Ajker Patrika

সাত বছর আগে ‘মৃত’ স্বামী রিলস বানাচ্ছেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
লুধিয়ানার কাপড়ের কারখানায় কাজ করছিলেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকছিলেন বাবলু। ছবি: সংগৃহীত
লুধিয়ানার কাপড়ের কারখানায় কাজ করছিলেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকছিলেন বাবলু। ছবি: সংগৃহীত

সিআইডি নয়, প্রাইভেট গোয়েন্দাও নয়—ইনস্টাগ্রাম রিলই খুঁজে দিল ‘মৃত’ স্বামীকে। সাত বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে একটি ৩০ সেকেন্ডের রিল দেখে খুঁজে পান ভারতের উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলার এক নারী। পরে জানা যায়, সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় দিব্যি ঘর-সংসার করছেন।

ঘটনাটি হারদোই জেলার সন্দিলা এলাকার মুরারনগরের বাসিন্দা শীলু দেবীর। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তাঁর বিয়ে হয় জিতেন্দ্র কুমার ওরফে বাবলুর (৩২) সঙ্গে। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই শীলু অন্তঃসত্ত্বা হন। তবে ২০১৮ সালে বাবলু হঠাৎ নিখোঁজ হন।

স্বামীকে খুঁজে পেতে শীলু থানায় অভিযোগ করেন। এদিকে বাবলুর পরিবার শীলুকে সহযোগিতা তো করেইনি, উল্টো তাঁকেই স্বামীর খুনের সন্দেহে অভিযুক্ত করে। ফলে সামাজিকভাবে ‘স্বামী খুনের অভিযোগে কলঙ্কিত’ হয়েই সন্তানকে বড় করতে বাধ্য হন শীলু। এর মধ্যে তদন্তের গতিও থেমে যায়।

এরপর চলতি বছরে ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে গিয়ে আচমকা এক রিলে চোখ আটকে যায় শীলুর। রিলটিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি লুধিয়ানায় দাঁড়িয়ে নাচছেন—মজার বিষয়, ওই ব্যক্তিকে দেখে শীলুর মনে হয় এ তো বাবলুই! শুধু তাই নয়, ভিডিওতে আরও এক নারীকে তাঁর পাশে দেখা যায়, যাঁকে পরে পুলিশ জানায় বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রী।

রিলটি ভাইরাল করে শীলু ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দিলা সার্কেলের সার্কেল অফিসার সন্তোষ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে এসআই রজনীকান্ত পান্ডে, হেড কনস্টেবল দিবাকর মিশ্র ও কনস্টেবল সুনীল কুমারের একটি দল তদন্তে নামে। ইনস্টাগ্রাম রিলের সূত্র ধরেই তাঁরা লুধিয়ানার একটি কাপড়ের কারখানায় বাবলুকে খুঁজে পান। জানা যায়, তিনি সেখানেই কাজ করছিলেন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকছিলেন।

পরে তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ৮২ (১) ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।

শীলু জানান, বিয়ের পর বাবলুর ব্যবহার একেবারে পাল্টে যায়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাবার বাড়ি ফিরে যান। এর কিছুদিন পর জানতে পারেন, বাবলু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গেছেন। তখন তিনি চার মাসের গর্ভবতী।

বাবলুর পরিবার শুরু থেকেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখত, দাবি করেন শীলু। তারা নিজেই পুলিশের কাছে শীলুর বিরুদ্ধে বাবলুকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল।

বাবলুর খোঁজ পাওয়ার পরও স্বস্তির বদলে ব্যথাই বেশি পাচ্ছেন শীলু। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমার গর্ভাবস্থায়, যখন আমার সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, তখন ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল। সাত বছর ধরে আমি অপেক্ষা করেছি। ভাবিনি, এক রিলেই সব শেষ হবে আর শুরু হবে নতুন এক প্রতারণার গল্প।’

পুলিশ জানিয়েছে, বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রীসহ তাঁর নতুন জীবনের সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

তথ্যসুত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৫০ সাল নাগাদ ইনফ্লুয়েন্সারদের চেহারা কেমন হবে, ধারণা দিলেন গবেষকেরা

প্রিজন ভ্যান থামিয়ে ছাগল-কাণ্ডের মতিউরকে অনৈতিক সুবিধা, ১১ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ভয়েস ওভার ওয়াই-ফাই, সুবিধা কী

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন না মোদি, কী বার্তা দিচ্ছে দিল্লি

মেডিকেল কলেজ: মানের ঘাটতিতে হবে বন্ধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত