যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ার মুখে আরও এক ধাপ এগোল টিকটক। নিষেধাজ্ঞা আইনের বিরুদ্ধে কোম্পানিটির আপিল খারিজ করেছে দেশটির ফেডারেল আপিল আদালত। ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সাত মাস পরে এই সিদ্ধান্ত আসে। আইন অনুযায়ী, আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সামাজিক নেটওয়ার্কটি চীনা মালিকানা বাইটড্যান্স থেকে নিজেকে সরিয়ে না দিলে টিকটিককে নিষিদ্ধ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এবং টিকটক বিরোধী পক্ষের জন্য একটি বড় বিজয়। তবে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের জন্য একটি বড় আঘাত। এর মাধ্যমে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গেল। যুক্তরাষ্ট্রে ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।
এই রায়টি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার পরিকল্পনা করছে টিকটক। আদালত তাদের রায়ে উল্লেখ করেছে যে, এটি রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের যৌথ প্রচেষ্টার ফল এবং দুটি প্রেসিডেন্টের অংশগ্রহণে তৈরি, যা ‘পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না (পিআরসি) ’ থেকে আসা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যাপক ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে চীনা মালিকানাধীন টিকটক এবং চীন সরকার এটি গোপনে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকদের তথ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। রায়টিকে ‘টিকটককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করার চীনা সরকারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড।
তবে চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস এই আইনকে ‘স্পষ্টভাবে বাণিজ্যিক লুণ্ঠন’ বলে অভিহিত করেছে। সেই সঙ্গে সতর্ক করে বলে, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এই মামলাটি সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা উচিত যাতে দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যিক যুদ্ধের মধ্যে এই রায়টি দেওয়া হলো। বাইডেন প্রশাসন চীনের চিপ শিল্পে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং চীন এর জবাব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালিয়াম, জারনেনিয়াম এবং অ্যান্টিমোনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।
টিকটক এবং ব্যবহারকারীদের আইনি চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত এবং বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারি এর মধ্যে টিকটকের মার্কিন শেয়ার বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে শেয়ার বিক্রি না করলে দেশটিতে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে।
এদিকে, এক ইমেইলের মাধ্যমে টিকটকের সিইও শো জি চেউ তার কর্মীদের জানিয়েছেন, ‘আজকের সংবাদ হতাশাজনক হলেও আমাদের প্ল্যাটফর্মে স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ বজায় রাখতে সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’
অন্যদিকে, স্বাধীনতা-পন্থী সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এই রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছে। তারা বলে, এটি ‘মিলিয়ন মিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রথম সংশোধনী অধিকারকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে, যারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে এবং বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।
এই রায়টি যদি সুপ্রিম কোর্টে অপরিবর্তিত থাকে, তবে এটি টিকটকের ভবিষ্যৎকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাতে তুলে দেবে। তিনি ১৯ তারিখের সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন। তারপর টিকটকের ভাগ্য নির্ধারণ করবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় টিকটকে নিষিদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে গত নভেম্বরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি টিকটক নিষিদ্ধ করতে দেবেন না।
টিকটকের নতুন শপিং ফিচার ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে ১০ কোটি ডলার আয় করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ইমার্কেটার পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের বিজ্ঞাপন আয় ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা দেশের মোট ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যয়ের ৪ দশমিক ৫ শতাংশের সমান হবে।
টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা মেটা, ইউটিউব এবং স্ন্যাপচ্যাটের জন্য লাভজনক হবে। তবে প্ল্যাটফর্মটির নির্ভরশীল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।
এ ছাড়া, এই রায়টি মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে অন্যান্য বিদেশি মালিকানাধীন অ্যাপগুলোর ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ার মুখে আরও এক ধাপ এগোল টিকটক। নিষেধাজ্ঞা আইনের বিরুদ্ধে কোম্পানিটির আপিল খারিজ করেছে দেশটির ফেডারেল আপিল আদালত। ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সাত মাস পরে এই সিদ্ধান্ত আসে। আইন অনুযায়ী, আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সামাজিক নেটওয়ার্কটি চীনা মালিকানা বাইটড্যান্স থেকে নিজেকে সরিয়ে না দিলে টিকটিককে নিষিদ্ধ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এবং টিকটক বিরোধী পক্ষের জন্য একটি বড় বিজয়। তবে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের জন্য একটি বড় আঘাত। এর মাধ্যমে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গেল। যুক্তরাষ্ট্রে ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।
এই রায়টি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার পরিকল্পনা করছে টিকটক। আদালত তাদের রায়ে উল্লেখ করেছে যে, এটি রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের যৌথ প্রচেষ্টার ফল এবং দুটি প্রেসিডেন্টের অংশগ্রহণে তৈরি, যা ‘পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না (পিআরসি) ’ থেকে আসা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যাপক ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে চীনা মালিকানাধীন টিকটক এবং চীন সরকার এটি গোপনে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকদের তথ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। রায়টিকে ‘টিকটককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করার চীনা সরকারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড।
তবে চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস এই আইনকে ‘স্পষ্টভাবে বাণিজ্যিক লুণ্ঠন’ বলে অভিহিত করেছে। সেই সঙ্গে সতর্ক করে বলে, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এই মামলাটি সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা উচিত যাতে দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যিক যুদ্ধের মধ্যে এই রায়টি দেওয়া হলো। বাইডেন প্রশাসন চীনের চিপ শিল্পে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং চীন এর জবাব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালিয়াম, জারনেনিয়াম এবং অ্যান্টিমোনি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।
টিকটক এবং ব্যবহারকারীদের আইনি চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত এবং বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারি এর মধ্যে টিকটকের মার্কিন শেয়ার বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে শেয়ার বিক্রি না করলে দেশটিতে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে।
এদিকে, এক ইমেইলের মাধ্যমে টিকটকের সিইও শো জি চেউ তার কর্মীদের জানিয়েছেন, ‘আজকের সংবাদ হতাশাজনক হলেও আমাদের প্ল্যাটফর্মে স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ বজায় রাখতে সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’
অন্যদিকে, স্বাধীনতা-পন্থী সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এই রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছে। তারা বলে, এটি ‘মিলিয়ন মিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রথম সংশোধনী অধিকারকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে, যারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে এবং বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে।
এই রায়টি যদি সুপ্রিম কোর্টে অপরিবর্তিত থাকে, তবে এটি টিকটকের ভবিষ্যৎকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাতে তুলে দেবে। তিনি ১৯ তারিখের সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন। তারপর টিকটকের ভাগ্য নির্ধারণ করবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় টিকটকে নিষিদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে গত নভেম্বরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি টিকটক নিষিদ্ধ করতে দেবেন না।
টিকটকের নতুন শপিং ফিচার ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে ১০ কোটি ডলার আয় করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। ইমার্কেটার পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের টিকটকের বিজ্ঞাপন আয় ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা দেশের মোট ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যয়ের ৪ দশমিক ৫ শতাংশের সমান হবে।
টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা মেটা, ইউটিউব এবং স্ন্যাপচ্যাটের জন্য লাভজনক হবে। তবে প্ল্যাটফর্মটির নির্ভরশীল কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।
এ ছাড়া, এই রায়টি মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে অন্যান্য বিদেশি মালিকানাধীন অ্যাপগুলোর ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
সামাজিক যোগাযোগের অভিজ্ঞতা আরও ব্যক্তিগত ও অর্থবহ করে তুলতে নতুন এক ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। মেটার মালিকানাধীন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ‘পিকস’ নামের একটি ফিচার চালুর মাধ্যমে একই বিষয়ে আগ্রহী এমন বন্ধু খুঁজে দেবে।
১ ঘণ্টা আগেঅনেকের কাছে অপছন্দের একটি ঘরের কাজ—কাপড় ধোয়া ও ভাঁজ করা। তবে এবার সেই যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে পারে একটি হিম্যানয়েড বা মানবাকৃতির রোবট। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি ফিগার তাদের তৈরি মানবসদৃশ রোবটের একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় রোবটটি দক্ষতার সঙ্গে ঝুড়ি...
৩ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) স্টার্টআপ এক্সএআই থেকে থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইগর বাবুশকিন। গতকাল বুধবার নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন বিষয়ে নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে কখনোই পিছপা হননি বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যবসাসফল নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। এবার জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও নিজস্ব মতামত দিলেন। টাইটানিক ও অ্যাভাটারের সিরিজের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত ৭০ বছর বয়সী এই পরিচালক।
৬ ঘণ্টা আগে