Ajker Patrika

ইতিহাসে প্রথম ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক ইলন মাস্ক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ০৬
ইলন মাস্ক। ছবি: সিএনএন
ইলন মাস্ক। ছবি: সিএনএন

বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় নতুন মাইলফলক গড়লেন ইলন মাস্ক। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা এবং মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সসহ নানা প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায় অসাধারণ সাফল্যের ফলে তাঁর সম্পদের পরিমাণ এবার ছুঁয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার।

এ তথ্য জানিয়ে জানিয়েছে মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) ফোর্বস বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, দিনের একপর্যায়ে মাস্কের সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল, পরে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকেল ৫টায় তা দাঁড়ায় ৪৯৯ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর তাঁর সম্পদ প্রথমবারের মতো ৪০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।

মাস্কের মোট সম্পদের বড় অংশ টেসলার প্রায় ১২ শতাংশ শেয়ারের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এই বছর প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে, যদিও বছরের শুরুটা ছিল অস্থির। গত মাসে মাস্ক প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের টেসলা শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন, যা কোম্পানির ভবিষ্যৎ রূপান্তর পরিকল্পনায় তাঁর আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। টেসলা এখন শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবোটিকস প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার পথে রয়েছে।

সম্প্রতি টেসলার বোর্ড মাস্কের জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়ার এক পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা করপোরেট ইতিহাসে কোনো নির্বাহীর জন্য প্রস্তাবিত সর্ববৃহৎ বেতন প্যাকেজ। এতে কোম্পানির উচ্চাভিলাষী আর্থিক ও কার্যকরী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং মাস্কের শেয়ার অংশীদারত্ব বৃদ্ধির দাবিও বিবেচনা করা হয়েছে।

প্রস্তাব ঘোষণার পর থেকে টেসলার শেয়ারমূল্য প্রায় ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পরিকল্পনা মাস্ককে টেসলার প্রবৃদ্ধিতে আরও মনোযোগী হতে উৎসাহিত করবে।

অটোমোবাইল থেকে মহাকাশ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বিগত বছরগুলোতে মাস্কের বিভিন্ন উদ্যোগ তাঁকে আধুনিক প্রযুক্তি খাতে এক অনন্য প্রভাবশালী অবস্থানে নিয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত।

মাস্কের এআই কোম্পানি এক্সএআই ও রকেট নির্মাতা স্পেসএক্স উভয়ই এ বছর নতুন করে মূলধন সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির সম্ভাব্য বাজারমূল্য যথাক্রমে ২০০ বিলিয়ন ও ৪০০ বিলিয়ন ডলার।

এক্সএআই সম্প্রতি ‘কলোসাস’ নামের একটি সুপার কম্পিউটার সম্প্রসারণ করছে, যা বৃহৎ ভাষা মডেল প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হবে। এর ‘গ্রোক’ নামের চ্যাটবট ওপেনআইয়ের চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চায়।

অন্যদিকে, স্পেসএক্স এখন বাণিজ্যিক মহাকাশ খাতে প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে। তাদের স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড়, যা যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ মহাকাশ উৎক্ষেপণ চুক্তিও পরিচালনা করছে। সংস্থাটি নিয়মিতভাবে সবচেয়ে বেশি রকেট উৎক্ষেপণ করে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সরবরাহ পাঠায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী নেটওয়ার্কগুলোর স্যাটেলাইট বহন করে।

ফোর্বসের তালিকায় মাস্কের পরেই রয়েছেন ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। বুধবার পর্যন্ত তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত