ফিচার ডেস্ক
একসময় ইন্টারনেটে কিছু খোঁজা মানেই ছিল গুগল করা। আগে যেসব তথ্য খুঁজতে সময় গুনতে হতো বেশি, একই কাজে গুগল সময় বাঁচিয়ে দিল একাধিক বিকল্প দিয়ে। মানুষ যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেল। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় আর অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল গুগল সার্চ ইঞ্জিন। তবে আজকের দিনে এর বিকল্প রয়েছে মানুষের কাছে। তবু গুগল সবার কাছে এখনো প্রথম পছন্দের।
এই বিশাল সাফল্য এখন গুগলের জন্যই বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে গুগলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে বাজার দখল করে রেখেছে। ফেডারেল জুরি এবং দুজন বিচারক বলছেন, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন, বিজ্ঞাপন ব্যবসা এবং প্লে স্টোরে একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে। গুগল যদি এসব মামলায় হেরে যায়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যেতে পারে। আর সেটি হবে ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি ‘এটি অ্যান্ড টি’ ভেঙে ফেলার পর সবচেয়ে বড় কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ভাঙার ঘটনা।
গুগল কীভাবে টেক জায়ান্ট হয়ে উঠল
গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয়, এর সঙ্গে ইউটিউব, গুগল ক্রোম, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম—সবই তাদের হাতে। ২০০০ সালের পর গুগল একের পর এক জনপ্রিয় সার্ভিস চালু করে এবং অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। গুগল সার্চের জনপ্রিয়তার কারণ হলো, এটি অন্যদের মতো ‘ফাইল ফোল্ডার’-এর মতো বিষয়ভিত্তিক ফলাফল দেখাত না; বরং সবচেয়ে বেশি ওয়েবসাইট রেফার করে তা দেখে ফলাফল সাজাত। এতে ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেত।
এ ছাড়া গুগল আইফোনের সঙ্গে চুক্তি করে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে জায়গা করে নেয়। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনেও গুগল প্রি-ইনস্টল থাকে।
এ ধরনের চুক্তিকে আদালত বলছেন অবৈধ এবং প্রতিযোগিতাবিরোধী। ২০২৪ সালে বিচারক অমিত মেহতা বলেন, ‘সার্চে একচেটিয়া বাজার তৈরি করেছে গুগল।’ এখন মার্কিন বিচার বিভাগ চায়, গুগল যেন ব্রাউজার ও অপারেটিং সিস্টেমে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে।
বিজ্ঞাপন দিয়েই গুগলের বিশাল আয়
গুগলের সার্চ ইঞ্জিন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকলে তাদের বিজ্ঞাপন থেকে আয়ও বাড়তে শুরু করে। এ বছরের প্রথম তিন মাসেই তারা প্রায় ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বিজ্ঞাপন থেকে। এর কারণ, মানুষ গুগলই বেশি ব্যবহার করে। তাই ব্যবসায়ীরাও গুগলের বিজ্ঞাপন কেনে। গুগল এমন এক সিস্টেম তৈরি করেছে, যেখানে বিজ্ঞাপনদাতা ও ওয়েবসাইট মালিক—উভয়েই গুগলের মাধ্যমে লেনদেন করে।
তবে এ নিয়েও মামলায় হারতে বসেছে গুগল। বিচারক লিওনি ব্রিংকেমা বলেছেন, ‘গুগল তার বিজ্ঞাপনসেবা ও প্রকাশক এক্সচেঞ্জ একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে একচেটিয়া ক্ষমতা তৈরি করেছে।’
এআই এখন গুগলের বড় চ্যালেঞ্জ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই গুগলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এখন চ্যাটজিপিটির মতো এআই টুল ব্যবহার করে তথ্য খোঁজেন অনেকে। ২০২৬ সালের মধ্যে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। অ্যাপলের এক কর্মকর্তা আদালতে জানিয়েছেন, আইফোনে গুগল সার্চের ব্যবহার কমছে। বিশেষজ্ঞ রবার্ট সিগেল বলেছেন, ‘যদি এআই আরও ভালো সমাধান দিতে পারে, তাহলে মানুষ গুগলের ব্যবহার কমাতে পারে।’
গুগল এখন শুধু একটা প্রতিষ্ঠান নয়; আধুনিক ইন্টারনেটের প্রতীক। কিন্তু বড় হতে হতে এখন তারা এতটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে যে সরকারও তাদের থামাতে চাইছে। আগামী আগস্টে গুগলের বিরুদ্ধে হওয়া অনেক মামলার রায় প্রকাশিত হতে পারে। সেটি শুধু গুগলের ভবিষ্যৎ নয়, পুরো ইন্টারনেট-ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
একসময় ইন্টারনেটে কিছু খোঁজা মানেই ছিল গুগল করা। আগে যেসব তথ্য খুঁজতে সময় গুনতে হতো বেশি, একই কাজে গুগল সময় বাঁচিয়ে দিল একাধিক বিকল্প দিয়ে। মানুষ যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেল। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় আর অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল গুগল সার্চ ইঞ্জিন। তবে আজকের দিনে এর বিকল্প রয়েছে মানুষের কাছে। তবু গুগল সবার কাছে এখনো প্রথম পছন্দের।
এই বিশাল সাফল্য এখন গুগলের জন্যই বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে গুগলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে বাজার দখল করে রেখেছে। ফেডারেল জুরি এবং দুজন বিচারক বলছেন, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন, বিজ্ঞাপন ব্যবসা এবং প্লে স্টোরে একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে। গুগল যদি এসব মামলায় হেরে যায়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যেতে পারে। আর সেটি হবে ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি ‘এটি অ্যান্ড টি’ ভেঙে ফেলার পর সবচেয়ে বড় কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ভাঙার ঘটনা।
গুগল কীভাবে টেক জায়ান্ট হয়ে উঠল
গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয়, এর সঙ্গে ইউটিউব, গুগল ক্রোম, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম—সবই তাদের হাতে। ২০০০ সালের পর গুগল একের পর এক জনপ্রিয় সার্ভিস চালু করে এবং অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। গুগল সার্চের জনপ্রিয়তার কারণ হলো, এটি অন্যদের মতো ‘ফাইল ফোল্ডার’-এর মতো বিষয়ভিত্তিক ফলাফল দেখাত না; বরং সবচেয়ে বেশি ওয়েবসাইট রেফার করে তা দেখে ফলাফল সাজাত। এতে ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেত।
এ ছাড়া গুগল আইফোনের সঙ্গে চুক্তি করে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে জায়গা করে নেয়। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনেও গুগল প্রি-ইনস্টল থাকে।
এ ধরনের চুক্তিকে আদালত বলছেন অবৈধ এবং প্রতিযোগিতাবিরোধী। ২০২৪ সালে বিচারক অমিত মেহতা বলেন, ‘সার্চে একচেটিয়া বাজার তৈরি করেছে গুগল।’ এখন মার্কিন বিচার বিভাগ চায়, গুগল যেন ব্রাউজার ও অপারেটিং সিস্টেমে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে।
বিজ্ঞাপন দিয়েই গুগলের বিশাল আয়
গুগলের সার্চ ইঞ্জিন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকলে তাদের বিজ্ঞাপন থেকে আয়ও বাড়তে শুরু করে। এ বছরের প্রথম তিন মাসেই তারা প্রায় ৬৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বিজ্ঞাপন থেকে। এর কারণ, মানুষ গুগলই বেশি ব্যবহার করে। তাই ব্যবসায়ীরাও গুগলের বিজ্ঞাপন কেনে। গুগল এমন এক সিস্টেম তৈরি করেছে, যেখানে বিজ্ঞাপনদাতা ও ওয়েবসাইট মালিক—উভয়েই গুগলের মাধ্যমে লেনদেন করে।
তবে এ নিয়েও মামলায় হারতে বসেছে গুগল। বিচারক লিওনি ব্রিংকেমা বলেছেন, ‘গুগল তার বিজ্ঞাপনসেবা ও প্রকাশক এক্সচেঞ্জ একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে একচেটিয়া ক্ষমতা তৈরি করেছে।’
এআই এখন গুগলের বড় চ্যালেঞ্জ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই গুগলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এখন চ্যাটজিপিটির মতো এআই টুল ব্যবহার করে তথ্য খোঁজেন অনেকে। ২০২৬ সালের মধ্যে সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। অ্যাপলের এক কর্মকর্তা আদালতে জানিয়েছেন, আইফোনে গুগল সার্চের ব্যবহার কমছে। বিশেষজ্ঞ রবার্ট সিগেল বলেছেন, ‘যদি এআই আরও ভালো সমাধান দিতে পারে, তাহলে মানুষ গুগলের ব্যবহার কমাতে পারে।’
গুগল এখন শুধু একটা প্রতিষ্ঠান নয়; আধুনিক ইন্টারনেটের প্রতীক। কিন্তু বড় হতে হতে এখন তারা এতটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে যে সরকারও তাদের থামাতে চাইছে। আগামী আগস্টে গুগলের বিরুদ্ধে হওয়া অনেক মামলার রায় প্রকাশিত হতে পারে। সেটি শুধু গুগলের ভবিষ্যৎ নয়, পুরো ইন্টারনেট-ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
অ্যাপলের এয়ারপডসে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক নতুন যুগান্তকারী ফিচার ‘লাইভ ট্রান্সলেশন’। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোনকলের পাশাপাশি সামনে থাকা ব্যক্তির কথাও অনুবাদ করে দেবে এয়ারপডসটি।
১ ঘণ্টা আগেসাধারণ ছবিকে এবার সরাসরি থ্রিডি মডেলে রূপ দেওয়া যাবে। এমনই এক চমকপ্রদ প্রযুক্তি এনেছে মাইক্রোসফট। ‘কোপাইলট থ্রিডি’ নামের এই নতুন এআই টুলটি তৈরি করেছে কোপাইলট ল্যাবস। এর মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ইমেজ, পিএনজি বা জেপিজি ফরম্যাটের ১০ মেগাবাইটের নিচের যেকোনো ছবি দিয়ে তৈরি করা যাবে থ্রিডি মডেল।
৩ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের অ্যাপ স্টোর নীতিমালা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পিন করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানিকে অ্যাপ স্টোরের র্য
৭ ঘণ্টা আগে