অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ রক্তস্বল্পতা বা অ্যানেমিয়ায় ভুগছে। এই অবস্থায় শরীরে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
দীর্ঘমেয়াদি রক্তস্বল্পতা হৃদ্রোগ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতির মতো জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি হতে পারে প্রাণঘাতী। এখন পর্যন্ত এই রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজন হয় রক্ত পরীক্ষা, হিমোগ্লোবিন-হেমাটোক্রিট বিশ্লেষণ কিংবা পেরিফেরাল ব্লাড স্মিয়ার বিশ্লেষণের মতো ক্লিনিক-ভিত্তিক পরীক্ষা।
তবে এবার মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে নখের একটি ছবি তুলে জানা যাবে আপনি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন কি না। যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই অ্যাপ তৈরি করেছেন, যা সহজেই রক্তস্বল্পতার প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে।
অ্যাপটি যেভাবে কাজ করে
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে অ্যাপটির মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি বার রক্তস্বল্পতার পরীক্ষা করেছেন। গবেষকদের দাবি, অ্যাপটির নির্ভুলতা ও কার্যকারিতা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার সঙ্গে তুলনীয়। এটি ৮৯ শতাংশ সংবেদনশীলতা ও ৯৩ শতাংশ নির্ভুলতা দেখিয়েছে।
বিশেষভাবে, রক্তস্বল্পতায় আগে থেকেই ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য অ্যাপটিতে ব্যক্তিগতকরণ ফিচার রয়েছে। এই ফিচার চালু করলে ত্রুটির হার প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে। অ্যাপটি একটি ডিজিটাল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে, যা ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেয় কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসা নয়, আগাম সতর্কতা
চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, অ্যাপটি কোনোভাবেই পেশাদার চিকিৎসা বা পরীক্ষার বিকল্প নয়। বরং এটি একটি সুলভ ও সহজলভ্য উপায়ে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদি অ্যানেমিয়ায় ভুগছে—যেমন: কিডনি রোগী বা ক্যানসারের রোগী—তাদের জন্য এটি হতে পারে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের কার্যকর মাধ্যম।
গণস্বাস্থ্যে সম্ভাবনা
অ্যাপটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর জিওলোকেশন ফিচার। এর মাধ্যমে গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কাউন্টি-ভিত্তিক (যেমন: লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি, অরেঞ্জ কাউন্টি, সান ডিয়েগো কাউন্টি ইত্যাদি) অ্যানেমিয়া ম্যাপ তৈরি করেছেন। গবেষকদের আশা, এই প্রযুক্তির সাহায্যে জনস্বাস্থ্যে নজরদারি আরও জোরদার করা সম্ভব হবে। এমনকি জনসংখ্যাভিত্তিক রক্তস্বল্পতা নিরীক্ষায় এটি হতে পারে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে স্যাংগুইনা নামের একটি কোম্পানি ‘অ্যানিমোচেক’ নামের একটি অনুরূপ অ্যাপ তৈরি করেছিল। তবে তারা তখন তা চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য অনুমোদন নেওয়ার পথে যায়নি, বরং এটিকে জীবনযাপনের সহায়ক টুল হিসেবে তুলে ধরেছিল। ভারতের গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থায়ও দুই বছর আগে এমন একটি অ্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং তা প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য কার্যকর প্রমাণিত হয়।
এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস (পিএনএএস)’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ রক্তস্বল্পতা বা অ্যানেমিয়ায় ভুগছে। এই অবস্থায় শরীরে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
দীর্ঘমেয়াদি রক্তস্বল্পতা হৃদ্রোগ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতির মতো জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি হতে পারে প্রাণঘাতী। এখন পর্যন্ত এই রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজন হয় রক্ত পরীক্ষা, হিমোগ্লোবিন-হেমাটোক্রিট বিশ্লেষণ কিংবা পেরিফেরাল ব্লাড স্মিয়ার বিশ্লেষণের মতো ক্লিনিক-ভিত্তিক পরীক্ষা।
তবে এবার মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে নখের একটি ছবি তুলে জানা যাবে আপনি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন কি না। যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এআই প্রযুক্তিনির্ভর এই অ্যাপ তৈরি করেছেন, যা সহজেই রক্তস্বল্পতার প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে।
অ্যাপটি যেভাবে কাজ করে
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে অ্যাপটির মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি বার রক্তস্বল্পতার পরীক্ষা করেছেন। গবেষকদের দাবি, অ্যাপটির নির্ভুলতা ও কার্যকারিতা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার সঙ্গে তুলনীয়। এটি ৮৯ শতাংশ সংবেদনশীলতা ও ৯৩ শতাংশ নির্ভুলতা দেখিয়েছে।
বিশেষভাবে, রক্তস্বল্পতায় আগে থেকেই ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য অ্যাপটিতে ব্যক্তিগতকরণ ফিচার রয়েছে। এই ফিচার চালু করলে ত্রুটির হার প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসে। অ্যাপটি একটি ডিজিটাল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে, যা ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেয় কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসা নয়, আগাম সতর্কতা
চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, অ্যাপটি কোনোভাবেই পেশাদার চিকিৎসা বা পরীক্ষার বিকল্প নয়। বরং এটি একটি সুলভ ও সহজলভ্য উপায়ে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদি অ্যানেমিয়ায় ভুগছে—যেমন: কিডনি রোগী বা ক্যানসারের রোগী—তাদের জন্য এটি হতে পারে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের কার্যকর মাধ্যম।
গণস্বাস্থ্যে সম্ভাবনা
অ্যাপটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর জিওলোকেশন ফিচার। এর মাধ্যমে গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কাউন্টি-ভিত্তিক (যেমন: লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি, অরেঞ্জ কাউন্টি, সান ডিয়েগো কাউন্টি ইত্যাদি) অ্যানেমিয়া ম্যাপ তৈরি করেছেন। গবেষকদের আশা, এই প্রযুক্তির সাহায্যে জনস্বাস্থ্যে নজরদারি আরও জোরদার করা সম্ভব হবে। এমনকি জনসংখ্যাভিত্তিক রক্তস্বল্পতা নিরীক্ষায় এটি হতে পারে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে স্যাংগুইনা নামের একটি কোম্পানি ‘অ্যানিমোচেক’ নামের একটি অনুরূপ অ্যাপ তৈরি করেছিল। তবে তারা তখন তা চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য অনুমোদন নেওয়ার পথে যায়নি, বরং এটিকে জীবনযাপনের সহায়ক টুল হিসেবে তুলে ধরেছিল। ভারতের গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থায়ও দুই বছর আগে এমন একটি অ্যাপ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং তা প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য কার্যকর প্রমাণিত হয়।
এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস (পিএনএএস)’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
৯ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১২ ঘণ্টা আগে