মহাকাশে দীর্ঘতম সময় কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন রাশিয়ার এক নভোচারী। গতকাল রোববার মহাকাশে ঘুরে বেড়ানোর ৮৭৮তম দিন পার করেছেন ওলেগ কনোনেঙ্কো। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রসকসমস এক বিবৃতিতে বলে, আন্তর্জাতিক সময় ৮টা ৩০ মিনিটে রেকর্ড গড়েন কনোনেঙ্কো। আগামী ৫ জুন মহাকাশে ১ হাজারতম দিন পার করতে যাচ্ছেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ তিনি ১ হাজার ১১০তম দিন কাটাবেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকেই রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কনোনেঙ্কো বলেন, ‘আমার ভালো লাগে, তাই আমি মহাকাশে ঘুরি, কোনো রেকর্ড গড়ার জন্য নয়।’ তিনি বর্তমানে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেন।
কনোনেঙ্কো বলেন, ‘আমি আমার সব অর্জনের জন্য গর্বিত। তবে মহাকাশে কোনো মানুষের দীর্ঘতম সময় অবস্থানের রেকর্ড এখনো রাশিয়ার মহাকাশচারীদের দখলে। তাই আমি আরও বেশি গর্বিত।’
আগের রেকর্ডধারী পাদালকাকে টপকে গেছেন ৫৯ বছর বয়সী কনোনেঙ্কো। পাদালকা মহাকাশে ৮৭৮ দিন ১১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কাটিয়েছেন বলে জানায় রসকসমস।
এর আগে ১৯৫৭ সালে পশ্চিমাদের চমকে দিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করা প্রথম স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) স্পুতনিক ১ উৎক্ষেপণ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। মহাকাশচারী প্রথম মানব হিসেবে ১৯৬১ সালে মহাকাশ ভ্রমণ করেন ইউরি গ্যাগারিন।
তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর রাশিয়ার মহাকাশ কার্যক্রম অর্থায়ন ও দুর্নীতির কবলে মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে থাকা কর্মকর্তারা রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচির এ ধস রুখে পরিস্থিতি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বারবার। তবে বড় ধরনের সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।
কনোনেঙ্কো বলেন, মহাকাশে ওজনহীনতার কারণে শরীরে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মোটেও বঞ্চিত বা বিচ্ছিন্নতা বোধ করি না। শুধু বাড়ি ফিরলেই মনে হয়, আমার সন্তানেরা শত শত দিন ধরে বাবার অনুপস্থিতিতেই বড় হচ্ছে। এ সময় আমাকে কেউ ফিরিয়ে দেবে না।’
মহাকাশচারীরা এখন ভিডিও কল ও মেসেজিংয়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কনোনেঙ্কো বলেন, তবে দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে প্রতিবার মহাকাশযাত্রার জন্য নতুন প্রযুক্তির যোগাযোগব্যবস্থা যুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
কনোনেঙ্কো বলেন, ‘মহাকাশচারীর পেশা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। ব্যবস্থা ও পরীক্ষাগুলো আরও জটিল হয়ে পড়েছে। আমি আবারও বলছি, প্রস্তুতিগুলো এখনো সহজ হয়নি।’
ছোটবেলা থেকেই মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন কনোনেঙ্কো, আর তা পূরণের জন্যই প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন তিনি। এরপর তিনি মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ নেন। ২০০৮ সালে ছিল তাঁর প্রথম মহাকাশযাত্রা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে তাঁর সর্বশেষ ফ্লাইটটি ছিল গত বছর, রাশিয়ার সয়ুজ এমএস-২৪ মহাকাশযানে।
আইএসএস অল্প কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পের মধ্যে একটি, যেটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এখনো যৌথভাবে কাজ করে। গত ডিসেম্বরে রসকসমস জানিয়েছে, নাসার সঙ্গে যৌথভাবে মহাকাশচারী পাঠানোর কর্মসূচি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
মহাকাশে দীর্ঘতম সময় কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন রাশিয়ার এক নভোচারী। গতকাল রোববার মহাকাশে ঘুরে বেড়ানোর ৮৭৮তম দিন পার করেছেন ওলেগ কনোনেঙ্কো। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রসকসমস এক বিবৃতিতে বলে, আন্তর্জাতিক সময় ৮টা ৩০ মিনিটে রেকর্ড গড়েন কনোনেঙ্কো। আগামী ৫ জুন মহাকাশে ১ হাজারতম দিন পার করতে যাচ্ছেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ তিনি ১ হাজার ১১০তম দিন কাটাবেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকেই রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কনোনেঙ্কো বলেন, ‘আমার ভালো লাগে, তাই আমি মহাকাশে ঘুরি, কোনো রেকর্ড গড়ার জন্য নয়।’ তিনি বর্তমানে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেন।
কনোনেঙ্কো বলেন, ‘আমি আমার সব অর্জনের জন্য গর্বিত। তবে মহাকাশে কোনো মানুষের দীর্ঘতম সময় অবস্থানের রেকর্ড এখনো রাশিয়ার মহাকাশচারীদের দখলে। তাই আমি আরও বেশি গর্বিত।’
আগের রেকর্ডধারী পাদালকাকে টপকে গেছেন ৫৯ বছর বয়সী কনোনেঙ্কো। পাদালকা মহাকাশে ৮৭৮ দিন ১১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কাটিয়েছেন বলে জানায় রসকসমস।
এর আগে ১৯৫৭ সালে পশ্চিমাদের চমকে দিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করা প্রথম স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) স্পুতনিক ১ উৎক্ষেপণ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। মহাকাশচারী প্রথম মানব হিসেবে ১৯৬১ সালে মহাকাশ ভ্রমণ করেন ইউরি গ্যাগারিন।
তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর রাশিয়ার মহাকাশ কার্যক্রম অর্থায়ন ও দুর্নীতির কবলে মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে থাকা কর্মকর্তারা রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচির এ ধস রুখে পরিস্থিতি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বারবার। তবে বড় ধরনের সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।
কনোনেঙ্কো বলেন, মহাকাশে ওজনহীনতার কারণে শরীরে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মোটেও বঞ্চিত বা বিচ্ছিন্নতা বোধ করি না। শুধু বাড়ি ফিরলেই মনে হয়, আমার সন্তানেরা শত শত দিন ধরে বাবার অনুপস্থিতিতেই বড় হচ্ছে। এ সময় আমাকে কেউ ফিরিয়ে দেবে না।’
মহাকাশচারীরা এখন ভিডিও কল ও মেসেজিংয়ের মাধ্যমে পৃথিবীতে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কনোনেঙ্কো বলেন, তবে দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে প্রতিবার মহাকাশযাত্রার জন্য নতুন প্রযুক্তির যোগাযোগব্যবস্থা যুক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
কনোনেঙ্কো বলেন, ‘মহাকাশচারীর পেশা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। ব্যবস্থা ও পরীক্ষাগুলো আরও জটিল হয়ে পড়েছে। আমি আবারও বলছি, প্রস্তুতিগুলো এখনো সহজ হয়নি।’
ছোটবেলা থেকেই মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন কনোনেঙ্কো, আর তা পূরণের জন্যই প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন তিনি। এরপর তিনি মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ নেন। ২০০৮ সালে ছিল তাঁর প্রথম মহাকাশযাত্রা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে তাঁর সর্বশেষ ফ্লাইটটি ছিল গত বছর, রাশিয়ার সয়ুজ এমএস-২৪ মহাকাশযানে।
আইএসএস অল্প কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পের মধ্যে একটি, যেটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এখনো যৌথভাবে কাজ করে। গত ডিসেম্বরে রসকসমস জানিয়েছে, নাসার সঙ্গে যৌথভাবে মহাকাশচারী পাঠানোর কর্মসূচি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১৫ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৯ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১ দিন আগে