অনলাইন ডেস্ক
জনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘ফোর্টনাইট’ এখন আর আইফোন বা আইপ্যাডে খেলা যাচ্ছে না। বিশ্বের সব দেশের আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য গেমটি ব্লক হয়ে গেছে। গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইপিক গেমস গতকাল শুক্রবার এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে।
এক্সের (পূর্বের টুইটার) এক পোস্টে ইপিক গেমস জানিয়েছে, ‘অ্যাপল আমাদের ফোর্টনাইট আপডেট জমা দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে আমরা গেমটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোর বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইপিক গেমস স্টোরে প্রকাশ করতে পারছি না।
তারা আরও জানায়, ‘অ্যাপলের এই পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক পর্যায়ে আইওএস ডিভাইসে ফোর্টনাইট খেলতে না পারার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, অ্যাপল বাধা না সরালে ফোর্টনাইট আইওএসে চালু করা সম্ভব নয়।
অ্যাপল অবশ্য বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে অ্যাপল জানায়, তারা ইপিক সুইডেনকে অনুরোধ করেছিল যেন তারা ফোর্টনাইট অ্যাপ আপডেটটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে না পাঠিয়ে কেবল ইউরোপসহ অন্য বাজারে প্রকাশ করে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বিষয়টি এখনো আইনি জটিলতার মধ্যে আছে।
অ্যাপলের মতে, যদি ইপিক তাদের অনুরোধ মতো শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য আপডেটটি জমা দিত, তাহলে অন্তত সেই অঞ্চলে গেমটি চালু রাখা যেত। ফলে, ইপিক গেমস নিজেই এমনভাবে অ্যাপটি জমা দিয়েছে, যাতে অ্যাপল বাধ্য হয়েছে সেটি আটকে দিতে।
অ্যাপলের বক্তব্য, ‘আমরা কোনোভাবেই ফোর্টনাইটের লাইভ ভার্সনকে বিকল্প ডিস্ট্রিবিউশন মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে সরিয়ে দিইনি।’
অ্যাপল ও ইপিকের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। ২০২০ সালে ইপিক অ্যাপলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট মামলা করে। তাদের অভিযোগ ছিল, অ্যাপল বেআইনিভাবে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে গেম নির্মাতাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক ইভন গনজালেজ রজার্স অধিকাংশ অভিযোগ খারিজ করলেও অ্যাপলকে নির্দেশ দেন, তারা যেন অ্যাপে বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেমের লিংক যুক্ত করার সুযোগ দেয়। তবে এর ফলে অ্যাপলের দীর্ঘদিনের ৩০ শতাংশ কমিশন সংগ্রহব্যবস্থায় ফাটল ধরে।
সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত আপিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর অ্যাপল গত বছর একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করে, যা বিকল্প সংগ্রহব্যবস্থার লিংক ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তবে, নিজের সিস্টেমের বাইরে কোনো ইন-অ্যাপ লেনদেন হলে সেখানেও ২৭ শতাংশ কমিশন আরোপ করে অ্যাপল। ইপিক তখন অভিযোগ করে, অ্যাপল আদালতের আদেশের অবজ্ঞা করছে।
দীর্ঘ নতুন এক বিচার প্রক্রিয়ার পর গত মাসে অ্যাপলকে ‘সিভিল কনটেম্পট’ অর্থাৎ, আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক রজার্স। পাশাপাশি, অ্যাপলকে বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম থেকে কোনো কমিশন না নিতে নির্দেশ দেন।
এই রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ফোর্টনাইটের অ্যাপ স্টোরে ফেরার পথ খুলে যায়। ইপিক সেই প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনই আসে অ্যাপলের নতুন বাধা।
২০২০ সালেই প্রথমবারের মতো ফোর্টনাইট গেমটিকে নিষিদ্ধ করে অ্যাপল। তবে গত বছর ‘ডিজিটাল মার্কেট অ্যাক্ট’ প্রতিপালনে ‘বিগ টেক’ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের চাপের প্রেক্ষাপটে অ্যাপল বাধ্য হয়েই ফোর্টনাইট গেমটিকে ফিরিয়ে আনে।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফোর্টনাইটকে আইফোনের ‘ইপিক গেমস স্টোর’-এর মাধ্যমে চালুর পরিকল্পনা ছিল। ইউরোপীয় নতুন প্রযুক্তি আইনের চাপে অ্যাপল এই সুযোগ দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু অ্যাপলের সর্বশেষ পদক্ষেপে সেই পথও বন্ধ হয়ে গেল।
জনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘ফোর্টনাইট’ এখন আর আইফোন বা আইপ্যাডে খেলা যাচ্ছে না। বিশ্বের সব দেশের আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য গেমটি ব্লক হয়ে গেছে। গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইপিক গেমস গতকাল শুক্রবার এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে।
এক্সের (পূর্বের টুইটার) এক পোস্টে ইপিক গেমস জানিয়েছে, ‘অ্যাপল আমাদের ফোর্টনাইট আপডেট জমা দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে আমরা গেমটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোর বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইপিক গেমস স্টোরে প্রকাশ করতে পারছি না।
তারা আরও জানায়, ‘অ্যাপলের এই পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক পর্যায়ে আইওএস ডিভাইসে ফোর্টনাইট খেলতে না পারার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, অ্যাপল বাধা না সরালে ফোর্টনাইট আইওএসে চালু করা সম্ভব নয়।
অ্যাপল অবশ্য বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে অ্যাপল জানায়, তারা ইপিক সুইডেনকে অনুরোধ করেছিল যেন তারা ফোর্টনাইট অ্যাপ আপডেটটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে না পাঠিয়ে কেবল ইউরোপসহ অন্য বাজারে প্রকাশ করে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বিষয়টি এখনো আইনি জটিলতার মধ্যে আছে।
অ্যাপলের মতে, যদি ইপিক তাদের অনুরোধ মতো শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য আপডেটটি জমা দিত, তাহলে অন্তত সেই অঞ্চলে গেমটি চালু রাখা যেত। ফলে, ইপিক গেমস নিজেই এমনভাবে অ্যাপটি জমা দিয়েছে, যাতে অ্যাপল বাধ্য হয়েছে সেটি আটকে দিতে।
অ্যাপলের বক্তব্য, ‘আমরা কোনোভাবেই ফোর্টনাইটের লাইভ ভার্সনকে বিকল্প ডিস্ট্রিবিউশন মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে সরিয়ে দিইনি।’
অ্যাপল ও ইপিকের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। ২০২০ সালে ইপিক অ্যাপলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট মামলা করে। তাদের অভিযোগ ছিল, অ্যাপল বেআইনিভাবে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে গেম নির্মাতাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক ইভন গনজালেজ রজার্স অধিকাংশ অভিযোগ খারিজ করলেও অ্যাপলকে নির্দেশ দেন, তারা যেন অ্যাপে বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেমের লিংক যুক্ত করার সুযোগ দেয়। তবে এর ফলে অ্যাপলের দীর্ঘদিনের ৩০ শতাংশ কমিশন সংগ্রহব্যবস্থায় ফাটল ধরে।
সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত আপিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর অ্যাপল গত বছর একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করে, যা বিকল্প সংগ্রহব্যবস্থার লিংক ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তবে, নিজের সিস্টেমের বাইরে কোনো ইন-অ্যাপ লেনদেন হলে সেখানেও ২৭ শতাংশ কমিশন আরোপ করে অ্যাপল। ইপিক তখন অভিযোগ করে, অ্যাপল আদালতের আদেশের অবজ্ঞা করছে।
দীর্ঘ নতুন এক বিচার প্রক্রিয়ার পর গত মাসে অ্যাপলকে ‘সিভিল কনটেম্পট’ অর্থাৎ, আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক রজার্স। পাশাপাশি, অ্যাপলকে বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম থেকে কোনো কমিশন না নিতে নির্দেশ দেন।
এই রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ফোর্টনাইটের অ্যাপ স্টোরে ফেরার পথ খুলে যায়। ইপিক সেই প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনই আসে অ্যাপলের নতুন বাধা।
২০২০ সালেই প্রথমবারের মতো ফোর্টনাইট গেমটিকে নিষিদ্ধ করে অ্যাপল। তবে গত বছর ‘ডিজিটাল মার্কেট অ্যাক্ট’ প্রতিপালনে ‘বিগ টেক’ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের চাপের প্রেক্ষাপটে অ্যাপল বাধ্য হয়েই ফোর্টনাইট গেমটিকে ফিরিয়ে আনে।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফোর্টনাইটকে আইফোনের ‘ইপিক গেমস স্টোর’-এর মাধ্যমে চালুর পরিকল্পনা ছিল। ইউরোপীয় নতুন প্রযুক্তি আইনের চাপে অ্যাপল এই সুযোগ দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু অ্যাপলের সর্বশেষ পদক্ষেপে সেই পথও বন্ধ হয়ে গেল।
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে