আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অ্যাপ স্টোরে প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণের অভিযোগে ইউরোপীয় কমিশনের আরোপিত ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ইউরো জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী সংস্থা ‘আইন অনুযায়ী যতটুকু প্রয়োজন, সেটার অনেক বাইরে গিয়ে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যাপলকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন পাউন্ড) জরিমানা করে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের অভিযোগ ছিল, অ্যাপল তাদের অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে অ্যাপ নির্মাতাদের সস্তা বিকল্পের দিকে গ্রাহকদের নির্দেশনা দিতে বাধা দিচ্ছিল।
জরিমানার মুখে গত মাসে অ্যাপল তাদের অ্যাপ স্টোরের নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আনে।
দৈনিক গড় আয়ের ৫ শতাংশ (প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউরো) জরিমানার ঝুঁকি এড়াতে কোম্পানিটি কারিগরি ও বাণিজ্যিকভাবে আরোপিত প্রতিবন্ধকতা তুলে নেয়।
তবে সোমবার অ্যাপল অভিযোগ করে, ইইউর চাপের মুখে তাদের ‘জটিল’ ব্যবসায়িক শর্ত প্রয়োগ করতে হয়েছে, যা অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য বিভ্রান্তিকর এবং ব্যবহারকারীদের জন্য ক্ষতিকর।
এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানায়, ‘আজ আমরা আপিল করেছি, কারণ আমরা বিশ্বাস করি ইউরোপীয় কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ও জরিমানা আইনের সীমা অতিক্রম করেছে। আমাদের আপিল প্রমাণ করবে, কমিশন আমাদের স্টোর চালানোর পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং এমন শর্ত দিচ্ছে, যা ডেভেলপারদের জন্য বিভ্রান্তিকর ও ব্যবহারকারীদের জন্য ক্ষতিকর।’
অ্যাপল আরও অভিযোগ করে, কমিশন ‘স্টিয়ারিং’ (অ্যাপ নির্মাতারা ব্যবহারকারীদের অ্যাপ স্টোরের বাইরে অফারে নিতে পারবে কি না) বিষয়টির সংজ্ঞা বেআইনিভাবে প্রসারিত করেছে। শুধু বাহ্যিক ওয়েবসাইটে লিংক দেওয়ার বিষয় নয়, বরং অ্যাপের ভেতরে অফার প্রচার করাও কি না, তা এই সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে দিয়েছে কমিশন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এই জরিমানাকে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘আইনি যুদ্ধ’ (lawfare) বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপ আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে ‘অশুল্ক অস্ত্র’ ব্যবহার করছে।
এপ্রিলে ইউরোপীয় কমিশনের প্রযুক্তি সার্বভৌমত্ববিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেন্না ভির্কুনেন জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য ইউরোপ তার ডিজিটাল নিয়মনীতি বাতিল করবে না। এর আগে জানুয়ারিতে মেটা (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ অভিযোগ করেছিলেন, ইইউর ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে তারা ‘সেন্সরশিপ প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ’ করছে।
ট্রাম্প আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছেন। না হলে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতা ও বাজার কর্তৃপক্ষের সাবেক আইনি পরিচালক এবং এখন গেরাডিন পার্টনার্সের প্রতিযোগিতা আইনজীবী টম স্মিথ বলেন, ‘অ্যাপল প্রকৃতপক্ষে তার অ্যাপ স্টোরের নিয়ম পরিবর্তন একেবারেই সহ্য করতে পারে না। কয়েক মিলিয়ন ইউরো খরচ করে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতেও তারা রাজি, এতে করে উন্মুক্ত অ্যাপ ইকোসিস্টেম গঠনের পথ বিলম্বিত হবে। কারণ এই বাজারে বছরে কয়েক বিলিয়ন ইউরো আয় হয় অ্যাপলের।’
এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আদালতে আমাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে প্রস্তুত।’
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
অ্যাপ স্টোরে প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণের অভিযোগে ইউরোপীয় কমিশনের আরোপিত ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ইউরো জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী সংস্থা ‘আইন অনুযায়ী যতটুকু প্রয়োজন, সেটার অনেক বাইরে গিয়ে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যাপলকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন পাউন্ড) জরিমানা করে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের অভিযোগ ছিল, অ্যাপল তাদের অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে অ্যাপ নির্মাতাদের সস্তা বিকল্পের দিকে গ্রাহকদের নির্দেশনা দিতে বাধা দিচ্ছিল।
জরিমানার মুখে গত মাসে অ্যাপল তাদের অ্যাপ স্টোরের নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আনে।
দৈনিক গড় আয়ের ৫ শতাংশ (প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউরো) জরিমানার ঝুঁকি এড়াতে কোম্পানিটি কারিগরি ও বাণিজ্যিকভাবে আরোপিত প্রতিবন্ধকতা তুলে নেয়।
তবে সোমবার অ্যাপল অভিযোগ করে, ইইউর চাপের মুখে তাদের ‘জটিল’ ব্যবসায়িক শর্ত প্রয়োগ করতে হয়েছে, যা অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য বিভ্রান্তিকর এবং ব্যবহারকারীদের জন্য ক্ষতিকর।
এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানায়, ‘আজ আমরা আপিল করেছি, কারণ আমরা বিশ্বাস করি ইউরোপীয় কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ও জরিমানা আইনের সীমা অতিক্রম করেছে। আমাদের আপিল প্রমাণ করবে, কমিশন আমাদের স্টোর চালানোর পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং এমন শর্ত দিচ্ছে, যা ডেভেলপারদের জন্য বিভ্রান্তিকর ও ব্যবহারকারীদের জন্য ক্ষতিকর।’
অ্যাপল আরও অভিযোগ করে, কমিশন ‘স্টিয়ারিং’ (অ্যাপ নির্মাতারা ব্যবহারকারীদের অ্যাপ স্টোরের বাইরে অফারে নিতে পারবে কি না) বিষয়টির সংজ্ঞা বেআইনিভাবে প্রসারিত করেছে। শুধু বাহ্যিক ওয়েবসাইটে লিংক দেওয়ার বিষয় নয়, বরং অ্যাপের ভেতরে অফার প্রচার করাও কি না, তা এই সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে দিয়েছে কমিশন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এই জরিমানাকে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘আইনি যুদ্ধ’ (lawfare) বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপ আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে ‘অশুল্ক অস্ত্র’ ব্যবহার করছে।
এপ্রিলে ইউরোপীয় কমিশনের প্রযুক্তি সার্বভৌমত্ববিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেন্না ভির্কুনেন জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য ইউরোপ তার ডিজিটাল নিয়মনীতি বাতিল করবে না। এর আগে জানুয়ারিতে মেটা (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ অভিযোগ করেছিলেন, ইইউর ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে তারা ‘সেন্সরশিপ প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ’ করছে।
ট্রাম্প আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছেন। না হলে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতা ও বাজার কর্তৃপক্ষের সাবেক আইনি পরিচালক এবং এখন গেরাডিন পার্টনার্সের প্রতিযোগিতা আইনজীবী টম স্মিথ বলেন, ‘অ্যাপল প্রকৃতপক্ষে তার অ্যাপ স্টোরের নিয়ম পরিবর্তন একেবারেই সহ্য করতে পারে না। কয়েক মিলিয়ন ইউরো খরচ করে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতেও তারা রাজি, এতে করে উন্মুক্ত অ্যাপ ইকোসিস্টেম গঠনের পথ বিলম্বিত হবে। কারণ এই বাজারে বছরে কয়েক বিলিয়ন ইউরো আয় হয় অ্যাপলের।’
এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আদালতে আমাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে প্রস্তুত।’
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি, মোবাইল স্ট্রিট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রিকো ইমেজিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর চীনের বেইজিংয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারত্বের ঘোষণা দেওয়া হবে।
১ দিন আগেদেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘ভিশনএক্সন: এআই-পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসইডিইউ)।
১ দিন আগেজনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইল লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারবেন। ফলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (যেমন—হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক) কোনো ব্যবহারকারীকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
২ দিন আগেতথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
৪ দিন আগে