আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সিআইডি নয়, প্রাইভেট গোয়েন্দাও নয়—ইনস্টাগ্রাম রিলই খুঁজে দিল ‘মৃত’ স্বামীকে। সাত বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে একটি ৩০ সেকেন্ডের রিল দেখে খুঁজে পান ভারতের উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলার এক নারী। পরে জানা যায়, সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় দিব্যি ঘর-সংসার করছেন।
ঘটনাটি হারদোই জেলার সন্দিলা এলাকার মুরারনগরের বাসিন্দা শীলু দেবীর। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তাঁর বিয়ে হয় জিতেন্দ্র কুমার ওরফে বাবলুর (৩২) সঙ্গে। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই শীলু অন্তঃসত্ত্বা হন। তবে ২০১৮ সালে বাবলু হঠাৎ নিখোঁজ হন।
স্বামীকে খুঁজে পেতে শীলু থানায় অভিযোগ করেন। এদিকে বাবলুর পরিবার শীলুকে সহযোগিতা তো করেইনি, উল্টো তাঁকেই স্বামীর খুনের সন্দেহে অভিযুক্ত করে। ফলে সামাজিকভাবে ‘স্বামী খুনের অভিযোগে কলঙ্কিত’ হয়েই সন্তানকে বড় করতে বাধ্য হন শীলু। এর মধ্যে তদন্তের গতিও থেমে যায়।
এরপর চলতি বছরে ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে গিয়ে আচমকা এক রিলে চোখ আটকে যায় শীলুর। রিলটিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি লুধিয়ানায় দাঁড়িয়ে নাচছেন—মজার বিষয়, ওই ব্যক্তিকে দেখে শীলুর মনে হয় এ তো বাবলুই! শুধু তাই নয়, ভিডিওতে আরও এক নারীকে তাঁর পাশে দেখা যায়, যাঁকে পরে পুলিশ জানায় বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রী।
রিলটি ভাইরাল করে শীলু ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দিলা সার্কেলের সার্কেল অফিসার সন্তোষ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে এসআই রজনীকান্ত পান্ডে, হেড কনস্টেবল দিবাকর মিশ্র ও কনস্টেবল সুনীল কুমারের একটি দল তদন্তে নামে। ইনস্টাগ্রাম রিলের সূত্র ধরেই তাঁরা লুধিয়ানার একটি কাপড়ের কারখানায় বাবলুকে খুঁজে পান। জানা যায়, তিনি সেখানেই কাজ করছিলেন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকছিলেন।
পরে তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ৮২ (১) ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
শীলু জানান, বিয়ের পর বাবলুর ব্যবহার একেবারে পাল্টে যায়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাবার বাড়ি ফিরে যান। এর কিছুদিন পর জানতে পারেন, বাবলু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গেছেন। তখন তিনি চার মাসের গর্ভবতী।
বাবলুর পরিবার শুরু থেকেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখত, দাবি করেন শীলু। তারা নিজেই পুলিশের কাছে শীলুর বিরুদ্ধে বাবলুকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল।
বাবলুর খোঁজ পাওয়ার পরও স্বস্তির বদলে ব্যথাই বেশি পাচ্ছেন শীলু। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমার গর্ভাবস্থায়, যখন আমার সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, তখন ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল। সাত বছর ধরে আমি অপেক্ষা করেছি। ভাবিনি, এক রিলেই সব শেষ হবে আর শুরু হবে নতুন এক প্রতারণার গল্প।’
পুলিশ জানিয়েছে, বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রীসহ তাঁর নতুন জীবনের সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
তথ্যসুত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সিআইডি নয়, প্রাইভেট গোয়েন্দাও নয়—ইনস্টাগ্রাম রিলই খুঁজে দিল ‘মৃত’ স্বামীকে। সাত বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে একটি ৩০ সেকেন্ডের রিল দেখে খুঁজে পান ভারতের উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলার এক নারী। পরে জানা যায়, সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় দিব্যি ঘর-সংসার করছেন।
ঘটনাটি হারদোই জেলার সন্দিলা এলাকার মুরারনগরের বাসিন্দা শীলু দেবীর। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তাঁর বিয়ে হয় জিতেন্দ্র কুমার ওরফে বাবলুর (৩২) সঙ্গে। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই শীলু অন্তঃসত্ত্বা হন। তবে ২০১৮ সালে বাবলু হঠাৎ নিখোঁজ হন।
স্বামীকে খুঁজে পেতে শীলু থানায় অভিযোগ করেন। এদিকে বাবলুর পরিবার শীলুকে সহযোগিতা তো করেইনি, উল্টো তাঁকেই স্বামীর খুনের সন্দেহে অভিযুক্ত করে। ফলে সামাজিকভাবে ‘স্বামী খুনের অভিযোগে কলঙ্কিত’ হয়েই সন্তানকে বড় করতে বাধ্য হন শীলু। এর মধ্যে তদন্তের গতিও থেমে যায়।
এরপর চলতি বছরে ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে গিয়ে আচমকা এক রিলে চোখ আটকে যায় শীলুর। রিলটিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি লুধিয়ানায় দাঁড়িয়ে নাচছেন—মজার বিষয়, ওই ব্যক্তিকে দেখে শীলুর মনে হয় এ তো বাবলুই! শুধু তাই নয়, ভিডিওতে আরও এক নারীকে তাঁর পাশে দেখা যায়, যাঁকে পরে পুলিশ জানায় বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রী।
রিলটি ভাইরাল করে শীলু ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দিলা সার্কেলের সার্কেল অফিসার সন্তোষ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে এসআই রজনীকান্ত পান্ডে, হেড কনস্টেবল দিবাকর মিশ্র ও কনস্টেবল সুনীল কুমারের একটি দল তদন্তে নামে। ইনস্টাগ্রাম রিলের সূত্র ধরেই তাঁরা লুধিয়ানার একটি কাপড়ের কারখানায় বাবলুকে খুঁজে পান। জানা যায়, তিনি সেখানেই কাজ করছিলেন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকছিলেন।
পরে তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ৮২ (১) ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
শীলু জানান, বিয়ের পর বাবলুর ব্যবহার একেবারে পাল্টে যায়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাবার বাড়ি ফিরে যান। এর কিছুদিন পর জানতে পারেন, বাবলু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গেছেন। তখন তিনি চার মাসের গর্ভবতী।
বাবলুর পরিবার শুরু থেকেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখত, দাবি করেন শীলু। তারা নিজেই পুলিশের কাছে শীলুর বিরুদ্ধে বাবলুকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল।
বাবলুর খোঁজ পাওয়ার পরও স্বস্তির বদলে ব্যথাই বেশি পাচ্ছেন শীলু। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমার গর্ভাবস্থায়, যখন আমার সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, তখন ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল। সাত বছর ধরে আমি অপেক্ষা করেছি। ভাবিনি, এক রিলেই সব শেষ হবে আর শুরু হবে নতুন এক প্রতারণার গল্প।’
পুলিশ জানিয়েছে, বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রীসহ তাঁর নতুন জীবনের সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
তথ্যসুত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের জীবনের বড় একটি পরিবর্তনের সূচনা করেছে। অনেকে বলছেন, এআই আমাদের চাকরি নেবে, সৃজনশীল কাজ কেড়ে নেবে, এমনকি জীবনের অর্থবোধও ধ্বংস করে দেবে। তবে জাপানের একজন বিজ্ঞানী, কেন মোগি, মনে করেন—এই ভয় থেকে বাঁচার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে ইকিগাই দর্শনের ভেতর।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই (VoWiFi) সেবা চালু করেছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, এই উদ্যোগকে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে অভিনন্দন...
১০ ঘণ্টা আগেএখন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিলবে ফ্রি ওয়াইফাই ও টেলিফোন সেবা। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) পক্ষ থেকে এই ফ্রি ওয়াইফাই এবং ফ্রি টেলিফোন সেবা চালু করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এ সেবার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের..
১১ ঘণ্টা আগেলেখকদের দায়ের করা কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলা নিষ্পত্তিতে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি ডলার (প্রায় ১.১১ বিলিয়ন পাউন্ড) পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। লেখকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি তাদের বই অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করেছে ক্লদ নামে এআই চ্যাটবট প্রশিক্ষণের জন্য।
১২ ঘণ্টা আগে