।
গবেষণায় ও উন্নয়নে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে
লেখালেখি, অনুবাদ, কোডিংসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় ডিপসিক। তবে এটি গবেষণা ও উন্নয়নে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ডিপসিক আরওয়ান একটি ‘চেইন অব থট’ মডেল। এর মানে, এটি যখন কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়, তখন ধাপে ধাপে যুক্তি সাজিয়ে ব্যাখ্যা করতে থাকে। ঠিক যেমন একজন মানুষ চিন্তা করে এবং উত্তর তৈরি করে। সাধারণ এআই মডেলগুলো শুধু ডেটাবেইস থেকে তথ্য টেনে এনে উত্তর দেয়। কিন্তু আরওয়ান নিজের ভাবনাকে সাজিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারে। ফলে এর উত্তরগুলো বেশি নির্ভরযোগ্য ও বোধগম্য হয়। এ ছাড়া কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চ্যাটবট অপারগতা প্রকাশ করতে পারে। যেমন এই অ্যাপকে যখন বিবিসি জিজ্ঞেস করে, ১৯৮৯ সালের ৪ জুন কী হয়েছিল তিয়েনআনমেন স্কয়ারে? ডিপসিক উত্তর দেয়, ‘আমি দুঃখিত। এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না। আমি একজন এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং আমাকে এমন উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা সহায়ক এবং ক্ষতিকর নয়।’ অর্থাৎ চীনা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন অ্যাপ হওয়ায় চীন যেসব বিষয়কে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মনে করে, সেসব বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই এআই চ্যাটবট শতভাগ সঠিক না-ও হতে পারে।
ওপেনএআই ও ডিপসিকের পার্থক্য
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এআই প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। এর চ্যাটজিপিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, প্রবন্ধ লিখতে পারে এবং ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারে। বহুমুখী কাজের জন্য উপযুক্ত ওপেনএআই। অন্যদিকে, এআইকে আরও সক্ষম এবং সহজে ব্যবহারের উপযোগী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে ডিপসিক এআই। তাদের বিভিন্ন এআই মডেল বহুমুখী কাজ করতে পারে। ডিপসিক ভিথ্রি এবং আরওয়ান তৈরিতে ব্যয় করতে হয়েছিল মাত্র ৬০ লাখ ডলার। অন্যদিকে, জিপিটি-ফোর তৈরি করতে ১০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছিল।
এ দুটি মডেলের পারফরম্যান্স প্রায় একই পর্যায়ে রয়েছে। তবে আরওয়ানের আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এটি গণিত ও প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে দারুণ পারফর্ম করছে। অন্যদিকে, ওপেনএআই মডেলগুলো ভাষাগত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেও জটিল গাণিতিক বা কোডিং-সম্পর্কিত প্রশ্নে খুব একটা ভালো করতে পারে না। তবে ওপেনএআই নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য কাস্টমাইজড এবং দক্ষ সমাধান দিতে পারে। ওপেনএআইয়ের ওওয়ান মডেল ব্যবহার করতে মাসে ২০ ডলার খরচ করতে হয়। কিন্তু আরওয়ান অ্যাপ একেবারে ফ্রি। শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্যই নয়, ডেভেলপারদের জন্যও এটি পুরোপুরি ফ্রি।
ডিপসিকএআই স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য সহজতর ব্যাখ্যাযোগ্য এআই সিস্টেম তৈরি করেছে, যা বিশেষত স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ। আরওয়ান এআই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক এআই মডেলগুলোর সমকক্ষ। কিন্তু তুলনামূলক অনেক কম খরচে তৈরি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো এত দিন ধরে এআই গবেষণায় শীর্ষে ছিল। কিন্তু চীনের অভূতপূর্ব সাফল্য পশ্চিমাদের সিলিকন ভ্যালিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর ডিপসিক এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে এমন কিছু নিয়ে আসবে, যা প্রযুক্তির দুনিয়াকে চমকে দেবে।
সূত্র: টেকটার্গেট
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
৬ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
৬ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে