ইন্টারনেটে ব্রাউজিংয়ের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো গুগল ক্রোম। তাই সাইবার অপরাধীদের কাছে হ্যাকিংয়ের একটি প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। ব্রাউজারটির বিভিন্ন দুর্বলতা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। সম্প্রতি এমন একটি সাইবার হামলা ক্রোমে ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে কোটি কোটি ব্যবহারকারী তথ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম স্কোয়ারএক্সের গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের সাইবার হামলা শনাক্ত করেছেন। এই হামলাটি ‘ব্রাউজার সিংকজ্যাকিং’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
এই হামলার জন্য ব্যবহারকারীর দিয়ে বেশ কয়েকটি ধাপ পার করাতে হয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এটি হ্যাকারদের জন্য সহজ একটি প্রক্রিয়া। কারণ, এতে ক্রোম ব্যবহারকারীর খুব কম অনুমতির প্রয়োজন।
এই হ্যাকিংয়ের জন্য প্রথমে একটি ক্ষতিকর গুগল ওয়ার্ক স্পেস ডোমেইন তৈরি করা হয়। এই ডোমেইনে একাধিক ইউজার প্রোফাইল থাকে এবং নিরাপত্তা ফিচার যেমন মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বন্ধ থাকে। এই ডোমেইনটি ব্যবহার করে ভুক্তভোগীর ডিভাইসের ব্যাকগ্রাউন্ডে ম্যানেজড প্রোফাইল তৈরি করে হ্যাকাররা। এরপর একটি ম্যালেশিয়াস ক্রোম এক্সটেনশন তৈরি করে হ্যাকাররা, যা অফিশিয়াল ক্রোম স্টোরে প্রকাশিত হয়। ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করার জন্য সেখানে এটি একটি কার্যকরী টুল হিসেবে দেখানো হয়।
একবার এক্সেটেনশনটি ডিভাইসে ইনস্টল হলে, এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে লুকিয়ে চলতে থাকে এবং ক্রোম ব্রাউজারে কাজ করতে শুরু করে। এরপরে এক্সটেনশনটি সম্ভাব্য একটি গুগল ওয়ার্কস্পেস প্রোফাইলে লগ ইন করিয়ে দেয়, যা আগে হ্যাকাররা তৈরি করেছিল। পরবর্তী ধাপে একটি প্রকৃত ক্রোম সাপোর্ট পেজে নিয়ে গিয়ে ব্যবহারকারীদের সিংক ফিচার চালু করতে বলে। এই সাপোর্ট পেজটি আসলে হ্যাকাররা পরিবর্তন করেছে, যাতে ভুক্তি ভোগী সেই পেজ থেকে সিংক চালু করে।
এভাবে ওই ব্যক্তির পুরো ক্রোম অ্যাকাউন্টের সঞ্চিত ডেটা যেমন: ব্রাউজিং ইতিহাস এবং পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের প্রোফাইলে চলে আসে।
স্কোয়ারএক্স বলে, ভুক্তভোগীর পুরো ব্রাউজারটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণও করতে পারে হ্যাকাররা। এটি প্রায়ই সাধারণ জুম ইনভাইটের মাধ্যমে হয়। যদি ভুক্তভোগী এই ইনভাইটটি গ্রহণ করে, তবে এর ক্ষতিকর কনটেন্ট ডিভাইসে ঢুকে যায়। এই ক্ষতিকর কনটেন্ট আগে থেকে ইনস্টল করা ক্রোম এক্সটেনশন থেকে আসে।
ব্যবহারকারীরা স্ক্রিনে একটি জুম আপডেট করার নির্দেশনা পায়। আর আপডেটের অনুমোদন দিলে ব্রাউজারটি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায় হ্যাকাররা।
এর মাধ্যমে ব্রাউজার থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসে বিভিন্ন ভাইরাস ইনস্টল করতে পারে হ্যাকাররা। এমনকি ডিভাইসের ওয়েবক্যাম ও মাইক্রোফোনও চুপিসারে চালু করে দিতে পারে।
নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
এই ধরনের হ্যাকিং থেকে এড়ানো খুব কঠিন বলে মনে হতে পারে। কারণ এই হ্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে খুব কম ইনপুট প্রয়োজন। তবে, কিছু উপায় আছে যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্রাউজারকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
প্রথমত, নতুন গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ইনস্টল করা এড়িয়ে চলুন ইতিমধ্যে যেগুলো ইনস্টল করা আছে, সেগুলোর সংখ্যা সীমিত করুন। যদি নতুন কিছু ইনস্টল করতেই হয়, তবে এক্সটেনশনটি এবং এর ডেভেলপারদের সম্পর্কে যথাযথ গবেষণা করুন।
এ ছাড়া ডিভাইসে সর্বোত্তম অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনার পিসি বা ম্যাককে নিয়মিত স্ক্যান করবে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপের সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে সতর্ক করবে। পাসওয়ার্ডগুলো ব্রাউজারের পরিবর্তে একটি ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে সংরক্ষণ করা উচিত, যা হ্যাকারদের নজর থেকে সেগুলোকে সুরক্ষিত রাখবে।
তথ্যসূত্র: টেকরেডার
ইন্টারনেটে ব্রাউজিংয়ের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো গুগল ক্রোম। তাই সাইবার অপরাধীদের কাছে হ্যাকিংয়ের একটি প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। ব্রাউজারটির বিভিন্ন দুর্বলতা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা চুরি করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। সম্প্রতি এমন একটি সাইবার হামলা ক্রোমে ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে কোটি কোটি ব্যবহারকারী তথ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম স্কোয়ারএক্সের গবেষকেরা একটি নতুন ধরনের সাইবার হামলা শনাক্ত করেছেন। এই হামলাটি ‘ব্রাউজার সিংকজ্যাকিং’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
এই হামলার জন্য ব্যবহারকারীর দিয়ে বেশ কয়েকটি ধাপ পার করাতে হয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এটি হ্যাকারদের জন্য সহজ একটি প্রক্রিয়া। কারণ, এতে ক্রোম ব্যবহারকারীর খুব কম অনুমতির প্রয়োজন।
এই হ্যাকিংয়ের জন্য প্রথমে একটি ক্ষতিকর গুগল ওয়ার্ক স্পেস ডোমেইন তৈরি করা হয়। এই ডোমেইনে একাধিক ইউজার প্রোফাইল থাকে এবং নিরাপত্তা ফিচার যেমন মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বন্ধ থাকে। এই ডোমেইনটি ব্যবহার করে ভুক্তভোগীর ডিভাইসের ব্যাকগ্রাউন্ডে ম্যানেজড প্রোফাইল তৈরি করে হ্যাকাররা। এরপর একটি ম্যালেশিয়াস ক্রোম এক্সটেনশন তৈরি করে হ্যাকাররা, যা অফিশিয়াল ক্রোম স্টোরে প্রকাশিত হয়। ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করার জন্য সেখানে এটি একটি কার্যকরী টুল হিসেবে দেখানো হয়।
একবার এক্সেটেনশনটি ডিভাইসে ইনস্টল হলে, এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে লুকিয়ে চলতে থাকে এবং ক্রোম ব্রাউজারে কাজ করতে শুরু করে। এরপরে এক্সটেনশনটি সম্ভাব্য একটি গুগল ওয়ার্কস্পেস প্রোফাইলে লগ ইন করিয়ে দেয়, যা আগে হ্যাকাররা তৈরি করেছিল। পরবর্তী ধাপে একটি প্রকৃত ক্রোম সাপোর্ট পেজে নিয়ে গিয়ে ব্যবহারকারীদের সিংক ফিচার চালু করতে বলে। এই সাপোর্ট পেজটি আসলে হ্যাকাররা পরিবর্তন করেছে, যাতে ভুক্তি ভোগী সেই পেজ থেকে সিংক চালু করে।
এভাবে ওই ব্যক্তির পুরো ক্রোম অ্যাকাউন্টের সঞ্চিত ডেটা যেমন: ব্রাউজিং ইতিহাস এবং পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের প্রোফাইলে চলে আসে।
স্কোয়ারএক্স বলে, ভুক্তভোগীর পুরো ব্রাউজারটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণও করতে পারে হ্যাকাররা। এটি প্রায়ই সাধারণ জুম ইনভাইটের মাধ্যমে হয়। যদি ভুক্তভোগী এই ইনভাইটটি গ্রহণ করে, তবে এর ক্ষতিকর কনটেন্ট ডিভাইসে ঢুকে যায়। এই ক্ষতিকর কনটেন্ট আগে থেকে ইনস্টল করা ক্রোম এক্সটেনশন থেকে আসে।
ব্যবহারকারীরা স্ক্রিনে একটি জুম আপডেট করার নির্দেশনা পায়। আর আপডেটের অনুমোদন দিলে ব্রাউজারটি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায় হ্যাকাররা।
এর মাধ্যমে ব্রাউজার থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসে বিভিন্ন ভাইরাস ইনস্টল করতে পারে হ্যাকাররা। এমনকি ডিভাইসের ওয়েবক্যাম ও মাইক্রোফোনও চুপিসারে চালু করে দিতে পারে।
নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে
এই ধরনের হ্যাকিং থেকে এড়ানো খুব কঠিন বলে মনে হতে পারে। কারণ এই হ্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে খুব কম ইনপুট প্রয়োজন। তবে, কিছু উপায় আছে যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্রাউজারকে নিরাপদ রাখতে পারেন।
প্রথমত, নতুন গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ইনস্টল করা এড়িয়ে চলুন ইতিমধ্যে যেগুলো ইনস্টল করা আছে, সেগুলোর সংখ্যা সীমিত করুন। যদি নতুন কিছু ইনস্টল করতেই হয়, তবে এক্সটেনশনটি এবং এর ডেভেলপারদের সম্পর্কে যথাযথ গবেষণা করুন।
এ ছাড়া ডিভাইসে সর্বোত্তম অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনার পিসি বা ম্যাককে নিয়মিত স্ক্যান করবে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপের সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে সতর্ক করবে। পাসওয়ার্ডগুলো ব্রাউজারের পরিবর্তে একটি ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে সংরক্ষণ করা উচিত, যা হ্যাকারদের নজর থেকে সেগুলোকে সুরক্ষিত রাখবে।
তথ্যসূত্র: টেকরেডার
চীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৭ ঘণ্টা আগে